সময় বদলায় সময়ের সাথে
আমাদের জীবনের ছোটবেলার গল্প গুলো ছোট ছোটই থাকে বন্ধুবান্ধবের সাথে ছোটাছুটি লেখা পড়ার ফাঁকে একটু দুষ্টামি ইস্কুলের স্যার দের কাছ থেকে মিষ্টি মিষ্টি বকুনি বাবা-মার ছোট ছোট শাসন আমাদের আগামী ভবিষ্যতের উজ্জ্বল পথ দেখানো পাড়া-প্রতিবেশীদের মিষ্টি মিষ্টি আদর সব কিছু মিলিয়ে যেন একাকার ছোট বেলার কথা একটু ভাবুন তো, কেমন ছিল দিনগুলো,
ভোরে ঘুম থেকে উঠে মক্তবে যাওয়া, কার আগে কে যাবে তার জন্য প্রতিযোগিতা এসব কি এখন চাইলে সম্ভব?! কখোনই সম্ভন না কারন সময় বদলায়-----সারাদিন এদিন সেদিক ঘুরাঘুরি মায়ের বকা শুনা আব্বুর দোড়ানি খাওয়া ছিল নিত্য দিনের অংশ, কোন কারণে যদি স্কুল মাদ্রাসা বন্ধ থাকতো সেই মহাখুশি কেউ থামাতে পারতো না--চাইলেই এখন সেই সময় ফিরে পাওয়া সম্ভব?কখনো না, কারন সময় বদলায়।
হারিকেন দিয়ে পড়ার স্মৃতি,বিদ্যুৎ চলে গেলে সেই মহাখুশি এখন চাইলেও ফিরে পাওয়া যায় না,কারন!সময় বদলায়-------!!!!!দিন দিন এভাবে সব স্মৃতি হয়ে গেল আমাদের জীবন থেকে,১০টা বাজার আগে পড়ার টেবিলে যে ঘুমের জন্য কত বার পড়ে গেছি তার হিসেব নেই।
আর এখন ঘন্টার পর ঘন্টা মোবাইলে কাটিয়ে দিচ্ছি চাইলেই সেই সময় গুলোতে যাওয়া সম্ভব? কখোনই না--কারন সময় বদলায়------!!!!
হয়তো আমাদের সময়টা আমাদের জন্য ভাল ছিল,দিন দিন পৃথিবী উন্নত হচ্ছে,সাথে আমরা ও, কিন্তু স্মৃতি কখনো মুছে যাওয়ার নয় কিংবা ভুলে যাওয়ার নয়।আগামী প্রজন্ম হয়তো নব্বই দশক এর কথা জানবে কিন্তু এই নব্বই মানে কি সেটা হয়তো তারা সহজে অনুধাবন করতে পারবে না।
কারন সময় অনেক বদলে গেছে----!!! সাথে বদলে গিয়েছে আমাদের চাওয়া-পাওয়া সময়ের সাথে সাথে মানুষ আধুনিক হচ্ছে লেখাপড়ার মান বেড়েছে --কিন্তু বাড়ছে না মানুষের চাকরি কোটা- যতই লেখাপড়ার মান বাড়ছে যতই শিক্ষার মান বেড়েছে -আমরা ততোই বেকার হয়ে পড়েছি-- লেখাপড়ার পাশাপাশি আমাদের কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে --তা না হলে অচিরেই আমরা অন্ধকারের পথ দেখতে পাবো--- কারণ সময় বদলায়----!!!!সময়ের সাথে আমাদের কেউ বদলাতে হবে নিজেকে দক্ষ যোগ্য করে তুলতে হবে নতুন সময়,নতুন যুগে----!!!
সময় জীবনে অনেক কিছু যোগ করবে,অনেক কিছু আবার নিয়ে যাবে,হারিয়ে দিবে কোন এক হারানো রাজ্যে--আস্তে আস্তে আমরা আমাদের গন্ত্যব্যের দিকে পা বাড়াবো,সময় বদলাবে, মানুষ বদলাবে, আমরা আমাদের সঠিক স্থান থেকে চিরন্তন গন্তব্যে হারিয়ে যাবো,কোন এক অজানা দিনে মুছে যাবে বহুকালের স্মৃতি, একবুক সপ্নের আশা।কারন সময় বদলায় আর আমারাও-----!!
হাজার বছর ধরে বহমান থাকবে এ সময় বদলে যাওয়ার ধারা-----!!!!
বড় ইচ্ছা করে জীবনে সফল হতে___________
আমরা যখন জীবনে কোন কাজে সফলতা অর্জন করার চেষ্টা করি- তখনি আমরা অনেক ভুল সিদ্ধান্ত নেই ছোট ছোট ভুলের কারণে আমাদের জীবন থেকে উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন হারিয়ে যায় অথবা পাশে থাকা লোক গুলোর কটুক্তির কারনে সব এলোমেলো হয়ে যায়। তখনই সিদ্ধান্ত গুলো সঠিক হয় অথবা ভুল হয়। হয়তবা যে বিষয়ে একটু ও ধারণা নেই সেটা নিয়ে শুরু করতে চাই। আর যদি শুরুটা ভালো হয় তবে বাহবা দেওয়ার লোকের অভাব হয় না-- যদি কোনো সিদ্ধান্ত ভুল হয় শুধরানোর লোক খুজে পাওয়া যায় না-- আর যদি কোনভাবে আমাদের কাজে ভুল হয় তবে ধিক্কার দেওয়ার এবং আমাদেরকে ছোট করার লোকের অভাব হবে না- আসলে এটাই হলো আমাদের সমাজ আমাদের জেনারেশন আমাদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য আমাদের বর্তমান সমাজের শিক্ষা এরকম নেগেটিভ মন মানসিকতার মানুষের সমাজের কোনো অভাব নেই--তাই আমাদের প্রত্যেকের উচিত যে বিষয় টি নিয়ে কথা বলছি অথবা কাজ করতে চাই সেটা নিয়ে আগে থেকে ধারনা রাখা অথবা ধৈয্য ধরে জ্ঞান অর্জন করা। জীবনের প্রতিটি ব্যাপারে রিক্স নিতে হবে নিজের কাজের উপর বিশ্বাস রেখে নিজের উপর আস্থা স্থাপন করে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে - কাজের উপর ভালোবাসা রেখে প্রতিজ্ঞা করতে হবে যে, আমি এইটা করবই - এবং এখান থেকেই সফলতা অর্জন করব, আমাকে পারতে হবে, আমি পারবো মানুষই পারে, সবকিছু মানুষের দ্বারা সম্ভব-- অসম্ভবকে ধৈর্যের সাথে কষ্ট সাধারণ করে সম্ভব করা -এবং কাজ এবং সফলতা প্রতি সবটুকু ভালোবাসা দিয়ে ধৈর্য ধরে চেষ্টা করে যেতে হবে। যতক্ষণে সফলতার চূড়ায় না পৌঁছানো যায়- ততক্ষণ পর্যন্ত লেগে থেকে চেষ্টা করতে হবে তবেই আমরা অবশ্যই সফল হব ইনশাআল্লাহ।
আমার পরিচয়______________________
সৃষ্টির সেরা জীব আমরা মানুষ পরিচয় হয়তো সকলের কাছে আমি পরিচিত ছিলাম- আমি #Shawon Hossain...ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার ভিতর আমার পরিচিত এবং আনাগোনা ছিল' নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশনে যুক্ত হয়ে আমার একটি নতুন পরিচয় সৃষ্টি হয়েছে-- আমি একজন ভালো মানুষ-- আমরা চার ভাই, বাবা একজন কঠিন পরিশ্রমী ব্যক্তি,আমি পরিবারের সবার বড় সন্তান,একজন সাহসী বাবার সাহসী পুত্র, মায়ের নাড়ি ছেঁড়া আদরের ধন-- পরিবারের বড় হওয়ার সূত্রে অনেক আদরে আমার বাবা-মা আমাকে মানুষ করেছেন --আমার জীবনের সমস্ত চাহিদা পূরণ করার চেষ্টা করেছেন --ছোটবেলা থেকেই দেখেছি বাবা-মার শেষ আনন্দ ভালো বাসাটুকু আমার চলার পথে বিলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন --বাবা-মা হলেন পৃথিবীর সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ নেয়ামত --তাদের কাছ থেকে দু'হাত পেতে অনেক কিছু নিয়েছি-- ক্ষণিক সময়ের জন্য তাদের ঋণ শোধ করার মত ক্ষমতা আমার নেই- তবে ভালোবেসে তাদের পাশে থাকাটাকে সন্তান হিসেবে দায়িত্ব কর্তব্য মনে করা উচিত -আমার মা অনেক স্বপ্ন দেখতেন আমি বড় হয়ে একজন বড় আলেম হব -- দিন এবং দুনিয়ার যতদিন বেঁচে থাকি- পরকালের জন্য মানুষকে দ্বীনের পথে ডাকবো -এবং ইসলামের খেদমত করবো -তাই ছোটবেলা থেকেই আমাকে মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়ে দেন -অস্তে অস্তে আমার লেখাপড়া শুরু হয় --দিন এবং দুনিয়ার মুখাপেক্ষী হয়ে বন্ধ বান্ধবের সাথে মিশতে মিশতে আমি একটু দুষ্টু হয়ে পড়ি-- আমার বাবা-মা কখনোই আমার সাথে খারাপ ব্যবহার না করে সব সময় আমার মাথায় হাত দিয়ে আমাকে বুঝিয়েছে আমাকে মানুষ হতে হবে --মানুষের মতো মানুষ-- ভালো মানুষ সৎ মানুষ উপকার নিখুঁত এবং বড় মনের মানুষ- সেই প্রত্যেককে নিয়েই আমার একটু একটু করে বেড়ে ওঠা-- ছোটবেলা থেকেই বাবার কষ্ট পরিশ্রম অভাবের সংসারের মায়ের টানাটানি আমার চোখে পড়ে যখন থেকে বুঝতে শিখেছি তখন থেকেই উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন আমাকে সারাদিন তারা করে বেরিয়েছে--- ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখতাম যখন একটু বড় হবো বাবা-মার পাশে দাঁড়াবো তাদের দুঃখগুলো মোচন করার চেষ্টা করব সেভাবেই আমার নিজেকে তৈরি করা-- আমার আচরণের সব সময় আমার বাবা মা অনেক খুশি ছিলেন-- হাজার কষ্টের মাঝেও তারা আমাকে ভালোভাবে রাখার চেষ্টা করছেন --কখনো কোনোভাবেই সংসারের অভাব টা আমাকে বুঝতে দেয়নি-- যখন আমি একটু বড় হলাম তখন চিন্তা করলাম আমাকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে বাবার কষ্টের কিছুটা ভাব নিতে হবে সংসারে আরো তিনটি ভাই আছে তাদেরকে মানুষ করার দায়িত্ব আমাকে কাঁধে তুলে নিতে হবে বাবা মা অনেক কষ্ট করেছেন তাদেরকে আর কষ্ট করতে দেওয়া যাবে না---
কিছু - করার - প্রত্যয়______________
জীবনের শুরুতেই অনেক বড় কিছু করা সম্ভব নয় --শুরুটা যদি ছোট থেকে হয় একসময় বড় রূপ ধারণ করে --ছোট থেকেই শিখতে হবে আমাদেরকে কিভাবে বড় হতে হয়--- আমার আব্বুর একার পরিশ্রমে চলত আমাদের সংসার, সারাদিন গায়ে শরীরে খেটে আমাদের ভালো খাবার ভালো পোশাক কিনে দিতেন আমাদের বাবা-- তবুও সব সময় তার মুখের কোনায় হাসিটা লেগে থাকত-- আকাশের দিকে তাকিয়ে বলতো রাব্বুল আলামীন আমাকে অনেক সুখ দিয়েছ,আমি আমার সন্তানদের কে নিয়ে ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ""""" স্কুলে গেলে আমাকে সবসময় আব্বু দশ টাকা করে নাস্তা খাওয়ার জন্য টাকা দিতেন-- প্রথম প্রথম সব টাকায় ভেঙে আমি খেয়ে ফেলতাম - হঠাৎ করে একদিন মনে হলো এভাবেই যদি আমি সব খেয়ে ফেলি তাহলে সঞ্চয় বলতে কিছুই আমার হাতে-- অভাবের সংসারে বছর শেষে বাবা মার জন্য দুইটি শাড়ি লুঙ্গি ছাড়া আর কিছুই জুটতোনা কিন্তু বছরে কয়েকবার আমাদের কাপড়-চোপড় চেঞ্জ করতে হতো-- বলার আগেই বাবা-মা সুন্দর সুন্দর কাপড় চোপড় কিনে এনে দিত-- এই জিনিসটি আমাকে অনেক হতভম্ব করত-- আমাদের বছরে চার থেকে পাঁচবার কাপড়-চোপড় লাগে মায়ের কেন দুইটা শাড়ি--?? আসলে তখন বুঝতাম না বাবার সাধ সাধ্যের বাইরে ছিল মাকে বছরের চারটা পাঁচটা শাড়ি দেওয়া -- মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে অনেকগুলো সুন্দর সুন্দর কাপড় চোপড়ের দোকান ছিল --যখন দেখতাম সুন্দর সুন্দর কাপড় ঝুলিয়ে রেখেছে-তখন মনে হতো যদি আমার কাছে টাকা থাকতো আমি একটি সুন্দর কাপড় নিয়ে আমার মাকে দিতাম -আমার মা হয়তো অনেক খুশি হয়ে আমাকে জড়িয়ে কোলে তুলে নিত-- একদিন এক দোকানদারকে জিজ্ঞেস করলাম কাপড়ের দাম কত সুন্দর একটি শাড়ি চোখে লাগার মত --দোকানদার বললেন আড়াইশো টাকা-- সেদিন থেকে আমি আমার নাস্তা খাওয়ার টাকা থেকে প্রতিদিন 7 টি টাকা করে জমিয়ে রাখতাম- যেদিন আড়াইশো টাকা জমা হবে সেদিন আমি আমার মায়ের জন্য সে কাপড় টা কিনে নিয়ে আসব-- হঠাৎ করে একদিন দেখলাম সেই সুন্দর শাড়ি কাপড় টা ঝুলনের নেই --দোকানদারকে জিজ্ঞেস করলাম সে কাপড় টা কোথায়??দোকানদার উত্তর দিল বিক্রি করে ফেলেছি'' কষ্টে দুঃখে আমার চোখে পানি এসে গেল""" আমার মায়ের জন্য আমি কাপড় পছন্দ করেছিলাম-- টাকার অভাবে কিনতে পারিনি-- তখন আমার কাছে 100 টাকার মতো জমা হয়েছে --দেখতে দেখতে আমি আরো বড় হলাম আস্তে আস্তে আমি আরো উপরে ক্লাসে ভর্তি হলাম-- তখন আমার আব্বা আমাকে প্রতিদিন 15 টাকা করে হাত-খরচ দিতেন সেখান থেকে আমি 12 টাকা জমিয়ে রাখতাম কোনমতে তিন টাকা দিয়ে একটি ছোট রুটি কিনে খেতাম-- একদিন ছোট্ট মাটির ব্যাংকে আমার পরিপূর্ণ ভরে গেল-- আমি মাকে বললাম মা এখানে আমি অল্প অল্প করে সঞ্চয় করে ব্যাংক পরিপূর্ণ করেছি এখানে যা টাকা হয় সেটা দিয়ে তোমাকে একটি সুন্দর কাপড় কিনে দেবো-- আমার মা মুখে হাসি নিয়ে বললেন আমি নতুন শাড়ি চাইনা --তুমি আরো টাকা জমা করো অনেক টাকা জমা হলে আমাকে একটি ছোট্ট মেশিন কিনে দিও --আমি তোমাদের জন্য যাতে সুন্দর সুন্দর কাপড় নিজের হাতে সেলাই করতে পারি--- শুরু হলো নতুন করে আমার স্বপ্ন দেখা যেভাবেই হোক আমার মাকে মেশিন কিনে দিতে হবে আমার মায়ের আশা পূর্ণ করে আমার প্রথম কাজ----------!!!
জীবন-- থেকে --নেওয়া___________________
দেখতে দেখতে আমি হাফিজী শেষ করি, তার পরে দাখিল পাস করলাম, অস্তে অস্তে আমি সঞ্চয় বড় করতে লাগলাম, যখন আমি আলিমে ভর্তি হই তখন আমি চেষ্টা করি নিজের টাকায় লেখাপড়া খরচ চালানো- লেখাপড়ার পাশাপাশি আমি কয়েকটি টিউশনি নেই -যাতে করে আমার লেখাপড়ার খরচ আমার বাবাকে বহন করতে না হয়-- এমনিতেই আমার আব্বা অনেক কষ্ট করে আমাদেরকে বড় করেছেন আমি ছাড়া আরো তিনটি ভাইকে লেখাপড়ার খরচ দিতে হয়-- সারাদিন নিজের লেখাপড়া পাশাপাশি কয়েকটা টিউশনি করে মোটামুটি আমার সমস্ত খরচ উঠে আসে --এবং আমার মায়ের মেশিন কেনার স্বপ্ন আমাকে আরো মুখরিত করে তোলে --আমি নিজের খরচ থেকে কিছুটা বাজেট কমিয়ে আমার মায়ের জন্য সঞ্চয় করা শুরু করি --সাড়ে তিন হাজার টাকা জমিয়ে আমার মাকে আমি একটি সেলাই মেশিন কিনে দেই --সেদিনের খুশিটা আমি কারো সামনে ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না --আমার মা আমাকে জড়িয়ে ধরে আনন্দে আত্মহারা হয়ে এত বেশি কেঁদেছিলেন তার চোখের পানিগুলো আমার পুরো শরীরের অর্ধেক অংশ ভিজিয়ে দিয়েছিলেন,,সন্তানের কাছ থেকে পাওয়া উপহার বাবা মাকে কতটা খুশি করে সেই মুহূর্তটা হয়তো আপনাদের সামনে তুলে ধরতে পারবো না,সেদিন আমার মা আমার মাথায় হাত দিয়ে অনেক দোয়া করেছিলেন আর বলেছিলেন জীবনে তুমি অনেক বড় হও,,সমাজ দেশ ও মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করো- আমার মায়ের দোয়া আল্লাহ সেদিন কবুল করেছিলেন তার বদৌলতে আমি পেয়েছি নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন- এর একটি ভালো মানুষের পরিবার।
ক্ষুদ্র-থেকে-সফলতা- পথ- দেখা_____________
নিজের বলার মতো একটা গল্প" ফাউন্ডেশন এর উদ্যোক্তা ও সদস্য অনেকেরই জীবন প্রবাহিত ছিল বিভিন্ন প্রতিকূলতায় অনিশ্চয়তায়। অনেকের আবার ব্যর্থ হতে হতে সফলতার স্বপ্নগুলো মাটিচাপা হয়ে রয়েছিলো- এই অনলাইন ভার্চুয়াল জগতে হঠাৎ আবির্ভাব হলো " ব্যর্থতা থেকে সফলতা" পাওয়া আরেক ব্যক্তি শ্রদ্ধেয় জনাব Iqbal Bahar Zahid স্যার, যিনি এই "নিজের বলার মতো একটা গল্প" প্লাটফর্ম তৈরি করে বিনামূল্যে টানা ৯০ দিন অনলাইনে প্রশিক্ষণ দিয়ে উজ্জীবিত করে সৃষ্টি করেছেন "ব্যর্থতা থেকে সফলতা" পাওয়া আরো অনেক উদ্যোক্তা--তিনি জীবনমুখী অনেককিছুই শিখিয়েছেন, যা আমরা হয়তো পাঠ্য বইয়ে পাইনি-তাই সফলতা পাওয়ার জন্য হাল ছাড়া উচিত নয় ছোট ছোট কাজের পিছনে সফলভাবে লেগে থেকে নিজেকে আরও স্বাবলম্বী করে তোলা সফলতার জন্য উদ্যমী ও একরোখা হতে হয় কখনো ঝুঁকি ও অনিশ্চিয়তা নিয়ে চিন্তা করলে চলবেনা-- সমস্যা নিয়ে চিন্তা নয় বরং এর সমাধানের দিকে ফোকাস করতে হবে এবং অবসর সময়ে আজে বাজে ভাবে না কাটিয়ে কাজের পিছনে ব্যয় করতে হবে-- কাজে ব্যর্থতা থাকবেই তাই বলে নিজেকে গুটিয়ে নেওয়া চলবে না-সামনের পথে এগুতে হবে সাহসের সঙ্গে।
“একজন মানুষের সফল বা ব্যর্থ হওয়া তার ক্ষমতার ওপর যতটা না নির্ভর করে, তারচেয়ে বেশি তার দৃষ্টিভঙ্গীর ওপর নির্ভর করে- যারা সফল হয়, তারা সফল হওয়ার আগে থেকেই সফল মানুষের মত আচরণ করে। এই বিশ্বাসই একদিন সত্যিতে পরিনত হয়। আমরা যদি মনে প্রানে বিশ্বাস করি যে আমি সফল হব তবে সফলতার পথে যতই বাধা আসুক না কেন সেটা অতিক্রম করা কোন ব্যাপার নয় মনের শক্তি মানুষের আসল শক্তি এই শক্তির সঞ্চার করা সম্ভব হয়েছে প্রতিদিনের সেশন ক্লাস থেকে মূলত জীবনে আমরা আমাদের বাহ্যিক কাজে কতটা সফল হব তা প্রমাণ হবে আমাদের ব্যবহার আচরণে তবে যাই হোক না কেন আমাদেরকে লেগে থাকতে হবে কাজকে ভালোবেসে---।
আমার স্বপ্ন-ও-ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা____________
অনেক কষ্ট করে আচ্ছফ্ফুল দাখিল পাশ করেছে অনেক ভালো রেজাল্ট নিয়ে আপনাদের সকলের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে আমি এখন আচ্ছফ্ফুল আলিমে সেকেন্ড ইয়ারে পড়ি লেখাপড়ার পাশাপাশি অনেকগুলো টিউশনি করি আমার জীবনে অনেক বড় স্বপ্ন আমি একজন সফল উদ্যোক্তা হবে এবং বিদেশ যেতে চাই লেখাপড়ার জন্য। আপনারা সবাই জানেন আমাদের বাংলাদেশে একটা কোর্স আছে--IELTS
IELTS এ 6.+ পেলে স্কলারশিপ হয়ে যায়।
LELTS দিয়ে বিদেশে গিয়ে লেখা পড়া করা করলে আমার জীবন টা সাজানো হয়ে যাবে- আমার মায়ের স্বপ্ন পূরণ হবে এবং পাশাপাশি আমি অভাবে দুঃখী দরিদ্র মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করার জন্য একজন উদ্যোক্তা হতে পারব কেউ যেন কখনো উপহাস করে বলতে না পারে গরীবের ঘরে জন্ম নিয়ে আমরা মূর্খ হয়েছি অশিক্ষিত আনকালচার হয়েছি আমার মা বাবা যেন গর্ব করে বলতে পারে তাদের কষ্ট তাদের পরিশ্রম আমি সার্থক করতে পেরেছি পাশাপাশি আমি চাই আমার এলাকার আশেপাশের মানুষগুলো স্বাবলম্বী হয়ে উঠুক আমার হাত ধরে যখন আমি একজন উদ্যেক্তা হব তখন অনেকেই কর্মসংস্থান তৈরি করে দিতে পারব উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য নিজেকে কঠিনভাবে তৈরি করার লক্ষে নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশনে যুক্ত হওয়া।
নিযুক্ত হওয়ার পর অনেক কিছুই শিক্ষা গ্রহণ করেছি।
1/ বাবা-মাকে আগের চেয়ে বেশি ভালবাসতে শিখেছি।
2/ছোট বড় সবাইকে সম্মান করতে শিখেছি।
3/গরিব দুঃখী অভাবী মানুষের সাথে মন দিয়ে মিষ্টি ভাষায় কথা বলা শিখেছি।
4/ একজন যোগ্য লিডার হতে হলে কিভাবে নিজেকে ধৈর্য্যসহকারে কাজ করতে হবে সে কলাকৌশল শিখেছি।
5/ সামাজিক মানবিক কাজে কিভাবে আত্ম নিয়োজিত করতে হবে সেই কলাকৌশল শিখেছি।
6/ সব সময় সব কিছুতে পজিটিভ থাকতে হবে ছোট বড় সবাইকে সম্মান করতে হবে দুঃখ কষ্টের মাঝেও নিজেকে ধৈর্যের সাথে পরিচালনা করতে হবে আরো অনেক শিখেছি আলহামদুলিল্লাহ
ফাউন্ডেশনে- যুক্ত -হওয়া _____________
ইউটিউব চ্যানেল প্রতিদিন কিছু না কিছু মোটিভেশনাল ভিডিও দেখতাম --দেখতে দেখতে একদিন ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের একটি ভিডিও আমার চোখে পড়ে --ভিডিওটি মন দিয়ে শুনলাম --তার কথার প্রেমে পড়লাম -- 16 তম ব্যাচে নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশনে যুক্ত হই - ঝালকাঠির কৃতিসন্তান আমাদের সকলের প্রিয় লেবানন প্রবাস জীবন বোন# Sbina Opi- আপু আমাকে ঝালকাঠি মেসেঞ্জার টিমে যুক্ত করিয়ে দেন এবং প্রতিদিন সেশন ক্লাস করার জন্য অনুরোধ করেন টানা 90 দিনের কোর্স করার জন্য তারা দেন প্রিয় আপুর কথা অনুযায়ী আমরা প্রতিদিন সেশন ক্লাসের লিংক তৈরী করে মেসেঞ্জার গ্রুপ এ দেই পাশাপাশি আপু আমাদের সাথে যুক্ত হন আমাদের কে নতুন নতুন দিকনির্দেশনা দিয়ে আমাদের স্বপ্ন আরো দ্বিগুণ হারে সম্ভাবনাময় করে তোলার চেষ্টা করেন
আপু সব সময় একটি কথা বলেন-যারা ব্যর্থ হওয়ার সাহস করে শুধু তারাই বড় সফলতা অর্জন করতে পারে- সুতরাং "স্বপ্ন দেখুন, সাহস করুন, শুরু করুন এবং লেগে থাকুন …… সাফল্য আসবেই" #_ইকবাল_বাহার_জাহিদ স্যারের এই উক্তি সব সময় মনে রাখি আমরা সকলে মিলে---!
প্রতিদিন সেশন ক্লাসের মাধ্যমে আমরা অনেক নুতন নুতন ভাই-বোনদের সাথে পরিচিত হই এবং তাদের সফলতার গল্প শুনি- নিজেকে অনুপ্রনিত করি- পাশাপাশি আমাদের সকলের প্রিয় বোন কোর- ভলান্টিয়ার#Tania Akter- আপু অনেক সময় আমাদের সাথে যুক্ত হয়ে সুন্দর সুন্দর মোটিভেশনাল পরামর্শ দেন আমাদের ডিসটিক অ্যাম্বাসেডর#Suhridoy Howlader- প্রিয় দাদা আমাদেরকে অনেক উৎসাহ অনুপ্রেরণা দেন পাশাপাশি আমাদের ঝালকাঠি সুপার একটিভ সদস্য ভাইবোনেরা সবসময় সেশন ক্লাসের মাধ্যমে আমরা প্রত্যেকে প্রত্যেকের কাছ থেকে অনেকটা উৎসাহ অনুপ্রাণিত হই ধন্যবাদ জানাই প্রিয় মানবিক ব্যবহার ছাড়া আপনাকে আপনার চমৎকার একটি প্লাটফর্ম তৈরি করে দিয়েছেন যার কারণে আজ নিজেকে নিজে উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য মনোবল শক্তিকে তৈরি করার কাজে লেগে আছি- যতদিনে একজন সফল উদ্যোক্তা না হতে পারব ততদিন লেগে থাকব ইনশাআল্লাহ।
📌"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৬৯৪
Date:- ০৮/১২/২০২১ইং
✅___ Shawon Hossain
✅___ব্যাচ --নং-- 16
✅___রেজিঃ--নং-- 76045
✅___উপজেলা -- নলছিটি
✅___জেলা-- ঝালকাঠি
✅___বিভাগঃ --বরিশাল
✅___স্থায়ী ঠিকানা- কান্ডোপাশা গ্রাম
✅___বর্তমান অবস্থান ---- নলছিটি উপজেলা