এই দুনিয়াটা একটা যুদ্ধক্ষেত্র। আর এই যুদ্ধ ক্ষেত্রের বীর সৈনিক হচ্ছে মানুষ
__বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
__আসসালামু আলাইকুম,ওরাহমাতুল্লাহ।
__যার করুণা দয়ায় ও করুনায় আজও আমি এই অপূর্ব ধরণীতে, সুস্থতার সহিত স্বাচ্ছন্দে বেঁচে আছি,আলহামদুলিল্লাহ।সেই মহান পরাক্রমশালী মহান আল্লাহর নিকট লাখো কোটি শুকরিয়া।
__যে মহান উদার দক্ষ ও অভিজ্ঞ বিচক্ষ ব্যক্তির বদৌলতে এত সুন্দর বিশাল মানুষের পরিবার পেয়েছি,যে উদার ব্যক্তির নিরলস পরিশ্রমের বিনিময়ে বিশাল নেটওয়ার্কিং নিজেকে ব্রান্ডিং সু্যোগ পেয়েছি,যার দীক্ষায় দীক্ষীত হয়ে বিশাল হৃদয়কে পজিটিভিটি দিয়ে পরিপূর্ণ করতে সক্ষম হয়েছি,যে মহান শিক্ষকের সু কৌশল পাঠদানের ফলে সততা, কমিটমেন্ট রক্ষা করে, স্বপ্ন দেখতে ও বাস্তবায়ন করতে শিখেছি,সেই মহান প্রান প্রানপ্রিয়,ব্যক্তিত্ব আমাদের সকলের প্রিয় শিক্ষক জীবন্তকিংবদন্তি জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের প্রতি,আন্তরিক শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা ও ভালবাসা জ্ঞাপন করছি।
জীবন একটা যুদ্ধ ক্ষেত্র ___
এই দুনিয়াটা একটা যুদ্ধক্ষেত্র। আর এই যুদ্ধ ক্ষেত্রের বীর সৈনিক হচ্ছে মানুষ। গরিব মানুষগুলো সত্তিকারের যোদ্ধা,সমাজে সমবৃত্ত মধ্যবিত্ত পরিবারের যুদ্ধ করে বাচতে হয় প্রতিনিয়ত,দুনিয়ার সব যুদ্ধেরেই কিন্ত সমাপ্তি এবং বিরতি আছে। কিন্তু এই যুদ্ধের কোনো বিরতি নেই কোনো সমাপ্তি নেই, নেই কোনো মধ্যস্থতাকারী। যুদ্ধটা চলতে থাকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত।এই যুদ্ধের নাম হল সাথে যুদ্ধ,দরিদ্রতার সাথে যুদ্ধ,ভালোবাসার যুদ্ধ,সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য নিজের সাথে যুদ্ধ,এটা করতে আমি ক্লান্ত হয়ে আজ দুমড়েমুচড়ে পড়ে আছি দূর অজানা প্রবাসে।জীবনের এই কঠিন যুদ্ধে জয় লাভ করতে হলে পরিবেশ পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে নিখুঁত মেধা দিয়ে সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার দক্ষতা থাকতে হবে। এই জায়গাটায় কেউ ব্যর্থ হলে জীবন তলিয়ে যাবে বিভীষিকাময় উত্তাল সাগরের গভীর অন্ধকার তলদেশে।জন্মের পর থেকেই যুদ্ধটা ছিল নিজের সাথে নামাজের নিয়ম কানুনের সাথে,আজও সেই যুদ্ধ চলছে পরিস্থিতির সাথে অভাবের মাঝে নিজেকে টিকিয়ে রাখার লক্ষ্যে সংগ্রাম করে যাচ্ছি দিন রাত আমি একা,বড় ক্লান্ত আমি বড় অশান্ত.....
আমার পরিবার___
আমার মা বাবার একমাত্র সন্তান আমি,আদরে সোহাগে বড় হয়েছি,ভিতরে ভিতরে কস্টো আমাকে শেষ করে দিয়েছ,সেটা হলো আমার মায়ের চোখের লোনা পানি,আমার মায়ের রাতজাগা বোবা কান্না,কোথাও ভালোবাসার কমতি ছিল না,তবুও যেন অভাবটা ছিল অপরিসীম,মা-বাবা দুজনের সম্পর্ক করে বিয়ে করেন,সেইকালে আদি যুগের সমাজ,আমার বাবার পরিবারের সম্পর্কটা মেনে নিতে রাজি হননি,আমার মাকে সহ বাবাকে ঘর থেকে বের করে দেন,বাবা অসহায়ের মতো মাকে নিয়ে পথে পথে ঘুরতে থাকেন,কোথাও জায়গা মেলেনি তাদের জন্য,অবশেষে বাবা মাকে নিয়ে নানা বাড়িতে ফিরে আসেন,এখানে মাকে নিয়ে সংসার শুরু করেন,,দুজনার ভালোবাসার ছোট্ট কুটিরে আমার জন্ম।_____
আমার বাল্যজীবন_____
হেসেখেলে মা বাবার বুকে বড় হয়েছি পরিবার থেকে ভালোবাসা না পাওয়ার দুঃখ আমাকে কুরে কুরে খেয়েছে,একটি ভালোবাসার বন্ধন এর জন্য আমি বঞ্চিত হয়েছি দাদা দাদু ফুফু চাচার ভালোবাসা থেকে,নানু বাড়ি থেকে পেয়েছি অনেক আদর ভালোবাসা,অভাবের সংসারে জন্ম আমার,দিন খেটে দিন কেটেছে আমাদের, সংসারে বাবা যতটুকু ইনকাম করেছে তা দিয়ে কোনমতে পেটে ভাতে সমান সমান চলছে সংসার,খুব একটা ভালো স্কুলে লেখাপড়া করতে পারেনি,পারেনি স্বচ্ছন্দভাবে সমাজের সাথে তাল মিলিয়ে নিজেকে পরিচালনা করতে,অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া করেছি,,লেখাপড়ার খরচ যোগাতে গিয়ে,অনেক সময় মাছ ধরেছি,সেটা বিক্রি করে খাতা কিনেছি,মায়ের পাশাপাশি আমিও হাঁস-মুরগির পুষেসী,শাকসবজি চাষ করেছি,সেটা বিক্রি করে আমি আমার কলম বই কিনেছি,কোনমতে প্রাইমেরি থেকে হাইস্কুলে,স্কুল জীবন কেটেছে আরো কষ্টে,প্রাইভেট পড়া কপালে জোটেনি,শুধু চেষ্টা করে গেছি নিজেকে শিক্ষার আলোতে আলোকিত করার,আমার একার প্রচেষ্টায় আমি হাই স্কুল শেষ করেছি,অনেক ক্রাইসিস এর মাঝে নিজেকে সত্যিকারে মানুষ রুপে তৈরি করার চেষ্টা করেছি।
যখন একটু বড় হলাম ___
সময়ের নিয়মে যখন একটু বড় হলাম,সমাজের নিয়ম ধারার চাপ আমার মাথায় এসে পড়ল,সবার চোখে ধরা পরলো আমি বড় হয়ে গেছি আমার বিয়া দেয়া দরকার,বিয়ে করার ইচ্ছা না থাকা সত্বেও,আমাকে বসতে হয়েছে বিয়ের পিঁড়িতে,মা-বাবার একটি ভয় ছিল,তাদের মত যেন আমার জীবন না হয়।তাই নিজেকে চেনার আগে বোঝার আগেই আমাকে বউ শাস্তি হয়েছে।বিয়ের পরে শ্বশুর বাড়ি নিয়ে গেল,যেখানে আমি নিজেকে ভালো করে চিনে উঠতে পারেনি,সেখানে অন্যকে মূল্যায়ন করাটা কষ্টের ছিল।তবুও চেষ্টা করেছি নিজেকে ভালোভাবে টিকিয়ে রাখার,ওই যে মানুষ কথায় বলে.....দুঃখী -যায়-সুখীর- কাছে- দুঃখ- যার- পাছে- পাছে ----যেবাবে বাবার ঘরে অভাব-অনটনে দিন চলেছে,স্বামীর ঘরে একি অবস্থা,
গরিবের দুঃখ যেন পিছু ছাড়ে না,অভাব-অনটনে ভালোবাসার টনক নাড়িয়ে দেয়।আপন মানুষ পর হয়ে যায়,.............
পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত ____
অনেক ভেবে-চিন্তে সিদ্ধান্ত নিলাম আমি চাকরি করব,কিন্তু অল্প লেখাপড়ায় বর্তমান বাজারে চাকরি কোথায় পাবো,চাকরি করতে হলে ঘুষ দিতে হবে,আর তা না হলে মামু খালুর জোর থাকতে হবে,আমার তো কোনটাই নেই,গরম বাজারে গরিবের জন্য চাকরি নেই।অনেক হোচট খেয়েছি চাকরি খুঁজতে গিয়ে,অনেক লাঞ্ছিত বঞ্চিত হয়েছি তিক্ত সমাজের মানুষের কাছ থেকে অবশেষে সিদ্ধান্ত নিলাম আমি প্রবাসে যাব,আর যাই হোক সংসারে তো কিছুটা সাত সন্দ ফিরে আসবে....কেন্ত পরবাসে আসতে হলে তো টাকার প্রয়োজন...ভাষা জানার প্রয়োজন...কাজ জানা প্রয়োজন...এসব দিক থেকেও তো আমি দুর্বল..অনেক চিন্তা ভাবনা করলাম আমাকে প্রবাসে যেতেই হবে সেটা যেভাবেই হোক হোক...
আমার প্রবাস জীবন ___
আমার মা আমার স্বামী এই দুই মহান ব্যক্তির সাথে যুক্তি পরামর্শ করালাম কিভাবে টাকার যোগান দেওয়া যায়.কিছু টাকা আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে নিলাম,আর কিছু টাকা ধার উদ্ধার করে ব্যাংক থেকে এনজিও থেকে লোন নিয়ে সুখের প্রবাসে পাড়ি জমালাম,প্রবাসে আসার আগে মানুষের মুখে শুনতাম প্রবাসে নাকি টাকা উড়ে,টাকার লোভে আপনজন ছেড়ে
লেবাননে পাড়ি দিলাম,আমাকে দালাল চক্র বলেছিল একটিবারও প্রতিষ্ঠানে কাজ দেবে আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেছিলাম,আসার পরে দেখি আমাকে এন একটি বাসায় কন্টাকে কাজের মেয়ে হিসেবে চাকরি দিল,যেহেতু অনেক টাকা-পয়সা ঋণ করে এসেছি,এখন ফিরে যাওয়ার কোন রাস্তা নেই,পরিস্থিতিকে মেনে নিয়ে,বাধ্য হলাম বাসায় কাজ করতে,..............
কিছু যন্ত্রণা ভোলা যায় না ____
প্রবাসীদের টাকা কত যে কষ্টের আমি মর্মে মর্মে অনুভব করতে লাগলাম
সারাদিন আমি কাজ করতাম,দিনশেষে পেটভরে আমাকে খেতে দিত না,একটু ভুল হলে আমাকে মারত,আমার সাথে দূর ব্যবহার করত, মানসিক ভাবে অত্যাচার করত,আমি ওদের ভাষা বুঝতাম না,কাজও জানতাম এটাই ছিল আমার অনেক বড় অপরাধ,,অভিজ্ঞ হয়ে পৃথিবীতে কেউ জন্ম নেয় না,বরংচ জন্ম নেওয়ার পরেই মানুষ একটু একটু করে অভিজ্ঞতা অর্জন করে,এই সহজ শব্দটা অনেক অমানুষের আই ভুলে যায়,আর আমার কপালে এমন একটি জায়গায় কাজ জুটেছিল,তারা শুধু মানুষের মতো দেখতে ,তাদের আচরণ ছিল অমানুষদের মতন,আমরা মানুষেরা কুকুরদের সাথে যে আচরণ না করি.এরা মানুষ হয়ে আমার সাথে সেরকম আচরণ করেছে এত কষ্টের মাঝে আমি ঠিকই ছিলাম শুধু একটি আশায় আমি বড় হব আমি মানুষের মত মানুষ হয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে যে পরিস্থিতি আসুক না কেন আমি হেরে যাবো না হেরে যাওয়ার জন্য আমার জন্ম হয়নি আমাকে জিততে হবে বাবা-মার পায়ে দাঁড়াতে হবে আমের সংসারের সুখ স্বাচ্ছন্দ্যের ফিরিয়ে আনতে হবে,অনাগত সন্তানদের ভবিষ্যতের জন্য মা হিসেবে আমার দায়িত্ব পালন করতে হবে.আমার সন্তানদের কাছে একজন ভালো যোগ্য মা হতে পারি সেজ লড়াই করতে হবে আজ এখনী এখন থেকেই......
টাকা ইনকাম করা অনেক কষ্টের ____
দিনের পর দিন অত্যাচার সহ্য করে মাসে 12000 টাকা বেতন পেয়েছি দিনশেষে একবেলা খেয়েছি,দু চোখের পাতায় ঘুম আসেনি,বারবার মনে হতো কবে ঋণ শোধ করবো.দেখতে দেখতে অনেকটা সময় পার হয়ে গেল একটু একটু করে ঋণের বোঝা হালকা হতে শুরু করল.এক সময়ের সব পাওনাদারের ঋণ মিটিয়ে দিলাম.
দুচোখের পাতায় স্বপ্ন দেখতে শুরু করলাম আমি নিজের জন্য কিছু করব.এক মাসের টাকা জমা করলাম.শশুরকে বিশ্বাস করে তার হাতে টাকা তুলে দিলাম.বললাম আমার জন্য কিছু জায়গা জমিন কিনেন,যাতে বাড়িতে এসে চাষাবাদ করে তিন বেলা খাওয়া যায়,আমার বিশ্বাস এর ত্রুটি ছিল না ভরসা ছিল আকাশছোঁয়া,কিন্তু জানা ছিলনা,অন্যের জন্য কিছু করলেও অন্যজনে মালিক হয়,নিজে কিছু হাওয়া যায় না।সময় পরিস্থিতি আপনজনেরা আমার সাথে বেইমানি করল,,পায়ের নিচে বিশ্বাসের মাটি টুকু একটু একটু সরে যেতে লাগল,বাবা মার হাতে কিছু টাকা দিয়েছিলাম আমার ভবিষ্যৎ দেওয়ার জন্য,
সেখানে অনিয়ম,,কষ্টের বেড়াজালে আবার আমি ভবঘুরে।বারবার হেরে গিয়েও ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখলাম ভাবলাম কিছুই হয়নি এখনো শুরু করিনি আমি জিৎবই........
স্বপ্ন আমার গুড়ে বালি _____
কিছু কিছু স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যায়,প্রবাসীদের স্বপ্ন ধরাছোঁয়ার বাইরে,যখনই আমার উঠে দাঁড়ানোর সময় এলো ঠিক তখনই লেবাননের সংকট দেখা দিলো,লেবাননের লিরার মূল্য ক্রমশ হ্রাস পেতে শুরু করল.ধীরে ধীরে আমরাও কর্মহীন হয়ে পড়লাম.,এরই মাঝে বংশবিস্তার কারি ভয়ানক মহামারী কোভিড _19-এর মরণ ছোবল শুরু হলো,প্রতিদিনই হাজার হাজার মানুষের তোর সংবাদ সারি সারি গাড়ি বাহি লাশ চোখের সামনে দিয়ে আসা যাওয়া করত,অনির্দিষ্টকালের জন্য রেড অ্যালার্ট ডাকা হল,মানুষ আরো কর্মহীন হয়ে পরলো,,সুখের প্রবাস,নেই চাকরি,নেই টাকা,নাই ঘরের খাবার,দিন চলে যায় সময় চলে যায়,দু চোখের স্বপ্ন ভেঙে চুরে চুরমার হতে লাগলো,,মনে মনে ভাবতে লাগলাম,,আর বুঝতে পারলাম না জিততে,,আমি মনে হয় শুরু করার আগেই হেরে গেলাম,,দিন দিন লেবাননের আর্থিক অবস্থার আরো অবনতি ঘটতে থাকে,,এর মাঝে এক অগ্নিকাণ্ড বিস্ফোরণ ঘটে,,পৃথিবীর প্রত্যেকটা মানুষ চোখের পানি ঝরিয়েছে,এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা দেখে,,ভয়-ভীতির মাঝে বেসেছিলাম কোন রকম।লেবাননের লিরার মান 2 বছর আগে ছিল 1.50সমান 1 ডলার এখন হয়েছে 13.সমান 1 ডলার।অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে দ্রব্যাদির দাম বেড়েছে আকাশছোঁয়া বর্তমান সময়ে লেবাননে বেঁচে থাকা দায়,88 এর বন্যা আমি দেখিনি,দেশ স্বাধীনের পর কতটা অভাব ছিল কারো মুখে শুনিনি,তাকে ও হার মানিয়ে দেবে আজ লেবাননের অবস্থা,তবুও বেঁচে আছি এক বুক স্বপ্ন নিয়ে,হয়তোবা নেওয়া লেবানন ঠিক হয়ে যাবে হয়তো আগের পরিস্থিতি ফিরে আসবে আশায় মানুষ বাচে আমরাও লেবানন প্রবাসীরা সে রকম বেঁচে আছি।
অন্ধকারের মাঝে আলোর সন্ধান ____
যখন আমি চোখের সামনে আমার স্বপ্নগুলো হারিয়ে যেতে দেখেছি,কষ্টের জর্জরিত সময়ে যখন হাল ছেড়ে দিয়েছি ঠিক ওই মুহূর্তে আমি পরিচিত হই নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন এর সাথে,এনআরবি লেবনান টিমের সম্মানিত কমিউনিটি ভলান্টিয়ার,ফাতেমা হাসান আপু আমাকে যুক্ত করিয়ে দেন এই প্লাটফর্মে, এখানে যুক্ত হওয়ার পরে,দেখি আমার মত অনেক বোনেরাই আছে এখানে,সর্বোপরি আমাদের এনআরবি লেবনান টিমের কান্ট্রি আমার সাবিনা আপু একজন উদার মনের মানুষ।সে যেভাবে একটু একটু করে ভালোবেসে আমাদেরকে শিখিয়ে যাচ্ছে প্ল্যাটফর্ম থেকে কিভাবে উদ্যোক্তা হতে হয়,অনুপ্রেরণা দিয়ে যাচ্ছে প্রতিদিন প্রতিনিয়ত,কান্ট্রি অ্যাম্বেসেডর সুমন রায়হান ভাই,,আমাদেরকে সান্তনার বাণী শোনালে প্রতিদিন,সে সব সময় বলে হেরে যাওয়ার নাম জীবন নয় পরিস্থিতির মাঝে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকার নামই সংগ্রাম,,আমাদের কমিউনিটি ভলান্টিয়ার রমিজ আহাম্মেদ ভাই মেহেদী হাসান ভাই প্রতিনিয়তঃ আমাকে সাহস যুগিয়েছে,শান্তা আপু রোজিনা আপু অনেক ভরসা দিয়েছে,,প্রিয় মেন্টরের সেশন নিয়ে প্রতিদিন দেড় থেকে দুই ঘন্টা ক্লাস করে যাচ্ছি আমরা,,প্রিয় মেন্টর সেশন গুলো পড়ে মনে সাহস পাচ্ছি,ভরসা পাচ্ছি নুতন করে,,লেগে আছি শিখছি প্রতিদিন শিখবো ইনশাআল্লাহ,
সবাই দোয়া করবেন আমাদের জন্য,বিপদ থেকে যেন আমরা মুক্তি পাই,আমরাও যেন ঘুরে দাঁড়াতে পারি।
"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৫০১
Date:- ০৩/০৪/২০২১
ধন্যবাদান্তে
----------------------------------
সুরভী আক্তার
নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশনের গর্বিত সদস্য
ব্যাচ নং:১৩
রেজিস্ট্রেশন:৫৪৩৫৮
জেলা:মানিকগঞ্জ
উপজেলা: সিংগাইর
বতর্মানে লেবনন অবস্থানরত