আমার আব্বু ভাবছিল উনাকে হয়তো ভালোবেসে সবাই চেয়ারম্যান নির্বাচন করার জন্য বলতেছে। আমার বাবা বুঝে পারে নেই।
পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করতেছি। শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি আমাদের কে পৃথিবীতে অশেষ রহমত, নিয়ামত দিয়ে ভরপুর করে দিয়েছেন, আমাদেরকে সুস্থ রেখেছেন, ভালো রেখেছেন, এই মহামারীর মধ্যেও আমাদেরকে সুস্থ রেখেছেন,
ভালো রেখেছেন, সে জন্য শুকরিয়া আদায় করি আলহামদুলিল্লাহ।
🌿শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি আমার এবং লাখো তরুন তরুনীর প্রাণের স্পন্দন বাংলাদেশের ক্লান্তিকালে যখন বেকারত্বের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে তখন অন্ধকারাচ্ছন্ন থেকে মুক্তির জন্য যে মহামানব যুগের সেরা আবিষ্কারক উদ্যোক্তা গড়ার কারিগর শত তরুন তরুনীর প্রাণের স্পন্দন তিনি হলেন প্রিয় শিক্ষক সেরা শিক্ষক মেন্টর শ্রদ্ধেয় জনাব Iqbal Bahar Zahid স্যার।
🌿আমি যখন খুব ছোট ক্লাস ফাইভে পড়ি তখন স্কুলে থাকা অবস্থায় একদিন নাস্তা না করে স্কুলে যাই। আব্বু মাঠ থেকে ফিরে এসে শুনে যে আমি না খেয়ে স্কুলে গিয়েছিলাম।
🌿তখনই আব্বু খাওয়া-দাওয়া না করেই আমার স্কুলে আসে। স্কুল আমাদের বাড়ি থেকে কাছে ছিল। আমার জন্য একটি পাওয়া রুটি কিনে নিয়ে আসে।
তখন আমি অনেক খুশি হইয়া বাবাকে জড়িয়ে ধরি। বাবাও জড়িয়ে ধরে আমাকে ওই কথা মনে হলে এখনো আমার বাবার প্রতি ভালোবাসা এবং মায়া কখনো ভুলতে পারিনা।
🌿আমি ক্লাস সেভেনে পরা অবস্থায় বাবা একদিন স্কুলে আসে আমাকে খোঁজ করার জন্য কিন্তু আমাকে স্কুলের না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করে। আমার মামার বাড়িতে যায় এবং বাড়িতে খোঁজ করে। আমার এলাকায় অনেক খোজাখুজি করেন। আমাকে না পেয়ে পরবর্তীতে মাই কে অ্যালাউন্স করে কারণ স্কুলের বন্ধুর পাল্লায় পড়ে স্কুলের নাম করে পিকনিকে গিয়েছিলাম ফিরতে অনেক দেরি হয়। ঐদিন বাবার অবস্থা অনেক খারাপ হয়েছিল। বাবা আমাকে অনেক ভালোবাসে তাই পরবর্তীতে আমাকে মারতে চাইছিলো কিন্তু আবার কি বলে আমাকে জড়িয়ে ধরে অনেক কান্না করেছিল।
🌿আমাকে একা কোথায়ও যাইতে দিত না, আমি অনেক আদরের ছিলাম ।
একা কোথাও যেতে দিত না।
তাই স্কুলের বন্ধুর সাথে স্কুলের নাম করে পিকনিকে গিয়েছিলাম।
আমি বুঝতে পারিনি এমনটা হবে।
🌿আমার বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের প্রথম থেকে মেজর ওসমানীর ডাকে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
প্রথম থেকেই সক্রিয়ভাবে আমার বাবা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তখন ভারতে ট্রেনিংয়ের জন্য গিয়েছিলেন ওখান থেকে এসে যখন যে এলাকায় যুদ্ধের জন্য ডাকত সেখানেই যাইতো ঢাকায়, চাঁদপুরে, এবং কুমিল্লা, ওখানে চলে যেত। যুদ্ধ অবস্থায় দুই মাস পরে একবারে বাড়ি থেকে চলে যায় যুদ্ধ করার জন্য। এভাবে অনেকদিন হয়ে যায় পাঁচ মাস যোগাযোগের কোন ব্যবস্থা ছিল না। এমন অবস্থায় আমার দাদা এবং কাকারা সবাই জানতেন হয়তো আমার বাবা মারা গেছেন। এটা নিয়ে আমাদের ফ্যামিলিতে সুকের ছায়া নেমে আসছিল। অনেক মুক্তিযুদ্ধের মৃত্যুর সংবাদ শুনে। সবাই কান্নাকাটি করছিল। পরবর্তীতে দুই নম্বর সেক্টরে যুদ্ধ করেন। অনেক সফলতার সাথে নয় মাস যুদ্ধ করে আল্লাহর অশেষ রহমতে সুস্থ অবস্থায় আব্বু বাড়িতে ফিরে আসে। আব্বুকে কেউ চিনতে পারে না এবং সবাই এলাকার ভিতরে একটা বিড় সৃষ্টি হয় । মানুষ দেখার জন্য আসে কারণ আমাদের এলাকা থেকে মাত্র তিনজন যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল তার মধ্যে ছিল আমার বাবা একজন।
🌿আমার বয়স যখন তেরো চৌদ্দ বছর হবে। তখন আব্বুর সময় বয়সি কাকারা মুক্তিযোদ্ধা বলে টিটকারি করে করতো।
আমি সুনতাম কিছু বুঝতে পারতাম না।
আমি মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক কিছু বুঝতাম না।
১৯৯৬ ইং থেকে আমি যখন মুক্তিযুদ্ধের বিষয়ের উপর কিছু বই পড়ি, ঘাটাঘাটি করি তখন আমি বুঝতে পারি। আব্বুর মুখে থেকে মুক্তিযুদ্ধের অনেক বিষয়ের উপর জানতাম। মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান কি আমি বুঝতে পারি বাংলাদেশ অনেকের কোটি টাকা থাকবে, অনেকেই শিক্ষিত হবে, সুশিক্ষিত হবে, অনেক সম্মানী ব্যক্তি থাকবে, কিন্তু একজন মুক্তিযোদ্ধা হওয়া আর সম্ভব হবে না। আমার মাঝেমধ্যে গর্বে বুক ভরে যায় আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। আলহামদুলিল্লাহ।
🌿আমি আমার বাবাকে সেলুট দেই সাথে বাংলাদেশের হাজার হাজার মা-বোনেরা আর আমার বাবার সহযোদ্ধারা যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় শহীদ হয়েছেন যাদের রক্তের বিনিময়ে আমরা এই দেশ পেয়েছি তাদেরকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি এবং তাদের জন্য বুক ভরা ভালোবাসা।
🌿আমার বাবা সরকারিভাবে অনেক পুরস্কার পেয়েছে স্বাধীনতা দিবসে। কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী উপহার হিসেবে আব্বুকে একটা পাকা বিল্ডিং করে দিয়েছে থাকার জন্য । প্রতিমাসে 12000 টাকা সম্মানী ভাতা পায়।
🌿আমার বাবা ঢাকাতে গিল্ডার্স নামক একটা বিদেশী কোম্পানিতে চাকরি করতো বেতন ছিল খুব কম কিন্তু অনেক ভালো কাজ জানত সে কারণে উনাকে দুবাইতে টান্সফার করা হয়েছিল।
🌿যুদ্ধের পর পর বাংলাদেশ থেকে বিদেশে লোক খুব কম যাইতে পারতো।
পাঁচ বছর পর দুবাই থেকে দেশে ফিরে আসে। অনেক দিন প্রবাস থাকার কারণে দেশের পরিস্থিতি সমাজ ব্যবস্থা এবং ভিলেজ পলিটিক্স বলতে একটা কথা আছে। আমার আব্বু কোন কিছুই
বুঝতো না। আমার বাবার কাছে ছিল অনেক টাকা সমাজের সবাই আমার বাবার টাকার জন্য।
ভালোবাসতো আমার বাবাকে।
আমার বাবা ছিল অনেক উদার মনের টাকা পয়সা খরচ করার সময় কোন হিসেব করত না।
🌿আমাদের সমাজের সবাই মিলে আমার আব্বুকে চেয়ারম্যান নির্বাচন করার জন্য সবাই উঠে পড়ে লেগেছিল।
আমার আব্বু ভাবছিল উনাকে হয়তো ভালোবেসে সবাই চেয়ারম্যান নির্বাচন করার জন্য বলতেছে। আমার বাবা বুঝে পারে নেই।
যে উনার টাকার জন্য উনাকে চেয়ারম্যানি নির্বাচন করার জন্য উদ্বুদ্ধ করছে। চেয়ারম্যানি নির্বাচনের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করল।
🌿যাক যা হবার তাই হল আব্বু ভোটে পরাজিত হল এবং টাকাও শেষ করল।
🌿এদিকে আস্তে আস্তে বিদেশের টাকা শেষ জমিজমা যায় করছিল বিক্রি করা শুরু পাশ দিয়ে বের হয়ে যায়।
আমি ক রক্ত ক্ষরণ হয়। কি করবো দিশেহারা এদিকে মেডিকেলে ভর্তির জ