মহান বিজয় দিবস
আজকের মহান বিজয় দিবসে বিনম্র শ্রদ্ধা জানাচ্ছি লাখ শহীদের প্রতি যাদের অক্লান্ত ত্যাগ থেকে এসেছে আজকের এই মুক্ত স্বাধীনতা ও মুক্ত মানচিত্র, তারা যদি দেশের জন্য মায়ের বুকটাকে খালি না করত হয়তবা আমরা পেতাম না এই সোনার বাংলা।
আজ মহান বিজয়ের ৪৮ বছর পূর্ণ হলো আজ। বাংলাদেশের জন্মদিন আজ, বাঙালি জাতির হাজার বছরের শৌর্য-বীর্য আর বীরত্বের এক অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে বীরের জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে বাঙালি জাতি। পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামের স্বাধীন ভূখণ্ড অর্জনের দিন।
দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের পর এই দিন বিকেলে রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে) হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করে যৌথবাহিনীর কাছে। বিশ্বের মানচিত্রে অভ্যুদ্বয় ঘটে নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশের।
১৯৭১ এর ১৬ ডিসেম্বরের বিজয় অর্জন শুধু ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের ফসল নয়। এজন্য ৩০ লাখ মানুষের জীবন ও দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রম বিসর্জন দিতে হয়েছে, প্রাণপণ লড়াই করতে হয়েছে অগণিত মুক্তিযোদ্ধাকে, দিতে হয়েছে সীমাহীন সম্পদ বিসর্জন। আর এই সশস্ত্র সংগ্রামের পেছনে রয়েছে পাকিস্তানিদের ২৪ বছরের শোষণ-নিপীড়ন ও তার আগে ১৯০ বছরের ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন-শোষণের বিরুদ্ধে নির্যাতিত-নিপীড়িত জনগণের পুঞ্জিভূত ক্ষোভ।
১৯৭২ সাল থেকে আমরা প্রতি বছর 16 ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উদযাপন করে থাকে হয়তো ভবিষ্যতেও প্রতিনিয়ত করেই যাবো, দিবসটিতে আমরা কতই না কিছু করছি জাতীয় স্মৃতিসৌধ সহ দেশের সকল জেলায় স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছি, বিভিন্ন টেলিভিশনের পর্দায় আলোকচিত্র করছি অনুষ্ঠানসূচী করছি। আসলে এই এই অর্জনের জন্য কতটা না আমাদের ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে হয়তোবা আজকের আমাদের সমাজের মানুষ তা বুঝতেছে না বা বুঝতে চেষ্টাও করে না অথবা ওনারা ভুলে যাচ্ছে এই রক্তাক্ত ইতিহাসের কথা। তাই আমি মনে করি আমাদের প্রত্যেকের উচিত নিজস্থান থেকে তাদের সন্তানদেরকে মুক্তিযোদ্ধার ইতিহাস সম্পর্কে অবহিত করা, দেশ প্রেম জাগ্রত করা তাদের মনে, আমরা যদি ইতিহাস না জানি তাহলে আমাদের ভবিষ্যৎ যে অন্ধকার তা আমরা নিশ্চয়ই বুঝতে পারি। দিনের পর দিন হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের বীরর যোদ্ধাদের কাহিনীগুলো, আজও যদি আমরা প্রশ্ন করি এই যুবকদের তার মধ্য থেকে শতকরা ৪০% লোক বলতে পারবেনা সাতজন বীরশ্রেষ্ঠ যোদ্ধার নাম। এভাবেই যদি আমাদের ইতিহাস থেকে ওদের নাম মুছে যায় তাহলে আমরা একটি কলঙ্ক জাতিতে রূপান্তরিত হব। আমাদের নিজের সবকিছু শিক্ষার সাথে সাথেই দেশপ্রেমকে জাগ্রত করতে হবে।
আসুন সবাই মিলে নিজের দেশটাকে ভালোবাসি নিজের মতো করে, এখন তো আর দেশে যুদ্ধ করতে হবেনা পর দেশের সাথে, আসুন যুদ্ধ করি নিজে নিজের সাথে, নিজেকে লিপ্ত করি সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজে, নিজের হাত দুটোকে বাড়িয়ে দিই অন্যের পরোপকারে, নিজে যখন একমুঠো শান্তিতে খেতে পাই তখন তাকাই নিজের পাশের মানুষটার প্রতি যে কিনা না খেয়ে আছে এক বেলা খাওয়া তার মুখে তো তুলে দিতে পারি আমরা?
আসুন নিজের সাথে যুদ্ধ করি, নিজেকে একজন অর্থনৈতিক যোদ্ধা হিসেবে তৈরি করি দেশের সরকার আর কত জনকে চাকরি দেবে? নিজে কিছু করুন নিজেই চাকরি দেওয়ার আপ্রান চেষ্টা করতে তো পারি আর সেই জন্যেই আছে আমাদের " নিজের বলার মত একটা গল্প গ্রুপ", এখানে যেমন টা শেখানো হচ্ছে আপনি একজন ভালো মানুষ হবেন তার পাশাপাশি শেখানো হচ্ছে আপনি কি করে একজন সফল উদ্যোক্তা তৈরি হবেন, যখনই আপনি একজন উদ্যোক্তা হয়ে যাবেন তখন আপনি নিজেই চাকরি দিতে পারবেন কয়েকজনকে আর এভাবে নিজের অবদান রাখুন দেশের অর্থনীতিতে।
আমরা এত বড় একটা প্ল্যাটফর্ম, অনেক বড় নেটওয়ার্কের মধ্যে আছি আমরা চাইলে অনেক কিছু করতে পারি, চাইলে দেশটাকে বদলে দিতে পারি আমরা তাই বিজয়ের দিনে শপথ নেই সবাই যে দেশের বেকার সমস্যার চেহারা বদলে দিতে আমরা আমাদের জায়গা থেকে যথেষ্ট অবদান রাখবো।
আল্লাহ পাক ভাল রাখুক আমাদের মেন্টর ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারকে।
📌"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৯০
Date:- ১৬/১২/২০১৯ ইং
সিএম হাসান
কমিউনিটি ভলেন্টিয়ার
তৃতীয় ব্যাচ
রেজি.নং: ৩৫২৭
ব্লাড গ্রুপ: A+
লক্ষ্মীপুর জেলা
কাতার প্রবাসী
+97433 492465
cmhasan790@gmail.com