আমার এ ঘুরে দাঁড়ানোর পিচে সবচেয়ে বড় অবদান আমাদের প্রিয় স্যার।
"জীবন গল্প" ❤️
🍂বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম🍂
♦"পরম করুনাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি♦
🕌আসসালামু আলাইকুম ওরহমাতুল্লাহ🕌
সর্বপ্রথম ঐ মহান আল্লাহ তায়ালার প্রশংসায় সেজদায় অবনত হচ্ছি, যিনি আমাদের এবং আমাদের পরিবারকে সুস্থ এবং সুন্দর রেখেছেন। তার জন্য মহান আল্লাহর দরবারে লাখো- কোটি শুকরিয়া আদায় করছি ,আলহামদুলিল্লাহ।
শতো কোটি দুরুদও সালাম পেশ করছি মানবতার মুক্তিরদুত প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ মোস্তফা (সাঃ) এর প্রতি।
শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার সহিত স্মরণ করছি -ভালো মানুষ গড়ার কারিগর, জীবন্ত কিংবদন্তী, পথহারা মানুষের পথপ্রদর্শক এ শতাব্দীর সেরা আবিষ্কারক আমাদের সবার প্রিয় শিক্ষক ও মেন্টর ইকবাল_বাহার_জাহিদ স্যারের প্রতি, যার পরিশ্রম একাগ্রতা, সততা ও নিষ্ঠার ফসল হিসেবে আমরা পেয়েছি" নিজের বলার মত একটি গল্প ফাউন্ডেশনের মতো একটি মানবিক প্ল্যাটফর্ম। তার সাথে ধন্যবাদ জানাচ্ছি তাদেরকে যাদের মেহনতের দ্বারা নিজের বলার মত গল্প ফাউন্ডেশনকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে -অনেক অনেক দোয়া এবং ভালোবাসা নতুন পুরাতন সকল সদস্য ভাই বোনদের প্রতি ------
👑জীবন গল্পের মূল গল্প 👑
বাবা- মায়ের ১০ জন সন্তানের মধ্যে সিরিয়াল এ আমি ৯ম, এবং ভাইদের সিরিয়ালে আমি ৬ষ্ঠ। মধ্যেবৃত্ত পরিবারে ছোট বেলা থেকেই অনেক আদরে বড় হয়েছি,বলতে গেলে ভাই-বোনদের সবার মাঝে আমি এ ছোট, আর ছোট বেলায় নাকি আমি অনেক কিউট ছিলাম তাই সবাই আমাকে অনেক বেশি আদর করতো এবং কোলে তুলে নিতো। আসলে বিয়টা যতটুকু বলেছে সেটা কতটুকু সঠিক তা আমার জানা না থাকলে ও একটা বিষয় স্পষ্ট মনে আছে, আমার ছোট আপু ওনার এস,এস, সি পরিক্ষার আগে একদিন আমাকে ওনাদের স্কুলে নিয়ে যাওয়ার পর আপুর বান্ধুবীরা আমাকে কোলে নেয়ার জন্য সবাই আমাকে নিয়ে যে পরিমান টানাটানি করেছে, সেই ভয়ে আমি আর কোনদিন ও আপুর স্কুলে যাওয়ার সাহস হয় নাই।
সর্বপ্রথম আমি আমার বাড়ির কাছের একটা প্রাইমরী স্কুল এ ২য় শ্রেনী পর্যন্ত পড়ি, তারপর কিন্ডার গার্ডেন স্কুল এ ২বছর পড়ি ও নামকরা একটি প্রাইমারী স্কুল থেকে ৪র্থ ও ৫ম শ্রেনী পড়ালেখা শেষ করি এবং ৫ম শ্রেনীতে বৃত্তি লাভ করি।
তারপর আমি হাইস্কুল জীবনের পড়ালেখা সমাপ্ত করি এস,এস, সি পরিক্ষার মাধ্যমে।
ছোট বেলা থেকেই, সবাই বলতো আমার নাকি অনেক মেধা আছে (মেধাবী),তবে আমার মতে আমি মিড লেভেলের এর ছাত্র ছিলাম।
ক্লাসেও মোটামুটি ভালো ছাত্র হিসেবেই নাম ছিলো, পড়া লেখা,আলহামদুলিল্লাহ ভালো ছাত্র।🌺🌺🌺
এস,এস,সি পরিক্ষার পর আমি এইচ,এস,সি ও ৪ বছরের মেডিকেল ডিপ্লোমা (ম্যাটস্) কমপ্লিট করি নোয়াখালি থেকে।
মেডিকেল ডিপ্লোমা কমপ্লিট হওয়ার পর, নোয়াখালী মাইজদীর নাম করা অনেক গুলো প্রাইভেট হসপিটাল থেকে আমাকে জব এর অফার করা হয়, কিন্তুু আমি সেই সব অফার গ্রহন করি নাই। তার কারণ ছিল একটাই,আমার দেখা মতে প্রাইভেট জব এ তেমন কোন স্বাধীনতা নেই, এবং পরিশ্রম অনেক বেশি।
তাছাড়া পরিশ্রম অনুযায়ী সেই পরিমান ভালো সেলারী প্রদান করেনা। ওই ধারনা থেকেই আমি প্রাইভেট জব করি নাই এবং আমার ইচ্ছা ছিল ভালো একটা সরকারী জব করবো।
আর এ থেকেই আমার সরকারী চাকুরীর পিছনে ছুটে চলা,
সরকারী চুকুরীর জন্য আমি অনেক বার লিখিত পরিক্ষায় উর্তীর্ণ হওয়ার পরে ও সরকারী চাকুরী না হওয়ার এক পর্যায়ে আমি অনেক বেশি হাতাশ হয়ে যাই। কারন সরকারী চাকুরীর পিছনে ঘুরে ঘুরে বলতে গেলে আমার পায়ের জুতার তলা ক্ষয় হয়ে গেছে।
এ ফাউন্ডেশন এ যুক্ত হওয়ার সময় কাল:---
~~~~♥~~~~♥~~~♥~~~♥~~~
সরকারী চাকুরীর পরিক্ষায় পাশ করার পরে ও আমার চাকুরী না হওয়া পিছনে সমস্যা একটাই, তার কারন হচ্ছে আমার কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা চাওয়া হয়েছে চাকুরী নিশ্চিত করার জন্য। কিন্তুু আমি মোটা অংকের টাকা না দেয়ার জন্য রাজি না থাকার কারনে আমার সেই সোনালী সপ্ন আর বাস্তবায়ন হয় না।
আর তখন ই আমার মাথায় চিন্তা আসে, আমি আর সরকারী চাকুরীর পিছনে সময় নষ্ট করবো না, সরকারী চাকুরীর জন্য যে টাকা ঘুষ চাইছে ঐ টাকা দিয়ে আমি ব্যবসা করবো।
আর যখন ই চিন্তা করলাম ব্যবসা করবো, তখন আমার মাথায় আসলো আমি তো জেনারেল লাইন এ পড়ালেখা করি নাই,আমি তো পড়ালেখা করছি মেডিকেল সেক্টর এ!!!
তাহলে আমি ব্যবসা করবো কিভাবে!?
আর আমি যদি এত বছর পড়ালেখা করার পর এখন ব্যবসা করতে যাই, মানুষ জন কি বলবে এবং কি মনে করবে!!!
তাছাড়া আমার পরিবারের কেউ ই এটা মানতে রাজি হবে না, তার কারন হচ্ছে আমি এতো বছর লেখাপড়া করেছি, মেডিকেল ডিপ্লোমা করেছি!! আরো একটা কারন হচ্ছে আমি পাশ করার পর কয়েক মাস একটা ডায়াগনস্টিক ল্যাব চেম্বার করেছি।
এবং এর পাশা-পাশি আমাদের নিজেদের ফার্মেসীতে ব্যাক্তিগত চেম্বার ও করতাম♥♥
এ অবস্থায় ব্যবসা নিয়ে আমি যখন খুবই চিন্তিত, তখনি একদিন ফেজবুক স্ক্রল করতে করতে হঠাৎ করে চোখে পড়ে " নিজের বলার মত একটি ফাউন্ডশন" এর একটি পোস্ট!!!!
এভাবে একদিন দুইদিন করে এ ফাউন্ডেশনের পোস্ট দেখতে পাই ক্রমান্বয়ে। এভাবে দেখতে দেখতে একদিন চিন্তা করি আসলে এ ফাউন্ডশনের কাজ কি!!??
তারপর আমি " নিজের বলার মত একটি গল্প ফাউন্ডেশন " এর পেইজ এ ডুকি এবং বিস্তারিত দেখতে থাকি, ঠিক তখনি স্যারের একটা ভিডিও নজরে পড়ে,
--স্বপ্ন দেখুন, সাহস করুন, শুরু করুন,এবং লেগে থাকুন, সফলতা আসবেই--।
স্যারের উক্ত জ্বালামায়ী ভিডিওটি আমাকে সত্যি এতো বেশি অনুপ্রানীত করেছে তারপর থেকে আমি আর বসে থাকতে পারিনি।
আর তখন থেকেই আমি গল্প ফাউন্ডেশনের পোস্ট গুলো নিয়মিত পড়ার চেষ্টা করতাম।
এভাবেই একদিন রেজিস্ট্রেশন লিংক পাই এবং ১১তম ব্যাচ এ রেজিস্ট্রেশন করে নেই। এভাবেই " ইকবাল বাহার জাহিদ "স্যার এর বিভিন্ন পোস্ট এবং ভিডিও দেখার মাধ্যমেই নিজের মধ্যে ভালোলাগা ও উদ্দীপনা কাজ করে।এবং নিজে নিজে প্রতিনিয়ত ভাবতাম আমাকে কিছু একটা করতে হবে, শুরু করতে হবে।
আর তখনি আমি চিন্তা করি যেহেতু আমি মেডিকেল লাইনেই পড়ালেখা করেছি, সেহেতু মেডিকেল প্রফেশনের সাথে মিল রেখেই কি ব্যবসা শুরু করা যায়!!
আর এই মিল ধরে রাখতে গিয়েই মাথায় আসে স্বাস্থ্য সেবা মুলক কোনো ব্যাবসা করবো, যাতে এক কাজে দুই কাজ হবে।মানব সেবাও হবে ব্যবসাও হবে।
আর সেই চিন্তাকে লালন করে একটি মানসম্পুর্ন হাসপাতাল গড়ার প্লেন করি।তখন ভাবলাম হাসপাতালতো অনেক ব্যয়বহুল আমার দ্বারাতো একা করা সম্ভব না। তখন আমার সিনিয়র কয়েকজন ভাইয়ের সাথে বিষয়টি আলাপ করি এবং বিষয়টি সবাই সমর্থন করেন।আর তখন থেকেই শুরু হয় যে চিন্তা সেই কাজ,মনের মধ্যে বিশাল পরিমান সাহস নিয়ে প্রদচরনা শুরু করে দেই।এবং সেই সুচিন্তার ফলস্বরূপ শুরু করি আমাদের প্রানপ্রিয় প্রতিষ্ঠান কেয়ার স্পেশালাইজড হসপিটাল।
আমি যদিও নোয়াখালীর মাইজদী থেকে পড়াশোনা সম্পুর্ন করেছি, অনেক বছর ধরে মাইজদীতে ছিলাম এবং মাইজদীতে আমার একটা ভালো অবস্থান ও ছিলো।তারপরেও আমার পরিশ্রমের স্বপ্নকে স্থাপন করেছি নিজ জেলা প্রানের লক্ষ্মীপুরের প্রান কেন্দ্রে- কারন একটাই, এটা আমার জেলা,এ জেলার মাটি আমার গায়ে মিশে আছে, এখানকার মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারলে মা-মাটি আমাকে দোয়া করবে।
তাই লক্ষ্মীপুর জেলার মান উন্নয়ন ও স্বাস্থ্যখাতে লক্ষ্মীপুর জেলাকে আরো একদাপ এগিয়ে নেয়ার জন্য প্রতিষ্ঠা করেছি - কেয়ার স্পেশেলাইজড হসপিটাল-।
একটি কথা না বললেই নয় এ ফাউন্ডেশন থেকে শিক্ষা নিয়ে প্রিয় মেন্টরের অনুপ্রেরণায় আজ আমার পরিবর্তন তাই এ ফাউন্ডেশনের এ পরিবারের স্বাস্থ্যসেবা খাতে -কেয়ার কেয়ার স্পেশালাইজড হসপিটাল - থেকে থাকবে স্বর্বচ্ছ সুযোগ সুবিধা।
আমার এ ঘুরে দাঁড়ানোর পিচে সবচেয়ে বড় অবদান আমাদের প্রিয় স্যার, তারপরে এ ফাউন্ডেশনের আমাদের জেলার লক্ষ্মীপুরের প্রিয় ভাই ও বোবোনদেরনদের।তাদের কাছ থেকে আমি সবসময় সাহস ও সহযোগিতা পেয়েছি এবং জীবন চলার পথকে আরো গতিশীল করতে পেরেছি - তাদের মধ্যে বিশেষ করে Cm Hasan ও Nasir Mirza ভাইয়ের কথা না বললেই নয়।
এ ফাউন্ডেশনে এসে আমি অনেক কিছু পেয়েছি, শিখতে পেরেছি অনেক কিছু, অনেক গুলো ভালো মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি, পেয়েছি একটি পরিবার।এ পরিবারের সবার প্রতি আমি অনেক অনেক কৃতজ্ঞ।
জীবন গল্প লিখে কখনো শেষ করা যায় না,তারপরেও আজ ভালোবাসার পরিবারের সামনে নিজের সংক্ষলিপ্ত গল্প তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।ভুলত্রুটি সবাই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
স্বর্বপরি- প্রিয় মেন্টরের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে শেষ হবে না, শুধু প্রার্থনা করছি আল্লাহ আমাদের প্রিয় মেন্টরকে আমাদের মাঝে যুগযুগ বাঁচিয়ে রাখুক।
অফুরন্ত ভালোবাসা রইলো সবার প্রতি, যারা এতোক্ষন সময় নিয়ে আমার গল্পটি পড়েছেন।
♦এ,বি,এম নাসির উদ্দিন
♠ব্যাচ নং: ১১তম
♦রেজি: নং: - ২৩৪৬২
♠উপজেলা: কমলনগর
♦জেলা: লক্ষীপুর
♥পেশা: চিকিৎসক
♠স্বত্বাধিকারী:কেয়ার স্পেশালাইজড্ হসপিটাল
এস, আর রোড ( জেলা পরিষদের সামনে)
সদর, লক্ষীপুর।
https://www.facebook.com/Care-Specialized-Hospital-104618814488398/