তখন আমি আর আমার স্বামী দুজনেই চিন্তা করলাম আসলেই কারো উপকার করলে তার প্রতিদান অবশ্যই পাওয়া যায়।
🍀বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম,,,
🍀হাট বার 🍀হাট বার 🍀 হাট বার,🍀
🍀গল্পের☘ ছলে 🍀ক্রয়-বিক্রয় 🍀
☘"আসসালামু আলাইকুম"☘
🍀আমি শুকরিয়া আদায় করি ঐ মহান আল্লাহর দরবারে যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন এবং এই মহামারি করোনার মধ্যে দিয়ে সুস্থ রেখেছেন। আলহামদুলিল্লাহ,,
🍀 আমি ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাই আমাদের প্রাণ প্রিয় শিক্ষক, মেন্টর জনাব #ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারকে। তিনি তার অক্লান্ত পরিশ্রমে মাধ্যমে আমাদের মাঝে সুন্দর একটি প্লাটফর্ম তৈরী করে দিয়েছেন।
🍀বাংলাদেশে এই প্রথম “নিজের বলার মতো 🍀একটি গল্প ফাউন্ডেশন” এর "সাপ্তাহিক অনলাইন হাট"
🍀নিজেদের পণ্য কিনে হোন ধন্য"
প্রতি মঙ্গলবার, সকাল ৯ টা থেকে রাত ৯ টা টানা ১২ ঘণ্টা।
🍀আমরা যাকে চিনি,,তার কাছ থেকে কিনি,আমাদের পরিবারের সমস্ত কেনাকাটা হোক নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশনের অনলাইন হাট থেকে,কি নেই আমাদের হাটে???
💞💞বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতায় অন্যকে উপকার করলে প্রতিদানে উপকারেই পাওয়া যায় 👇👇👇👇👇👇
👉👉আজ থেকে ৩ মাস আগের কথা দিনটি ছিলো শনিবার। যেহেতু আমরা অনলাইন ও অফলাইনে প্রডাক্ট সেল করি তাই আমার স্বামী Forhad Chowdhury প্রডাক্ট কেনার জন্য বাসা থেকে বেরিয়ে রামপুরা থেকে বাসে উঠলেন গন্তব্যে যাওয়ার জন্য। ও যে সিটে বসছিলো তার সামনের ২ সিট আগে ১ টা ২৪-২৫ বছরের ছেলে বসে ছিলো। খিলগাঁও ফ্লাইওভার থেকে যখন বাসটি নাম ছিলো হঠাৎ ছেলেটা সিট থেকে পড়ে গেলো। সবাই খুব ভয় পেয়ে গেলো। সবাই যখন ছেলেটিকে দেখলেন, ছেলেটি তখন অচেতন। সবাই প্রথমে ভেবেছিলেন হয়তো ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে ছিলো। পরে আবার ভাবলেন নাকি স্টর্ক করলেন।সবাই একে অপরকে বলছিলেন ছেলেটাকে হাসপাতালে নিতে হবে না হলে বাঁচানো সম্ভব হবে না।সবাই বলছে কিন্তু কেউ এগিয়ে আসতে রাজি হচ্ছিলেন না।উপায় না দেখে আমার স্বামী সিদ্ধান্ত নিলেন সেই ছেলেটাকে নিয়ে হাসপাতালে যাবেন।কিন্তু সমস্যা হলো অন্য জায়গায় যেহেতু ছেলে অচেতন তাই তার পক্ষে ছেলেটাকে একা নেওয়া সম্ভব না।তাই সে বললো ,আমি তো যাচ্ছি অন্তত ১ জন আমার সাথে আসুন ছেলেটাকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য। যাক অবশেষে ১জনকে সাথে নিয়ে কাকরাইল সেন্ট্রাল ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ছেলেটাকে নেওয়া হলো।
☘️☘️ডাক্তার ছেলেটার কিছু টেস্ট করিয়ে বললেন,উনি স্টর্ক করেন নি।কেউ ওনাকে মারাত্মক বিষ জাতীয় কিছু খাইয়ে দিয়েছেন।আপনি তাড়াতাড়ি ওনাকে রাশমনো হাসপাতালে বা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ওয়াস করুন।কিছু টাকা দিলেই ওরা ওয়াস করে দিবে।দেরি হলে ওনাকে বাঁচানো সম্ভব হবে না।এই বলে ডাক্তার আমার স্বামীর নাম্বার নিলেন যেহেতু পুলিশকে জানানো লাগতে পারে।কিন্তু আমার স্বামীর সাথে যেই লোকটা আসলেন সে পুলিশের ঝামেলায় পড়তে চায় নেই বলে চুপিসারে কাউকে কিছু না বলে চলে গেলেন।ছেলের মোবাইল থেকে ছেলের মামার নাম্বার পেয়ে ফোন দিয়ে জানা গেলো ছেলেদের বাড়ি রাজশাহী। ঢাকায় ছেলের কেউ থাকে না।ওনারা এখন রওনা দিলে ৮-১০ ঘন্টা লাগবে ঢাকা আসতে।তাই ছেলেকে চিকিৎসা করানের জন্য অনুরোধ করলেন।
☘️☘️আমার স্বামীর কাছে যেহেতু বেশি টাকা ছিলো না কি করবে বুঝতে পারছিলেন না তখন সেন্ট্রাল ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের অ্যাএম্বুলেন্সের ডাইভার বললেন আমি ঢাকা মেডিকেল কলেজের হাসপাতালে দিয়ে আসতে পারব টাকা লাগবে না।যাক ও ছেলেটাকে নিয়ে একাই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওয়াস করার জন্য নিয়ে গেলেন। যখন ছেলেটার ওয়াস করছিলো তখন ছেলেটার ফোনে একটা কল আসলো। ও যখন ছেলেটার সব কথা বললো তখব যে ফোন দিয়েছে সে বললেন ওই ছেলে আমার কারখানায় কাজ করে। ওর কাছে আমার ৫০,০০০ টাকা ছিলো। আপনি থাকেন আমি আসতেছি।ও খুব চিন্তায় পড়ে গেলো একদিকে হাসপাতালে ওয়াস করার জন্য টাকা দিতে হলো তার উপর ছেলেটা যদি মারা যায় তাহলে ও পেসে যেতে পারে।এই সময় আমি ওকে কল দিলাম কই আছেন জানতে?তখন ও আমাকে সব কিছু খুলে বললো। সব শুনে আমাদের ঘরের সবাই রাগারাগি করছে, তাড়াতাড়ি ওকে চলে আসতে বল।ছেলেটার কিছু হলে ও বিপদে পড়ে যাবে।যদি ও আমার ও খুব ভয় ও চিন্তা হচ্ছিলো। তখন ও আমাকে শুধু একটায় কথা জিজ্ঞেস করছিলো, আজকে ওই ছেলেটার জায়গায় আমি ও থাকতে পারতাম।তখন তোমাদের কই অবস্থা হতো। আমি কি ছেলেটাকে রেখে চলে আসব।তখন আমি চিন্তা করলাম,আসলেই তো ওই ছেলেটাও তো কারো সন্তান। আমি ওকে বললাম তুমি থাকো আল্লাহ যা ভালো মনে করবেন তাই করবে।ও খুশি হলেও আমি কিন্তু চিন্তায় ছিলাম।যাক আলহামদুলিল্লাহ ছেলেটা কিছুটা চেতনা ফিরে পাওয়ার পর কিছুটা কথা বলতে পারচ্ছিলো।তখন ছেলেটার মালিক আসলেন আর ওকে ধন্যবাদ জানালেন। মালিকের একটা কথা ভালো লেগেছিলো টাকা গেলে টাকা পাওয়া যাবে কিন্তু একটা জীবন পাওয়া যাবে না।উনি আমার স্বামীর ফোন নাম্বার রেখে দিলেন।আর বাসায় আসার পর্যন্ত ছেলের বাবা-মা ওকে ফোন দিচ্ছিলো ঠিক মতো বাসায় আসছে কিনা আর শুধু ওর জন্য দোয়া করেছিলেন।
♦️♦️হঠাৎ গত কাল রাতে ওই ছেলের মালিক আমার স্বামীকে ফোন দিলেন।
🌿মালিকঃ আসসালামু আলাইকুম ভাই কেমন আছেন?
☘️আমার স্বামীঃ আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি ভাই।আপনি কেমন আছেন?
🌿মালিকঃ আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আমি আপনার ফেসবুকে দেখলাম আপনি কি পাঞ্জাবি সেল করেন।
☘️আমার স্বামীঃজ্বি ভাই।আমি অনলাইন ও অফলাইনে সেল করি।আমাদের নিজের একটা পেইজ আছে👇👇👇👇👇
জাহানারা সুলতান ট্রেডার্স
🌿মালিকঃআচ্ছা ভাই।আমাকে ২৩০ পিস পাঞ্জাবি দিতে পারবেন?আমি আমার কারখানার ছেলেদের ঈদের জন্য দিতে চাচ্ছি।
☘️আমার স্বামীঃআলহামদুলিল্লাহ ভাই দেওয়া যাবে। তবে আমার কাছে আসলে এখন এত টাকা নেই কেনার মতো। আমাকে ৪-৫দিন সময় দিতে হবে।
🌿মালিকঃটাকা নিয়ে চিন্তা করবেন না। যে মানুষ অন্যের উপকারে এগিয়ে আসে সে কখনো কাউকে ঠকাতে পারে না।আমি এখনি আপনাকে ফুল পেমেন্ট করে দিচ্ছি।
☘️আমার স্বামীঃ আলহামদুলিল্লাহ। ভালো থাকবেন ভাই।এই বলে ফোন রেখে দিলো।
👉👉তখন আমি আর আমার স্বামী দুজনেই চিন্তা করলাম আসলেই কারো উপকার করলে তার প্রতিদান অবশ্যই পাওয়া যায়।
👇👇👇👇👇👇👇👇👇
তাই আসুন আমরা সবাই যেটুকু পারি অন্যের উপকারে আসার চেষ্টা করি।
"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"-৫১৮
তারিখ :- ২৭.০৪.২০২১
ধন্যবাদান্তে
______আমি 🙋♀️নাসরিন আক্তার প্রিয়া
______কমিউনিটি ভলেন্টিয়ার
______ব্যাচঃ১১
______রেজিষ্ট্রেশনঃ৩২৯২৫
______জেলাঃলক্ষিপুর
______বর্তমান অবস্থানঃ চাঁদপুর
______কাজ করছিঃ পাঞ্জাবি, নামাজি হিজাব,খিমার সেট,থ্রি পিস,শাড়ি,গ্রাউন,কসমেটিকস ও এল আই ডি লাইট নিয়ে।
______পেজঃ👇👇👇👇👇
জাহানারা সুলতান ট্রেডার্স