প্রেমে যে আমি আনাড়ি কিভাবে বলবো ভালোবাসি
গল্পের শুরুটা ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে হলেও গল্পটা ২০১১ সালের।
🌿🌿২০১১ সালের জানুয়ারী মাস🌿🌿
আমি তখন সবে মাত্র ক্লাস নাইনে উঠলাম, মনের ভেতরে নানা রকমের রঙ, কতো না স্বপ্ন, কতো না আশা। এভাবেই চলছিল দিন_রাত।
হঠাৎ করেই একদিন (২০১১ সানের এস এস সি পরিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানে) চোখ দুটি থোমকে গেলো লাল টুকটুলে শাড়ি পড়া এক মেয়ের দিগে।
এ যেন হাজার বছরের চেনা,কোথাও যেন দেখেছি। এক পলকের দেখায়ই প্রেমে পড়ে গেলা (Love at fast side)
প্রেমে যে আমি আনাড়ি কিভাবে বলবো ভালোবাসি..?
🌿বান্ধবীর সহায়তায় মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রেম নিবেদন হয়ে গেলো 🌿
♻️এক দিন, দুই দিন, এক মাস বছর এভাবেই কেটে যাচ্ছিল আমাদের সম্পর্কের বন্ধন♻️
🌹🌷ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ হতে না হতেই জান্নাতুল ইসলাম শিমু চলে আসলেন আমার ঘরে। বিয়েটা পারিবারিক ভাবেই হয় তবে তেমন একটা ধুমধাম করে নয় অল্প কয়েকজন গিয়ে তুলে নিয়ে আসি তাকে🏵️🏵️
🌿🌿শুধুমাত্র পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ছাড়া বন্ধু-বান্ধব কাউকেই বলা হয়নি বিয়েতে....🌿🌿
🌱🌱না বলার পেছনে অবশ্য কারণ ছিলো, বাবা-মা কেউই চাননি এই বয়সে আমি বিয়ে করি কিন্তু কিভাবে কেমন করেই যেন বিয়েটা হয়ে গেলো। 🌱🌱
☘️☘️আমি তখনো বেকার কোন চাকরি নেই স্ববে মাত্র সেমিস্টার ফাইনাল পরিক্ষা দিয়ে আসছি ঠিক তখনই বিয়ে আমি নিজেও অবশ্য প্রস্তুত ছিলাম না বিয়ের জন্য।☘️☘️
"জন্ম,মৃত্যু, বিয়ে এই তিনটি বিধাতা আগে থেকেই নির্ধারণ করে রেখেছেন"
➡️বিয়ের কিছুদিন পরেই একটা প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে চাকরি হয়ে গেলো।⬅️
চাকরি করলেও একটা দিনও চাকুরীতে মন বসাইতে পারতাম না,মনে ভেতরে সব সময় খেলা করতো কিছু একটা করার।
মাঝে মাঝে মনে হতো ব্যবসা করি, আবার নিমিষেই সেই চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে হতো।
কেননা নিজের ইচ্ছেতে বিয়ে করেছি এখন যদি ব্যবসায় লস খাই তাহলে যে সব শেষ হয়ে যাবে।।
এভাবেই কেটে গেলো একটা বছর।।
অবশেষে কোন এক পত্রিকার মাধ্যমে সন্ধান পেলাম__
"অনলাইনে ৯০ দিনের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সফল উদ্যোক্তা তৈরি করে যাচ্ছেন Iqbal Bahar Zahid স্যার একদম বিনামূল্যে।"
এই লিখাটা দেখেই আমি থমকে গেলান পত্রিকার পাতায় সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি পড়ে ফেসবুকে সার্চ দিলাম
" Young Entrepreneurs "নিজের বলার মতো একটা গল্প" ফাউন্ডেশন " লিখে। অনেক খুজে বেড় করে তিনটা প্রশ্নের উত্তরের মাধ্যমে গ্রুপে প্রবেশ করলাম তখন ৭ ব্যাচ রানিং ছিলো। তেমন কিছুই বুঝতাম না তাই বেশ কিছুদিন ফলো করে গেলাম।।
৮ ব্যাচে রেজিষ্ট্রেশন করার পর টানা ৯০ দিনের প্রশিক্ষণ নিয়ে নিলাম।।
৯০ দিনের প্রশিক্ষণ নেওয়া সময় নিজেকে একটু ভালো করে ব্যান্ডিং করে নিলাম ইবনে সাইম রানা ভাইয়ের পরামর্শে কথা বলার জড়তা কাটানোর ভিডিও সেশন এবং টপ_২০ এ জায়গায় পাওয়া মাধ্যমে।।
কিছুদিন যেতে না যেতেই পার্টনার শিপের মাধ্যমে দু'জনে গার্মেন্টস আইটেম নিয়েই শুরু করলাম।।
শুরুটা তেমন ভালো না হলেও এক মাস পরে নিজেদের পরিকল্পনা পরিবর্তন করে আপডেট কিছু পোডাক্ট তুলার সাথে সাথেই সাড়া পেয়ে গেলাম আমি...
প্রথম মাসে শুন্য সেল হলেও দ্বিতীয় মাসে গিয়েই লাখ টাকাও বেশি সেল করি ফেলি খুবই অনায়াসে।।
যেহেতু আমি এবং আমার পার্টনার দুইজনের জব করতাম (গার্মেন্টস এ) তাই বেশির ভাগ সময় ব্যস্ত থাকার ফোন তুলে দিতাম আমার জীবন সঙ্গীনির হাতে টুং টাং ম্যাসেজের রিপ্লাই দিয়ে যায় আমি হয়ে।
সামনে ঈদ তাই কাস্টমার বেশিই ছিলো, সারাদিন অফিস করে রাতেও রেস্ট নেওয়া হতো না তেমন একটা রাত ২-৩ টা প্রর্যন্ত চলতো আমার কাস্টমারদের সাথে চ্যাটিং, রাতে অর্ডার কনফার্ম করে চলে যেতাম অফিসে।।
এভাবেই চলতে থাকে আমার ৯ টা ৫ টা ভুলে নিজের কাজের প্রেমে পড়ে কাজটাকে ভালোবেসে পেছনে না তাকিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়া।।
আমার এই এগিয়ে যাওয়ার পেছনে এবং সামনে থেকেই সব সময় সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছেন আমার সহ-ধর্মিনী।
কখনো কাস্টমার ম্যানেজ, কখনো সেল সেল পোস্টের কন্টেন্ট সাজানো বা কখনো ডেলিভারি ম্যানও বটে।
এভাবেই চলছে দিন-রাত,সাপ্তাহ,মাস.......... বছর।
"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"-৫১৫
তারিখ :- ২৩.০৪.২০২১
👷মোঃ সোহেল রানা
ক্যাম্পাস এম্বাসেডর (NPI University Of Bangladesh)
সদস্যঃ ক্যাম্পাস অর্গানাইজ টিম
টপ_২০ ক্লাব মেম্বার।
ব্যাচ ৮ম,রেজিঃ৫০০২
জেলাঃ টাংগাইল
বর্তমান অবস্থানঃ গাজীপুর