বদলে যাও, বদলে দাও
✅আমি খুব ছোট বেলা থেকেই খুবই শান্ত স্বভাবের ছিলাম,বাবা মা আর আমার ছোট একটা বোন আর আমি। আমি সবার বড় বলে আমার ও অনেক দ্বায়িত্ব আছে ফ্যামিলির প্রতি।সেই চিন্তা ভাবনা নিয়েই ছোট থেকে বড় হয়েছি শুধু জীবনে ভালো কিছু করে ফ্যামিলির দ্বায়িত্ব নিবো।সেই থেকে যখন আস্তে আস্তে বুজতে শিখিছি তখন থেকে মাথায় থাকত কিছু শেখার,তাই ছোট বেলা থেকেই রংতুলিতে নিজের স্বপ্ন গুলোকে সাজাতাম বার বার।ছবি আঁকতে খুব পছন্দ করতাম ছোট থেকেই সেটাও ছেড়ে দিতে হলো কারন আমি যে গ্রামের মেয়ে সেটাই আমাকে বুজানো হলো গ্রামের ভাষায়।যাইহোক ছেড়ে দিতে বাধ্য করা হলো আমাকে।
✳️আমার জীবনের শিক্ষার কিছু অংশ
🌹বদলে যাও, বদলে দাও
🌹🌹একটা প্রশ্ন আছে যেটা আমরা যত বার করব তত বারই নতুন উত্তর আসবে। সেটা হচ্ছে,এখন সময় কত? বা কয়টা বেজেছে? প্রতিবার প্রশ্নের সাথে সাথে উত্তরটা বদলে যাচ্ছে। আমরা ও প্রতিদিনই বদলে যাচ্ছি। কারণে অকারণে বদলে যাই। পজেটিভ পরিবর্তন জীবনকে সুন্দর করে তোলে। ব্যক্তিগত ভাবে আমি পরিবর্তন ভালোবাসি যদি বদলানোর যাদু কাঠিটা আমার হাতে থাকত তাহলে আমি নিমেষেই অনেক উদ্ভট নিয়ম বদলে দিতাম।
✅খুব ছোট থেকেই পরিবারের সহযোগিতায় আমি কিছু ইসলামিক প্রগ্রামে অংশ গ্রহন করার সুযোগ পেয়েছি। সময়ের পরিবর্তনে সেখান থেকেই মনের মধ্য ভালো কাজ করার আগ্রহ তৈরি হয়েছে। তারা একটা শব্দ ব্যবহার করতেন "একরামুল মুসলিমিন" অর্থাৎ এক মুসলমান সব সময় অপর মুসলমানদের প্রতি সদয় হবে, সাহায্য করবে, পাশে দাড়াবে। এবং তারা সেটা করত আমার খুব ভালো লাগত। তারা খুব ছোট ছোট সাহায্য করত এক জন আরেক জনকে যেমনঃ হাত পাখা দিয়ে বাতাস দিত, তখন ওখানে বিদ্যুৎ ছিলোনা।আলোচনা রুমের সামনে রাখা উল্টানো জুতা ঠিক করে রাখত এবং এটকে তারা একরাম মনে করত।
✅বেলায় অবেলায় বিভাজিত সমাজের নিয়মের নাগপাশে স্বপ্ন গুলো কখনো কখনো হারিয়ে গেছে, কখনো দারিদ্র্যতার নিষ্ঠুরতায় চাপা পরেছে। আবার কখনো তা প্রচলিত সমাজে কন্যা শিশু কিংবা কিশোরী কতৃক কাঙ্খিত আচরণের সাথে তাল মেলাতে পারিনি বলে থেমে গিয়েছে। কখনো বা পরিবার থেকে থামিয়ে দেয়া হয়েছে। তুমি মেয়ে মানুষ উল্টো পাল্টা আবদার করোই বা কেন।
তাই এসবের বাইরে যেটুকু সুযোগ পেয়েছি সেটা হচ্ছে লেখাপড়া করা। এটা নিয়ে বাবা তথা কথিত প্রচলিত সমাজের সাথে আপসহীন।
✅আমাদের ছোট পরিবার বাবা,মা,বোন আর আমি। এস. এস. সি পর্যন্ত বেশ ভালোই চলছিল। এর পর শুরু হলো আন্টি জম। আন্টি জমের আন্টিরা বাসায় এসে বেশ গাল-গল্প করে ভালো ভালো সমন্ধ আনে। বাবা রাজি হয়না।বাবা আমার পক্ষেই সায় দিলো এবং আমাকে বল্লো কেবল মাত্র এস.এস.সি দিয়েছো তুমি এ দিয়ে জীবনে কিছুই করতে পারবে না৷জীবনের সাফল্য পেতে হলে শিক্ষার প্রয়োজন হয়। ভালো মানুষ হতে হলে শিক্ষার প্রয়োজন। আমি অর্থের অভাবে লেখাপড়া করতে পারিনি। আমি চাই তোমারা দু বোন সেই সুযোগ পাও পড়াশোনা করার। আমার যত কষ্ট হোক আমি তোমাদের সর্বোচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করব।
✅😥কিন্ত হটাৎ নেমে এলো এক বিপর্যয়। বাবার শেয়ারের ব্যবসাটা বন্ধ হয়ে গেল। সে এক রক্তের সম্পর্কের বিশ্বাস ঘাতকতার করুন কাহিনী। কিছু দিন কোন মতে চলার পর হাতে কাজ নেই, ঘরে খাবার নেই, দুজনের পড়াশোনার খরচ চলে না। আমার এইস.এইস.সি এ্যডমিশনের সময় হয়ে গেছে। বন্ধুরা সব নামি দামি কলেজে ভর্তি হয়ে গেল।
আমার আর হলো না,বাবার মুখের দিকে তাকানো যায় না। আমি একটুও টু শব্দ না করে এলাকার কলেজে ভর্তি হলাম। বাবা একটা ছোট চায়ের দোকান দিল। আর আমাকে গল্প শোনাতে লাগল, কোথাকার কোন কোর্ট চত্ত্বরের চা বিক্রেতার মেয়ে ম্যাজিস্ট্রেট হয়েছে। কোন কাঠুরিয়া প্রেসিডেন্ট হয়েছে। নবি সাহাবিরাও গরিব ছিল। সাদামাটা জীবন যাপন করত। গরিবরা আগে জান্নতে যাবে। বাবা মাধ্যমিক পাশ করেনি,কিন্তু তার জ্ঞানের পরিসর আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো। তার প্রচুর বইয়ের কালেকশন আছে বিভিন্ন ইসলামিক বই সহ অনেক। দোকান থেকে ফিরে এসে মাঝরাত অবধি বই পড়তেন। মা বলত চা বিক্রি করে এত বই পড়ার কি দরকার। ঘুমালে শরীর ভালো থাকবে৷ সারাদিনতো আবার চুলার পাশে থাকতে হবে। বাবা বললেন লাভ আছে একটা ভালো কথা, সৎ পরামর্শ দিতে হলেও তো নিজের কিছু জানতে হয়। তারপর ধরো সামনে কুরবানি অনেকের টাকা আছে কুরবানী দিবে, কিন্তু তারা সঠিক মাসয়ালা জানেনা। সেটা একজনকে জানাতে পারলেও তো কুরবানীর সওয়ার পাওয়া যায়। কুরবানী দেয়ার সামর্থ তো আর নেই। এদিকে আস্তে আস্তে অভাবের তাড়নাটা বেরেই চলছে এর মাঝে মা ও বাড়িতে টেইলারিং এর কাজ শুরু করলো সংসারের অভাব দূর করার জন্য৷ বিপদে নারীরাও পরিবারের অবলম্বন হয় যার প্রমান আমার গর্ভধারনী মা, এই কথাটা মায়ের কাছ থেকেই শোনা। বাবা মা দুজনের রোজগারে চলছিল সংসার।
আমি বুজতাম যে তারা কি পরিমান কষ্ট করছে বয়সের বারে তারা আস্তে আস্তে দুর্বল হয়ে যাচ্ছে মনে হচ্ছে আমার।মায়ের পাশা পাশি আমিও তাকে তার কাজে হেল্প করার চেষ্টা করছি।
✅কিন্তু মায়ের এইসব কাজ আমার মাথায় ঢুকত না তার পরও চেষ্টা করে যাচ্ছি শুধু সবার মুখের দিকে তাকিয়ে। আমি তখন মনে মনে বুজতে পারছি আমাকে যে উচ্চ বিদ্যাপিঠের সপ্ন দেখিয়ে ছিলো অনেক অনুপ্রেরণার গল্প শুনিয়ে ছিলো যে লোকটা ভেতর ভেতর তার মনের অবস্থাটা কি। আমি নিজেকে বুঝাতে পারতাম না মনে মনে প্রচন্ড ভেঙ্গে পড়লাম। পড়াশোনায় আর মন বসাতে পারতাম না,সারাদিন শুধু কাদতাম।বেস্ট ফ্রেন্ডরা কেউ নেই ক্লাসেও মন বসেনা। এভাবে এইস এসসি পরিক্ষা শেষ হলো। রেজাল্ট মোটামুটি ভালোই। এবার সবাই যখন বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি যুদ্ধের চিন্তায় আমি তখন ভাবছি খরচ চালাবে কে? সাথে গ্রামের আন্টি জম তো আছেই বিয়ে দিয়ে দাও। মেয়েকে এত পড়িয়ে লাভ কি একদিন তো পরের ঘরেই যাবে। এত অভাবের মধ্যে বিলাসিতা করেও মেয়েদের পড়ানো লাগে। আন্টিরা কিছুতেই বুজতে চায় না পড়াশোনা বিলাসিতা না পড়াশোনা বেসিক নিড। যাইহোক এত কিছুর পরে আসা করে ছিলাম যে অন্তত জেলা শহরের একটা সরকারি কলেজে অনার্স টা শেষ করব এপ্লিকেশন করলাম। হায় দারিদ্র্য তুমি সেটুকুও কেড়ে নিলে। শহরে থাকা, খাওয়া, প্রাইভেট এসব কুলানো যাবেনা৷ টিউশনি করে চালিয়ে নেব সেটাও নিরাপত্তা হীনতা আর না পারলে পড়াশোনাটা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবার ভয়ে সেটাও পরিবার সায় দিল না। ইচ্ছে করছে বাসা থেকে বেরিয়ে কোথাও অনেক দূরে চলে যাই। টিউশনি বা কোন পার্ট টাইম জব করে ঠিক চালিয়ে নেব। না বলে বাসা থেকে বেরিয়ে গেলে মুখরোচক গল্প তৈরি হবে কারন আমি যে মেয়ে তাই৷কাদা ছোড়াছুড়ি হবে তার পর শুধু বার বার বাবার অসহায় মুখটা মনে পরে তাই আর কিছুই করতে পারি না। এই সমাজ ঘরের বাইরে মেয়েদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেনা। তবে এটা বলতে পারে মেয়েদের জেদ করা ভালো নয়৷ সমাজের চাপে হাজারো জেদি মেয়ের জেদ আর প্রতিভা চোখের জলের নিচে চাপা পড়ে যায়। শেষ মেষ উপায় অন্ত না দেখে এপ্লিকেশন কেনসেল আবারও এলাকার বেসরকারি কলেজে অনার্সে ভর্তিহলাম।
কিন্তু সেখানে নিজের পছন্দের সাবজেক্টটি নেই। তারা নির্ধারিত দুটি সাবজেক্টে ভর্তি নিচ্ছে তা থেকে একটি বেছে নিতে হলো। এবার বেসরকারি কলেজে মাসে ৫০০ টাকা বেতন দিতে হবে, সাথে এই ফি ওই ফি, প্রতি মাসে এক্সাম, এটা ওটা নিয়ে ১০০০ টাকা,তার পর সেশন ফি বই কেনা এনিয়ে অনেক খরচ।এদিকে ছোট বোনের ও স্কুলের খরচ আছে। তাই আর বাসায় মুখ খুললাম না হন্যে হয়ে কাজ খুজলাম।এর পর একটা কিন্ডারগার্টেন স্কুলে চাকরি পেলাম বাচ্চাদের পড়ানোর। সকালে স্কুল, বিকালে টিউশনি, রাতে নিজের পড়াশোনা এভাবেই চলত। মাস শেষে ভালোই টাকা আসত হাতে পুরো টাকা মায়ের হাতে তুলে দিতাম। সেই টাকায় আমার পড়াশুনা চলত। বোনের ছোট ছোট আবদার মিটত। এই ভাবে দেখতে দেখতে অনার্সের ৩ বছর পার হলো আলহামদুলিল্লাহ ৩ টাতে ফাস্ট ক্লাস পেয়েছি। চতুর্থ বর্ষের শুধু মাত্র একটা ভাইভা পরিক্ষা বাকি আছে। গত এক বছর ধরে করনার জন্য আটকে আছে। আলহামদুলিল্লাহ, তারপর আমিও গ্রাজুয়েট।
✅কিছুই আটকাতে পারেনি,জীবন থেমে থাকে না। জীবনে থেমে যেতে নেই।এর মাঝে ফ্যামিলি থেকে বিয়ে দিলো বাবা মায়ের পছন্দের ছেলের সাথে। জীবনের এই যুদ্ধে আরও একজন সহযোগী পেলাম। যে চায় আমি সাবলম্ভি হই এবং আমার বাবা মায়ের পাশে দাড়াই৷ বৃদ্ধ বয়সে বাবা মার অর্থনৈতিক দায়িত্ব নেই। বাবা মা অন্য কারোর থেকে টাকা নিতে কি ততটা সাচ্ছন্দ্য বোধ করবেনা যতটা নিজের মেয়ের থেকে করবে৷ আর সে বল্লো আমিতো সবসময় তোমাদের সাথেই আছি। আমি বল্লাম আমি আমার বাবা মায়ের দায়িত্ব নিতে চাই। তাহলে চল দুজনেই এক সাথে কাজে নেমে পরি। দুটো পরিবারের দায়িত্ব নিতে হবে যে। কথায় আছে,
একা হলে হারি
এক হলে পারি।
✅এই যুগে পড়াশুনা করে চাকরি সেটা তো সোনার হরিন।কি করবো ভেবে পাচ্ছিলাম না তার পর একদিন আমার কাছের প্রিয় এক বান্ধবী Khadija Akter এর কাছে বিষয়টি শেয়ার করলাম। তখন সে আমাকে এই প্রিয় প্লাটফর্মের সন্ধান দেয়।আর অনেক কিছু সাথে বুজিয়েছ প্লাটফর্ম সম্পর্কে।তখন মনে অনেকটা সাহস বেরে গেলো কারন এই প্লাটফর্ম সম্পর্কে একটু একটু ধারণা ছিলো। আমি বেশ কিছু দিন আগে আয়মান সাদিক স্যার এর ভিডিও সেশন থেকে প্রথম বার ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার সম্পর্কে এবং নিজের বলার মত গল্প ফাউন্ডেশন সম্পর্কে জানতে পেরেছিলাম।এর পর প্রায়ই ইউটিউবে সার্চ দিয়ে ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের বিভিন্ন টুকরো টুকরো মোটিভেশনাল ভিডিও দেখতাম। কিন্তু তা রেগুলার ছিল না। রেগুলার না থাকার কারনে তখন আমি স্যারের শেখানো পুরো কনসেপ্ট টা বুজতে পারিনি। ভাবলাম এখানে থাকতে হলে ব্যবসায়ী হতে হবে। তাও আবার রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে। রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার পেতে কতই না ঝামেলা পোহাতে হবে। এত ঝামেলায় দরকার নেই বাবা! ব্যবসায় অনেক টাকা দরকার আর লস হলে অনেক ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।সেই ভেবে আর এটাকে নিয়ে ঘাটাঘাটি করিনি।
✅তার পর বেশ কিছু দিন পড়ে একদিন আমার সেই প্রিয় বান্ধুবি বর্তমান নব নির্বাচিত পাথরঘাটা উপজেলা এম্ভাসেডর Khadija Akter ফোন করল আমাকে বলল তোকে আমি ওই গ্রুপে ইনভাট দিছি গ্রুপটা দেখ তোর ভালো লাগবে। আমি দেখলাম যেহেতু আগে থেকেই হালকা ধারণা ছিল কিন্তু সাহস হত না। তাছাড়া আমার ব্যবসা করার অত পুজি নেই। কিন্তু বান্ধুবি আমার হাল ছাড়ল না। সে বোঝাতে লাগল আমি তার কথার মধ্যে আলাদা একটা সৌন্দর্য দেখলাম। সে আগে যেভাবে কথা বলত এখন তার কথা বলার স্কিল বেশ ডেভলপ্ট হয়েছে। সে খুব গুছিয়ে তার কনসেপ্ট টা কে প্রেজেন্ট করছে। তার মানে প্রেজেন্টেশন এবং কাস্টমার হেন্ডেলিং করার যে গুন তা সে ইতিমধ্যেই রপ্ত করে ফেলেছে। যা আমাকে অভিভুত ও অনুপ্রাণিত করল। যেহেতু সে আমার খুব ক্লোস বান্ধুবি তাই আমি তার কথায় সহজেই রাজি হলাম। আলহামদুলিল্লাহ, তার সহযোগিতায় আমি রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করলাম। এবং সে আমার জীবনের এক পরিবর্তিত অধ্যায়ের সাক্ষী হল। আমার উদ্দোক্তা জীবনে কোন দিন যদি আমি সামান্যতম সাফল্য অর্জন করতে পারি তার অংশিদার এই মেয়েটিও।
✅গ্রুপে যুক্ত হওয়ার পরপরই দেখলাম সবাই অভিনন্দন বার্তায় ভরিয়ে দিল। কত ফেসবুকের গ্রুপেই তো যুক্ত আছি এরকমতো কোন গ্রুপে স্বাগত জানানো হয়না। সবচেয়ে যে কথাটি আমাকে আকৃষ্ট করল সেটি হচ্ছে "আপু ভালো মানুষের গ্রুপে আপনাকে স্বাগতম" তারা ভালো মানুষ না হলে নিজের এবং অন্যের ব্যপারে এত নিশ্চিত হয়ে কিভাবে বলতে পারে ভালো মানুষের গ্রুপে আপনাকে স্বাগতম। হ্যাঁ এই গ্রুপে এমন ম্যাজিক আছে যা আপনার ভেতর সত্তাকে পরিবর্তন করে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলে।একজন ম্যাজিসিয়ান আছে এখানে, ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার। যিনি প্রতিনিয়ত শুদ্ধতার চর্চা শেখায়। ভালো মানুষ না হয়ে আর উপায় কি😍 নব্বই টি সেশন শেষ করার পর এখন আমিও নতুন সদস্যকে গর্ব করে বলি ভালো মানুষের গ্রুপে আপানাকে স্বাগতম।
✅গ্রুপে যুক্ত হওয়ার পর আমাকে জেলা ম্যাসেঞ্জার গ্রুপে যুক্ত করা হলো এবার যেন আপন জনের ছোয়া পেলাম। একে অপরের সেবায়, সহযোগীতায় নিবেদিত কিছু আপু আর ভাইদের পেলাম। পেলাম এই বিশাল পরিবারের প্রিয় কিছু মানুষদের যার মধ্যে মানসুরা রিনা আপু, মাসুদ রানা ভাই,সালমান আবির ভাই,ইলিয়াস সানি ভাই, আল মামুন ভাইদের মত মানুষদের।
Mansura Rina আপু যেন এক নিবিড় আশ্রয়। যে কোন সমস্যার সমাধান আপুর একটা ফোন কলের মধ্যেই রেডি থাকে সব সময়। কখনো বা সহজ ভাবে হেসে উত্তর দেবে বাসায় চলে আস সব শিখিয়ে, বুঝিয়ে দেব❤️
Masud Rana ভাই, ভরসার আরেক নাম। যে প্রতিনিয়ত সাহস দিয়েছে। আপু চেষ্টা করুন, আপু কোন ভয় নেই। আপু আপনি শুরু করে দিন আমরা তো আছি। যখন সিদ্ধান্তহীনতায় ভীত মন তখন এই কথা গুলো যে এগিয়ে যাবার জন্য কত বড় অনুপ্রেরণা তা লিখে বোঝাবার সাধ্য আমার নেই।
💛গ্রুপের সবাই সবার ভালো মন্ধের খোঁজ রাখেন, এর মধ্যে একদিন Elius Sany ভাই জেলা ম্যাসেঞ্জার গ্রুপে ম্যাসেস দিলেন, কারো কোন হেল্প লাগলে যেন তার সাথে যোগাযোগ করে। আমি তাকে নক করলাম তার সহযোগিতাতায় আমার সুন্দর একটি বিজনেস পেইজ হয়ে গেল। সেই সময়ে আমার না ছিল নিজের করা পেইজের কভার ফটো না ছিলো লোগো। ভাই সব করেদিলেন। ভাইয়ের হাতে প্রথম সেজে উঠেছিল আমার পেইজ। নিজের ব্যবসার প্রথম অস্তিত্ব। আপনি জানেন না ভাই আপনি কি করেছেন। আপনি হয়তো ভাবছেন খুব ছোট একটা কাজ করেছেন কিন্তু আমাকে তা ঘুমাতে দেয়নি। নিজের পেইজ আছে 😱😱 এবার পেইজ নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে, প্রডাক্ট নিয়ে ভাবতে হচ্ছে। মালিক মালিক অনুভুতি।
কথা হল আরেক মানবতার সেবক Aal Mamun ভাইয়ের সাথে। অমায়িক মানুষ। বরগুনা জেলার প্রতিটা সদস্যকে নিয়ে যার সবচেয়ে বেশি চিন্তা। সাথে মরিসাস টিমের একজন নিবেদিত প্রান।
এরকম হাজারো মানুষ এই গ্রুপের জন্য দিন রাত নির্স্বাথ ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। যাদের কথা লিখতে গেলে শেষ হবে না।
✅নিজের বলার মত একটা গল্প গ্রুপের সদস্য আমি।এই গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা শিক্ষক প্রতিদিন বিনামূল্যে হাজার হাজার অচেনা অজানা মানুষকে পথ দেখাচ্ছেন। সাবলম্ভি করে তুলছেন,দূর থেকেই কোন প্রকার সরাসরি অর্থ সাহায্য না নিয়েই। যা থেকে আমি নতুন করে শিখলাম কাউকে সাহায্য করতে হলে চেনা-অচেনা কাছে-দূরে টাকা পয়সা কোন ম্যাটার করেনা।শুধু ইচ্ছা টুকু থাকলেই হয়।আবারও লাখো কোটি সালাম দোয়া ও ভালবাসা জানাই প্রিয় মেন্টর জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের প্রতি।স্যারের শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে লক্ষ লক্ষ ছাত্র ছাত্রী তাদের ভাগ্য পরিবর্তন করেছে আমিও সেই পথের একজন যাত্রী হলাম।
🌸পরিশেষে বলতে চাই, সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।যে সপ্ন দেখেছি তা যেন পূর্ণ করতে পারি, লেখায় কোন ভুল ত্রুটি থাকলে ক্ষমা করে দেবেন। এখানে যাদের নাম উল্লেখ করেছি তাদের কাছে আমি চিরকাল কৃতজ্ঞ থাকব। আপনাদের অবদান আর ভালোবাসা আমি ঠিক ভাবে গুছিয়ে লিখতে পারিনি। আমি ক্ষমাপ্রার্থী, আমার মত ক্ষুদ্র মানুষের পক্ষে তা সম্ভব নয়।
🌸আমি ভালো লিখতে পারিনা। তার ওপর লেখাটা অনেক বড় হয়ে গেছে যদি কোন ভুল ত্রুটি হয় আমাকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।প্রিয় প্লাটফর্মের সকল ভাই বোনদের সুসাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু জীবন কামনা করছি।
📌"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৫২৪
Date:- ০২/০৫/২০২১
✅মারিয়া আক্তার
✅ব্যচঃ ১৩
✅রেজি নংঃ ৫৭৫৩১
✅পেশাঃ স্টুডেন্ট ও উদ্দোক্তা।
✅জেলাঃ বরগুনা
✅থানাঃ পাথরঘাটা।
✅ওনার অফ- Maria's Food & Fashion World