🥀বেঁচে থাকো হে সূর্য সন্তান যুগের পরে যুগ

আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ প্রিয় ফাউন্ডেশনের প্রিয় ভাইয়া ও আপুরা কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ আমাকেও ভালো রেখেছেন। 🥀🥀 বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম 🥀🥀 সর্বপ্রথম মহীয়ান গরীয়ান প্রভুর দরবারে লাখো কোটি শুকরিয়া,,, যিনি আমাকে এবং আমাদের প্রিয় ফাউন্ডেশনের সবাইকে সুস্থ ও সবল রেখেছেন আলহামদুলিল্লাহ। 🥀অসংখ্য দরুদ ও ছালাম বিশ্ব মানবতার মহা মানব, মুক্তির দিশারী হযরত মোহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর। ❤️কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি,,, পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ নেয়ামত যার পদতলে আমার জান্নাত সেই জনমদুঃখিনী সম্মানিত মায়ের প্রতি। কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি, মুকুটহীন রাজা আমার সম্মানিত বাবার প্রতি। যাদের ত্যাগ তিতিক্ষার ফলশ্রুতিতে এই মহিমান্বিত দুনিয়ার আলো দেখতে পেয়েছি। 🍂 কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন রুপকার, শ্রদ্ধেয় শিক্ষক স্বপ্নের কারিগর, উদ্যোক্তা বন্ধু, লাখো তরুণ প্রজন্মের আইডল,শতাব্দীর মহানায়ক এবং জীবন্ত কিংবদন্তী Iqbal bahar jahid স্যারের প্রতি। যার অক্লান্ত পরিশ্রমে আমরা পেয়েছি একটি ভালো মানুষ গড়ার কারখানা, ভালোবাসার প্লাটফর্ম নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন। 🔹প্রিয় মেন্টর ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার একটি ভালোবাসার নাম, স্বপ্ন দেখা ও বাস্তবায়নের নাম, স্বনির্ভরতার নাম।হাজারো মোটিভেশনাল স্পিকারের মধ্যে আমার কাছে সর্বশ্রেষ্ঠ মোটিভেশনাল স্পিকার এবং পজিটিভ বান্ধব পৃথিবী গড়ার সাধক আমাদের হৃদয়ের স্পন্দন জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার। 🥀বেঁচে থাকো হে সূর্য সন্তান যুগের পরে যুগ তোমার কারণে পথহারা মানুষ পেয়েছে দাঁড়াবার সুযোগ। বিশ্বব্যপী তুমি যে এখন লাখো মানুষের আইডল নব্বই দিনের কর্মশালা তাহার কর্মফল। ভালো মানুষ থেকেই একজন হয় ভালো উদ্যোক্তা এই কারণেই পায় গো সবাই পূর্ণ সফলতা। তোমার জন্য দোয়া করি হে গর্বিত সন্তান বাংলার এভাবেই তুমি বেঁচে থাকো অন্তরে সবার। 🔹"সৎসঙ্গে স্বর্গবাস" এই ফাউন্ডেশনের সবার শ্রদ্ধাবোধ, অনুপ্রেরণা, বিনয় ও ভালোবাসা উপরোক্ত বাক্যটিকে অলংকৃত করেছে।কথা নয়, কাজে বিশ্বাসী ভালো মানসিকতা যেখানে সর্বশ্রেষ্ঠ দৃষ্টিভঙ্গি। ✍️সৃষ্টিজগতের প্রতিটি মানুষেরই জীবনে একটি গল্প থাকে। তেমনি আমার ও জীবনে একটি বলার মতো গল্প আছে, যা আপনাদের ভালোবেসে আজ শোনাতে চাই। 🔹এই প্লাটফর্মে আমি অনেক অকুতোভয়,অজেয় মানুষের গল্প পড়েছি।যাদের গল্প পড়া থেকেই আমার হৃদয় গহীনে লুকানো কিছু গল্প লিখতে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে। ভালোবাসা শুধুমাত্র পরিবার বা বন্ধুবান্ধবের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এটা সর্বজনীন,,, এই মহান ফাউন্ডেশনের চেনা, অচেনা মানুষের মনোমুগ্ধকর আন্তরিকতাই এর বাস্তব প্রমাণ। 🥀🥀আমার পরিচিতি/ শৈশবকাল🥀🥀 আমি মো রেজওয়ান হোসাইন, রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার মোড়লপাড়া গ্রামের সন্তান আমি। এই স্মৃতিবিজড়িত গ্রামেই আমার দুরন্ত শৈশব ও বেড়ে ওঠা। আমাদের ছিলো যৌথ পরিবার। পরিবারের বড় ছেলে ছিলেন আমার সম্মানিত বাবা। দাদা ছিলেন নিজে তৈরিকৃত সরিষার তেল বিক্রেতা। যাকে রংপুরের ভাষায় তেলী বলা হয়ে থাকে। সংসারের বড় ছেলে হিসেবে বাবা ছিলেন দাদার প্রধান সহকারী। শুনেছি সেসময়ে তেলীদেরকে নিচু পেশার মানুষ ভাবা হতো। এমনকি তাদের ছেলে মেয়েদের সাথে পর্যন্ত বিয়ে দিতে চাইতো না। অর্থাৎ একজন উদ্যোক্তাকে হেয় করা হতো। যাই হোক,,এখন আমূল পরিবর্তন হয়েছে ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের মত মানুষদের বিপ্লবী ইতিবাচক চিন্তা ধারার কারণে। 🔸বাবা ছিলেন স্বার্থহীন ও সহজ সরল মানুষ। বিয়ের এক যুগ পরে আমার বড় ভাইয়ের জন্ম।বাবা কখনোই কিছু সঞ্চয় করেননি, সব সময় শুধু নিরলসভাবে খেটে গেছেন। পরে সংসার আলাদা হয়ে যায়। বাবার তেমন ক্যাশ ক্যাপিটাল না থাকায় কৃষি কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন। আর হ্যাঁ,,, সেসময়ের অবজ্ঞার পেশা সরিষার তেল বিক্রি বা পেশা দাদার জীবদ্দশায় সমাপ্তি হয়েছিল। বাবার উপার্জনে আমাদের সাংসারিক খরচ,,, বড় ভাইয়ার পড়াশোনা মোটামুটি ভাবে চলছিল। আর আমার দুরন্ত শৈশব খেলাধুলা ও গ্রামের পরিবেশে খুব অমায়িক ভাবেই কাটছিল। 😥বাবার জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণ 😥 কেউ একটু ভালো থাকুক তা যেন কিছু মানুষ সহ্য করতে পারে না। তবে এই ঘৃণ্য হিংসার শিকার হতে হয় কাছের লোকের কাছ থেকেই। পরিবারের কিছু লোক বাবার উপর কালো জাদু করেন। বাবা ব্যথা ও অসুস্থতায় দিন দিন যেন বেমলিন ও অসুস্থ হয়ে যাচ্ছিল। আমরা শুরুতে বুঝতে পারছিলাম না ফলে আলট্রাসনোগ্রাফি ও মেডিকেল ট্রিটমেন্ট সব শেষ করেও কোনভাবেই কিছু সনাক্ত হলো না। উল্টো দিন যাচ্ছে আরো বেশি হচ্ছে। বাবাকে নিয়ে আমরা চরম বিপাকে পড়ি মনে হচ্ছিল বাবা আমাদের মাঝে আর বেশিদিন হয়ত থাকবে না😥 পরে আমরা আমাদের চেষ্টাকে না থামিয়ে স্থানীয় কবিরাজের কাছে নিয়ে যাই। পরে আস্তে আস্তে বাবা সুস্থ হতে থাকলেন। প্রায় 6-7 মাসের জীবন মরণের সন্ধিক্ষণে বাবার চিকিৎসা খরচে আমাদের জমি বিক্রি করতে হলো। যাই হোক, সবকিছুর বিনিময়ে আমরা আমাদের সম্মানিত বাবাকে আমাদের মাঝে সুস্থভাবে ফিরে পেলাম আলহামদুলিল্লাহ। ✍️শিক্ষাজীবন ✍️ আমার প্রথম শিক্ষা জীবন শুরু হয়,, আমাদের পাশের বাড়ির বড় আপুর কাছে। তারপর আমাদের এখানে ব্র্যাক স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেন আমাকে। ব্রাকে খুব ভালোভাবেই লেখা পড়া চলছিল। ফাইভে পরীক্ষা দিলাম 2010 সালে। আমরা শিক্ষার্থী ছিলাম 33 জন। সমাপনী পরীক্ষায় 33 জনের মধ্যে প্রথম হলাম এবং একমাত্র আমিই বৃত্তি পেলাম স্কুলের মধ্যে। বৃত্তির টাকা পেলাম প্রায় 12 হাজার। বাবাকে বললাম, বাবা দুইটা ছাগল কিনে দেন পালন করার জন্য আর বাকি টাকা দিয়ে আমাদের জমিতে আমের গাছ লাগালাম। আমাদের বাড়ি থেকে সব স্কুল ছিল দূরে, পাশে ছিল আলিয়া মাদ্রাসা। আমাকে আলিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি করানো হলো ষষ্ঠ শ্রেণীতে। আমাদের পাশের বাড়ির ছেলে মেয়েদেরকে প্রাইভেট পড়তাম। তারপর জেডিসি পরীক্ষা দিলাম, টিউশনি চলছেই। এবার এসএসসি পরীক্ষা দিলাম রেজাল্ট হল 4.98। 🔹এবার আমার মনের মধ্যে খুব বেশি আগ্রহ জন্ম নিল। আমি আর গ্রামের কোন প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করবো না। রাজধানী কোন প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করব। সাধ আছে সাধ্য নাই। বাসায় এ কথা জানালে সম্পূর্ণভাবে না বলে দিলেন। 1. অর্থনৈতিক সমস্যা 2. এত দূরে আমাকে যেতে দিবে না। 🔸কিন্তু আমিতো যাবোই, কি করা যায় ভাবতে লাগলাম দিনরাত। দুই দিন কোন খাবার খাইনি,,, যাতে দয়া করে একটু বাবা-মা রাজী হন। কিন্তু আমাকে সান্তনা দিয়ে তারা আমাকে যেতে দিবেই না শেষমেষ এটাই তাদের বক্তব্য। আমার প্রতিষ্ঠান প্রধানকে বিষয়টা জানালাম। হেড স্যারের ভাই ঢাকায় থাকতো পরিচয় হলাম। তারপর উনি একটু আশ্বাস দিলেন বললেন আমি এক মাদ্রাসার হুজুর কে বিষয়টি জানিয়ে তোমাকে জানাবো। এদিকে আমি মোটামুটি ভাবে বাবা-মাকে রাজি করিয়ে ফেলেছি কিছুটা। তারপর ওনি ঢাকায় যেতে বললেন, গেলাম। উনি বললেন আমি তোমার ব্যবস্থা করে দিব ইনশাআল্লাহ। তারপর উত্তরায় একটি আলিয়া মাদ্রাসায় আমাকে ভর্তি করিয়ে দিলেন, আমার বেতন হাফ করা হলো তারপরও তিন থেকে চার হাজার টাকা ব্যয় হতো।সবার সঙ্গে পরিচিত হলাম। ক্লাসে ভালো স্টুডেন্ট দের তালিকায় নাম ছিল আলহামদুলিল্লাহ। সেই সুবাদে সম্মানিত অধ্যক্ষ মহোদয় আমাকে ওই প্রতিষ্ঠান সভাপতির ছেলেকে পড়াতে বললেন।শুরু হলো ব্র্যান্ডিং সুন্দর করে পড়াতাম। যত দুর্বল ছাত্র নিচের ক্লাসের সবাই আমার কাছে পড়বে, স্যারেরাও আমার নাম প্রেফার করেন। ৫-৭ করে দুইটা থেকে তিনটা ব্যাচ হয়ে গেলো আলহামদুলিল্লাহ। 500 করে দিলেও মোটামুটি নিজের চলেও মাস শেষে কিছু টাকা থাকে। বুঝতে পারলাম নিয়ত থাকলে চেষ্টা করলে সৃষ্টিকর্তাও সাহায্য করেন। এভাবে এইচএসসি আলিম পরীক্ষা দিলাম। তারপর রেজাল্ট হলে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি যুদ্ধে শরীক হলাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাঙ্কিং এ টিকলেও পরবর্তী তে আর ভর্তি হওয়া হয়নি। তারপর একটা মাদ্রাসায় জব নিলাম তিন ঘন্টা পড়াতাম। আমার অ্যাকটিভিটি দেখে প্রধান শিক্ষক তার ছেলেমেয়েকে আমার কাছে পড়াতে নিলেন প্রাইভেট। অবশেষে রংপুর কারমাইকেল কলেজে ভর্তি হলাম পাশাপাশি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হলাম। এখন অর অনার্স দ্বিতীয় বর্ষ অধ্যায়নরত আছি। 🥀🥀সামাজিক কর্মে আত্মনিয়োগ 🥀🥀 শুধু নিজেই ভালো থাকবো এই সার্থকতা অর্থবহ নয়, যেটা প্রিয় মেন্টর বরাবরই বলে থাকেন। বাসায় এসে গ্রামের অসহায় দরিদ্র দুর্বিনীত মানুষের কথা চিন্তা করে একটি সামাজিক সংগঠন তৈরি করেছি। আলহামদুলিল্লাহ যেখানে আমরা সবাই স্টুডেন্ট ও তরুণ। সবার মাসিক ফি দিয়ে করোনাকালীন সময়ে ত্রাণ বিতরণ রমজানে ইফতার বিতরণ ও ব্লাড ডোনেশন কার্যক্রমসহ বহুমুখী কাজ করে যাচ্ছি আলহামদুলিল্লাহ। 😥নেট জগতে তিক্ত অভিজ্ঞতা😥 প্রিয় ফাউন্ডেশনের মানবতার মহান শিক্ষকের তখনো খোঁজ পায়নি। স্যারের এই দিকনির্দেশনা পেলে হয়ত মানুষরুপী অমানুষদের ছোবলে আমাকে পড়তে হতো না। আমার এক বন্ধু ছিলো সে বললো, একটা কোম্পানি আছে বন্ধু অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবা। উৎসুক হয়ে গেলাম কিন্তু শুরুতে আমি রাজি হয়নি।পরে সে আমাকে ইমোশনাল ব্লাকমিল করে কবজা করে ফেলেছে। পরে কষ্ট করে জমানো আমার ৫,৮০০৳ দিয়ে জয়েন করিয়ে দিলো। পরে খোঁজ নিয়ে ডেসটিনি ফাংশন লোক জয়েন করাতে পারলে কমিশন ও রেন্কিং বাড়বে। বিষয়টি জেনে আমি রীতিমতো হতভম্ব। মানুষের মাথা ধোলাই করে মানুষকে ঠকানো আমার দ্বারা সম্ভব নয়। না বুজে আমি আমার ভাগিনাকে জয়েন করিয়েছি। দু'জনেই ঠকেছি। কিন্তু ওখান থেকে অনেক শিখেছি। প্রিয় স্যারের কথা মনে পড়ে গেল,,, অনেক সময় হেরে ও জিতা যায়,ঠকলেও শিখা যায়। 🥀🥀উদ্যোক্তা জীবনে পদার্পণ🥀 অনলাইন জগতে এমন নির্মমবলী হওয়ার পর থেকে আমার বিশ্বাস উঠে গেছে। মহামারী করোনা অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ থেকে খারাপ হতে হয়ে যাচ্ছে। টিউশনি আমার চলছেই, গ্রামের বাচ্চারা ২০০ টাকার বেশি দেয়না। নিজের জ্ঞান চর্চাকে ঠিক রাখার ২-৩ টা ব্যাচ পড়িয়ে যাচ্ছি। আমার জীবনের ক্লাস সিক্স থেকে অনার্স পর্যন্ত আমার টেউশনি কখনোই বন্ধ করিনি। করোনা অনেক অনেক বাঁধা হলেও আমাকে কিছু করার তাড়া দিত সবসময়। না বসে থেকে কিছু করতেই হবে। এসে গেল আমের সিজন,আমাদের এলাকায় হাড়িভাঙ্গা আম বিখ্যাত। এলাকার বড় ভাইরা অনলাইনে বিজনেস করেন। আমি উৎসুক হয়ে সব কিছু জানলাম, জানলাম বিভিন্ন গ্রুপে পোস্ট করে সেল করতে হয়। প্রায় 100 টিরও অধিক গ্রুপে জয়েন করেছে কিন্তু প্রিয় ফাউন্ডেশন এর সন্ধান তখনও পায়নি। ব্রান্ডিং কী জিনিস বুঝতাম না সব গ্রুপেই পোস্ট দিতাম এভাবে দেড় হাজার কেজি আম সারা বাংলাদেশে পাঠালাম। সব খরচ বাদ দিয়ে প্রায় 10 হাজার টাকার মতো লাভ হয়েছিল। শেষ হয়ে গেল আমের সিজন, কি করি এখন চিন্তা করলাম রিসেলার হিসেবে কাজ করব পরে বিভিন্ন জনের সাথে কথা বললাম। ড্রাগন, পাঞ্জাবি, কাঁসা ও পিতলের তৈজসপত্র নিয়ে শুরু করলাম। কিন্তু নির্মম ভাগ্যের পরিহাস যার অধীনে কাজ করতাম উনি টাকা নিয়ে একেবারে খারাপ জিনিস দিল আমার এক কাস্টমারকে। আমাকে ফোন দিলেন সব খুলে বললাম কাস্টমারকে। কাস্টমার ছিলেন একজন সম্মানিত বড় আপু যিনি পেশায় একজন ইন্টেরিয়ার ডিজাইনার এবং তার হাজবেন্ড একজন সিআইডি। আপু ওই লোককে সরাসরি কল দেন পরে ওই প্রতারক আপুর ব্যাকগ্রাউন্ড জানতে পেরে সমস্ত টাকা ফেরত দেন আলহামদুলিল্লাহ। 😥আমার মনটা ভীষণ খারাপ আর চরমভাবে আমি লজ্জিত। না আমি আর অনলাইনে বিজনেস করবো না। মনে পড়ে গেল প্রিয় মেন্টরের কথা যার অধীনে কাজ করবেন,, জেনে বুঝে আর সব দেখে তার সাথে কাজ করবেন। যাই হোক মহা শিক্ষা হলো জীবনে আর কখনো না বুঝে না দেখে রিসেলার হিসেবে কাজ করবো না। ঠকেছি কিন্তু অনেক কিছুই শিখেছি। চরম বিষন্নতায় দিন যাচ্ছে আপুর সাথে মাঝে মাঝে কথা হয়। আপুকে সবকিছু আমার খুলে বললাম, আমার তেমন বুঝি নেই কি করতে পারি আমি। আপু বললেন আমি তোমাকে হেল্প করব তুমি কি নিয়ে কাজ করবা ঠিক করো। খুঁজে পেলাম আমার রংপুরের বিখ্যাত ঐতিহ্যবাহী শতরঞ্জি।দেশীয় এই শিল্পকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরাই আমার একমাত্র ব্রত। সন্ধান পেলাম প্রিয় ফাউন্ডেশন এর, অনুসরণ,অনুকরণ আর আদর্শ এখন আমার কাছে একটাই নাম, নিজের বলার মত গল্প ফাউন্ডেশন এর রুপকার ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার। হাটবার সহ প্রতিদিন খুব ভালো সেল করছি আলহামদুলিল্লাহ। 🥀🥀সঞ্চয়ী মনোভাব 🥀🥀 আমি মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তান ছোটবেলা থেকেই নিজে কিছুকরার চিন্তা আমাকে কুড়িয়ে কুড়িয়ে খেত। আমাকে কেউ টাকা দিলে তেমন খরচ না করে রেখে দিতাম যখন পরীক্ষার ফি চাইতো আমি নিজেই দিয়ে দিতাম। কারণ বাবা অনেক সময় সময়মতো দিতে পারতেন না, বাবার থেকে নিয়ে আবার রেখে দিতাম, সবচেয়ে শান্তির ও স্বস্তির বিষয়টি হচ্ছে,, ঢাকায় টিউশনি করে বাসায় আসার সময় মা এর জন্য শাল, শাড়ি, বাবার জন্য শাল,পাঞ্জাবি, লুঙ্গি ভাইয়ার জন্য পোশাক নিয়ে আসতাম। খুব ভালো লাগছিলো এতটুকু হলেও চেষ্টা করেছি দিতে পেরেছি। এ পর্যন্ত নিজের টাকায় একটি ভালো ফোন কিনেছি, যা আমার বিজনেস পারপাসে ব্যবহৃত হচ্ছে। 🥀 স্বপ্ন দেখুন সাহস করুন শুরু করুন লেগে থাকুন🥀 🌷স্বপ্ন দেখেছি, সাহস করেছি, শুরু করেছি, এখন শুধু লেগে থাকবো ইনশাআল্লাহ। এখন আর কোন সিনেমা, নাটক,আজেবাজে আড্ডা ভালো লাগেনা। এখন একমাত্র বিনোদনের জায়গা নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন। 🥀🥀চিরকৃতজ্ঞ হে মেন্টর🥀🥀 একছেলে সবসময় আঙুল চুষত,বেশ বড় হয়েছে অভ্যাস বদলায়নি। বাবা মা চিন্তা করে একজন বিজ্ঞ মানুষকে দেখালেন, পরামর্শ দিলেন ছেলেকে ঢিলা প্যান্ট পরিয়ে রাখুন, তখন আঙুল না চুষে সে প্যান্ট সামলাতে ব্যস্ত থাকবে। তেমনি হে প্রিয় মেন্টর বিশেষ করে আমার মতো যুবককে এই অপসংস্কৃতির সয়লাব থেকে যে মাউন্ড দান করেছেন তার জন্য আপনার জায়গা আমার পবিত্র অন্তরে। এই বয়সে কিছু করার ভাবার,দাঁড়াবার যে চিন্তার উদয় করে দিয়েছেন এর বিনিময়ে আল্লাহ আপনাকে দো-জাহানে কামিয়াব করবেন নিশ্চিত। কথা নয়,কাজে বিশ্বাসী একজন ভালো মানুষ তো হবোই, সাথে একজন ভালো উদ্যোক্তা হবোই হবো ইনশাআল্লাহ। 🥀সবচেয়ে বড় পুঁজি আমার সম্মানিত বাবা ও মায়ের দোয়া। আমি শতভাগ নিশ্চিত আমার মা ও বাবা আমার প্রতি শতভাগ খুশি। সবসময় বা মাকে ভালোবেসে খুশি রাখার চেষ্টা করি। পাশাপাশি আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসা আমার পরম পাওয়া। দোয়া করবেন বাবা- মা বেঁচে থাকতেই যেন একজন পরিপূর্ণ ভালো মানুষ ও হাজারো মানুষের কর্মের ব্যবস্হা করতে পারি। এত কষ্ট করে আমার জীবনের গল্পটি পড়ার জন্য আপনাদের প্রতি অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। দোয়া করি, আল্লাহ আপনাদেরকে ভালো রাখুক আজীবন🌹 📌"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৭০৪ Date:- ২২/১২/২০২১ইং 🥀 মো রেজওয়ান হোসাইন 🥀🥀ব্যচ ১৫ 🥀 রেজিষ্ট্রেশন ৬৮৭৭৮ 🥀 জেলা রংপুর

নিজের বলার মতো একটা গল্প

🥀বেঁচে থাকো হে সূর্য সন্তান যুগের পরে যুগ

Categories

Recent Posts

ফরিদপুর জেলা টিম কর্তৃক আয়োজিত বৃক্ষরোপন কর্মসূচি -২০২৪

প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের মেয়ে, মাদ্রাসার শিক্ষকতা পেশা থেকে উদ্যোক্তা জীবন…..

মাটির ব্যাংকের জমানো ৬০০০০ হাজার টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু

নিজের বলার মতো একটা গল্প

Blog Details