বুক ভরা স্বপ্ন নিয়ে অনেক আশা নিয়ে দুজনে মিলে বিদেশ চলে আসি
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি
আশা করি সকলেই ভাল আছেন।আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে সুস্থ আছি। হাজার হাজার শুকরিয়া আল্লাহর কাছে।এই অসুস্থ পৃথিবীতে এখনও আমাদেরকে সুস্থ রেখেছেন।আলহামদুলিল্লাহ।
পরম দয়াময় আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করে কখনো শেষ হবে না। শান্তি বর্ষিত হোক আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর। আল্লাহ যেন সকলকে সুস্থ রাখেন। এই করোনার হাত থেকে আমাদের সকলকে মুক্ত রাখেন দোয়া করি।
চারিদিকে হাহাকার মৃত্যুর মিছিল।হাজার হাজার মানুষের জীবন কেড়ে নিয়েছে করোনা।হাজার হাজার মানুষ অসুস্থ।তার মধ্যেও আমরা এখনো সুস্থ আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আমার ছোট্রবেলা
_______________
আমার বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর থানা একটি প্রত্যন্ত গ্রামে।আমি বাবা মা আর 2 বোনের সংসার প্রথমে আমার বড় বোন তারপরে আমি তারপর আমার ছোট বোন। আমার জন্মের ছয় মাস পরে আমার বাবা বিদেশে চলে যায়।আমাদের ফ্যামিলি টা তখন খুব ভালোই চলছিল একটি মধ্যবিত্ত সচ্ছল ফ্যামিলি ছিল। আমরা তিন ভাই বোন খুব আদরের সাথে বড় হতে লাগলাম কখনো আমার বাবা আমাদের কোন ইচ্ছা অপূর্ণ রাখেনি। সর্বদা আমার বাবা আমাদেরকে ভালো রাখার চেষ্টা করেছে।আমি আমার বাবাকে সামনাসামনি ছোটবেলায় দেখিনি আমার বাবার গল্প শুনতাম আর মায়ের কাছে। সর্বদা একটাই প্রশ্ন করতাম আমার বাবা কবে বাড়ি আসবে কবে আমার বাবাকে দেখব। আমি মাঝে মাঝে মনের মাঝে আমার বাবার ছবি অংকন করতাম যে আমার বাবা এমন হবে।আস্তে আস্তে করে আমি বড় হতে থাকে এবং আমার চাহিদা বাড়তে থাকে আমি সর্বদা আমার মাকে বলতাম যে আমার এইটা লাগবে ওইটা লাগবে।আমার মা সব সময় ইচ্ছা পূরণ করার জন্য চেষ্টা করেছেন। প্রথমদিকে আমার বাবার স্যালারি টা ভালো ছিল না আমাদের সব ইচ্ছা পূরণ করার চেষ্টা করত।
আমার যৌবন কাল
_________________
দেখতে দেখতে আমি ক্লাস ফাইভ শেষ করে ক্লাস সিক্সে উঠি। আমি পড়ালেখা মোটামুটি ভালো ছিলাম। আমি সিক্সে উঠার পর আমার বাবার কাছে বায়না ধরি আমার একটি সাইকেল লাগবে।বাবা আমাকে একটি সাইকেল কিনে দেন। দেখতে দেখতে সেভেন এইট ক্লাস শেষ করি। এর মাঝে আমার বড় বোনের বিবাহ আসে।আমার বাবা আমার বোনের বিয়ে দিতে অনেক টাকা খরচ হয়।আমার বাবার সঞ্চয় যা ছিল সব বোনের বিয়েতে লাগে। এর মাঝে আমার বাবা দেশে আসতে চেয়েছিল কিন্তু টাকা না থাকায় আসতে পারে নাই। দেখতে দেখতে আমিও জেএসসি পরীক্ষা শেষ করে ক্লাস নাইনে ভর্তি হই। দিন যায় আমার ফ্রেন্ডসার্কেল বাড়তে থাকে। এবং তার সাথে সাথে আমার চাহিদা বাড়তে থাকে।আমি সবসময় মা-বাবার কাছ থেকে বেশি বেশি টাকা নিয়ে বন্ধুদের পেছনে খরচ করতাম। আমি এই একটা জিনিস ভাবতাম আমার বাবা বিদেশ থাকে।আমি কেন গরিবের মতন চলবো সর্বদা বড় লোকের মত চলার চেষ্টা করতাম। আমি কখনো ভাবি নি বিদেশ অনেক কষ্টের।আমি ভাবতাম আমার বাবার ওখানে অনেক টাকা ওখানে টাকার গাছ আছে ওখান থেকে পেরে আমাদেরকে দেয়। দেখতে দেখতে আমি নাইনে পাস করে ক্লাস টেনে উঠে।টেনে উঠার পর আমার সব কিছুতে টাকা বেশি লাগে। বেশি প্রাইভেট পড়তে হয় কোচিং করতে হয় এবং তার সাথে ফরম ফিলাপ দেখতে দেখতে আমার এসএসসি পরীক্ষা চলে আসে।আলহামদুলিল্লাহ আমি এসএসসি তে জিপিএ ৩.৮৮ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়। আমার বাবার স্বপ্ন ছিল পড়ালেখা করে আমি অনেক বড় হবো। এর জন্য আমার বাবা আমাকে শুধু পড়ালেখা করার জন্য বলতো আমি কখনো কোন কাজ করিনি কোন কাজই করেনি এবং কাজ করতে পারতাম না। আমার বাবার স্বপ্ন ছিল আমাকে ভালো কলেজে পড়াবে।এর কারণে আমাদের সাভারে সবচাইতে ভালো কলেজে আমাকে এডমিশন করাই। যেন আমি ভালো করে পড়তে পারি। এভাবেই আস্তে আস্তে করে আমার এইচএসসি শেষ হয়ে যায়। এর মাঝে আমার বাবা বিদেশ থেকে প্রায় 19 বছর পর দেশে চলে আসে।এখানে আমাদের খুশি হওয়ার কথা ছিল সেখানে আমরা খুশি হতে পারেনি।কারণ আমার বাবা একেবারেই শূন্য হাতে দেশে ফিরেআসে।আমার বাবাকে দেশে আনার জন্য আমরা ওইখানে টাকা পাঠিয়ে টিকিট কাটিয়ে আনা হয়।
হঠাৎ স্বপ্ন ভাঙ্গার ঝড়
__________________________
আমার বাবা একেবারে শূন্য হাতে দেশে আসে। আমাদের যা টাকা ছিল সবি চলে যায়। আমার লেখা পড়ার পেছনে এবং আমাদের বড় করে একটি ঘর দিতে সব টাকা শেষ হয়ে যায়।দীর্ঘ প্রায় 19 বছর বিদেশ করার পরও শূন্য হাত হতে হয়েছে।দিন যাচ্ছে আমাদের অবস্থা অনেক খারাপের দিকে যাচ্ছে। আমাদের ফ্যামিলি মেম্বার চারজন আমার আব্বা ধারদেনা করে কিছুদিন চলতে লাগলো। এভাবে কি আর চলা যায় কিছু একটা করতে হবে কি করবে দীর্ঘ 19 বছর প্রবাসে কাটালো তাও তার কষ্ট দূর হলো না। এর মাঝে অভাবের কারণে আমি আমার পড়ালেখা বন্ধ করে দেই।কারণ যেখানে আমাদের সংসার চলতে ছিল না সেখানে কিভাবে পড়ালেখা করি।কিছু দিন যেতে না যেতেই আমি বিয়ে করে ফেলি বাড়ির সবার সম্মতিতেই। এর মাঝে যেখানে ফ্যামিলি মেম্বার ছিল চারজন পাঁচজন এ রূপান্তরিত হয়েছে। যেখানে 4 জনের খাবার জোগাড় করতে হিমশিম খেতে হতো সেখানে 5 জন আমাদের তিন বেলা খেতেই কষ্ট হতো। কিছু কিছু সময় শুধু আলু ভর্তা কালিজিরা ভর্তা দিয়ে ভাত খেতাম এভাবেই চলতে লাগল ছয়টি মাস।হঠাৎ করে বাবার একটা চাকরি হয়েছে বাবা চলে যায় মা আর ছোট বোনকে নিয়ে গাজীপুরে। বাসায় থাকি শুধু আমি আমার বউ।ওইখানে যে টাকা বেতন পায় তা তাদের লেগে যায়। আমাকে মাঝে মাঝে কিছু টাকা দিত কিন্তু সেটা দিয়ে আমার চলতো না। আমার বউ এর মাঝে লেখাপড়া করতো সে তার বাবার বাড়িতে থাকতো বেশিরভাগ সময়। তার সুবাদে তার বাবা তার ভরণপোষণের দায়িত্বে ছিল। আমার অনেক দিন গেছে তিন বেলার দুবেলা খেয়ে ছিলাম।আমার কাছে দুইটা টাকা ছিলনা বলে আমাকে বাসের ছাদে করে শ্বশুরবাড়ি গিয়েছে।আমার বউ মাঝে মাঝে তার হাত খরচের টাকা তার বই এর ভিতরে করে তার ভাইয়ের কাছে পাঠিয়ে দিত আমাকে দেওয়ার জন্য। একজন মানুষ তার লাইফ পার্টনার এর কাছ থেকে যে ধরনের সাপোর্ট চায় আমি তার চাইতে বেশি পেয়েছি।আমার নতুন বউ কখনো বলেনি যে আমার এটা লাগবে ওইটা লাগবে। সে সব সময় বলতো আমাকে আপনি অনেক ভালবাসবেন। আমি তাকে দুই বছরে মাত্র তিনটা থ্রি-পিস কিনে দেই।যেখানে বিয়ের পর মেয়েরা এক বছরে 10 টা থ্রি পিস ব্যবহার করে। তার কোনো চাহিদা ছিল না সে সর্বদা বলতো ভালোবাসার কোনো চাহিদা থাকে না। ভালোবাসা থাকে দুজনের আন্তরিকতা এবং শেয়ারিং কেয়ারিং। সে সব সময় বলতো আমাদের অনেক টাকার দরকার নেই আমরা যেন একসাথে একটু ভালো থাকতে পারি।
____ আমার দায়িত্ব ও কর্তব্য____
এভাবে কিছুদিন যাওয়ার পর আমার বাবার ঐখানে আমার চাকরি হয়ে যায়। যার সুবাদে আমি আমার বউ কাজের এখানে চলে যায়।অল্প টাকা বেতনে কাজ করি কিছুদিন আমি ভাবতে থাকি এভাবে কি করে জীবন চলবে।এর কারণে আমি আমার বউয়ের সাথে শেয়ার করি যে আমাকে বিদেশ যেতে হবে। সে সাথে সাথে রাজি হয়ে যায়।কিন্তু সে আমাকে একটি শর্ত দেয়। সে বলে এই জীবন যুদ্ধে সেও আমার সাথে যুদ্ধ করবে এর কারণে সে আমার সাথে বিদেশ যেতে চায়।এর কারণে আমার বেতনের টাকা দিয়ে আমি শুরুতে দুইটা পাসপোর্ট তৈরি করি।পাসপোর্ট করার পর আমার অনেক কাছের একজন রিলেটিভ লেবাননে থাকে।তার সাথে আলোচনা করে সে আমাকে আশ্বাস দেয়।যে সে আমাদের দুজনকে একসাথে লেবাননে আনবে।অনেক কষ্ট করে ধারদেনা করে মায়ের গহনা বউয়ের গহনা বিক্রি করে আমি আমার বউ দুজনে মিলে দূর প্রবাসে অনেক স্বপ্ন নিয়ে পাড়ি জমায়।
____ আমার প্রবাস জীবন____
______________________________
বুক ভরা স্বপ্ন নিয়ে অনেক আশা নিয়ে দুজনে মিলে বিদেশ চলে আসি।আমি ভেবেছিলাম বিদেশে অনেক টাকা। দুজনে মিলে কাজ করব কাজ করে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করবো। বাবাকে একটু ভালো রাখবো কিন্তু এখানে এসে যা দেখলাম তার জন্য আমি প্রস্তুত ছিলাম না। অনেক পরিশ্রম করে বিদেশে টাকা ইনকাম করতে হয় প্রায় 14 ঘন্টা 16 ঘন্টা ডিউটি করতে হয়।যেখানে আমি কোন দিন কাজই করেনি সেখানে কিভাবে এত কাজ করব। প্রথমদিকে আমাদের দুজনের কোনো কাজ ছিল না। আমার বউয়ের বড় বোন বড় ভাই লেবাননে থাকে তারা দু'জনই আমাকে অনেক হেল্প করেছেন সর্বদা। আমরা দুজনে যে টাকা ইনকাম করতাম তা দিয়ে আমাদের খেতে এবং ঘর ভাড়া দিতেই শেষ হয়ে যেত। আমি সবসময় ভাবতাম আমি অনেক টাকা ঋণ করে এসেছি আমাকে কিছু একটা করতে হবে আমার বাবা জন্য কিছু একটা করতে হবে। সেটা করা সম্ভব হচ্ছিল না এর মাঝে আমার অনেকদিন কাজ ছিল না আমি কাজের জন্য রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছি কিন্তু কোনো কাজ পায়নি। সব কষ্টের পরে একটু সুখ থাকে এর মাঝে আমার বউ অফিসে ভালো একটি কাজ পেয়ে যায়। ভালো টাকা বেতন পায় এই কিছুদিন আমাদের সংসার ভাল চলল এবং আমার সব ঋণ শোধ করলাম।ঋণ শোধ করার পর আমার বাবাকে আমি বললাম বাবা তুমি অনেক কাজ করেছি জীবনে।আমি আর তোমাকে কাজ করতে দেবো না।আমার বাবার কর্মজীবনের ইতি টেনে আমি বাড়িতে পাঠিয়ে দেই।
কারণ আমি দেখেছি আমার বাবা জীবনে অনেক কষ্ট করেছি।আমি চাই আমার মা বাবাকে একটু ভালো রাখতে সুখে রাখতে এভাবে প্রায় দুই বছর শেষ হয়ে গেল।যে সময় আমি আমার স্বপ্নটা তৈরি করব ঠিক তখনই হঠাৎ ঝড়ের বেগে লেবাননের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হয় তার পাশাপাশি করুণা ভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে যায় সবকিছু মিলে অনেক কষ্টের মাঝে জীবন চলছিল। মনে হচ্ছিল এই বুঝি আমি হেরে++ / যাচ্ছি এই বুঝি আমার বাবার মতন আমার পরিস্থিতি হতে যাচ্ছে।আমি ঠিক মতন রাতে ঘুমাতে পারতাম না।একটা চিন্তাই মাথায় ঘুরপাক খায় যে আমি এখন কি করবো।আমি যদি দেশে টাকা না পাঠায় তাহলে আমার মা-বাবা না খেয়ে থাকবে।
এভাবে রাতে ঘুমাতে পারি না কিভাবে আমি দেশে টাকা পাঠাবো।কিভাবে আমার ফ্যামিলির মুখে হাসি ফোটাবো। যেখানে আমি প্রত্যেক মাসে 50000 হাজার টাকা দেশে পাঠাতাম।এখন আমি 5000 টাকা পাঠাতে পারবোনা এভাবে রাতে আমি ঘুমাতে পারতাম না। আমি অনেক ভেবেচিন্তে একটা বিজনেস প্লান আমার মাথায় আসে। আমার কিছু টাকা ব্যাংকে ছিল সেই টাকাটা আমি আমার বিজনেসের মূলধন হিসেবে শুরু করি।আমি লেবাননে বসে বিকাশ ফ্লেক্সিলোডের বিজনেস শুরু করি।প্রথমদিকে আমি অতটা সাড়া পায়নি। আস্তে আস্তে আমার গ্রাহক বাড়তে থাকে আমি লাভের মুখ দেখি।কিছুদিন যাওয়ার পর লেবাননের অর্থনৈতিক অবস্থা আরো দষ নামে এর কারণে আমার দেড় লক্ষ টাকার হয়ে দাঁড়ায় 70 হাজার টাকায়।আমি অনেক হতাশ হয়ে পড়ি এখন আমি কি করব আমি আমার ব্যবসাটি বন্ধ করে দেই। কিছুদিন যাওয়ার পরে আমার বউ আমাকে সাজেস্ট করে যে আপনি আবার নতুন করে শুরু করতে পারেন। আমি আবার নতুন করে শুরু করি বাজারের সাথে তাল মিলিয়ে লেগে থাকি। আমি আজকে লেবাননের সফলভাবে ব্যবসা করতে পারছি। শুধু লেগেছিলাম বলে আমি হারার আগে হেরে যায়নি। সাহস নিয়ে সামনে এগিয়ে গিয়েছি কিন্তু মনের ভেতরে একটা প্রশ্ন ছিল। যে আমি লেবাননে বিজনেস করছি আমি যদি লেবানন থেকে দেশে চলে যায় তারপর আমি কি করবো।কিছুই ভেবে ভেবে পাচ্ছিলাম না আমি ভাবতে থাকলাম কি করা যায় কি করব কিছুই পাচ্ছিলাম না।তেমনভাবে অনেক দিন যাওয়ার পর হঠাৎ করে আমাদের পাশের একটা রেস্টুরেন্টে নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশনের খোঁজ পাই।আমি গিয়ে দেখি স্যারের ছবির নিচে চারটা লাইন লেখা।
লেখাগুলো এমন:
🏝শুরু করুন
🏝সাহস করো
🏝লেগে থাকুন
🏝সফলতা আসবেই ইনশাল্লাহ
এই মোটিভেশনাল কথা গুলো দেখে আমি জানতে চাই। এটা আসলে কি তৎক্ষণাৎ এই ভালো মানুষের প্ল্যাটফর্মের প্রিয় ভাইয়েরা। আমাকে খুব সুন্দর করে বুঝিয়ে দিলেন যেটা একটি উদ্যোক্তা তৈরি প্ল্যাটফর্ম। এখান থেকে যেমন উদ্যোক্তা হওয়া যায় তেমনই ভালো মানুষ হওয়া যায়। আমি দেরি না করে সাথে সাথে লেবানন এন আর বি লেবানন টিমের কান্ট্রি এম্বাসেডর সুমন ভাইয়ের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করি।আমি যেখানে ভাবতাম আমার দ্বারা কিছুই হবে না।সেখানে আমি ভাবতে শিখেছি আমি কিছু করতে পারবো। আমার দ্বারা সবই সম্ভব আমি প্রতিদিন স্যারের সেশন গুলো বুকের ভেতর ধারণ করে নতুন কিছু করার স্বপ্ন দেখি।কিছু দিন যাওয়ার পর আলহামদুলিল্লাহ আমি বাংলাদেশ একটি বিজনেস শুরু করে দেই। স্যার একটি কথা বলেন আগে শুরু করতে হবে তারপর কি হয় দেখা যাবে।আমি শুরু করে দিছি স্যারের কথা অনুযায়ী।আলহামদুলিল্লাহ আমি ভালো রেসপন্স পাচ্ছি।আমি এখন স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছি যে স্বপ্নটা ঘুমিয়ে নয় যে স্বপ্ন ঘুমাতে দেয় না সে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছি। সবাই আমার ব্যবসা জন্য দোয়া করবেন। যেন স্যারের শিক্ষা বুকে ধারণ করে সফলতা অর্জন করতে পারি।
---একজন ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার এবং কৃতজ্ঞতা---
আমি চির কৃতজ্ঞ আমাদের প্রিয় মেন্টর জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের প্রতি।তার অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে এত সুন্দর একটি নিজের বলার মত গল্প ফাউন্ডেশন পেয়েছি।যেখান থেকে আমরা প্রতিনিয়ত ভালো মানুষ হতে পারছি,শিখছি কিভাবে একজন সফল উদ্যোক্তা হতে পারব এবং পরিবারের সকলকে ভালো রাখতে পারবো।তার কাছে আমরা ঋনি,বিনাস্বার্থে তিনি আমাদেরকে শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। এমন একজন ভাল মানুষ পেয়ে আমি খুবই আনন্দিত।তিনি শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছেন কিভাবে নিজেকে একজন ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবো এবং সফল উদ্যোক্তা হতে পারব, নেটওয়ার্কিং বাড়াতে পারবো, মানুষের সাথে বন্ধুত্ব সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারব। ধৈর্যশীল মানুষ হওয়া মানুষকে কিভাবে সাহায্য করবো।কিভাবে মানুষের থেকে সাহায্য নিব।সকলের পাশে থাকতে হবে সবই তিনি আমাদের বুঝাচ্ছেন।
"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"-৫১৪
তারিখ :- ২১.০৪.২০২১
শুভেচ্ছান্তে
_____________________
মোহাম্মদ মেহেদী হাসান
কমিউনিটি ভলান্টিয়ার
১২তম/৪৮১১৯
মানিকগঞ্জ
ব্লাড গ্রুপ:A+
বর্তমানে লেবানন
নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন