একটা ইউনিক চ্যালেঞ্জ
আলহামদুলিল্লাহ, আমি এই প্লাটফর্ম থেকেই সব কিছু শিখেছি। আমি অনেক বার হেরেছি। অনেক বার৷ কিন্তু এখানে এসে দেখলাম হারবার কোন চাঞ্চ নেই, আমি আর হারতে চাইনা। এখন শুধু এগিয়ে যেতে চাই। আর পিছনে যেতে চাইনা। আর পিছনের কোনো দুঃখের কথা মনে করতে চাইনা। চাই শুধু এগিয়ে যেতে। এবং আমি পারবো। আমায় দিয়ে হবে। এই বিশ্বাস নিজের ভিতর অনেক শক্তি নিয়ে তৈরি হয়েছে, আর এই শক্তি দিয়েছেন আমাদের প্রিয় মেন্টর। আলহামদুলিল্লাহ।
,, জীবনের অনেক কিছু হারিয়ে কোনো কূল কিনারা না পেয়ে যখন পেয়েছি এই ফাউন্ডেশন, তখন থেকেই প্রিয় শিক্ষক এর কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে আস্তে আস্তে লেগে পড়েছি বিজনেসে, আবার শুরু করেছি জীবনের এক নতুন অধ্যায়, বিজনেস শুরু করেছি,, সেটা এই ফাউন্ডেশনেই। কিছুটা অফ লাইনেও। আমি বিজনেস শুরু করেছিলাম প্রথম একটা আইটেম পণ্য নিয়ে মেয়েদের ম্যাক্সি, সেখান থেকে শুরু করে এখন আমার পণ্য এর আইটেম পাঁচটা, রেডিমেড থ্রি পিছ, মেয়েদের কটি, মেক্সি, বাচ্চাদের ড্রেস, এবং ছেলেদের টি-শার্ট। আলহামদুলিল্লাহ টুকটাক ভালোই হচ্ছে।
,, তারপর স্যার এর একটা সেশন পড়লাম, ডিফারেন্ট কিছু করতে হবে ইউনিক কিছু করতে হবে। ঠিক তখন থেকেই মাথায় গুনি পোকার মতো কুরে কুরে খেতে লাগল কি করতে পারি? কি ইউনিক বের করতে পারি? কি ডিফারেন্ট কিছু করতে পারি? স্যার এর আরেকটা সেশন মাথায় আসে, ৬৪ জেলা নিয়ে যে সেশন। সব জেলায় বিখ্যাত কিছু আছে। আমি ভাবলাম আমার জেলায় তো আছে। স্যার বলেছিলেন কোন জেলায় বিখ্যাত পণ্য আছে খুঁজে বের করতে। প্রিয় স্যারের এই কথাটা আমার ব্রেন্ট এ হিট করে। ঠিক তখন থেকেই মাথায় নিলাম টেনশন।।
,, যে টেনশন সেই কাজ খুঁজে বের করলাম এক ইউনিক পণ্য, আমার জেলায় তো #বিখ্যাত_আলু। বাংলাদেশের ৬৪ জেলার মধ্যে সর্ব প্রথম আলু আমার জেলায় উৎপন্ন করা হয়। আলহামদুলিল্লাহ। তারপরে এখান থেকে বীজ বিভিন্ন জেলায় চলে যায়, আমার জেলা থেকে আলু বিভিন্ন জেলায় চলে যাওয়ার পরে এখন বিভিন্ন জেলায় আলু হয়। আমি খুঁজে বের করলাম আলু নিয়ে কাজ করবো। ইনশাল্লাহ এখনো আমার জেলায় প্রচুর পরিমাণে আলু হয়। বাড়িতে গেলাম চাচতো ভাই আলুর বিজনেস করে। একটা সময় আমার বাবাও করত অনেক ভালো হইতো বিজনেস একবার হঠাৎ করেই আমার বাবা পাঁচ থেকে সাত লক্ষ টাকা লস করে এই আলুর বিজনেস করে। তো আমি চিন্তা করলাম আমি এটা নিয়ে কাজ করবো। ইনশাআল্লাহ।
,, বাড়িতে চাচতো ভাইয়ের সাথে আলোচনা করলাম এই বিখ্যাত পণ্যটি নিয়ে আমাদের প্লাটফর্মে কাজ করতে চাই আমি, চাচতো ভাই রাজি হয়ে গেলো। চিন্তা করে, ডিসিশন নিলাম, এবং লেগে পড়লাম, অনেক বড় ঝুঁকি নিয়ে। আমাদের জেলা মুন্সীগঞ্জে এখন আলু রুপন করার মূল মৌসুম। চাষ করার মূল মৌসুম,, প্রতিটি ঘরে ঘরে চলছে আলু রুপন করার আমেজ, জমি চাষ হচ্ছে, সার দেয়া হচ্ছে। আমিও সাহস করে চাচতো ভাইয়ের সাথে মিলে একটা জমি নিলাম এগ্রিমেন্ট, সেখানে করা দমে চলছে আলু রোপণ করার জন্য জমি তৈরি করা,,।
,, ২ ঘন্টা জমিতে চলছে আমার বড় একটা ঝুঁকি নিয়ে আলু চাষ করার উদ্যোগ, ২ গন্ডা মানে, আমাদের জেলার হিসাবে ৭০০ শতাংশে এক গন্ডা, তার মানে ১৪০০ শতাংশে আলু চাষ করার জন্য আমরা জমিটা তৈরি করে নিচ্ছি। সার দেয়া হচ্ছে, চাষ করা হচ্ছে। আশা করি আগামী 15 দিনের মধ্যে আমাদের পুরো আলু চাষ করা হয়ে যাবে জমিতে। এবং ৩ থেকে / সারে ৩ মাসের মধ্যে আমাদের এই ফসল হয়ে যাবে। ইনশাআল্লাহ। জীবনে অনেক ঝুঁকি নিয়ে ছিলাম কিন্তু নিজের ভুলের কারণে সাকসেস হতে পারিনি, কিন্তু এই প্লাটফর্মে এসে বিজনেসটা শিখেছি, এবং ঝুঁকি নেয়ার মূল শিক্ষা পেয়েছি ,আশাকরি আমি এখান থেকে সাকসেস হব ইনশাআল্লাহ।
,, কেউ কেউ ভাবতে পারেন, সফল হবার আগেই সেল পোস্ট কেনো?? আমি আবার একটু ভেঙ্গে বলছি, আমাদের এই আলু ফসল টা জমি থেকে উঠার আগেই অনেক পাইকার কিনে নেয়। যখন ফসল উঠবে, তখন মেপে যা পাবে৷ তাই নিবে। অনেক পাইকার এই ফসল উঠার আগেই জমি হিসেবে কিনে নেয়। তাই আমি আগেই আমার ইউনিক পন্য এর উদ্যোগ আপনাদের মাঝে তুলে ধরলাম। আশা করি আমি এখান থেকে একটা ভালো ফিডব্যাক পাবো। ইনশাআল্লাহ।
,, এবং আমি যে ঝুকি টা নিয়েছি। এটা আমার জন্য বড় একটা চ্যালেঞ্জ, বড় একটা উদ্যোগ, বড় একটা মানসিক শক্তি। আমার জেলায় অনেক বড় বড় আলু ব্যবসায়ী রয়েছে তারা শত শত বিঘা জমি আলু চাষ করে। কিন্তু আমি তো তাদের মধ্যে ক্ষুদ্র। তারপরও কেন জানি মনে হয় আমার কাছে এটা অনেক বড় একটা চ্যালেঞ্জ, এটা একটা ইউনিক চ্যালেঞ্জ। আর এই চ্যালেঞ্জটা প্রিয় শিক্ষক থেকে শিখেছি। আলহামদুলিল্লাহ।
,, যারা আলুর নিয়ে পাইকারি এবং খুচরা বিক্রি করতে আগ্রহী এবং কোন কাচা মালের আদর এর মালিক যদি থেকে থাকেন, তাহলে অবশ্যই আমার সাথে যোগাযোগ করবেন। আমি আমার জমির ফসলের আলো ছাড়াও আরো অনেক আলু আপনাদের দিতে পারব। ইনশাআল্লাহ, যেহেতু আমার ছেলেটা বিখ্যাত আলুর জন্য। সে ক্ষেত্রে আমার জন্য অনেক অনেক সহজ হবে। আমি আশা করি। আমি এটা দিয়ে অনেক বড় ভাবে এগিয়ে যাবো। একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে। ইনশাআল্লাহ।।
,,যাদের খুচরা ১ বস্তা লাগবে, তারাও নক দিয়ে রাখতে পারেন। ফসল উঠবার পড় দাম টা নির্ধারণ করা হয়, আগেই অনেকেই বলে রাখে, ভাই এই জমির ফসল, মানে আলু যা হয়, যে কয় বস্তা হয়, আমায় দিবেন। দাম যা হয় দিবো। তাই আগেই সবাই কে এই বড় উদ্যোগ নেয়ার গল্পটা বলে দিলাম। আশা করি আমি এই বর উদ্যোগ নিয়ে একজন সফল উদ্যোক্তা হবো৷ ইনশাআল্লাহ।
,, পাশাপাশি আমার ড্রেস নিয়েও বিজনেস টা চলবে ইনশাআল্লাহ। সবার কাছে দোয়া চাই৷ ভালোবাসা চাই। অনেক বেশি ভালোবাসে এবং সাপোর্ট চাই। আমি বিশ্বাস করি আমার এই প্রাণপ্রিয় ফাউন্ডেশনের প্রতিটা ভাই বোন অনেক বেশি আন্তরিক, এবং অনেক বেশি সাপোর্ট দিয়ে থাকেন একজন উদ্যোক্তা কে। আমিও সেই সাপোর্ট পাবার আশায় একটা বড় ঝুঁকি নিয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ। আশা করি হিরো হয়ে ফিরবো স্যার।
,, এবং আমি চাই আমার এই উদ্যোগ গ্রহণ করার ফলে কিছু অসহায় মানুষ আমার জমিতে কাজ করার চাঞ্জ পাবে। তারা এখান থেকে একটা মজুরি পাবে। এটাও আমার একটা স্বপ্ন কিছু মানুষের জন্য কাজের বাবস্থা করে দিতে পারবো। ইনশাআল্লাহ।
,, প্রিয় স্যার আপনার থেকে শিক্ষা নিয়ে আজ আমি বড় ঝুঁকি নিয়ে মাঠে নেমেছি। প্রিয় স্যার আমার এই গল্পটাকে আপনি একটু ভালোবাসা দিয়ে সাধুবাদ দিয়েন।
,, এবং কিছু তথ্য,,
মুন্সীগঞ্জের আলু নিয়ে কিছু তথ্য।
______________________________
আলু মুন্সীগঞ্জের প্রধান অর্থকরী ফসল। এ বছর ইতিমধ্যে কৃষকরা আলু উত্তোলন শুরু করেছে। উত্তরবঙ্গের শ্রমিকরা মুন্সীগঞ্জ জেলায় আসতে শুরু করেছেন। পুরুষ শ্রমিকের পাশাপাশি নারী শ্রমিকেরা মুন্সীগঞ্জে আলু উত্তোলন করতে আসছেন,। জেলার ছয়টি উপজেলায় আলুর আবাদ হয়ে থাকে। এরমধ্যে মুন্সীগঞ্জ সদর, টঙ্গীবাড়ী ও সিরাজদিখান উপজেলায় আলুর আবাদ বেশি হয়ে থাকে। রংপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, ময়মনসিংহ, দিনাজপুর, জামালপুরসহ উত্তরবঙ্গের শ্রমিকরা এসে আলু রোপন ও উত্তোলন করে থাকেন আমার জেলায়।
,,পারিশ্রমিক কম হওয়ায় এ শ্র্রমিকদের গুরুত্ব দেন আলু চাষিরা। অনেক শ্রমিক স্ত্রী-সন্তান নিয়ে মুন্সীগঞ্জে আসেন আলু রোপন বা উত্তোলন করতে। আলু উঠানোর সময় মুন্সীগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ১৫ হাজার শ্রমিক বা তার অদিক কাজ করবে। মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার কয়েকটি জমিতে অলরেডি বৃহস্পতিবার থেকে আলু উত্তোলন শুরু হয়েছে কিছু কিছু। এদের মধ্যে একটি জমিতে ৩০ জন নারী শ্রমিককে আলু উত্তোলন করতে দেখা গেছে।
,, পুরোদমে আলু উত্তোলন শুরু হবে মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে। চলবে ২০-২৫ মার্চ পর্যন্ত। পুরুষের চেয়ে নারী শ্রমিকের মজুরি কম। নারী শ্রমিকেরা সকাল ৭টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত কাজ করে মজুরি পান ৫০০ টাকা। মুন্সীগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. হুমায়ুন কবীর জানান, এ বছর জমি থেকে পানি দেরিতে নামায় আলু চাষে বিলম্ব হয়েছে। এবার আলুর ফলন ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, মুন্সীগঞ্জ জেলায় ৭৮ হাজার কৃষক পরিবার রয়েছে। এ সব পরিবারের ৪ লাখ ৬৮ হাজার সদস্য কৃষিকাজের সঙ্গে জড়িত, আলহামদুলিল্লাহ । এ বছর জেলায় ৩৯ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে৷ এবং এই চাষ চলমান।
গত বছর ৩৮ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়। গত বছর আলু উৎপাদন হয় ১৩ লাখ ৫১ হাজার ১২৯ মেট্রিক টন। উৎপাদিত আলুর মধ্যে ৬০-৬৫ হাজার মেট্রিক টন বীজ আলু হিসেবে জেলার ৬৮টি কোল্ডস্টোরেজে (হিমাগার) সংরক্ষণ করা হয়। আর কোল্ড স্টোরেজগুলোর ধারণ ক্ষমতা প্রায় ৫ লাখ মেট্রিক টন তারও বেশি।, ।
,, 🤲🤲 তাই প্রিয় মেন্টর প্রিয় শিক্ষক #জনাব_ইকবাল_বাহার_জাহিদ স্যার এর কাছে অনেক অনেক দোয়া চাই।।। অনেক। স্যার আপনার কাছে আবারও চির কৃতজ্ঞতা এত সুন্দর একটা ফাউন্ডেশন আমাদেরকে দিয়েছেন যেখানে নিজের জীবনের মোড় নিজেই করাতে পারি। আলহামদুলিল্লাহ।।
🌴🌴স্বপ্ন দেখুন,
সাহস করুন,
শুরু করুন,লেগে থাকুন,
সফলতা আসবেই।
প্রিয় মেন্টর এর বানী। 🌴🌴
প্রিয় স্যার শুরু করে দিয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ
#আলু_আলু_আলু_সেল_পোস্ট,,
ফসল উঠলে দাম নির্ধারণ হবে ইনশাআল্লাহ।।
প্রতি বস্তা হয় ৯০ কেজি, আবার কোনো বস্তায় হয় ৬০ কেজি, দাম হয় মন হিসাবে।।।
কেই পাইকারি নিতে চাইলে যোগাযোগ করুন আমার সাথে। ইনশাআল্লাহ।।
সবাই পাশে থাকবেন।
,,,,,
আমার #পেজ_লিংক
https://www.facebook.com/DressviewBoutiques/
📌"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৬৮৬
Date:- ৩০/১১/২০২১ইং
👨✈️,_ Md. Nirob Hossain
🎀 ব্যাচঃ 11
🌴 রেজিষ্ট্রেশনঃ 20519
🇧🇩 জেলাঃ মুন্সিগঞ্জ
🏡 বর্তমানঃ ঢাকা, যাত্রাবাড়ী, ওয়ারি জোন।
✌️ কমিউনিটি ভলান্টিয়ারঃ নিজের বলার মত একটা গল্প প্লাটফর্ম।
💌 💖মেম্বারঃ নিজের বলার মত একটা গল্প প্লাটফর্ম।
#আমার_বড়_পরিচয়,, 👇
🔍🔍🔍✌️ #একজন_উদ্যোক্তা✌️✌️🔎🔎🔎