নিজের না বলা কষ্টের গল্প
💖 আমার এই ছোট জিবনের কিছু না বলা কষ্টের কথা শিয়ার করবো আমি তেমন কোনো শিক্ষিত মানুষ না আমার কপালে হয়তো শিক্ষা ছিলো না আমি একটি গরিব ফ্যামেলির ছেলে আমরা দুই ভাই চার বোন আমার বড় তিন বোন এক ভাই আমি এক বোনের বড় আমার ছোট এক বোন আমি বাবা এক জন সাধারণ মানুষ ছিলেন আমি দেখেছি আমার বাবা তাতের কাজ করতেন ভোর সকলে বের হয় যেত রাতে বাড়ি ফিরতো এক মাত্র বাবার উপার্জনে সংসার চলতো আমার ভাই তখন পড়াশুনা করতো আমার মনে আছে কিছু কষ্টের কথা তা হলো আমি তখন অনেক ছোট আমার তেমন কোনো ভালো কাপড় ছিল না আমার চাচাতো ভাই ছিলো তার একটা ছাইকেল
ছিল আমাকে পিছনে বসিয়ে এদিকে সেদিকে ঘুরতো পাশে গ্রামে তার নানির বাড়ি ছিলো তবে যেদিন ওর নানির বাড়িতে যায় তো সেদিন আমাকে ওর নানির বাড়ি নিয়ে যেতো না আমাকে বলতো তর তো ভালো কাপর নাই তাই তকে আমার সাথে নিতে পারবো না আমার খারাপ লাগতো কিছু বলতাম না যখন আর একটু বড় হলাম তখন স্কুলে যায় আমার গ্রামে স্কুল ছিলো আমি বাংলা আর গনিত ভালো পারতাম কিন্তু ইংরেজি ভালো পারতাম না আসলে তখন শিক্ষক গুলো মনবিক ছিলো না অনেক মারতো পড়া না পারলে স্যারের মরের ভয়ে স্কুলে যেতে মন চায়তো না আর এদিকে স্কুলে না গেলে বাবা মারতো এখন আমার মনে হয় শুধু মাত্র শিক্ষকদের মারের ভয়ে হাজার হাজার ছেলে মেয়ে পড়াশোনা ছেড়ে দিয়েছে। আমার কিছু ভালো বন্ধু ছিলো তারা আমাকে অনেক ভালোবাসাতো আমাকে ইংরেজি পরতে সাহায্য করতো আমিও গনিতে অনেক ভালো ছিলাম এর মধ্যে আমার ভাই Hsc পরিক্ষায় ফেল করে এবং কি আর পড়াশুনা করবে না আর কি জেনো হয়েছিলো রাগ করে বাড়ি থেকে চলে গেলো তখন তো মোবাইল ছিলো না মা বাবা অনেক খুজে ছিলো পায়নি তার পর একদিন রাতরে আমার খায়তে ছিলাম দেখি ভাই চলে আয়সে আমরা ভাইকে দেখে অনেক খুশি হলাম তার পর এইভাবে কেটে গেলো কিছু দিন কিছু দিন যাওয়া পর ভাইকে বিয়ে করাইবে ভাইয়ের জন্য মেয়ে দেখছে একটি মেয়ে দেখলো সেইটা পাশের গ্রামে মেয়ের বাবা এবং ভাইয়েরা টাকায় থাকতো আর তাহারা বললো আমার ভাইকে একটা চাকরি দিবে ঢাকায় এই শুনে আমার মহা খুশি এভার মনে হয় আমাদের অভাব ধুর হবে এই মনে করে বিয়ে হয়ে গেলো তার কিছু দিন পর ভাইকে ঢাকা নিয়ে গেলো ভাইয়ের চাকরি হলো বেশ ভালো তার কিছু দিন পর ভাই ভাবিকেও নিয়ে গেলো তার পর আমাদের সব আশায় মাটি হয়ে গেলো এখন চাকরি করে যে টাকা আসে সেইটা তারি হয় না বাড়িতে আর কি দিবে এদিকে মা অসুস্থ হয়ে পরলো এখন তো আমাদের আরো অভাব শুরু হলো কতো রাত যে না খেয়ে কাটিয়েছি কাউকে বুঝতে দেয়নি তার পর আমার আর পড়াশোনা হলো না আমি ভাইকে চিঠি লিখলাম ভাই সংসারে অনেক অভাব আমি এখন কি করবো পড়াশোনা কি চালিয়ে যাবো ভাই সেই চিঠির উত্তর দিলো পড়াশুনা করে কি হবে কোনো একটা কাজ করো যে কথা সেই কাজ আমার পড়াশোনা বন্ধ হয়ে গেলো আমি দুই বছর বাড়িতে ঘরুর গাস কারতাম তার পর আমার মা বললো শুধু ঘরুর গাস কাটলে কি হবে আমাকে একটা কাজ শিখতে দিলো সেটা হলো র্দজি কাজ আমাকে একদিন আমার বাড়ির পাশে এক জনের সাথে কাজ শিখতে দিলো আমিও আর না করলাম না কাজ তো শিখতে গেলাম কিন্তু আমাকে তো কাজ শিখায় না শুধু চা পান এগুলো আনায় দোকান জারু দেয় দুই বলা আবার প্রতি দিন বাজার করে দিয়ে আসতে হতো মালিকের বাসায় আমার অনেক শরম লাগতো কিছু বলতে পারতাম না আমাকে দিয়ে অনেক কাজ করাতো কোনো টাকা দিতো না শুধু দুপুরে তিন টাকা দিতো খায়তে দুপুরে দোকানের সবার জন্যে হোটেল থেকে খাবার কিনে আনতে হতো আমি দোকানের সবার জন্যে খাবার আনতাম কিন্তু আমি আমার জন্যে আনতাম না আমাকে তাহারা বলতো তোমার খাবার কই আমি বলতাম আমি খেয়ে আসেছি কিন্তু আমি খায়তাম না না খেয়ে টাকা রেখে দিতাম আমাকে তাহারা বলতো তুমি কি দুপুরে খাও না আমি বলতাম আমি তো খায় তাহারা বলতো তোমার মুখ যে শুখনা লাগে পরে আমি কি করতাম মুখটা পানি দিয়ে ধুয়ে আসতাম তখন বুঝতে পারতো না আমি প্রতি দিন চার মাইল রাস্তা হেটে যায় তাম আবার রাতরেও হেটে বাড়িতে আসতাম এইরকম একদিন না দুইটা বছর দুপুরে না খেয়ে থেকে কিছু টাকা সঞ্জয় করেছি তার পর ঈদ আসতো ঈদে ভালো কোনো জামা কাপড় পরতে পারিনি অনেক কষ্ট লাগতো চাচাতো ভাইয়েরা যখন ঈদের ভালো ভালো কাপড় পরতো আমারও পরতে ইচ্ছা হতো মনে মনে ভাবতাম আল্লাহ্ কেনো গরিব ঘরে জন্ম দিলো আল্লাহ্ তুমি বলো গরিব হয়ে জন্মমানো কি অপরাধ ।
তার পর আমি আরো একটু বড় হয়েছি তখন কি হলো আমি যে রাস্তা দিয়ে হেটে হটে দোকান কাজে যায়তাম সেই রাস্তা দিয়ে কিছু ছাত্র ছাত্রী স্কুলে পড়তে আসতো একদিন আমি দেখতে পেলাম সেই রাস্তা দিয়ে একটা সুন্দর মেয়ে পড়তে স্কুলে আসতো আমি যখন মেয়টিকে দেখি তখন আমার অবুঝ মন তাকে ভালোবাসে ফেলে মেয়েটিকে আমার ভিশন ভালো লাগতো আমার আমি মেয়েটিকে একদিন বললাম তোমার নাম কি কোথায় তোমার বাড়ি মেয়েটি অনেক সুন্দর করে আমাকে বলেছিলো আমাকে জিঙ্গাসা করলো আমার নাম কি আমি কি করি প্রতি দিন দেখা হতো শুধু বলতাম কেমন আছো ভালো মন্দ
তেমন কিছু বলার সময় পেতাম না সে স্কুলে আসতো আর কাজে যেতাম অলপ সময় কথা হতো তবে একদিন মনে আছে একদিন দেখি মেয়েটি স্কুলের দিকে না আসে ফিরে যাচ্ছে বাড়ির দিকে মেয়েটি সেদিন একা ছিলো আমি বললাম তুমি স্কুলে যাবে না ফিরে আইলে কেনো মেয়েটি সেদিন লজ্জা পেয়েছিলো সেইদিন তাহার জুতা ছিরে গেছিলো তাই সেই স্কুল থেকে ফিরে আসছিলো সেই দিন অনেক না বলা কথাগুলো বলেছিলাম সেই দিনের পর থেকে সে আমাকেও ভালোবাসাতে শুরু করলো আর আমি তাহাকে এতো ভালো বাসতাম একদিন যদি দেখা না হতো কোনো কিছূ ভালো লাগতো না অনেক কষ্ট হতো এইভাবে আমাদের নিষপাপ ভালোবাসা চলছিলো বেশ ভালো এর মধ্যে চলে আসলো আমার চাচাতো ভাইয়ের বিয়ে
বিয়ের র্কাড ছাপায়ছে সেই ভাই আমাকে একটা র্কাড দিয়েছিল কাউকে যদি দেয় তাই তখন আমার অবুঝ মন বললো আমি যাকে ভালোবাসি তাকে র্কাডটা দিলে কেমন হয় যেমন ভাবনা তেমন কাজ আসলে ছোট ছিলাম ততটা ভালো মন্দ বুঝি নাই র্কাড দিলে আর কি হবে
বিয়েটা সোমবার ছিলো আমি র্কাডটা দিতে গিয়েছিলাম শুক্রবার সকালে আমার সাথে ছিলো আমার চাচাতো ভাই তবে তাকে বলছি আপনি এখানে দাঁড়িয়ে থাকেন আমি র্কাডটা দিয়ে আশি আমি আসলে মেয়েটির বাড়ি আগে থেকে চিনতাম তাই র্কাডটা নিয়ে মেয়েটির বাড়িতে উপস্থিত হলাম তখন দেখি মেয়ে তার বড় বোনের সাথে বসে গল্প করছে তখন আমি বললাম এই র্কাডটা রাখো আমার ভাইয়ের বিয়ের র্কাড তোমাকে বিয়ের দাওয়া যখন র্কাডটা নিবে ঠিক তখন কোথায় থেকে জেনো চলে আসলো মেয়েটির চাচা মেয়েটির চাচা আমাকে বলল তুমি এখানে কি করো মেয়েটির নাম ছিলো নাজমা বললো নাজমার সাথে তোমার কি আমি আসলে অবুঝ ছিলাম আমি সারাসরি বলে দিলাম আমি নাজমাকে ভালোবাসি আমার এই কথা শোনার পর আমাকে মেয়েটির চাচা ধরলো আর কয়েক জন চলে এলো আর আমাকে যে যেমন পারলো মারলো আমি মাটিতে পরে গেলাম আমাকে কেউ লাথি ঘুসি যে যমন পারলো মারলো আমার অবুঝ মন এমনটা হবে কখনও ভাবিনি আমি তো কখনও ভাবিনি এমনটা হবে আমি ভেবেছি র্কাডটা দিব চলে আসবো তার পর আমাকে আটকিয়ে রাখলো চলে আসতে দিলো না আমার বাড়িতে খবর পাঠায়লো তাহারা আমি সেইদিন লজ্জায় মাটির সাথে মিশে গেলাম আমাকে তো আগে মারলো পরে আমাকে বললো তুই যে ওকে ভালোবাসিস তর কি আছে আরো বললো তর কি ওকে ভালোবাসার যুগতা আছে আমাকে আরো অনেক গালি দিলো মনে যতো টুকু অপমান করা যায় তা তাহারা করলো আমার বলার কিছু ছিলো না সত্যি বলতে আমি মেয়েটিকে কখনো হাত দিয়ে ছুইও নাই আমি তখন মনে মনে ভাবছিলাম আসলে আমার কি যুগতা আছে না আছে পড়াশোনা না আছে টাকা পয়সা না আছে কোনো ভালো চাকুরী আমি গরিবের সন্তান আমি সেই দিনি হেরেগেছি আমি আমার জিবনের কাছে হেরে গেছি।
আমি সেই দিনের আমাকে লাথি মারা পা গুলো আজও ভূলতে পারিনি মনে হলে অনেক কষ্ট লাগে কি অপরাধ ছিলো আমার আমি ভুলতে পারি না 17 বছর হয়ে গেছে তবে আমি ভুলতে পারবো যদি আমার একটা ছেলে আছে সে যদি ঠিক মতো পড়াশোনা করে মানুষের মতো ভালো মানুষ হয় আমার এই জিবনের শেষ ইচ্ছা আমার ছেলেটা যেনো প্রশাসনের অফিসার সরকারি অফিসার হতে পারে আমার ছেলের জন্যে সবাই দোয়া করবেন আমার ছেলেকে যেনো কেউ বলতে না পারে তর কি আছে আমি আমার ছেলের জন্যে জিবন দিয়ে চেষ্টা করবো তাকে মানুষের মতো মানুষ বানাতে পারি।
তর পরে আমি ভাবতে থাকি কি করবো ভাবতে ভাবতে এক সময় মনে হলো বিদেশের কথা ততখনে আমার কাছে কিছু টাকা সঞ্জয় হয়েছে তার পর একদিন কাউকে না বলে চলে গেলাম পাসপোর্ট বানাতে পাসপোর্ট জমা দিয়ে আসলাম। বাড়িতে বললাম না দুই মাস পর যখন পাসপোর্ট চলে আসলো তখন বাড়িতে সবাই জানতে পারলো আমি পাসপোর্ট বানিয়েছি বিদেশ যাবো। তখন 2007 সাল কেউ কেউ বলছিল Malaysia লোক নিচ্ছে তখন কিন্তু আমার কাছে তেমন বেশি টাকা নাই তবু আমার অবুঝ মন বলে Malaysia যাবো সেসময় আমার গ্রামের এক সন্মানিত বড় ভাই আছে সেই বিদেশ লোক পাঠায় সেই বলছিলো যে Malaysia লোক নিচ্ছে যায়বা নাকি আমি বিদেশ যাওয়ার জন্যে পাসপোর্ট করেছি কিন্তু টাকা নাই কিভাবে যায়বো আমার আপন ভাই তখন আলাদা হয়েছে আমাদের সাথে খায় না আমি আর আমার মা বাবার সাথে আছি
তারপরও ভাইকে আমি বলাম বিদেশ যাবো কিছু টাকার ব্যেবস্থ করে দেন ভাই বললো আমি কোথায় থেকে টাকা দিবো টাকা নেই পরে বলছিলো সুদের ওপর টাকা নিয়ে দিবে পরে সেই টাকাও নিয়ে দিলো না আমার কখনও চাই তো না আমি বিদেশ যায় ভাই আমাকে অনেক অপমান করে কথা বলতো আমাকে বলতো তুই বিদেশ যেতে পারবি না তর তো টাকায় নাই কি দিয়া যাবি এসব বলতো তবে আমার বাবা আমার জন্যে যায় করেছে আমি তার ঋন কোনো দিন সুদ করতে পারবো না বাবা তো বাবায় বাবা তোমাকে আমি হাজারও সালাম জানাই আমার বিদেশ আসার সব টাকা বাবা মেনেছ করলো আর সব টাকায় সুদের ওপর ছিলো যায় হক অনেক কষ্টের কথা সব কথা বললাম না অনেক সাধনার পর চলে আসলাম Malaysia তে Malaysia আসার পর 5 বছর লেগেছিলো ঋন সুদ করতে অনেক কষ্ট করেছি আমি জিবনে আল্লাহ্ রহমতে এখন ভালো আছি আমি আমার অনেক ছোট ছোট স্বপ্ন পূর্ণ করেছি মা বাবাকে ভালো রেখেছি আমি বিয়ে করেছি আমার এখন দুইটা মেয়ে একটা ছেলে আমার ছেলেটা SSC দিবে ইনশাআল্লাহ ।
আমি এখন নিজের বলার মতো একটা গল্প তৈরী করেত পেরেছি। আমার লেখার মধ্যে কোনো কথা ভুল হলে আমাকে ক্ষমা করে দিবেন মনে কিছু নিবেন না।
#নিজের বলার মতো একটা গল্পের সকল ভাইয়া ও আপুদের কাছে দোয়া এবং ভালোবাসা চায় আপনারা আমার জন্যে দোয়া করবেন । আমিও আপনাদের জন্যে দোয়া করি ভালো থাকবেন আল্লাহ্ হাফেজ।
📌"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৬৮৫
Date:- ২৯/১১/২০২১ ইং
আমি আকবর হোসেন
নিজের বলার মতো একটা গল্পের এক জন র্গবিত সদস্য
ব্যাচ নং 13
রেজিস্ট্রিশন নং 61102
জেলা টাঙ্গাইল
অবস্থান Malaysia