স্বল্প গল্পে সেল পোস্ট
🍁🍁আজ আমি শুরু করবো পারিবারিক নৈতিকতার বিষয় নিয়ে,যদিও এই বিষয়ে আমাদের শিক্ষিত সমাজ এখন অনেকটা এগিয়ে আছে। 🍁🍁
❤❤️সন্তানদের (ছেলে ও মেয়ে)নৈতিক শিক্ষার পাশাপাশি এটাও আমাদের সন্তানকে শেখানো উচিত ঘরের সব কাজই মেয়েদের কাজ না। আমরা যদি ছোটবেলা থেকেই ঘরের কাজে ছেলে মেয়ে উভয়কেই যুক্ত রাখি তবে তাদের ভিতরে ছোট বেলা থেকেই মাইন্ড সেট হয়ে যাবে এ কাজটা আলাদা কারোর না। অনেকেই বলে থাকেন ছেলেদের "ঘরের কাজে হেল্প করতে হবে" আমি এ কথাটার সাথে দ্বিমত পোষন করি। এ কথাটিতে আমার কেনো যেনো মনে হয় ঘরের সব কাজ আমাদের মেয়েদেরই কাজ, যে কাজগুলো দয়া করে ছেলেদের ( ছেলে,স্বামী বা অন্য পুরুষ) বলছি করে দিতে। আমরা মায়েরাই এই প্রথার পরিবর্তনে প্রধান ভূমিকা রাখতে পারি। কারণ বাইরের কাজের পাশাপাশি ঘরের কাজগুলোর সাথে আমরা ওতোপ্রোতভাবে জড়িত।
আমার খুব খারাপ লাগে যখন দেখি ঘরের একটা ছেলে
সকাল ১০ টা পর্যন্ত ঘুমাচ্ছে কারোর সে বিষয়ে অভিযোগ নেই। অন্যদিকে ঘরের মেয়েটি খুব ভোরে ওঠে মায়ের সাথে সব কাজ অবলীলায় করে যাচ্ছে। একইভাবে স্বামী যখন বাইরের দায়িত্ব পালন করে ঘরে ফিরে তারপর থেকেই আবার শুরু হয় একজন নারীর স্বামীর প্রতি যত্নের রুটিন। এটা নারীরা করবে তাঁদের দায়িত্ব ও ভালোবাসা থেকে,এটাই স্বাভাবিক। সংসারের সব কাজ,বাচ্চাদের দায়িত্ব পালন,অসুস্থ হলে রাত জেগে সবাইকে পাহারা দেওয়া,সবই তো আমরা নারীরা করি!! নারীরা অসুস্থ হলে কয়জন পুরুষ মা,মেয়ে বা স্ত্রীকে রাত জেগে সেবা করে বা সংসারের কাজ থেকে কয়দিনের জন্য মুক্তি দেয়?? খুব জানতে ইচ্ছে করে...... ।
"সংসারে এতো ত্যাগের পরও একজন গৃহিণী নারীকে শুনতে হয় সারাদিন ঘরে বসে কি করো??"
শ্রমঘন্টার যদি মূল্যায়ন করা হয় একজন গৃহিনী দিনের তিনভাগের দুইভাগ সময়ই ( প্রায় ১৬ ঘন্টা) সংসারে কাজ করেন। সে হিসেবে একজন পুরুষ চাকুরী করে যে টাকা উপার্জন করেন তার দ্বিগুন বেতন দিতে হবে একজন গৃহিনী নারীকে। তারপরও নাকি সারাদিন একজন গৃহিণী কিছুই করেন না!!
এতো গেলো ঘরে থাকা এক এক গৃহিণী নারীর গল্প।
এই গৃহিণী নারীরা যখন বাইরেও কাজ করেন ( চাকুরী বা ব্যবসা) তখন তাঁদেরকে ঘর সংসার,সন্তান,বাইরের জগৎ সবকিছুকেই একাই সামাল দিতে হয়। বাইরে কাজ করতে গিয়ে সংসারের রান্না ঠিকমতো না হলে বা সন্তানের দেখভালের সমস্যা হলে অবলীলায় পুরুষরা বলে ফেলেন চাকুরী বা ব্যবসাটা ছেড়ে দাও। এ দ্বন্দ্বে অনেক সংসারও ভেঙে যেতে দেখেছি। আবার এমনও হয়েছে সংসার ও বাচ্চার দিকে তাকিয়ে একজন মা তাঁর স্বপ্নগুলোকে বিসর্জন দিচ্ছে যুগ যুগ ধরে। একজন নারী একটা চাপা কষ্ট বয়ে বেড়ায় সারাজীবন,দূরত্ব তৈরি হয় মনের দিক থেকে। অনেক স্বামী সেটা বুঝতেও পারে না বা পারলেও ভাবে সংসারে তাঁর আধিপত্য বিরাজমান থাকবে এটাই স্বাভাবিক।
পরিবারের উচিত ছোটবেলা থেকেই ছেলেদের এই কথা গুলো সুন্দর করে মাথায় গেঁথে দেয়া যাতে তারা বুঝতে পারে ঘরের কাজ কেবলই মেয়েদের জন্য নয়। সকলের সহযোগিতায় ভালোবাসার বন্ধন থাকে সারাজীবন,সব জায়গায়। পরিবার তার সন্তানকে যেমন শিক্ষা দেবে তেমনটাই সে তার ভেতরে ধারণ করবে।
যতক্ষন পর্যন্ত আমরা পরস্পর পরস্পরকে সহযোগিতা করার মানসিকতা তৈরী না করবো ততক্ষন পর্যন্ত রাস্তায় গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে আমরা নারীকে সম্মান দিতে পারবো না। নারী পুরুষ উভয়ই পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হলেই নারী পাবে তাঁর প্রাপ্য সম্মান। ❤️❤️
🍁🍁সবাইকে অনেক ধন্যবাদ ধৈর্য্য ধরে লেখাটি পড়ার জন্য।
🍁🍁লেখায় কোনো ভুলত্রুটি হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
🍁🍁আমি সবসময়ই সবাইকে একটা কথা বলি----
""""পাশে থাকবেন""""
""""পাশে রাখবেন'"""'"।
🍁🍁সব সময় আমি আমার কাস্টমারকে প্রাধান্য দিয়ে থাকি, কারণ কাস্টমাররা হলো লক্ষি। তাই আজকের হাটে আমার ছোট বেলা থেকে আজ পর্যন্ত নেয়া শিক্ষা থেকে একটা অফার প্রত্যেক হাটবারের জন্য থাকবে।
🥀🥀🥀🥀🥀🥀🥀অন্য দিনের থেকে কিছুটা ছাড় থাকবে আমার পন্যে শুধুমাত্র হাটবারে।🥀🥀🥀🥀🥀🥀🥀🥀🥀🥀🥀
💦 আসছে ১৬ ডিসেম্বর আমাদের মহান বিজয় দিবস
এই স্পেশান দিনটির জন্যও কিনে ফেলতে পারেন পাঞ্জাবি আর লুফে নিতে পারেন আজকের ছাড়ের সুযোগটা। 💦
🍁🍁আজকে আমি নিয়ে আসছি আমার প্রিয় ভাইদের জন্য সফট সূতি পাঞ্জাবি,টেন্সিল কটন, হাতের কাজের পাঞ্জাবি,কুর্তি ও কাপল ড্রেস । অনেক কালারফুল ও পরতে বেশ আরামদায়ক।
পাইকারী ও খুচরা বিক্রয় করা হয়।
পছন্দ হলে এখনি অর্ডার করে ফেলুন।
📌"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৬৯৩
Date:- ০৭/১২/২০২১ইং
সালমা আক্তার
ব্যাচঃ১৪
রেজিঃ ৬২৭৭১
কমিউনিটি ভলান্টিয়ার
জেলাঃ ঢাকা
উপজেলাঃ সাভার
💕প্রিয় প্লাটফর্ম নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন 💕
🥀🥀 কাজ করছি থ্রিপিস,টুপিস,কুর্তি,থানকাপড়,শাল,রেডি পাঞ্জাবি হাতের কাজের পাঞ্জাবি,কাপল ড্রেস ইত্যাদি নিয়ে।
স্বত্বাধিকারীঃ বাংলার আঙ্গিনা
পেইজ লিংকঃ https://www.facebook.com/বাংলার-আঙ্গিনা-101700918088202( ভালোবেসে পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকবেন) ।