এখন আর আগের মতো অভিমানও করি না, বায়না, আবদার কিছুই করি না।
-----বিসমিল্লাহির রাহমানির রহিম
-----আসসালামু আলাইকুম
👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇
😰 আমার " মা" হারানোর ব্যথা আর শূন্যতা 😰
👆👆👆👆👆👆👆👆👆👆👆👆👆👆👆
💗💗আশা করি সবাই মন দিয়ে লেখাটা পড়বেন।💗💗
📖📖📖সর্বপ্রথমে শুকরিয়া আদায় করছি মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে। তিনি আমাদের সকলের এতো সুন্দর একটি প্লেট ফর্ম একতৃত তৈফিক দান করেছেন তার জন্য।
💝💝💝কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমার প্রান প্রিয় স্যার জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের ।তিনি দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে এমন একটি পাঠশালা তৈরি করে দিয়েছেন,যেটা নতুন বাংলাদেশ নির্মাণের জন্য প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন।
👉👉আমার মন টা কখনো নরম, কখনো গরম আবার কখনো স্তব্ধ। বারবার হয়ে যায় মৃত্যু যাত্রী।
এযেন ক্লান্তিময় একদিনের সূচনা। মনের উদ্ধোকে কোনভাবেই মন থেকে আলাদা করা যাচ্ছে না এতোদিন,বৃথা চেষ্টা মাত্র। চাপা কান্না আর শত কষ্টের ভারে বাতাস যেন ক্রমশ ভারী হয়ে আসছে। স্পষ্টই উপলব্ধি করছি এমুহূর্তে মাকে হারানোর ব্যথা আর শূন্যতা ছাড়া আর কোন কিছুই আমার ভাবনায় নেই।
গত ১৫ এপ্রিল ২০১৮ সাল দিনটা ছিলো শবে মিরাজের এই দিনটিতেই আমরা " মা " কে চিরতরে হারিয়ে ফেলেছি। সেই থেকে আমরা ভাই বোনেরা হয়ে পড়লাম এতিম আর মাহারা। মায়ের অকাল চলে যাওয়াতে ভিতরটা ভীষণ ফাঁকা ফাঁকা লাগে। সারাক্ষণই মনে হয় কি যেন নেই। আর রাতের ঘুমের বালিশই হয়ে উঠে একটি পুকুর বা খাল। কান্নার আওয়াজকে শোনে অন্ধকার রাত। এমনি করে করে আর কত বছর কাটাবো এরকম মাহীন সেই প্রশ্ন বারবার ঘুরপাক খায় মনে প্রাণে। অসীম এক স্তব্ধতা প্রতি মুহূর্তেই গ্রাস করে রাখে মন -প্রাণ। নিঃসীম নিরবতাই যেন আনন্দ। কাঁদতে চায় না তারপরও বারবার ভারি ভারি অশ্রু বিন্দু এসে চোখদুটো কে ঝাপসা করে ফেলে। বিশেষ করে যেদিনটাতে মাকে হারিয়েছিলাম সেইদিনটাতে নিজেকে আর স্থির রাখতে পারি না। দৈনন্দিন কাজকর্মেও ছন্দপতন ঘটে চলেছে মনের অজান্তেই। এই দিনে কারও সাথে কথা বলাও ছিলো জবাব না দেওয়ার মতো কিন্তু তবুও জীবন থেমে নেই বিরামহীন ছোটা।
তারপরেও প্রত্যাশা পূরনের আশা, স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে নিজের কাজটিতে মনোযোগ দেয়া, কিংবা স্বাভাবিক জীবনে অভ্যস্ত হওয়া এসব আর আগের মতো হয়ে উঠে না কোনভাবেই। কাছের প্রিয় মানুষ গুলো যখন সবাইকে ছেড়ে চিরতরে অনন্তলোকে যাত্রা করেন তখন জীবনের প্রান চাতুর্য সবসময় মানুষকে উচ্ছল,প্রানবন্ত রাখতে পারে না। সব আনন্দই উপভোগ করা সম্ভব হয় না। অজানা এক শূন্যতা সারাক্ষণ আচ্ছন্ন করে রাখে নিজেকে। আমিও সেই পরিস্থিতির শিকার। আমার পরিবারের সবাই আসলে কাতর হয়ে পড়ে এখনো মা হারানোর দিনটাতে। মায়ের কথা মনে পড়লেই ভেঙে পড়ে, হু হু করে কান্না শুরু করে।
বিশেষ করে আমার ছোট বোনটার মুখের দিকে তাকালে আমি যেন বড়ও অভাগা। সে জবাব চায় আমাদের মা কি আসবে না? তখন আমি জবাব দিতে গিয়ে দুচোখ ভরা কান্নার পানি ছাড়া আর কিছুই দিতে পারি না। পারি না তার চোখের সাথে তাল মিলাতে। নিচে তাকিয়ে কোন রকম তার সামনে থেকে চলে যেতে হয়। আমার বড় আপু ও মেঝ আপু বারবার কান্নায় ভেঙে পড়ে। তখন আমি কোন ভাবেই শান্তনা দিতে পারি না। কথা একটাই বলি দোয়া করি যেন আমাদের প্রিয় মা জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থানে স্থান পায়। এটাই আল্লাহর কাছে একমাত্র চাওয়া।
আসলে সন্তানের জীবনে মায়ের আসন হৃদয়ের সবটা জুড়েই। কেউ বা তা প্রবাশ করতে পারে খুব সহজেই আবার কোন কোন সন্তান তার প্রতিটা হৃদয় স্পন্দনে গভীর ভাবে তা উপলব্ধি করেন, কিন্তু প্রকাশ করার ক্ষমতায় পারদর্শী নন। বিশাল এক ছাযার নাম " মা "। সন্তানের জীবনে মায়ের কোন বিকল্প নেই। মায়া, মমতা, আদর স্নেহের এক অফুরন্ত ভান্ডার। জাগতিক জীবনে এক নিঃস্বার্থ ও নিরাপদ আশ্রয়স্থল। " মা" হলো এমন একজন যিনি১০ মাস গর্ভে, ৩ বছর কোলে এবং বাকি সারাটা জীবন হৃদয়ে নিঃস্বার্থ রেখে দিতে পারে। যাদের মা-বাবা বেচে আছে তাঁরা নিঃসন্দেহে সৌভাগ্যবান,পৃথিবীতে চিরসুখি মানুষ। আমি হলাম সৌভাগ্য বঞ্চিতদের দলে। আজ যখন মাকে কাছে পেতে চাই, সময় দিতে চাই, মায়ের কাছে নিজের কষ্টের কথা জানাতে চায়, নিজের সমস্ত সামর্থ্য দিয়ে সেবাযত্ন করতে চাই সর্বোপরি মাকে জীবনের চলার পথের সাথী হিসাবে পাশে পেতে চাই তখনি মা আমার পাশে নেই। যেদিকে তাকায় সর্বত্রই কেবল কষ্টের হাতছানি।এই জীবন চলার পথে আমার পাশে আজ মা নেই। তাইতো মায়ের শূন্যতা আমার কোন ভাবেই পূরান করতে পারছি না। মায়ের স্মৃতি আর আমাদের মানুষ করার স্বপ্ন ভেসে চলেছে অবিরাম। কিন্তু সেই স্বপ্ন কিভাবে পূরণ করবো আসল অনুপ্রেরণাময়ী মাইতো আজ পাশে নেই।
মা সবসময় তুমি আমার সাথেই থাকো, হয়তো বা ডাকতেও পারি না, ছুতেও পারি না, কিন্তু আজও তোমার কথা মনে পড়লে বেশি আবেগ প্রবন হয়ে পড়ি।আমার জীবনের সকল আনন্দ আর বেদনার অংশীদার ছিলে তুমি। যখন স্কুল জীবনে পরীক্ষায় প্রথম তিনজনের একজন হতাম তখন তোমার খুসি মুখে সুন্দর হাসি দিয়ে বুকে জড়িয়ে ধরতে। আজ গত চার বছর ভালো ফলাফল করলেও পায়নি তোমার হাসি মুখটা বুকে জড়িয়ে সেই ভালোবাসা টা মা। সেই দিন গুলো মাগো বারবার হৃদয়ে দাগ কেটে চলেছে অবিরত।
যেদিন স্কুল থেকে ফিরতে দেরি হতো বা কোচিং শেষে ফিরতে সন্ধ্যা হয়ে যেতো সেদিন দেখতাম রাস্তার পাশে আমি যেদিক থেকে বাসায় আসবো সেদিকে তাকিয়ে তুমি দাঁড়িয়ে আছো। গাড়ি থেকে নামতেই কাছে এসে জাড়িয়ে ধরে কাঁদো কাঁদো শুরে বলতে সোনা আজ কেনো এতো দেরি করলে তোমার ক্ষুদা লেগেছেতো। আহারে আমার সোনার মুখটা শুকিয়ে গিয়েছে। কোন দিন না খেয়ে স্কুলে গেলে বাসায় ফেরার আগেই খাবার জোগাড় করে রাখতে আর অন্যদের বলতে আজ আমার সোনা না খেয়ে স্কুলে গেছে ওর আজ খুব কষ্ট হচ্ছে। বাসায় না ফিরতেই তুমি ছুটে এসে বলতে আজ তোর অনেক কষ্ট হয়েছে তাই না খুব ক্ষুধা লেগেছে এই বলে নিজের হাতে আমার মুখে ভাত তুলে দিতে।
তোমাকে হারিয়ে আজ চার বছরে মনে হয় না কোনদিন খেয়ে কলেজে গিয়েছি। আসা যাওয়া ৮০ কিলোমিটার যার্নি করে কলেজ করে ফিরতে ফিরতে সন্ধ্যা হলেও আজ আর কেউ রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকে না কেউ বা বলে না সোনা আজ তোর খুব কষ্ট হয়েছে। খাবার হাতে কেউ আর অপেক্ষা করে না মা।এই দিনুগুলোতে তোমাকে খুব মনে পড়ে। ভাবতেই তোমার কথা কখন যে দুচোখের কোন বেয়ে গড়িয়ে পরে পানি বুঝতেই পারি না।
যখন'ই অসুখ হয় তখনি সবার আগে "মা" কে মনে পড়ে। ইচ্ছা হয় মায়ের কোলে মাথা রেখে চুপ করে শুয়ে থাকতে। পৃথিবীতে একমাত্র মা' ই আছে যাকে কখনোই মনে হয় না স্বার্থপর। সেই মা তোমাকে ছেড়ে আজ চারটা বছর চলে যাচ্ছে।
অথচ একসময় তোমার ভালো লাগাগুলো কে তুচ্ছ করে পরম যত্নে তুলে রাখতে আমাদের জন্য। আজ আল্লাহর কাছে একটাই চাওয়া তোমাকে যেনো শান্তিতে রাখে। আসলে তুমি ছিলে জীবনের মহামূল্য বান সম্পদ।মা তুমি নেই বলে আজ আর কেউ খোঁজ রাখে না খেয়েছি কি না, ঈদে নতুন কাপড় নিয়েছি কি না।
মা জানো আজ অনেক দিন হয়ে গেছে তোমাকে দেখি না। মা আমি এখন অনেক টা বুঝতে শিখেছি। কি করবো বলো,দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে যে। আজ যখন আমি কষ্ট পেয়ে কাদি কাউকে দেখায় না।আমি কাকে কষ্ট দেখাবো আমারতো কষ্ট বোঝার মতো আজ মা নেই।
আমি না এখন আর দুষ্টুমি করি না। এখন আর আগের মতো অভিমানও করি না, বায়না, আবদার কিছুই করি না।আমি যানি যার মা নেই তার এসব বায়না থাকতে নেই।আমি তোমাকে খুব মিচ করি মা। তোমাকে খুব ভালোবাসি।কেনো চলে গেছো আমাকে রেখে তুমি। আমাকে কেনো নিয়ে গেলে না। বিশাল পৃথিবীতে আমি খুব অসহায়। তুমি ছাড়া যে ভালো লাগে না, আমি চেষ্টা করি মা বিহীন জীবন কাটিয়ে দিতে। কিন্তু পারি কই,মাঝে মধ্যে তো খুব শূন্য লাগে। বুকের বা পাশটা খুব ব্যথা করে। কেমন যেন একটা হাহাকার।
মা তুমি আমার মাঝে নেই ভাবতে বড় কষ্ট লাগে। প্রতিদানের মানসিকতা নিয়ে মায়েরা সন্তান বড় করে না। তবুও বারবার মনে পড়ছে তোমাকে কি যোগ্য মর্যাদা দিতে পারবো।সেই অপরাধবোধ আর অপারগতার জন্য ক্ষমা চাওয়া ছাড়া এ মুহুর্তে আর কী বা করার আছে। পারলে ক্ষমা করে দিও। নানা প্রতিকূলতায় আশার বানী শোনাও না আজ আর। তুমি বড্ড সরল মনের মানুষ ছিলে।আবেগের আকুলতায় তোমার মুখছি ভেসে ওঠে স্মৃতির মনিকোঠায়। কারনে -অকারণে কতো না কষ্ট দিয়েছি তোমাকে। তোমাকে কখনোই শান্তি দিতে পারি নাই। হয়তো বা জীবন ভর শুধু উৎকন্ঠা আর সীমাহীন দুঃচিন্তায় কেটেছে তোমার অনেক টা সময় বলতে দ্বিধা নেই। তুমি ছিলে সৃজনশীল শৈল্পিক মনের একজন সরল - সাধারনমানুষ। সেজন্য সন্তান হিসাবে আমি গর্বিত। দূর থেকে দোয়া করো,যেনো সব অশুভ অকল্যান আামকে স্পর্শ করতে না পারে। পারিবারিক বন্ধন যেন আরো সুদুর করতে পারি। প্রত্যেকে যেন প্রত্যেকের ওপর নির্ভর করতে পারি,যা তুমি সারাজীবন চেয়েছিলে।
আচ্ছা তোমার শূন্যতা যদি এতো কষ্ট, তাহলে মৃত্যু হয় না কেনো, মরে যেয়েও তো সুখ হবে। পৃথিবীতে মা ছাড়া একটি মুহুর্তও বাচা যায় না। প্লিজ মা আর একবার তুমি আমার কাছে ফিরে আসো।
মা--- আজ আর লিখতে পারছি না।
পরিশেষে মা তোমার আমার দেখা হবে জান্নাতের সীরিতে মা।
🙏🙏সবশেষে সবার কাছে একটাই অনুরোধ আপনারা আমার মা এর আত্তার শান্তির জন্য মাগফেরাকের দোয়া করবেন। আজকের জন্য বিদায় নিচ্ছি।
🙏🙏 সবাইকে এতোখন লেখাটা মন দিয়ে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো থাকুক পৃথিবীর সকল "মা"
স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৫৩৮
Date:- ২৬/০৫/২০২১
🌿🌿🌿🌿আমি🌿🌿🌿🌿
🌿 মোস্তাফিজুর রহমান
🌿 কমিউনিটি ভলেন্টিয়ার
🌿ব্লাড নিয়ে কাজ করছি
🌿ব্যাচঃ ১২
🌿রেজিঃ৫১৪৯১
🌿 নিজ জেলাঃ ফরিদপুর
🌿 ব্লাড গ্রুপ ব-