পাহাড়ের নিচে দৌড়ে গিয়ে বিস্কুট আর চকলেট নিয়ে আসতাম
#উদ্যোক্তা
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু,ছোট থেকেই আমি একটু উপার্জন মুখী ছিলাম তখন আমার বয়স ৭ কিবা ৮ বছর ক্লাস টু-তে পড়তাম পার্বত্য চট্টগ্রামে মানিকছড়ি রাজবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পড়তাম,আমার বয়সের ছেলেরা যখন খেলা ধুলায় ব্যস্ত তখন আমি কলার পাতা দিয়ে ছোট্ট দোকান বানিয়ে সেই দোকানে চিনি লাগানো টোস্ট বিস্কিট,লজেন্স,পাউরুটি ঝুলিয়ে রেখে বিক্রি করতাম পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় ঘনঘন দোকান ছিল না তাই এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আমি ছোট্টু ব্যবসায়ী হয়েছিলাম। আমার বাবা আমাকে স্কুলে খাওয়ার জন্য যে টাকা দিত সেই টাকা দিয়ে আমি বেকারি থেকে সেগুলো কিনে নিয়ে আসতাম 20 টাকার কিনে নিয়ে আসলে আমি 25 টাকা কখন 27 টাকা বিক্রি করতে পারতাম আর লাভ ও মূলধন একত্রিত করে আবার পাহাড়ের নিচে দৌড়ে গিয়ে বিস্কুট আর চকলেট নিয়ে আসতাম এবং দিনে এভাবে 2-3 বার বিক্রি করতাম ,এবং সেখান থেকে আমার খাবার বের হয়ে আসতো😋মজার বিষয় হচ্ছে আমার দোকানের একজন পুঁজিছাড়া😄পার্টনার ছিল ওর নাম হচ্ছে হাফিজুল ওর কাজ হচ্ছে মাঝে মাঝে আমার দোকানে বসবে আমি বাজারে অথবা খেতে গেলে।ওর লাভ হলো ফ্রিতে চকলেট ও বিস্কুট খেতে পারবে এবং আমি যখন যা খেতাম সাথে সেও খেতে পারতো।এলাকার অনেকেই টিটকারি করতো আমাকে নিয়ে,কারন আমার আব্বা গাছের ব্যবসায়ীছিলো ভালো নাম ডাক,এক নামে সবাই চিনতো "ফজলু লিডার"।তবে আমি কারো মজার পাত্র হইনি কখনোই,আমি আমার কাজ আমার মত করেই করতাম আমাকে নিয়ে যারা টিটকারি করতো তারাও এক সময় আমার কাছে বিস্কুট কিনে নিতো।এরকম ছোট বয়স থেকে অসংখ্য রকমের ব্যবসা করে ইনকাম করতাম।আমার জীবনের সবচেয়ে বড় পাওয়া হচ্ছে আমার বাবা-মা এখনো আমাকে ও আমার বড় ভাই মিলনকে নিয়ে গর্ববোধ করে।আমরা কখনোই কারো উপর ডিপেন্ড ছিলাম না আলহামদুলিল্লাহ এখনও নেই আমরা নিজের ইনকাম নিজেই করেছি ছোট বয়স থেকে,তাই না পাওয়ার কোন বেদনাও নেই আমাদের।সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন বাকি জিবনটা যেন নিজের পরিবার ও দেশের মানুষের সেবা করে যেতে পারি আমিন।
📌"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৫২
Date:- ০৬/১১/২০১৯ ইং
মোহাম্মদ মুনজুর আলম
জেলাঃঠাঁকুরগাও
ষষ্ঠঃব্যাচ
মেম্বার রেজিঃ151
রক্তের গ্রুপঃ0+
সংযুক্ত আরব আমিরাত
munjuralam03@gmail.com