ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প
আমরা দুই বোন।
বাবা-মা ছোট পরিবার নিয়ে সুখেই ছিলাম।
আমার কোন ভাই নেই। ভাই নেই তেমন কোন কষ্ট ও নেই। কারন বড় বোন ছিলো ভাইয়ের মতো।কখনো অভাব বুঝতে দেয় নি বড় বোন।বড় বোন মায়ের মত।আমি যখন ছোট ছিলাম তখন আমরা পরিবার নিয়ে নারায়ণগঞ্জ থাকতাম বাবা বিশাল বড় ব্যবসায়ী ছিলেন সুতার ব্যবসা করতেন। আমার বাবা সৎ ছিলেন।
সততা নিয়েই এগিয়ে গিয়েছিলো।
হঠাৎ করে লসে পরে গেলেন আর দাড়াতে পারলেন না কত চেষ্টা করেছেন আর উঠে দাড়াতে পারেননি।তখন আমাদের কোন পথ ছিলোনা নারায়ণগঞ্জ থাকার মতো তখন কোন উপায় ছিলোনা। মা তার বাবার বাড়ি উঠে মানে আমার নানা বাড়ি। নানুকে ও দেখার কেউ ছিলো না নানু বলছে চলে আয় গ্রামে আমি একাই থাকি তারপর আমরা চলে গেলাম বিক্রামপুর নানা বাড়িতে।
আমার দাদার বাড়ী ও বিক্রামপুর মাওয়া তবে সেখানে কেউ থাকে না।দাদা দাদীর আদর পাইনাই ভাবলেন কষ্ট লাগে নানা কেও পায়নাই।
বেঁচে আছে আমার নানু আল্লাহ তাকে হায়াত দান করুক।
জীবন যুদ্ধ শুরু হয়ে গেলো আমাদের।
প্রথম প্রথম এক জায়গা থেকে অন্য একটা জায়গায় খাপ খাওয়ানোটা কষ্টের ছিলো
মা কতই না কষ্ট করেছেন আমাদের দুই বোন কে নিয়ে বাবা তো নারায়ণগঞ্জ ই থাকতো বাবার দোকানে মানে গদিতে টুকটাক ব্যবসা করতেন।
আমি ছোট ছিলাম তবে আমার মনে আছে কিছু কিছু কথা মায়ের কষ্ট গুলো মা কত কষ্ট করতো কতো কাজ করতো এতো কাজ করে আমাদের আবার সময় দিতো পড়াতে বসাতো। বাবা পড়াসোনাকে অনেক ভালোবাসতো পড়ার টেবিলে সারা দিন রাত বসে থাকলে বাবা খুশি।আমাকে গ্রামে প্রাইমারিতে ভতি করলো
আমি ছাত্রী হিসেবে মোটামুটি ছিলাম তবে ছোট থেকেই আমার হাতের লেখা ভালো ছিলো।
আমি নাকি হাসতাম বেশি বোকার মতো।
নানু বাড়ি থেকে নদী ছিলো বেশ দূরে তখন আমি ক্লাস ফোর এ পরি আমার মনে আছে নানুর বাড়ি বিশাল বড় ছিলো কত গাছ পালা ছিলো ধানের গোলা ছিলো আনন্দেই লাগতো মনে পরে সেই আম গাছের কথা সূয মুখী আমের কথা আমি ভোর সকালে গিয়ে আম পারতাম মজাই ছিলো অন্যরকম। অনেক কথা মনে পরে বাবা যখন আসতো শীতের রাতে তখন মা খেজুর গাছে উঠে রসের হাড়ি নামাতো আমাদের খাওয়া শেষ হলেই আবার হাড়ি পেতে দিতো।এমন ভাবেই পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়ানো।
নানু বাড়ি থেকে নদী বেশ দূরে ছিলো।
হঠাৎ করে সকাল বেলা নদী বাসার কাছে পানি গুলা কেমন যানি করছে মানে ফুটন্ত পানির মত ভয়ে সবাই কান্না কাটি দুপুরের মধ্যে নদী ভাংগা শুরু কি যে এক অবস্থা ছিলো এখনো মনে পরলে হাত পা কাপে রাতের মধ্যে সব শেষ একদিনে এলোমেলো সব কিছু রাত তিন টায় টলার নিয়ে নানুর ভাইয়ের বাড়িতে উঠি সেটাও ছিলো নানা বাড়ী।
জীবনটা একটা যুদ্ধ।
আমার বড় হয়ে উঠা হাই স্কুলে ভর্তি হলাম
ভালোই কাটছিলে স্কুল জীবন।
সবচেয়ে সুন্দর জীবন ছিলো স্কুল জীবন। আমি ছোট থেকেই বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতাম
যেমন অভিনয় যেমন খুশি তেমন সাজো কবিতা আবৃত্তি হাতের লেখা প্রতিযোগিতা।
প্রাইজ ও নিয়ে বাসায় ফিরতাম।
আমার একটা জিনিস ভালো ছিলো আমি স্কুল বন্ধ দিতাম না ঝড়ের মধ্যে ও হাজির আমি।স্কুলে না গেলে ভালো লাগতো না
এরপর এস এস সি পাশ করলাম।
কলেজে উঠলাম কলেজে সময় তেমন পাই নাই মাএ দুটি বছর কেটে গেলো চোখের পলকে।
এরপর এইস এস সি পাশ করলাম।
ভতি হলাম অনার্স এ পলিটিকাল সাইন্স।
সেকেন্ড ইয়ার এ ওঠার পর পর ই আমাকে দেখতে আসে পাএ দেখতে মাশাআল্লাহ আমার পছন্দ হয় বাবার তো অনেক পছন্দ হয় সব কিছু মিলিয়ে শুনেছি বড় পরিবার একটু ভয় ভয় লাগছিলো।
ভয় এর মধ্যে আবার ভালো লাগাও কাজ করছিলো সে আমাকে দূর থেকে দেখে আমার চোখে চোখ পরে গিয়েছিলো সে ছিলো নানুর ঘরের পাশে একটা নারকেল গাছ আছে সেখান থেকে আমাকে দেখে ।
এরপর বাবা খোজ খবর নেয় আলহামদুলিল্লাহ সব কিছু ভালো।
এর পর ই তারিখ ঠিক হয় ১৬ ই ডিসেম্বর ২০১৬ ইং বিয়ে হয়ে যায় হঠাৎ করেই সব কিছু।
বাবার পছন্দের ছেলের সাথে ই হয় বিয়ে। আমি চলে আসি বিশাল এক বড় পরিবারে আমার হাসবেন্ডরা সাত ভাই চার বোন ছিলাম আমি ছোট পরিবারে।পড়াশোনা চালিয়ে যাবো আমার ইচ্ছে ছিলো হাসবেন্ডকে বললাম সে বললো করো আমার ইচ্ছে ছিলো পড়াশোনা শেষ করে চাকরি করবো সে বললো চাকরি করার দরকার নেই।
এই কথা শুনে মনটা খারাপ হয়ে গিয়েছিলো।আমার শশুর বাড়ীর লোকেরা চাকরি পছন্দ করে না সবাই ব্যবসায় জরিত।
ভাসুরের মেয়ে ছেলেরা সবাই ব্যবসা করেন।
এত বিশাল একটা বড় পরিবারে মানিয়ে চলাটা একটু কষ্ট হয়েছিল সাপোর্ট দিয়েছে আমার হাসবেন্ড। তখন আমি ভাবতে শুরু করি আমি পড়াসোনা করবো আর আমার জা য়েরা কাজ করবে জিনিসটা ভালো দেখায় না।সব কিছু মিলিয়ে আর করা হয়নি পড়াশোনা।
সে মানে আমার হাসবেন্ড তার নাম মাসুদ ও অনেক মিশুক আমি ও তার মতোই দুই জন আলহামদুলিল্লাহ বেশ ভালে আছি। আমি নাম ধরেই ডেকেছি অনুমতি নিয়ে। মাসুদ আমাকে আদর করে অধো অধো বলেই ডাকতো সে আমার দেখা একজন চমৎকার ভালো মানুষ। মাসুদ ব্যবসায়িক গুলশান ১ এ দোকান আছে। ও দোকানে গিয়ে ও একটু পর পর ই কল দিতো আমি ও কথা বলতাম। ও আমার মতোই একটু ঘোড়া ফেরা পছন্দ করে বেশি আমরা বিয়ের পর এমন কোন রাত নেই যে না ঘুরেছি আর রবিবার তো আছেই বন্ধের দিন।
আমার বিয়ে হয় ১৬ ডিসেম্বর ২০১৬ সালে।
বিপদ কিভাবে আসে বিপদ বলে আসে না।
হঠাৎ করেই রাতে একটা কল আসে মাসুদের ফোনে ও এক লাফ দিয়ে উঠে আমার মেঝো ভাসুর কল দেয় ভাইয়া বললো মাসুদ সব শেষ গুলশান ১ নাম্বার পুরে ছাই ছাই আমাদের সব দোকান শেষ। নতুন বিয়ে আমাদের আমি তো কান্না। মাসুদ আমাকে বলে চলে গেলো কারো মাথায় কোন কিছু কাজ করছিলো না। মাসুদের ভাই বোনদের অনেক মিল সবার মন খারাপ কোটি কোটি টাকা লস মেনে নেওয়াটা ছিলো ভীষন কষ্টের।
আমার শশুর শাশুড়ী নেই আমার বিয়ের আগের না ফেরার দেশে চলে যান তারা।
কেমন একটা পরিস্থিতিতে ছিলাম বুঝাতে পারবো না আমার বিয়ের ১৫ দিন পর এই ঘটনা।মেনে নেওয়াটা ছিলে অনেক কষ্টের তখন ই ঠিক বাবার কথা মনে পরে যায় বাবার ও এমন অবস্থা হয়েছিল বাবা ও পাগলের মতো ছিলো বারবার মনে হয়েছিল বিয়ের ১৫ দিন পর ই এই ঘটনা ঘটলো।
শশুরবাড়ির লোকেরা ভালো মানুষ এসব নিয়ে কেউ কিছু বলে নি। আমি মাসুদ কে কি বুঝাবো সে আমাকে বুঝায়।সে এতটা শক্ত। শুধু আমাকে বলেছিলো অধরা আমার সব শেষ। তখন তাকে আমি বুঝাই।
সে আমাকে বললো
কোন কিছুই থেমে থাকে না চলো।
বিনোদনের ও দরকার আছে এই মুহূর্তে
মাসুদের কথা আর কি বলবো সে আমাকে নিয়ে এক সপ্তাহ পর ই কক্সবাজার চলে গেলো।
মন মানসিকতা ভালো
করার জন্য।
আমি চিন্তা করলাম এত শক্ত হয় কিভাবে সে।
আমার দেবর ভাসুররা সবাই এক ই ব্যাবসা করেন গিফট আইটেমের।
এরপর কিছু দিন পর আস্তে ধিরে দোকান নেয় গুলশান দুই নাম্বার। ভালোই যাচ্ছিল সব কিছু।
আমার ও ভালো একটা খবর আসে মাসুদ বাবা হবে মাসুদ কত খুশি।
কিছুদিন পর সব কিছু এলোমেলো হয়ে যায় আমার চার মাসের বাচ্চা মারা যায় পেটে ডাঃ এর চিকিৎসায় ছিলাম কেনো এমন হলো আল্লাহ ভালো জানেন। এর পর অনেক কষ্টের মধ্যে পার করি একটা বাচ্চার জন্য।
পাগলের মতো ছিলাম।
মাসুদ ও পাগলের মতো করতো।
এই দিকে আবার বড় পরিবার কাজ করতে হয়।
ডাঃ আমাকে রেস্ট দিলো ইনজেকশন দিলো সব কিছু মিলিয়ে আমি আর তেমন সংসারের কাজ করতে পারি নাই এর পর টুকটাক সমস্যা হয় জা দের সাথে মাসুদ সব দিক দিয়ে আমাকে সাপোর্ট করতো এমন ও করেছেন আমার কাজ গুলে সেই করে দিতো একটা সময় গিয়ে যখন আর সম্ভব হয়নি তখন আমরা সবাই আলাদা হয়ে যাই তবে সেটা মিলের মধ্যে ।
কিন্তু যুদ্ধ তো চালিয়ে যাচ্ছি থেমে যাচ্ছিনা
আমার এমন ও গল্প আছে বিকাল চারটায় ডাঃ কাছে গিয়ে রাত দুইটায় বাসায় এসেছি ।
আমি আমার চেষ্টা চালিয়ে যাবো।
থেমে থাকবো না।দেখতে দেখতে পাঁচ বছর হয়ে যাচ্ছে আমাদের। চোখের পলকে কিভাবে কেটে যাচ্ছে দিন গুলো ভাবতেই অবাক লাগে।
আমাদের টোনা টুনির সংসার।
নিজের সংসার বলে কথা যেভাবে ইচ্ছে সেভাবেই সাজানো গুছানো যায়।
নিজের মত করে সব কিছু করা যায়।
আমার শাশুড়ি মারা যাওয়ার আগে মাসুদের হাতে একটা ছোট ব্যাগ দিয়ে বলেছিলো মাসুদ তর বউকে বলবি এই ব্যাগটার মধ্যে টাকা জমাতে আমি সফলতা অর্জন করেছি আমার ভাবনা ছিলো ৫০ হাজার করবে সেই ব্যাগ টার মধ্যে একটু একটু করে প্রায় ৬০ হাজার টাকা জমিয়েছি।
এরপর আমি মাসুদের হাতে দেই টাকা গুলো ব্যাগ টা সহ।ও নিবেই না বলছে তুমি তোমার কাছে রেখে দাও।
সেই টাকা টা কাজে লেগেছে যখন আলাদা হই সংসারের জন্য খরচ করি।
বাকি টাকা গুলো দিয়ে শুরু করি
আমার উদ্যোগতা জীবন।
বাসায় একা থাকি কিছু ভালো লাগে না কিভাবে আমার সময় কাটবে ভাবতে ভাবতে
চলে এলো আবার করোনা মহামারি।
সব কিছু বন্ধ হয়ে গেলো দোকান পাট বাসায় বসা তিন মাস বসে বসে খাওয়া আর গুনে গুনে দোকান ভাড়া দেওয়ার চিন্তা। চিন্তা করে দেখলাম আমি একটা পেজ খুলে দেখতে পারি যেহেতু মাসুদের গিফট আইটেমের ব্যবসা।চেষ্টা করে দেখতে পারি মাসুদ ও সাপোর্ট করলো
এর পর একটা পেজ খুললাম Adhora's Heaven দিয়ে আস্তে আস্তে ভালোই হচ্ছিলো একদিনে ও বিশ হাজার সেল করেছি আলহামদুলিল্লাহ আমি প্রায় তিন মাসে ২ লাখ টাকা সেল করি তাও আবার ঘরে বসে। শাশুরির দেওয়া ব্যাগের জমানো টাকা দিয়ে বিছানার চাদর কিনি ২০ হাজার
টাকার সেল এর জন্য সেখান থেকে আমার ৬ হাজার টাকা লাভ হয় সেই টাকা আমি আমার ছোট সংসারে কাজে লাগাই।আমি তো অনেক খুশি এটাই ছিলে আমার জন্য বড় পাওয়া।
আর তখন মহামারির সময় অনলাইনে কম বেশি সবাই কাজ করতো বাসায় বসে।
এভাবেই আমি একটু একটু করে এগিয়ে যাওয়ার পথে।মাসুদ আমার জন্য অনেক করেছে আমি এখন চেষ্টা করবো মাসুদকে কিছু দিতে। প্রতি মাসে আমার পেছনে বেশ ভালো টাকা খরচ হয় ডাঃ দেখানো থেকে শুরু করে সব কিছু মিলিয়ে বিশ হাজারের মত ও আমার পিছনে খরচ করে আর আমার অনেক কষ্ট হয়।কারন ও তো কষ্ট করেই ইনকাম করে সেই থেকেই মনের মধ্যে আমার কিছু একটা করা ও লেগে থাকা।
এর পরেই আমি অসুস্থ হয়ে যাই।
আমার ডায়বেটিস ধরা পরে দিতে হয় ইনসুলিন বিভিন্ন সমস্যা শুরু হয় শরীরে।
আমার খুব কষ্ট লাগে ওর জন্য ও আমাকে বলে অধরা আমি কার জন্য কষ্ট করি তোমার জন্য তখন আমার মনে হয় আমি অনেক সুখী মানুষ।
আল্লাহর অশেষ রহমতে আমরা টোনা টোনি ভালে আছি শুধু অভাব একটাই একটা সন্তান।
আমার বিশ্বাস আল্লাহ আমাকে সময় মত দিবো ইনশাল্লাহ। আমার এক ওয়াক্ত নামাজ মিস হলেও মাসুদের মিস হবে না আলহামদুলিল্লাহ।
হাসবেন্ড এর ব্যবসা আছে আলহামদুলিল্লাহ।
আমার ও কিছু করা দরকার আমার ও দরকার আছে আমাকে সবাই চিনুক যানুক।
আমি আমার হাসবেন্ড এর পরিচয়ে পরিচিত হতে চাই না আমি নিজের পরিচয়ে পরিচিত হতে চাই।আমার বাবা আমাকে সব সময় বলতো নিজে কিছু করো সে কথাটা মনের মধ্যে গেঁথে আছে।বাবা নেই বাবা করোনা মহামারিতে চলে গেছে। বাবার সাথে মাসুদের ছেলে ও বাবার মতো সম্পক ছিলো। মাসুদ মাঝে মাঝে বলে অধরা আমার বাবা মা নেই বাবা পেয়েছিলাম বাবাকে হারিয়ে ফেললাম আর বাবা বলে ডাকতে পারবো না
আমার বাবাকে ও শশুর মনে করতো না মনে করতো বাবা।
আমার বাবা ও মেয়ের জামাই মনে করতো না মনে করতো আমার ছেলে।
সব সময় মাসুদ বাবার কবর জিয়ারত করে ঢাকার উদ্দেশ্য করে রওনা দেয়। আমার বাবার জায়নামাজে নামাজ পরে আমার অনেক শান্তি লাগে। আল্লাহ আমাকে দান করেছেন এমন একজন ভালো মনের মানুষকে।বাবার কথা মনে করলে আমার বুক ফেটে কান্না আসে চোখ দিয়ে পানি ঝাড়তে থাকে।
বাবা কিভাবে ফাকি দিয়ে চলে গেলো শবেবরাতের রাতে।বাবা শুয়ে আছে আমি নামাজ পরলাম বাবা আমাকে বললো মাসুদ কি রওনা দিছে আমি বললাম জী বাবা ও এসে নামাজ পরবে।
আমি পাঞ্জাবি আইরন করলাম ওর জন্য বাবা তাকিয়ে তাকিয়ে দেখলো।
কত সৃতি কিভাবে ভুলে থাকবো ভুলার মতো না।যত দিন যাচ্ছে ততই বুক ফেটে যাচ্ছে।
বাবা আমার হাতের চা টা খুব পছন্দ করতো বলতো চিনি ছাড়া দিও ডায়াবেটিস ছিলো বাবার।
বাবা কত কষ্ট করতো আমাদের জন্য নিজে ভালো কিছু না খেয়ে আমাদের খাওয়াতো।
বাবার জন্য কিছুই করতে পারি নাই।
বাবা মাকে বললো আমার কথা ও আসাতে আমার যত্ন টা ভালে চলতাছে আমি বললাম না বাবা তোমার জন্য কিছু করতে পারি নাই এই কথা শুনে বাবার চোখে পানি।
চেষ্টা করেছি পারিনি বাবাকে সুস্থ করতে।
বাবার প্রতিটা কথায় মনের মধ্যে জমে আছে।
বাবার কথা টা মনে বারবার সারা দেয়।
আসলে প্রতিটা নারীদের কিছু না কিছু করা প্রয়োজন।
আমি আমার বাস্তব জীবন থেকে নেওয়া গল্প গুলো তুলে ধরলাম।
যারা এতক্ষন ধৈর্য ধরে আমার গল্পটা পড়লেন সবাইকে জানাই আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে ধন্যবাদ সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।
আমাদের প্রিয় এ ফাউন্ডেশনের সকল কোর ভলান্টিয়ার,মডারেটর ডিস্টিক্ট এম্বাসেডর,কমিউনিটি ভলানটীয়ার সহ সকল আজীবন সদস্যবৃন্দ যে যার অবস্হান থেকে আমাদের এই প্ল্যাটফর্মকে
এগিয়ে নিয়ে যেতে সহোযগিতা করছেন তাদের সবাইকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ
📌"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৬৯৭
Date:- ১৩/১২/২০২১ইং
অধরা আহমেদ
জেলা:মুন্সীগঞ্জ
ব্যাচ:১৬
রেজিষ্ট্রেশন:৭৭২৫৭
কাজ করছি সকল প্রকার গিফট
আইটেম ও সিলেটের চা পাতা নিয়ে।
পেজ : https://www.facebook.com/Adhoras-Heaven-101559978277534/