কোন কাজই ছোট নয়, কাজ তো কাজই তাই
🌷 জীবনের গল্প 🌷
আসসালামু আলাইকুম
সর্বপ্রথম কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি মহান রাব্বুল আলামীনের উপরে যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন এবং এই মহামারির মধ্যে আমাকে সুস্থ রেখেছেন তার জন্য আলহামদুলিল্লাহ। তারপর কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি মা-বাবা, ভাই বোনদের প্রতি যারা আমাকে তাদের আদর্শে বড় করেছেন এর জন্য তাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।তারপর কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি সবার প্রিয় মেন্টর জনাব 🌹ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের প্রতি যিনি এতো সুন্দর একটা প্লাটফর্ম তৈরি করেছেন।😍
আমার জীবনের ছোট একটা গল্প, গল্প বলতে জীবনের কাহিনী এখন গল্প হয়ে গেছে, আজকে আমি আমার জীবনের ছোট একটা গল্প বলবো।
আমার জন্ম চাঁদপুরে, আমি চাঁদপুরের ছেলে, আবার পরিবারের বড় ছেলে, আর সবাই তো জানেন পরিবারের বড় ছেলের দায়িত্ব কতো, ছোট কালে অনেক স্বপ্ন ছিলো ভাবতাম সব কিছু হয়তো অনেক সহজ কিন্তু বড় হয়ে দেখি ছোট কালের স্বপ্নের সাথে বাস্তবতার কাছে সব কিছু ভিন্ন। ছোটকালে ভাবতাম বড় হয়ে কতো জায়গায় ঘুরতে যাবো কিন্তু বড় হয়ে পরিবারের হাল ধরতে গিয়ে নিজের ইচ্ছে বিসর্জন দিতে হচ্ছে 😭😭😭। অনেক কষ্টে ২০১২ ইন্টার/HSC পাস করলাম, তবে বর্তমানে ইন্টার পাস কিছুই না, তারপরও স্বপ্ন পূরণ করতে ২০১২ সালে এনজিওতে চাকরি নিলাম। এনজিওতে সুদের ব্যবসা বলে ১ বছর পর চাকরি ছেড়ে দেই। তারপর ১ টি ফ্লেক্সিলোডের দোকান দেই এবং সেই ব্যবসা লস করে ১ বছরের মধ্যে ব্যবসা ছেড়ে দেই। তারপর বিকাশ কোম্পানিতে চাকরি নেই, দের বছর চাকরি করার পর চাকরি ছেড়ে দেই। তারপর বিদেশে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ২০১৪ সালে ড্রাইভিং শিখি এবং তারপর আলহামদুলিল্লাহ ছোট একটা চাকরি পেলাম, যা দিয়ে নিজের চলতেই কষ্ট হয়ে যায়, তবে আমি ধৈর্য্য ধরলাম, তবে মনে মনে ভাবলাম এভাবে চললে স্বপ্ন পূরণ কিভাবে করবো? বিদেশে যাওয়া না হওয়ায় ২০১৪ সালের ৭ ডিসেম্বর থেকে প্রফেশনাল ড্রাইভিং করা শুরু করি, যা এখনো চলমান। ২০১৬ সালে বাড়ি ছেড়ে ঢাকায় চলে আসলাম ড্রাইভিং চাকরির জন্য😭😭। প্রথমবার পরিবার ছেড়ে বাহিরে, ভিতরে কষ্ট হলেও স্বপ্ন পূরণ করার জন্য নিজেকে মানিয়ে নিলাম কারণ ছেলেদের চোখে পানি মানায় না এটা ভেবে😭।
তারপর বাড়ি ছেড়ে ঢাকায় নিজেকে মানিয়ে নিতেও কষ্ট হচ্ছে, সব কিছু কেমন যেনো লাগছে, মানুষ গুলোও কেমন যেনো যাই হোক সব কিছু মানিয়ে নিলাম, আর চাকরি করতে থাকলাম। কিন্তু কিছু দিন পরে চাকরিটা ছেড়ে দিলাম কারণ কষ্ট অনুযায়ী বেতন নেই, আমি হতাশ হয়ে পরলাম কি করবো এটা ভেবে? কিভাবে নিজের স্বপ্ন পূরণ করবো? তখন অনেকেই বলতে শুরু করলো আমার দ্বারা নাকি কিছুই হবে না 😭😭 তখন আমি আরও ভেঙে পরি😭। তারপর একটা কোম্পানিতে ড্রাইভিং চাকরি শুরু করি।
আমি খুবই হতাশায় ভুগছিলাম। হঠাৎ একদিন কে যেনো আমাকে নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন গ্রুপের কথা বললো। তখন গ্রুপের কিছুই বুঝতাম না, মাঝে মাঝে দেখতাম, তখন গ্রুপের ৩য় ব্যাচ চলে অনেক পোস্ট চোখের সামনে পড়ে তবে পড়তাম না কারণ কিছুই ভালো লাগতো না, তবে আমার পড়তে অনেক ভালো লাগে, হঠাৎ একদিন কি ভেবে যেনো একটা পোস্ট পড়ি এবং তার পোস্ট পড়ে চোখ থেকে পানি পরে গেলো এবং শেষে দেখলাম Iqbal Bahar jahid স্যারের অনুপ্রেরণায় সে সফল হয়েছেন তখন আমার আগ্রহ হলো এখানে কি শেখানো হয় এবং প্রতিদিন অনেকের পোস্ট পরতাম আর অনুপ্রেরণা পেতাম, বিশেষ করে স্যারের পোস্ট পড়ে জীবনের কষ্ট গুলোকে আর কষ্ট মনে হলো না।
তারপর আমি Lima Khatun আপুর মাধ্যমে ১০ম ব্যাচে রেজিষ্ট্রেশন করি।
যে জীবনটাকে কঠিন মনে করেছিলাম সেই জীবনটাকে স্যারের অনুপ্রেরণায় সহজ করে নিলাম এবং নিয়ম করে স্যারের প্রতিটা পোস্ট ফলো করতাম।
স্যারের একটা কথা মাথায় রেখে আবার ছোট করে একটা নিলাম, তখন অনেক কথা শুনতে হলো যে এ-ই জবের চেয়ে আগের জবটা ভালো ছিলো, অনেকেই অনেক কথা বললো বাট আমি স্যারের যখন বলেছেন কোন কাজই ছোট নয়, কাজ তো কাজই তাই কারো কথা মাথায় নিলাম না এবং মনে মনে চিন্তা করলাম এ-ই চাকরি করে টাকা জমিয়ে নিজের কিছু করতে হবে যাতে অন্যদের জন্য কিছু করতে পারি। তখন আমি ঐ ড্রাইভিং চাকরির পাশাপাশি জমানো টাকা এবং আরও টাকা ধার করে একটি সিএনজি ক্রয় করে চাঁদপুরে ১ জন ড্রাইভারকে দিয়ে দিই। কিছুদিন পর আমার চাকুরির ইনকামের টাকা এবং সিএনজি ইনকামের টাকা দিয়ে ১ টি মটর সাইকেল ক্রয় করি এবং চাকরির পাশাপাশি পার্টটাইম পাঠাও উবারে রাইড শেয়ারিং করি যাতে দ্রুত নিজে কিছু করতে পারি। আলহামদুলিল্লাহ টানা ৩ বছর ৬ মাস একই কোম্পানিতে চাকরি করে, পার্টটাইম রাইড শেয়ারিং করে, পার্টটাইম বিজনেস করে টাকা জমিয়ে এবং কিছুটা ধার করে নিজে একটা প্রাইভেট কার কিনলাম। কারণ স্যার বলেছেন জীবনে ভালো কিছু করতে হলে রিক্স নিতে হবে। তাই আমিও রিক্স নিয়ে চাকরি ছেড়ে একটা গাড়ি কিনলাম এবং রেন্ট এ কার বিজনেস শুরু করলাম।
জীবনে কখনোই ভাবতে পারি নি এতো তাড়াতাড়ি কিছু করতে পারবো নিজের ইনকামে যা পেরেছি শুধু মাত্র Iqbal Bahar Zahid স্যারের জন্য। স্যার আমার জীবনের আশার আলো। গাড়ি কেনার আগে ইচ্ছে ছিলো দেখা করবো বাট পরে ভাবলাম না গাড়ি কিনে স্যারের কাছে যাবো, আলহামদুলিল্লাহ গাড়ি কিনে স্যারের কাছে গেলাম এবং স্যারের সাথে কথা বলে বুঝলাম জীবনে এখনও অনেক কিছু করতে হবে, তখন আরও অনুপ্রেরণা পেলাম। সবচেয়ে বড় কথা হলো আগে ভাবতাম হয়তো কোনদিন ঘুরতে যেতে পারবো কিনা,আর এখন স্যারের জন্য টাকাও ইনকাম করতে পারি এবং ঘুরতে পারি।
আসলে একসময় আমি হতাশ হয়ে পরেছিলাম আর ভেবেছিলাম জীবনে হয়তো কিছুই করতে পারবো না, নিজের স্বপ্ন, মা-বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে পারবো না। সমাজের কথা তখন ভাবতেও পারি নি যে সমাজের জন্য কিছু করতে পারবো। কিন্তু নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন এসে শিখেছি কিভাবে নিজের জন্য, পরিবারের জন্য, সমাজের জন্য কাজ করতে হয়।সেই অনুযায়ী স্বপ্ন দেখতে শুরু করলাম এবং কাজ করলাম। হয়তো এখন ১ টা গাড়ি এবং ১ মাসের মধ্যে আরও ১ টা গাড়ি কিনবো। কিন্তু আমার ইচ্ছে একদিন আমার অনেক গুলো গাড়ি হবে এবং অন্যদের কর্মস্থান করে দিবো। ইনশাআল্লাহ আর এ-ই স্বপ্ন শুধু মাত্র স্যারের জন্য পূরণ হচ্ছে। কারণ আমি কখনও ভাবতেও পারি নি আমি আজ এ-ই পর্যন্ত এতদূর আসতে পারবো। যেখানে আমি পুরো হতাশ হয়ে চাকরি ছেড়ে দিছিলাম সেখানে স্যারের জন্য নতুন করে বাঁচতে শিখলাম কারণ স্যার বলেছেন ধৈর্য্য ধরে লেগে থাকলে সাফল্য আসবেই ইনশাআল্লাহ 😍 এবং সেই সাফল্য আমি পাচ্ছি প্রতিনিয়ত😍।নিজেকে পজিটিভ রেখে সামনের দিকে এগিয়ে গেলে সাফল্য আসবেই ইনশাআল্লাহ 😍।
স্যার আমার জীবনে আশার আলো হয়ে এসেছেন তাই আমি সারাজীবন স্যারের কাছে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করি।
📌"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৬৭৭
Date:- ১৮/১১/২০২১ ইং
👷♂️ কে এম শাহাদাত হোসেন
👥 ব্যাচঃ ১০ম
📝 রেজিঃ নং- ১৪৬৪২
💉 ব্লাড গ্রুপঃ এ বি পজিটিভ
🏠 জেলাঃ চাঁদপুর
🏡 বর্তমান অবস্থানঃ ঢাকা
👨👩👦👦 গুলশান জোন
🎯 পেশাঃ ব্যবসা (রেন্ট এ কার বিজনেস)
📲 মোবাঃ ০১৮২০০৪৮৩০৫/ ০১৭১৩১৯০৩৯৮