বাবা জানিনা কেমন আছো ছোট্ট মাটির ঘরে
আজ আমি আপনাদের মাঝে তুলে ধরব আমার বাবার কিছু ভালোবাসা যাদের বাবা নেই পৃথিবীতে অবশ্যই হয়তো বা আমার পোস্টটি পড়ে প্রতিটা ভাই বোন বাবাকে স্মরণ করবে ইনশাআল্লাহ🌺🌺🌺
🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹বাবা জানিনা কেমন আছো ছোট্ট মাটির ঘরে🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹
জানো বাবা আজ তোমাকে অনেক মনে পড়ছে বাবা তুমি চলে গেছো পর থেকে
খোকা বলে কেউ ডাকে না।
জানো বাবা আজ তোমাকে ভীষণ মনে পড়ছে।
যাদের বাবা পৃথিবী থেকে চির বিদায় নিয়ে পরকালে চলে গিয়েছে এবং যাদের বাবা দুনিয়াতে আছে সকলের প্রতি অনুরোধ আপনারা আমার এই পোস্টটা অবশ্যই পড়বেন
বাবা মানে মাথার উপর বিশাল একটি বটগাছ এ কথাটা যাদের বাবা বেঁচে নেই।
তাড়াই হয়তোবা বেশি অনুভব করতে পারবেন।
আমি যখন ছোট্ট ক্লাস থ্রিরতে পড়ি তখন
স্কুল থেকে বাড়িতে এসে বারিটা খালি খালি লাগছে তখন আমার বাবা যেখানে কাজ করতেন সেখানে চলে গেলাম বাবা আদর করে বড় একটি মাছের মাথা দিয়ে নিজ হাতে হোটেলে বসিয়ে আমাকে খাওয়াইয়া দিলেন বাবা জানে আমি মাছের মাথাটা বেশি পছন্দ করি তাই বাবা নিজ হাতে খাওয়াইয়া দিলেন তারপর পকেটে কিছু টাকা দিয়ে গাড়িতে উঠিয়ে দিলেন তারপর ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস।
আমি যখন আমার গন্তব্যে পৌঁছে যাই তখন বেশ কয়েকবার গাড়িওয়ালা কে গাড়ি থামাতে বললাম কিন্তু সে কিছুতেই আমার কথা শুনছে না তখন আমি অনেকটাই ছোট্ট
হঠাৎ করে গাড়ি থেকে লাফ দিলাম স্পষ্ট আমার এখনো মনে আছে সেই দিনগুলো
সেই স্মৃতি গুলো এখনো আমার চোখে
বাসে প্রথম গেট দিয়ে লাভ দেওয়ার পরে দ্বিতীয় গেটের যে চাক্কা ওই চাক্কার নিচে একটি পা পড়ে যায় পাউর্টি ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায় হাড় মাংস একাকার হয়ে যায় সঙ্গে সঙ্গে মেডিকেল নিয়ে যাওয়ার পর ট্রিট মেন্ট শুরু
হয় আমাকে অনেকে চিনতে পারতেছে না তারপরও যারা আমাকে মেডিকেলে ভর্তি করেছে তারা ডাক্তার কে এবং মেডিকেলের অভিবাবকদের বললেন সুন্দর সঠিকভাবে চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়ার জন্য যত টাকা লাগে তারা দিবেন অন্যদিকে আমার বাবা
আমাকে খুঁজতে খুঁজতে পাগলের মত ঘুরে বেড়াচ্ছে খাওয়া-দাওয়া সব ছেড়ে রাস্তায় রাস্তায় হাঁটছে আর আমাকে খুঁজছে তার মুখে একটাই কথা ছিল আমার খোকা কই হঠাৎ জানতে পারে আমি রোড এক্সিডেন্ট করে মেডিকেলে বেডে শুয়ে আছি তখন বাবা
পাগলের মত ছুটে যায় বাবা এক নজর গ্লাস দিয়ে আমাকে দেখেছে আমার অবস্থা দেখে বাবা অজ্ঞান হয়ে যায় ওদিকে আমার জ্ঞান ফিরছে না যাই হোক আমি বেঁচে আছি এটা জেনে আমার বাবা আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করেন এবং মেডিকেলের অভিভাবক যারা
আছেন তাদেরকে বলেন আপনারা চিকিৎসা কোন ত্রুটি করবেন না আমার যা কিছু আছে সব বিক্রি করে দিয়ে হলেও আমার ছেলেকে সুস্থ করে তুলবো তখন ডাক্তার নাচ আরো বেশি বেশি সেবা দিয়ে আমাকে সুস্থ করে তোলেন আল্লাহতালার দরবারে হাজার
শুকরিয়া আদায় করি তিনি হয়তো হায়াত দিয়েছে বলে ছোট-বড় সবার দোয়া আছে বলেই প্রথম যাত্রা বেঁচে যাই তখন জানতে পারি আমার বাবা তিন দিন যাবত কিছু খাইনি সবাই তাকে খাবার খেতে জোর করলেও সে
কিছুতেই খানা খাচ্ছে না তার একটাই কথা আমার ছেলে কথা না বলা পর্যন্ত আমি কিছুই খাবো না আমি জানিনা পৃথিবীর সব বাবারা এমন কিনা তবে আমার যতটুকু ধারনা পৃথিবীর সব বাবারা এমনই হয় দেখতে দেখতে কয়েকটি দিন চলে গেল মোটামুটি
সুস্থ হওয়ার পর বাবাকে নিয়ে একসাথে খানা খেয়েছি আমার সেই স্মৃতিগুলো আজঅব্দি চোখে ভাসে তারপর মোটামুটি সুস্থ হয়ে গেলাম বাবা অনেকটাই খুশি কিন্তু আগের মত হাটতে পারি না বাবা যখন এই পরিস্থিতি
দেখতে পেল বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ডাক্তার বিভিন্ন হুমাপতি এলোপতি কোন ওষুধ বাকি রাখেনি তারপর হঠাৎ সন্ধান পেয়েছে এক কবিরাজের বাবা তাকে বাড়িতে নিয়ে যান কবিরাজ কিছুতেই যেতে রাজি না তখন বাবা তাকে হাতে-পায়ে ধরে আমাদের বাড়িতে
নিয়ে যায় তখন কিছু গাছের পাতা দিয়ে লতা দিয়ে আমার যে পাউ ভেঙেছে সেই পায়ে ওষুধ লাগিয়ে পাউর্টিকে লতা দিয়ে বেঁধে রাখে 12 ঘন্টা পর বান খুলে কবিরাজ বাবাকে বলে বাজার থেকে একটি ফুটবল নিয়ে আসেন বাবা অবাক চোখে তাকালেন কবিরাজের
দিকে কিছুক্ষণ পরে বাবা বললেন ফুটবল দিয়ে কি হবে কবিরাজ তখন বললেন লতার বান খোলার পর সে ফুটবল খেলতে পারবে বাবা কবিরাজকে বললেন এটা কি করে সম্ভব কবিরাজ বাবাকে বললেন আপনাকে যা
বলছি আপনি তাই করেন বাবা সঙ্গে সঙ্গে একটি ফুটবল নিয়ে গেলেন নরম দেখে কবিরাজ বান খোলার পর আমাকে বললেন চলো তুমি আমি ফুটবল খেলবো তখন আশেপাশে যে লোকজন আছে।
তারা সবাই অবাক এবং আমি নিজেও অবাক তারপর সাহস করে শুরু করলাম আমি দেখতে পেলাম আমি পুরোপুরি সুস্থ তখন নিয়ে গেলো আমাকে সাঁতার কাটেতে তখন দেখলাম পুরোপুরি সুস্থ পরেরদিন কবিরাজ বললেন এবার আমার ডিউটি শেষ আমাকে
বিদায় দেন বাবা কবিরাজকে বললেন আপনি কি চান বা কতো টাকা চাঁন আপনাকে তাই দিব কবিরাজ হেসে বললেন আপনার চোখে যে পানি আমি দেখেছি সত্যিই আমি মুগ্ধ হয়ে গেছি আমি প্রভুর কাছে দোয়া করি পৃথিবীর সব বাবারা যেন এমন ঈ হয়।
তারপর বাবা কবিরাজকে রিকোয়েস্ট করলেন টাকা নেওয়ার জন্য কোনো মতে ঈ টাকা নিলেন না কবিরাজ হেসে বললেন আপনাদের রুহিতপুরী লুঙ্গির অনেক সুনাম শুনেছি আপনি আমার জন্য একটি জঙ্গি নিয়ে আসেন এটাই আমার জন্য সম্মান
সম্মান টাকা দিয়ে কেনা যায় না তাই সম্মান হিসেবে আমি একটি লুঙ্গি নিয়ে যাব।
বাবা দৌড়ে বাজারে গেলেন বাজারে গিয়ে এক থান লুঙ্গি নিয়ে আসলেন কবিরাজ অনেকটা খুশি হলেন তারপর কবিরাজ কে গাড়িতে উঠিয়ে দেওয়া হলো সে আমাকে
একটি চুমু দিয়ে চলে গেলেন আজও আমার সেই কথাটা চোখে ভাসে।
🌹🌹🌹🌹💖💖🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹
বাবা ঔ বাবা কই আজ সারাদিন বিছানায় পড়ে থাকলে কেউ জিজ্ঞেস করেনা তোমার কি হয়েছে বাবা কেন এতো ভালবাসা দিয়ে ছিলে বাবা আমি তো কিছুতেই তোমাকে বুলতে পারছি না বাবা এইতো গত দু'বছর আগে ঠিক এই মাসে তুমি চলে গেলে আমাকে
একা করে আমাকে এতিম করে বাবা আমি যখন কিছু বুঝতে শুরু করলাম তখন তুমি প্রবাসে প্রবাস থেকে টাকা কামিয়ে দিয়েছো আমি সঠিকভাবে টাকা সঠিক রাস্তায় ব্যয় করতাম দুই ভাই নিয়ে অনেকটাই ভালো ছিলাম হঠাৎ যখন ভাবলাম টাকার জন্য বাবা
বিদেশ বাবাকে দেখতে পাই না তাই নিজে কর্ম শুরু করে দিলাম লেখাপড়ার পাশাপাশি ছোটখাটো বিজনেস দিয়ে যাত্রা শুরু করলাম যখন আমি প্রবাসে তখন বাবা তুমি বাংলাদেশ কিন্তু আমাদের মাঝে দূরত্বটা ছিল তারপরও বাবা বলে ডাকতে পেরেছি আজ
এত দূরে চলে গেলে ভাবতে গেলে চোঁখে অঝোরে পানি চলে আসে কিন্তু তুমি যে এভাবে চলে যাবে কখনো ভাবতে পারেনি এমন সুস্থ সবল মানুষ টা আমাকে ছেড়ে চলে যাবে এ বিষয়টা ভাবতে গেলে দু চোখে নোনা জলে ভেসে যায়।
আমি যখন প্রবাসে টাকা ইনকাম করি বাবাকে বলতাম বাবা তোমার কি প্রয়োজন আমাকে বলবে বাবা শুধু বলতেন তুমি বড় হও মানুষের মত মানুষ হও এটাই আমি চাই এছাড়া তোমার কাছে কিছুই চাওয়ার নেই আমি হাসতাম বাবা পৃথিবীর সব বাবারা তোমার মতো হোক।
আমার বাবা সব সময় এটাই চাইছেন আমি বড় হয়ে মানুষের মত মানুষ হই প্রবাসে এসে চাকরির পাশাপাশি ছোটখাটো একটি বিজনেস শুরু করলাম মোটামুটি তিন বছরের ভেতর ছোটখাটো একটি বাড়ি করার স্বপ্ন দেখি তখন বাবার সাথে পরামর্শ করলাম বাবা
ছোটখাটো একটি বাড়ি করতে চাই তুমি কি বলো বাড়িটা তোমার নামে করতে চাই বাবা হেসে বললেন আমার বয়স হয়েছে এ ছাড়া তোমাদের তিন ভাইকে আমি প্রতিষ্ঠা করে দিয়েছি তোমরা যার যার ইনকাম দিয়ে তোমরা এগিয়ে যাও তোমাদের জীবনকে
সাজাও আমি এটাই চাই তবে যদি বাড়ি করো সেটা তোমার নামেই করবে আমার নামে নয় তখন আমি বললাম কেন বাবা তুমি কি রাগ করেছো বাবা হেসে বললেন না রে পাগল উপার্জন দিয়ে তুই কিছু করবি সেটা তোর নামেই হোক এটাই আমি চাই বাবাকে অনেক
রিকোয়েস্ট করার পর বাবা কিছুতেই রাজি হলেন না সর্বশেষ ছোটখাটো একটা বাড়ি করার পর বাবা আমার নামে করে দিলেন সেদিনও বাবার প্রতি আরো ভালোবাসা বেশি বেশি জন্ম নিল বাবা মানি মাথার উপর একটি বটগাছ ।
তারপর যখন ছুটিতে বাড়িতে গেলাম তখন বাবা নির্দেশনা কাজ করতে শুরু করলাম সবচেয়ে মজার বিষয় বাংলাদেশে যাওয়ার পর বাবা হাসিমুখে আমাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে শুরু করলো আর বললেন আমার সোনার ছেলে সত্যিই প্রতিটা বাবা ছেলেকে সোনার ছেলে হিসেবে মনে করে।
তারপর বাবাকে নিয়ে একসাথে বসে খাওয়া দাওয়া করলাম আর বাবাকে বললাম বাবা কিছুদিন শুধু আমার চোখের সামনে থাকো প্রতিটা টাইম একসাথে খানা খাবো বাবা হাসিমুখে বললেন ঠিক আছে বাবা তুমি যখন বলছো তাই হবে তুমি খেলে আমার খাওয়া
হবে অবশ্যই তোমার সাথে প্রতীক টাইম লাঞ্চ করবো ইনশাআল্লাহ।
দেখতে দেখতে 2 মাস ছুটি শেষ হয়ে গেল এই দুই মাসের ভিতরে যখন যা খেতে মন চাইছে বাবা এনে খাওয়াইছে তারপর ছুটি শেষ চলে আসলাম আবার প্রবাসে বেশ কিছুদিন পর হঠাৎ রাতে ফোন আসে ভাবলাম হয়তো বা কেউ ফোন করেছে ঘুমের ধান্দায় ছিলাম
ফোনটা রিসিভ করতে পারিনি সকাল যখন ঘুম থেকে উঠলাম তখন আবার ফোন মোবাইল এর কাছে গিয়ে রিসিভ করতে ছোট ভাই বললেন আপনার আশেপাশে কেউ আছে আমি বললাম না কি হয়েছে আমাকে বলো তখন বলল যদি কেউ থাকে তাকে
মোবাইলটা দাও আমি বললাম না বল কয়েকবার এমন করার পর মামা আমাকে বললেন কুরবান একটু শক্ত হও আল্লাহর কাছে দোয়া করো আমি বললাম কি হইছে মামা তখন তিনি বললেন তোমার বাবা আর নেই তখন আমার হাত-পাও একেবারে ঠান্ডা
হয়ে গেল আমার অবস্থাটা এমন হয়ে গেল সেটা আপনাদের বুঝাতে পারব না সবচেয়ে বড় বিষয়টা হলো প্রবাসে এসে যাতে কারো শুনতে না হয় টেলিফোনের মাধ্যমে তোমার বাবা তোমার মা আর নেই এ কথাটা যে কারো শুনতে না হয় আল্লাহর দরবারে এই দোয়া করি।
সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে আমি আমার বাবার কাছে যখন যা চাইতাম তখন তাই পাইতাম আমি ছোট্টবেলা বাবা মাকে কখনোই বিরক্ত করতাম না সবসময় একটা জিনিস ভাবতাম বাবা-মা যা কিছু করে আমাদের জন্যই করে আমরা সংসার তিনটি ভাই
আমাদের বোন নেই বাবা-মা যা কিছু করে আমাদের তিন ভাইয়ের জন্য ঈ করে
আমাদের সংসারে সুখ ভালোবাসা কোন কিছু কমতি নেই শুধু একটা জিনিসেরই অভাব ছিল বাবা-মা ও প্রবাসে থাকতেন।আর
আমরা যখন প্রবাসে দুই ভাই তখন বাবা
দেশে দূরত্বটা ছিল কিন্তু কোন অভাব ছিলো না ,আমার জীবনে এমন দিন আসেনি কোন কিছুর অভাব অনা টন উপভোগ করতে হইছে।
🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺
আমি যখন দ্বিতীয়বার ছুটিতে বাংলাদেশে যাই তখন সবাইকে দেখি কিন্তু আমার বাবাকে দেখিনা বুকটা ফেটে যায় দু'চোখ লোনা জলে ভেসে যায় তখন গাড়ি থেকে নেমে বাড়ি ঢোকার আগেই বাবার কবর স্থানে চলে যাই যেখানে বাবা ঘুমিয়ে রয়েছেন ছোট্ট
মাটির ঘরে একা কবর জিয়ারত করে এক বুক কষ্ট বুকে ধারণ করে সবার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করি সবাই আমাকে বোঝান পৃথিবীতে কেউ চিরস্থায়ী নয় সবারই একদিন চলে যেতে হবে তাই মনকে শক্ত করো আল্লাহতালা জা।
করেন ভালোর জন্য মঙ্গলের জন্যই করেন
দু মাস ছুটি কাটালাম সবাইকে দেখি শুধু বাবাকে দেখি না কোন কিছুর অভাব নেই শুধু একটাই অভাব সেটা হচ্ছে বাবা বাবার অভাব কেউ দূর করতে পারেনা।
বাবার জাগায় কেউ আসতে পারে না বাবা মানে এক বুক ভালোবাসা ।
বাবা জানিনা কেমন আছো ছোট্ট মাটির ঘরে প্রত্যেকটা সময় প্রতিটা ক্ষেত্রে আজ বাবা তোমায় প্রত্যেকটা মুহূর্ত মিস করি দোয়া করি আল্লাহর দরবারে আল্লাহ তোমাকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুক আমীন সুম্মা আমীন
বিশ্বের সকল বাবাদের আল্লাহ তুমি জান্নাত বাসী করুন জান্নাতের উঁচু মাকাম এ তাদের স্থান করে দাও হে আল্লাহ তুমি চাইলে সবই পারো তোমার ইশারাতেই জগৎময় দুনিয়াদারি সবই চলে তুমি সকল বাবাদের জান্নাতুল ফেরদৌস করো আমিন।
এই দুনিয়া যাদের বাবা মা জীবিত আছে সবাই তাদের খেদমত করুন এখানে তো আমাদের অনেকের বাবা-মা পৃথিবীতে থাকতে খেদমত করি না তত্ত্বতালাশ নেইনা তাদের
উদ্দেশ্যে একটা কথাই বলবো দাঁত থাকতে দাঁতের যত্ন নিন পিতা মাতা দুনিয়াতে থাকতে
তাদের সেবা দিন আমার জে একটা স্বপ্ন ছিলো সেখান থেকে কিছু কথা তুলে ধরবো
আমার আশা ছিল আর কিছুদিন বিদেশ করে
দেশে যাওয়ার পর আমার বাবাকে একটি বাইক কিনে দেবো বাবা আমার চোখের সামনে দিয়ে গুরবে আর সেটা আমি চেয়ে চেয়ে দেখবো আমি আমার বাবাকে যতটুকু পারি আনন্দের সাথে রাগবো।
আমার স্বপ্নটা স্বপ্নই থেকে গেল বাস্তবে রূপান্তরিত করতে পারলাম না তাই সবাইকে সর্বশেষে একটা অনুরোধ করবো আপনারা বাবা-মায়ের খেদমত করবেন।
🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹
আমাদের প্রিয় নবী বলেছেন আমি করি নাই ও আমি করি নাই আমার পিতা মাতার খেদমত করিও আমার উম্মত জন্মের আগে পিতা মরেছে মা মরিলো শিশু কালে আমি অবুঝ ছেলে তাই আমাদের প্রিয় নবীর কথাগুলো বুকে ধারণ করে আমাদের প্রিয় নবীর অসমাপ্ত কাজগুলো আমরা করে যাবো ইনশাল্লাহ।
🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺
আমরা অনেকেই স্বপ্ন দেখি বাবা মাকে নিয়ে ভাই-বন্ধু নিয়ে ফ্যামিলি নিয়ে
আবার মাঝে মাঝে স্বপ্ন ভেঙে যায়
স্বপ্ন সবাই দেখে তবে সবার সব স্বপ্ন পূরন
হয়না কিছু মানুষ তার স্বপ্নের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে আবার কিছু মানুষ স্বপ্নপূরণ করতে পারে না আর কিছু মানুষ স্বপ্ন লক্ষ্যে পৌছাতে পারেনা অধরা থেমে যায় তাদের স্বপ্ন জীবনে অনেক বড় হবে বলে বিদেশে আসা বাড়ি গাড়ি অট্টালিকা গড়বো বলে নয় শুধু পরিবারের মুখে দু মটু খাবার তুলে দেবো বলেই অল্প বয়সে প্রবাসে পা রাখা বাবাকে একটু আরামে রাখবো বলে মাকে একটা ভালো মর্যাদা রাখবো বলে ছোট ছোট ভাই দের লেখাপড়া শিখাবো মানুষের মত মানুষ করবো বলে নিজের জীবনের প্রদীপ নিভিয়ে অন্যের জীবনে আলো যালাবো বলে দেশ ছেড়ে বিদেশে পাও রাখা আপন ঘর ছেড়ে আপন মাতৃভূমির দেশ সোনার বাংলাদেশ প্রবাসে পা রাখা হয়তোবা প্রবাস জীবন কারো মানিয়ে যায় আবার কারো ব্যর্থতা হয়ে যায় কারো জয় আবার কারো পরাজয় আমি জীবনের কোনমতেই পরাজয় টাকে পেছনে ফেলে জয়টাকে সামনে রেখে দ্রুতগতিতে চলছি তাই আমার জীবনে পরাজয়ের চেয়ে সফলতা অর্জন করা সম্ভব
💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖
আমার বাবা আমাকে অনেক ভালো বাসতো অনেক আদর করতো তাই বাবার স্মৃতি গুলো আজও চোখের সামনে ভাসে
কিছুতেই বাবার কথা গুলো বোলতে
পারছিনা আমি যখন ছোট্ট লেখা পড়ার পাশাপাশি ছোটো খাটো বিজনেস করতাম বাবা বলতো এখন তুমি ছোট্টো কাজ করবা কেন লেখাপড়া করে বড়ো হও আগে পরে কাজ করবে বড় হয়ে আজ সেই স্মৃতিগুলো বার বার মনে পড়ে মাঝে মাঝে ভাবি আমাদের সমাজে প্রত্যেক সচেতন মানুষের উচিত ছোটো বেলা থেকেই সন্তানদের কে কাজ শেখানো লেখা পড়ার পাশাপাশি
তাহলে সে সন্তানরা বড় হয়ে অনেক ভালো কিছু করতে পারে আমি ছোটো বেলা থেকে চেষ্টা করেছি নিজেকে একটু এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন আজও চেষ্টা করে যাচ্ছি অবিরাম মাঝে মাঝে স্বপ্নটা ভেঙে যায় স্বপ্ন সবাই দেখে তবে সবার স্বপ্ন পূরণ হয় না কিছু মানুষ তার স্বপ্নের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে স্বপ্ন পূরণ করতে পারেন আর কিছু মানুষ স্বপ্ন নক্ষত্ররায় পৌছাতে পারেনা অধরাই থেকে যায় তাদের স্বপ্ন জীবনে অনেক বড় হবো
বলে ছোটো থেকেই লেখাপড়ার পাশাপাশি অনেক কিছু অর্জন করার চেষ্টা করেছি।
তাই আপনারা যারা এখনো লেখাপড়া করছেন লেখা পড়ার পাশাপাশি কিছুটা করার চেষ্টা করবেন একটা জিনিস মাথায় রাখবেন ছোটো থেকে যদি আপনি চেষ্টা করেন তাহলে বড় হলে কোনো কিছুতেই অলসতা হবে না আপনি একটা কাজের ফাঁকে সুযোগ পেলে আরেকটা কাজ খুঁজে নিবেন চেষ্টা করবেন কাজ একসাথে করার জন্য যদি সাকসেস হতে পারেন তাহলে আপনার এই সফলতা দেখে আপনার মত অনেকেই চেষ্টা করবে।
🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹💖🌹💖🌹💖💖
এই পৃথিবী ছেড়ে একদিন সকলকে ঈ
চলে যেতে হবে আল্লাহ ভীতি ও কবরের এই অন্ধকার জীবোনের কথা সকল সময় শরন থাকলে আমরা সকল ক্ষতির হাত থেকে মুক্তি পাবো আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ক্ষুদ্র জীবনে এই উপলব্ধি হয়তোবা নাজাতের উসিলার কারণ হতে পারে আসুন নামাজ পড়ে ও প্রতিষ্ঠিত করি এবং ব্যক্তিত্বের সম্পর্ক গড়ে তুলি।
🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹
🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺
সাহস
করুন
লেগে
থাকুন
সফলতা
আসবে
ইনশাআল্লা
🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺
বাংলা টাইপ করতে গিয়ে হয়তো কিছু ভুল হতে পারে ক্ষমার চোখে দেখবেন আমার গল্পটি যদি ভালো লাগে আমার জন্য দোয়া করবেন।
"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"-৫২০
তারিখ :- ২৮.০৪.২০২১
🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺 ধন্যবাদন্তে
নিজের বলার মত একটা গল্প ফান্ডেশন ,
আমি মোঃ কুরবান
কমিউনিটি ভলান্টিয়ার
ব্যাচ নং ১৩
রেজিঃ নং ৫৬৭০২
উপজেলা :---- কেরানীগঞ্জ
জেলা:-- ---ঢাকা
ব্লাড গ্রুপ :---B+
বর্তমানে:---লেবানন
আমি একজন রেমিট্যান্স যোদ্ধা।