☞বিষয় :নেগেটিভ ও পজিটিভ
সব নেগেটিভ সব সময় নেগেটিভ নয়,
নেগেটিভ ও অনেক সময় পজিটিভ হয়।
আবার সব পজিটিভ ও সব সময় পজিটিভ নয়
কিছু পজিটিভ নেগেটিভ ও হয়।
বুঝলেননা নাকি? মনে করুন একটা ছোট পাখি প্রোচনড শিতের মধ্যে কুয়াশার ভিতরে রাস্তার কোন এক জায়গায় বসে জীবনের শেষ প্রহর গুনছে, বরফে জমে যাচ্ছে তার শরীরটা এই বুঝি জীবনটা যায়।একই রাস্তায় ওই সময় একটা মহিষ যাচ্ছিলো। মহিষও সারাদিল প্রকৃতির ডাকে আর সেটা পরলো আবার পাখিটিরই উপরেই এযেন মরার উপরে খরার ঘা।পাখিটি সম্পূর্ণ গোবরের নিচে ঢেকে গিয়েছে।নিঃশাষ নেওয়ার রাস্তা পাচ্ছিলনা,একটু পররেই মরে যাবে। কিন্তু দেখা গেল আসলে একটু পরে পাখিটি আস্তে আস্তে মাথা বের করে উপরের দিকে তাকিয়ে কিজির বিজির করছে।
একটা বিরালের নজরে পরলো পাখিটা, বিরাল কাছে এসে মুখ দিয়ে টেনে পাখিটাকে গবরের ভিতর থেকে বের করে আনলো।বেচারা পাখিটা এতক্ষনে বের হতে পারলো বিরালের সহযোগীতায়।মুক্তি পেল,শান্তির নিঃশাষ নেওয়ার কথা এখন তাই নয়কি।
কি বুঝলেন?
বিষয়টা একেবারেই বিপরীত। আসলে মহিস যখন গবরে পাখিটাকে ঢেকে দিয়েছিল তখন উদ্দেশ্য ছিল পাখিটাকে বাঁচানর,গোবরের গরমেই পাখিটার বরফ জমা শরীর থেকে শীত কেটে গিয়েছিল আর মনের আনন্দে পাখিটা মাথা উচু করে গান গাইছিল আল্লাহ্ বাঁচালে আমায়।
বিরাল গোবর থেকে টেনে পাখিটাকে বের করেছিল তার মানে এই নয় পাখিটাকে গোবর থেকে মুক্ত করেছিল।আসলে পাখিটাকে বিরাল নিজের খোরাক বানার জন্য বের করেছিল এবং পাখিটাকে খেয়েছিল।মহিসের কাজটা নেগেটিভ হলেও আসলে ওটা পজিটিভ ছিল।
বিরালের কাজটা পজিটিভ দেখে মনে হলেও আসলে নেগেটিভ ছিল।
তাই বলছি কি রিস্ক একটা নেগেটিভ বিষয় মনে হলেও রিস্ক না নিলে জীবনে কিছু করা যাবে না। উদ্দোগতা হওয়ার ক্ষেত্রেও রিস্ক নিতে হবে। তবে হা একটু যেনে বুঝে শিখে শুরুটা করা ভাল।শুরু না করলে জীবনটা যেখানে আছে সেখানেই থেমে থাকবে আর পরে থাকা গাড়ির মত মরিচিকা ধরে একসময় শেষ হয়ে যাবে।কিছুই করার সময় থাকবে না আর।তাই আমরা সময় থাকতেই একটা গোল নির্ধারন করে রিস্ক নেওয়াকে রিস্ক না ভেবে শুরু করে দেই।এই রিস্ক নামের নেগেটিভ শব্দটা হয়ত কাল পজিটিভে পরিনত হতে পারে যদী আমরা মন দিয়ে চেষ্টা করি।আর স্যারের কথাগুলো অবশ্যই মনে রাখবেন যে শুরু করুন চেষ্টা করুন লেগে থাকুন সফলতা আসবেই।
📌"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৪০
Date:- ২৫/১০/২০১৯ইং
আব্দুস শাকুর ৭ম ব্যাচ
রেজিস্ট্রেশন নং ৮৫৩
পাবনা সৌদী রিয়াদ