নারী গল্পে সেল পোস্ট
🍁🍁আজ আমি শুরু করবো পারিবারিক,সামাজিক ব্যাধি বা লোভ নিয়ে,যদিও এই বিষয়ে আমাদের শিক্ষিত সমাজ এখন অনেকটা সচেতন হয়েছে। 🍁🍁
🍁🍁একটা মেয়ের যখন জন্ম হয় বা হবে জানে ( বর্তমানে আধুনিক চিকিৎসার কারণে জানা সম্ভব হয়েছে) তখন থেকেই অনেক সময় দেখা যায় নিজের পরিবার থেকেই শুরু হয় এক ধরণের অবজ্ঞা,অবহেলা বা মনে করা হয় একটা বোঝা এই পৃথিবীতে আসছে। অনেকের কাছে আমার এ কথাটা শেকেলে মনে হতে পারে কিন্তু একটু খবর নিয়ে দেখেন আমাদের পরিবার,সমাজ আজও অনেকাংশে পরিবর্তন হয়নি এমনকি আমাদের যে শিক্ষিত সমাজ বলে দাবি করি নিজেদের তার ভিতরেও প্রকৃত শিক্ষা না থাকার কারণে পরিবারভিত্তিক শিক্ষাগুলোই যুগ যুগ ধরে রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকে আবার পারিবারিক এ শিক্ষাকে নিজেদের স্ট্যাটাস বলেও দাবি করে বেড়ায়।
অশিক্ষিত পরিবার বা সমাজ শিক্ষার বা জ্ঞানের আলো থেকে বঞ্চিত বলে পারিবারিক শিক্ষাই যুগ যুগ ধরে চলে প্রজন্মের পর প্রজন্ম। এ পরিবারগুলো মেয়েদের শিক্ষার ব্যাপারে সচেতন থাকে না,ভেবে নেয় একটু বড় হলেই বিয়ে দিয়ে দিলে বাবা বা ভাই খরচের বোঝা থেকে রেহাই পাবে। এ ধারণা থেকেই মেয়েদের শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত করে অল্প বয়সেই বিয়ে দিয়ে দেয়।
বিয়ের পূর্বেই ছেলে পক্ষ অনেক সময় বলে ফেলে ছেলেকে বাইক,নগদ টাকা পয়সা ইত্যাদি দিতে হবে। আর মেয়েকে তো ঘর সাজিয়েই দেয়,এটা আজকাল আর বলতে হয় না। বিয়ের পূর্বে যারা এ ধরণের চাহিদা বা তাদের ভাষায় ছেলের সম্মানী বলে (যেটা আসলে যৌতুক) চায় আমি তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই,কারণ একটা মেয়েকে বিয়ে নামে বলি দেয়ার আগেই এদেরকে চিহ্নিত করা যায়। কিন্তু যারা বিয়ের পূর্বে খুব ভালো মানুষি দেখিয়ে বলে ( সেটা হতে পারে অশিক্ষিত বা শিক্ষিত পরিবার) আমরা কিছু চাই না,শুধু ভালো লক্ষি,নামাজী,ভদ্র , শিক্ষিত মেয়ে চাই। তারা মুখে ভালো মানুষ সাজলেও অন্তরে থাকে তাদের বিষের ছুঁরি। এ ধরণের ছেলে পরিবারগুলো বিয়ের পর থেকেই তাদের কাঙ্খিত স্বপ্ন পূরণ না হওয়ায় শুরু করে নীরব নির্যাতন। তারা অংক কষে ছেলেকে ডাক্তার,ইঞ্জিনিয়ার বা অন্য পেশার জন্য দক্ষ করে তুলতে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করেছে যা মেয়ে পরিবার দিতে বাধ্য।
এ যৌতুকলোভী পরিবারগুলোকে খুব প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করে মেয়েকে লালন পালন ও শিক্ষিত করে মানুষ করতে কি মেয়ের পরিবারের টাকা খরচ হয় না? ছোটবেলা থেকে মেয়েকে আদর স্নেহ করে লালন পালন করে মানুষ করতে বাবা মায়ের যে কষ্ট হয়,তার চেয়েও বেশি কষ্ট হয় আদরের সন্তানকে অন্য আরেকটি ছেলের হাতে তুলে দিতে,অন্য আরেকটি পরিবারে পাঠাতে। তার উপর আরো যন্ত্রণা হয়ে দাঁড়ায় যখন মেয়েটি তাঁর স্বামীর বা স্বামী পরিবারের কাছ থেকে তাঁর প্রাপ্য সম্মানটুকু পায় না।
ছেলে পরিবারের ধারণা মেয়েটাকে তাদের নিজেদের পরিবারে সারাজীবনের জন্য খাওয়াবে পড়াবে সেজন্য মেয়ের বাবার বা ভাইয়ের দায়িত্ব মেয়ের সাথে সাথে তার ভরণ পোষণেরও অনেকটা দিয়ে দেয়া,এমনকি ছেলের ব্যবসার জন্য বা চাকুরীর ঘুষের টাকা দেয়া মেয়ে পক্ষের দায়িত্ব। যৌতুকলোভী পরিবারগুলো বিয়ের পর থেকেই শুরু করে চূড়ান্ত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। মেয়েটিকে তো তারা ভরণ- পোষন করেনই না উল্টো মেয়েকে দিয়ে তার বাবার বাড়ি থেকে যৌতুক আনার জন্য মানসিকভাবে শুরু করে নির্যাতন।
এক্ষেত্রে বেশিরভাগ শ্বশুড় শ্বাশুড়ি তাদের ছেলেকে ব্যবহার করে ঢাল হিসেবে। প্রথম প্রথম এমন ঘটনায় মেয়েকেই ধৈর্য্য ধরে থাকতে বলা হয়। আর এ ধৈর্য্য ধরে থাকতে থাকতে এক সময় মেয়েটি যখন মা হয়ে যায় তখন থেকে মেয়েটার জীবনে নেমে আরো ভয়ংকর নির্যাতন। মেয়েটি তখন আরো বিপদে পড়ে যায় একদিকে বাচ্চার কারনে বাবার পরিবারেও মেয়েটিকে বোঝা মনে করা হয়। তখন হয় যৌতুকের কাছে মেয়ে ও মেয়ের পরিবারকে হার মানতে হয় নতুবা ডিভোর্স নামক শব্দটি মেয়েটিকে সাথে নিয়ে সারা জীবন খুঁড়ে খুঁড়ে চলতে হয়। অনেক সময় যৌতুকের কারণে মেয়েরা নির্মম হত্যাকান্ডের স্বীকার হয় অথবা আত্নহত্যা করতেও বাধ্য হয়।
আমাদের পরিবারগুলো নিজের মেয়েকে যদি সম্পদই ভাবতো তাহলে যৌতুকের এ ভয়ংকর ব্যাধি থেকে শুরুতেই মেয়েটিকে রক্ষা করতে পারতো,এক্ষেত্রে আমি মনে করি ধৈর্য্য ধরো নামক শব্দটি মেয়েকে বলা হতো না আর এতগুলো জীবনও এভাবে নষ্ট হতো না। অনেক শিক্ষিত মেয়েও পরিবারের বাইরে গিয়ে পরিবারের সম্মান রক্ষার্থে নিজেকে রক্ষা করতে পারে না। যখনএ ব্যাধি ক্যান্সারের রুপ নেয় ঠিক তখনই মেয়ে পরিবারগুলোর বোধ ফিরে আসে। অনেক মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত পরিবারকেও দেখেছি এ বিষয়ে বেশ উদাসীন তাঁদের পারিবারিক ও সামাজিক সম্মান রক্ষার্থে।
সচেতন হোক প্রতিটি পরিবার, সমাজ। এমনকি মেয়েরাও সাহস করে নিক নিজেই নিজের সিদ্ধান্ত। আসুন, আমরা সবাই "যৌতুক "কে না বলি।🍁🍁
🍁🍁সবাইকে অনেক ধন্যবাদ ধৈর্য্য ধরে লেখাটি পড়ার জন্য।
🍁🍁লেখায় কোনো ভুলত্রুটি হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
🍁🍁আমি সবসময়ই সবাইকে একটা কথা বলি----
""""পাশে থাকবেন""""
""""পাশে রাখবেন'"""'"।
🍁🍁সব সময় আমি আমার কাস্টমারকে প্রাধান্য দিয়ে থাকি, কারণ কাস্টমাররা হলো লক্ষি। তাই আজকের হাটে আমার ছোট বেলা থেকে আজ পর্যন্ত নেয়া শিক্ষা থেকে একটা অফার প্রত্যেক হাটবারের জন্য থাকবে।
🥀🥀🥀🥀🥀🥀🥀অন্য দিনের থেকে কিছুটা ছাড় থাকবে আমার পন্যে শুধুমাত্র হাটবারে।🥀🥀🥀🥀🥀🥀🥀🥀🥀🥀🥀
💦 আসছে ১৬ ডিসেম্বর আমাদের মহান বিজয় দিবস
এই স্পেশান দিনটির জন্যও কিনে ফেলতে পারেন পাঞ্জাবি আর লুফে নিতে পারেন আজকের ছাড়ের সুযোগটা। 💦
🍁🍁আজকে আমি নিয়ে আসছি আমার প্রিয় ভাইদের জন্য সফট সূতি পাঞ্জাবি,টেন্সিল কটন এবং হাতের কাজের পাঞ্জাবি । অনেক কালারফুল ও পরতে বেশ আরামদায়ক। পাইকারী ও খুচরা বিক্রয় করা হয়।
পছন্দ হলে এখনি অর্ডার করে ফেলুন।
🍁🍁আমি কাজ করছি থ্রিপিস,টুপিস,কুর্তি,থানকাপড়,শাল,রেডি পাঞ্জাবি ও হাতের কাজের পাঞ্জাবি নিয়ে।
🍁🍁স্বত্বাধিকারীঃ বাংলার আঙ্গিনা
🍁🍁পেইজ লিংকঃ https://www.facebook.com/বাংলার-আঙ্গিনা-101700918088202( ভালোবেসে পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকবেন) ।
📌"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৬৮৬
Date:- ৩০/১১/২০২১ইং
সালমা আক্তার
ব্যাচঃ১৪
রেজিঃ ৬২৭৭১
কমিউনিটি ভলান্টিয়ার
জেলাঃ ঢাকা
উপজেলাঃ সাভার
💕প্রিয় প্লাটফর্ম নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন 💕