আব্বু তোমাকে অনেক ভালোবাসি
আস্ সালামুআলাইকুম।
প্রাণপ্রিয় ভাইয়া ও আপুরা সবাই কেমন আছেন, আশা করি ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি।
আমি প্রথমে মহান রাব্বুল আলামিনের দরবাকে কৃতঙ্গতা ঙ্গাপন করি, তিনি আমাদেরকে সুস্হ রেখেছেন। আলহামদুলিল্লাহ!
তারপর আমাদের প্রিয় রাসুল (সঃ) এর উপর,দুরুদ ও সালাম পেশ করি, যার উম্মত হতে পেরে আমরা গর্বিত।
তারপর আমার মা-বাবার প্রতি অনেক অনেক ভালোবাসা ও দোয়া রইল।যাদের গর্বে জন্ম নিয়ে আজ বুক ফুলিয়ে বেঁচে আছি। আলহামদুলিল্লাহ!
তারপর আমাদের সবার প্রিয় মেন্টর, লাখো তরুন -তরুনীর স্বপ্নের পথ দেখানো ওয়ালা আমাদের প্রিয় স্যার, আমাদের বেঁচে থাকার অক্সিজেন।
যার অক্লান্ত পরিশ্রমে আমরা পেয়েছি#নিজের বলার মত গল্প প্লাটফর্ম, যেখানে লাখো লাখো ভালো মানুষ গড়ার কারিঘর সৃষ্টি করে দিয়েছেন।
আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব আব্বুর ভালোবাসা কেমন।
যারা আমার লেখাটি ধৈর্য ধরে পড়েছেন,তাদেরকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। ইনশাআল্লাহ আশা করিরি পড়ো লেখাটি পড়বেন সবাই।
আমি এমন বাবার ঘরে জন্ম নিয়েছি, যিনি হলেন কুমল হৃদয়ের মানুষ, যার নিজের চিন্তা রেখে সন্তানের চিন্তায় রাতের ঘুম চলে যায়। যে বাবা সারাদিন পরিশ্রম করে বাসায় এসে হাসি মুখে আব্বু - আম্মু ডেকে বুকে টেনে নেন।
আমার আব্বু খুব ভালোমানুষ এটা বুক ফুলিয়ে বলতে পারি।আমার আব্বু কখনো চান না উনার সন্তানরা আব্বুর চোখের আড়ালে কোথাও থাকুক। আব্বু সবসময় চান আব্বুর বুকের মাঝে সবাইকে আগলে রাখবেন।
আমার ছোট ভাই আজ একটা ট্রেনিং এর জন্য বাসাসা থেকে ওর মাদ্রাসায় গেছেন। আব্বু সাথে গেছেন, তারপর ছোট ভাইটিকে রেখে বাসায় চলে আসছেন। এসে বলছেন আমার ছেলেটিকে রেখে এসেছি ওই কি খাচ্ছে না খাচ্ছে সেটা নিয়ে চিন্তা শুরু।আমি বললাম ওই ঠিক আছে আপনি চিন্তা করবেন না।
তারপর আব্বু চলে গেলের উনার মসজিদে, বাসায় যতবার আসছেন ততবার চিন্তা করতে আছেন, ছেলের কি অবস্হা।
আমিও ওর যাওয়ার পর থেকে মনে মনে চিন্তা করছি, ওই কি খাবে, আমার চিন্তার কারণ হলো ওর যখন- তখন পেটে খিদা লেগে যায়। অল্প কিছু খাবার খায়, আবার সে খুদার জ্বালা ও বেশী সহ্য করতে পারে না।ওদের মাদ্রাসার আশে-পাশে ও কোন দোকান নেই।ওর সাথে কিছু খাবার আছে কিন্তু ওই খাবার কি ওই খাবে।
তারপর রাতে আব্বু বাসায় এসে বার বার বলছেন, আমার ছেলে অসুস্হ হয়ে গেছে, ওরে কাল সকালে দেখতে যাব। আমি ওর সাথে কথা বললাম, দেখলাম কন্ঠটা অনেক ছোট হয়ে গেছে
প্রায় কান্না কান্না ভাব, তারপর ভাইকে জিঙ্গেস করলাম তোমার কি অসুখ হয়েছে, ওই বলল না আমি বললাম আব্বু কালকে যাবেন তোমাককে দেখতে,ভাই মানা করেরে দিল। যে,যেতে হবেনা।
আমি আব্বুকে বললাম ওই মানা করছে যেতে,তারপর থেকে ঘুমানোর আগ পর্যন্ত বলেই যাচ্ছেন আমার ছেলে কি করছে
।আমি শুনতে শুনতে বললাম আপনি এরকম কেনো করেন,আব্বু আমাকে জবাবে বললেন তুমি আমার জায়গায় এসে দেখ, আমি কেনো এরকম করি,তারপর আব্বু বললেন যখন তুমি আমার মত হবে, তখন বঝবে আমি কেনো এরকম করতাম।
আমি মাঝে মাঝে আব্বুর সাথে রাগারাগি করি, কাররণ আব্বু চাননা আব্বুর কাছ থেকে কেউ দুরেরে থাকি। আমার কথা হলো দুরে না গেলে শিখবে কি করে জানবে কি করে। আব্বুর মনে কি যেননো ভয় থাকে সবসময়।
আব্বু অসুস্হ সরির নিয়ে, আমাদের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যান,কিন্তু আমরা আব্বুর জন্য একটা ছোট গিফট তো করা দুররের কথা, বরং উল্টা -পাল্টা কোন কিছু হল অনেক কিছু বলে ফেলি।তখন আমরা ভুলে যাই বাবারা কি অমূল্য রতন,যাদের বাবা নেই তাররাই বুঝে বাবার কদর।
বাবাহীন দুনিয়া কত কঠিন, কেউ না বুঝলে যার বাবা নেই সে বুঝে। তাই বাবাদেরকে কোন কটু কথা বলা থেকে বিরত থাকব। বাবাদের বয়স যখন বাড়ে তাদের কথাগুলো ছোট বাচ্চাদের মত হয়ে যায়।
তাদের এগুলো আমরা মেনে নিয়ে তাদেরকে অনেক ভালোবাসব।
আব্বু তোমাকে অনেক ভালোবাসি, আব্বুকে আজও বলতে পারিনি আব্বু তোমাকে অনেক ভালোবাসি।আব্বু তুমিমি আমার বেঁচে থাকার একমাএ অবলম্বন। আব্বু তোমাকে কখনো হারিয়ে আমি বেঁচে থাকতে পারবনা। আব্বু তুমি আমার পাশে আমার মৃত্যুর আগে পর্যন্ত ছায়া হয়ে থেকো।আব্বু তুমিমি যদিদি আমাকে বটগাছের মত ছায়া না দেও,তাহলে আমি পথভ্রষ্ট হয়ে যাব।আব্বু আমাকে পাগল বেসেসে বেঁচে থাকতে হবে।
আব্বু তোমারর সাথে অনেক অন্যায় করছি ভুল করে অনেক কটুকথা বলছি, অল্পবুদ্ধি থাকার কারণে, অনেক তোমার সঠিক সিন্ধান্তকে বেটিক মনে করে ভুল বুঝছি। আব্বু তোমার কাছে আজ ক্ষমা চেয়ে নিলাম ক্ষমা করে দিও আব্বু।
প্রতিটি বাবা যেনো অনেক ভালো থাকেন। হে আল্লাহ আমার আব্বুকে সুস্হ সবল রেখো, আমার আব্বুর নেক হায়াত দানন করুন।আমার আব্বু যেননো আমার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমাদের মাঝে থাকেন।
আমার পেইজঃজোহা ফারহা কালেকশন।
কাজ করছি,
হাতের কাজের পান্জাবি
হ্যান্ডপেইট পান্জাবি
মেয়েদের থ্রী-পিছ ও
চা-পাতা
আমার পরিচয়
সুমা তাসনীম ফারহা
ব্যাচঃ ১১
রেজিঃ ২৯২০৫
জেলাঃসিলেট
কমিউনিটি ভলেন্টিয়ার