দুটি চোখ জলে ছল ছল করে
আজ শেয়ার করব আমার জীবনের বাস্তব অনুভুতির কথা, ফিরে যাব আমার ফেলে আসা ছেলেবেলায় যে সময়টা ছিল শুধুই আমার বাবা মা কে ঘিরে কতই না মিষ্টি মধুর ছিল সেই দিন গুলো মনে হলে আজ শুধুই
দুটি চোখ জলে ছল ছল করে হায় রে আমার প্রানের বাবা মা কে রেখে পরে আছি প্রবাসে,
বাবা হলো আমার জীবনের রিয়েল হিরো,যখন আমি ছোট ছিলাম তখন আমার বাবা কত ভালোবাসাতো সেই কথাই আজ আপনাদের বলব ,আমার বাবা একজন ড্রাইবার সারাদিন ড্রাইব করে রাতে বাসায় এসে জিজ্ঞেস করত কি লাগবে করে আবার দোকানে গিয়ে সব আনে দিত তারপর আমাদের সাথে গল্পের মাধ্যমে জেনে নিতেন আমাদের পড়াশোনার খোজ খবর , আমারা চার বোন আশেপাশের সবাই কত কথা বলত কিন্তু আমার বাবাকে কখনও মন খারাপ করতে দেখি নাই ,বাবা আমাকে আম্মু বলে ডাকে ছোট বেলায় যখন আমি অসুস্থ হতাম যেমন জ্বর আসত বাবা তখন আমার কপালে ও গালে গলায় হাত দিয়ে দেখতেন ,এমন করে কেউ কোনদিন দেখে নাই এখন অসুস্থ হলে বড্ড মিস করি কিছু কথা কি খাবে এখন কেমন লাগছে আম্মু এই তো সব ঠিক হয়ে যাবে এই ঔষধটা খেয়ে নাও আম্মু কোনদিন এভাবে কেউ বলে নাই ,ঈদে মার্কেটে নিয়ে বলত কোনটা তুমার পছন্দ এভাবে কেউ কোনদিন বলে নাই, একবার আমরা তখন গ্রামে ছিলাম আমাকে মার্কেটিং করে দিতে দিতে আব্বুর নাকি ভাড়ার টাকাই শেষ হয়ে গিয়েছিল, তারপর আমাকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা করে দিয়ে আব্বু তার বন্ধুর কাছ থেকে টাকা ধার করে সেবার ঢাকা আসছিল ,এখন ভাবি কত জালিয়েছি তারপরেও বিরক্তিকর প্রকাশ করত না,
পরিক্ষার সময় আব্বুকে সালাম করতে গেলে পায়ে হাত দিতে দিতো না পরিক্ষার ফলাফল বের হলে মনে হত সেই কিছু জয় করেছে আব্বু তার সাটের সাথে মিলাইয়ে আমার জন্য জামা বানিয়ে দিত ,
আমার যেদিন বিয়ে হল আব্বুর কান্নায় মনে হয়েছিল সে যেন কি অমুল্য জিনিস হারিয়ে ফেলেছে আজও আমার মনে পরে আব্বুর রক্ত লাল চোখ ,বিদায় বেলা যখন সবাই সালাম করতে নিয়ে গেল ভাবলাম আজ আব্বুর পা ছুতে পারব কিন্তু হল না ,
বিয়ের তিনদিন পর দুবার যখন লোক ফিরিয়ে দিল তখন আব্বুকে দেখে আমি ভাবলাম কি হবে কিন্তু সেদিন ও আমার আব্বু আমার শশুর কে বুজিয়ে হিরোর মত আমাকে নিয়ে আসছিল ,
আর মা সে তো আল্লাহ বাবার আগে তিন বার সালাম দিতে বলছেন, মেয়েদের কাছে মায়ের ভালোবাসা একটু অন্যরকম টক জাল মিষ্টি হয় একটু রাগ অবিমান ছিলো বরাবর মায়ের সাথে আমার মা বলত বাবার আদরের বাদর,
মায়ের আসল ভালোবাসা আমি বুজি বিয়ের পর যখন শাশুড়ী বসে থাকত আর আমি সব কাজ করতাম তখন বড্ড মিস করতাম মাকে, শশুর বাড়ি যখন অনেক খাবার রান্নার পরে আমার পেল্টে কিছুই উঠত না তখন মনে পড়তো যে মা বলত আগে তুরা খা আমি খেয়েছি বা পরে খাব তখন মাকে মনে করে বড্ড চোখ দুটো ভিজে উঠতো,
আবার শশুর বাড়ি অসুস্থ হলে শাশুড়ী বলত মেয়ে মানুষের অসুখ হলে কাজ তো করাই লাগবে না হলে এগুলো কে করবে, সেখানে মাকে আরও ডেকে ডেকে তার কাজের বারোটা বাজিয়ে দিতাম তারপরেও মা বলত আল্লাহ আমার মেয়েটাকে সুস্থ করে দাও, একদম বিরক্ত হত না মাথা বেথা হলে দোয়া পড়ে ফু দেওয়া কত কি করতেন, যেখানে আমার কাপুর গুলো মা দুয়ে দিত, আর শশুর বাড়িতে সবার কাপুর গুলো আমার দুয়া লাগতো,মা বাবা প্রিথীবিতে তুমাদের ভালোবাসা বলে শেষ করা যাবে না মা বাবা তুমাদের বড্ড মিস করি অনেক ভালোবাসি,
প্রবাসে যখন আসতে চাই কিছুতে বাবা মা আসতে দিতে চায় নাই সব বুজিয়ে যখন শেষ আসার প্রচু্তি চলছিল তখন দেকছিলাম বাবা কিভাবে আমার খাবার দিতে ব্যস্ত ছিল আর মা ব্যস্ত ছিল চোখ মুছতে,
এয়ারপোর্টের বাহিরের চারটি চোখ আজও আমার চোখ বিজিয়ে দেয়, তাই তো ফজরের পরে পরি (রব্বি হামহুমা কামা রব্বাই না ছগির,) আল্লাহ আমার বাবা মাকে সুস্থতা দান কর আমি যেন গিয়ে পা দরে সালাম করতে পারি , ঐ পবিত্র মুখ দুটো প্রান বরে দেকতে পারি,
আমি অসুস্থ হলে আব্বু যদি শুনে রাতে এসে বসে থাকে আমার ফনের আসায়, একটু যদি সকাল গিয়ে দুপুর গিয়ে রাতে ফোন দেই মা বলে তুই কি অসুস্থ,
আমার এমন ফোনের আসায় আর কেউ থাকে না একবার আমার হাত পুড়ে গেছিলো মা আমার হাতে বেন্ডেজ দেখে কিছু না বলতেই হাও মাও করে সে কি কান্না মা কান্না করে আমিও কাদি, তারপর আমার বান্দবি বলে আন্টি অর হাত পুড়ে গেছে আপনি শান্ত হন, তারপর মা শান্ত হয় আর আব্বু রাতে এসে শুনে আর গুমায় ও না আমায় ফোন ও দেয় না কেন না বলেছে এন্টিবায়োটিক খেয়েছে তাই ফোন দেওয়া যাবে না তাই সকালের অপেক্ষায় তার রাত কেটেছে নিরগুম সকালে কথা বলে শান্তি , যত দিন অসুস্থ ছিলাম তুমাদের মত কেউ খোচখবর নেয় নাই
অনেক মিস করি মা বাবা তুমাদেরকে অনেক ভালোবাসি, ছুটিতে যখন বাংলাদেশ গেলাম মা সারাখন ব্যস্ত থাকতো আমি কি খাব অথয মায়ের জন্য তেমন কিছু নেওয়া হয় নাই বাবা এসে রাতে কত কথা কত গল্প ,ছুটিতে যাওয়ার আগে যদি বলতাম মা বাবা কি লাগবে তারা বলত তুমি কবে আসবা ,অবশেষে চলে আসার সময় হলো আবার সেই লালা চোখ আমাকে ব্যথিত করছিল ,
এবার যখন তিন বছর হল মাবুজতে চায় না করুনায় কম্পাননি ছুটি দিবে না ,সে বলে তাহলে একেবারে আসো একবাবে চলে যাবে হায়রে মা বাবা তুমাদের ভালোবাসা কোন অর্থ বুঝে না বুজে কাছে পাওয়ার আনন্দ ,তুমাদের মত কেউ বুজে না ,
মা তুমায় মনে পড়ে প্রতি মুহুর্তে ,মনে পড়ে আমার মা হওয়ার দিনের কথা তখন ডাক্তার বলেছিল যে জীবনের দাবি ছেড়ে সাইন করতে সেকি মমতা ময়ী মায়ের কান্না কি রিদয় বিদারক ঘটনা সেদিন আমি কেঁদেছিলাম মা হওয়ার প্রসাব বেদনায় আর মা
কেঁদেছিলো আর যদি মা ডাক না শুনতে পায়,
মা বাবা তুমাদের ভালোবাসার কোন তুলনা হয়না ,তাই তো তুমাদের কাছে আমার একমাত্র রাজকন্যা কে রেখে নিশ্চিত ভাবে থাকি ,মা মাজে মাজে বলে আমি যা যা করতাম ও তাই করে জানি অনেক ভলোবাসে অকে, কারন ও যে আমার অংশ তাই তো অর প্রতি এতো মায়া,মা বাবার তুলনা শুধুই মা বাবা ।
আজ আমার মা বাবার প্রতি যত ভালোবাসা এবং অনুভুতি প্রকাশ করতে পারলাম সবার সাথে সেয়ার করতে পারছি ,একমাত্র ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার এমন একটা প্লাটফর্ম তৈরি করে দেওয়ার জন্য ,স্যারের প্রতি রইল আশংখ শ্রদ্ধা ও আন্তরিক ভালোবাসা ,পরিশেষে স্যারের সুস্থতা কামনা করি।
📌"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৭০১
Date:- ১৯/১২/২০২১ ইং
ফরিদা আক্তার।
বেচ নং- ১৬
রেজিস্ট্রেশন নং- ৭৯৯৮৭
নিজ জেলা - গোপালগঞ্জ
বর্তমান অবস্থান জর্ডান প্রবাসী ।