বছর খানিক পরে মেজো ভাই বিয়ে করে ব্যবসা শুরু করে।
🏃♂️🏃♀️জীবন মানেই যুদ্ধ🏃♂️🏃♀️
সকল প্রশংসা পরম করুণাময়ের
🙏🙏নমস্কার/আদাব🙏🙏...
সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন?আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি।
🙏যাদের মাধ্যমে আমি এই পৃথিবীর আলো দেখেছি, সেই মা-বাবার প্রতি রইলো আমার গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।
👉কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি আমাদের সকলের প্রাণপ্রিয় শিক্ষক, মেন্টর, ভালোমানুষ গড়ার কারিগর ও "নিজের বলার মতো একটা গল্প "ফাউন্ডেশনের জনক জনাব, Iqbal Bahar Zahid স্যারের প্রতি। যার অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে আমরা এত সুন্দর একটি ভালোমানুষের পরিবার পেয়েছি। সেই স্যার ও স্যারের পরিবার যেন সবসময় সুস্থ ও স্বাভাবিক থাকেন এই কামনা করি সৃষ্টিকর্তার কাছে।
👉অনুপ্রেরণাঃ
✍️✍️আজ যে আমি লিখতে শুরু করেছি, সেটার অবদান আমাদের শ্রদ্ধেয় স্যার Iqbal Bahar Zahid স্যারের।
👉স্যারের স্লোগানঃ স্বপ্ন দেখুন, সাহস করুন, শুরু করুন এবং লেগে থাকুন, সফলতা আসবেই।
এখান থেকেই অনুপ্রেরণা পেয়ে সাহস করে, শুরু করে, লেগে আছি। স্যারের পরামর্শে জীবনটাকে সাজাতে চেষ্টা করছি এবং ঘুরে দাড়াতে চেষ্টা করছি।
🕧প্রত্যেকটা মানুষের জীবনে এমন কিছু মূহুর্ত থাকে যা জানার পর অন্যদের হৃদয়কে নাড়া দেয়। তেমনি আমার একটি গল্প শেয়ার করছি আপনাদের কাছে। আশা করছি আপনাদের মূল্যবান সময় ব্যয় করে পুরোটা পড়বেন। আমার জন্য আশির্বাদ/দোয়া করবেন। একটি সুন্দর অনুভূতি প্রকাশ করবেন এবং ভালোবেসে সবসময় আমার পাশে থাকবেন প্লিজ!
🇧🇩আমি লক্ষন সরকার, জন্ম নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা উপজেলায় বরুহাটি গ্রামের একটি সনাতন যৌথ পরিবারে। আমার দাদু ও ঠাকুমার ছিল দুই ছেলে ও দুই ে।আমার বাবা ছিলেন সকলের বড়। বড় ছেলে বলে কথা। বাবা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ে তারপর সংসারের দায়িত্ব নেন, টেইলারিং পেশার মাধ্যমে। তখন সংসারে সদস্য সংখ্যা ৬ জন।বাবা কঠোর পরিশ্রম করে সংসার চালাচ্ছিলেন। পাশাপাশি অল্প কিছু কৃষি জমি ছিল তা চাষাবাদ করতেন। একসময় আমার বড় পিসির বিয়ে হয়। তারপর আমার মা আসেন সংসারে। মা সংসারে আসার পর ননদ ও দেবরকে নিজের সন্তানের মতো দেখা-শুনা করেন।তখন আমার কাকা ও পিসি ছোট ছিলেন। কিছুদিন পর দাদু ও ঠাকুমা পরলোকগমন করেন। তারপর আমার বড় ভাই জন্মগ্রহণ করেন। আমি সহ আমাদের আরো তিন ভাই ও এক বোনের জন্ম হয়।মোট আমরা চার ভাই ও এক বোন।আমি সবার ছোট। সংসারে সদস্য সংখ্যা তখন ছিল ৯ জন।বাবার পক্ষে সংসার চালানো খুব কষ্টদায়ক ছিল। তখনো আমার কাকা কিছু করে না।
অবশ্য আমার মামারা খুব সম্পদশালী ছিলেন।এখনো আছেন। মামা, মাসিরা ছিলেন ১০জন। মা ছিলেন ৬নম্বর। বাবা কারো সাহায্য নিতে চাইতেন না।
👉যাইহোক এক পর্যায় আমরা যখন বড় হচ্ছি, তখন সেই অভাবের মাঝেও বাবা অল্প কিছু জমি ক্রয় করেন। কিছুদিন পর যখন ছোট পিসির বিয়ে হয়, তখন আমার বয়স ৮-৯বছর হবে। আমাদের চার ভাই ও এক বোনের পড়ালেখার খরচ ও সংসারের খরচ চালানো বাবার পক্ষে ছিল খুব কষ্টকর। আমরা বাবার পাশাপাশি কৃষিকাজে সাহায্য করতাম। এরি মাঝে বাবা কাকাকে একটা ব্যবসা দিয়ে, বিয়ে করিয়ে দেন। কিছুদিন পর কাকা পৃথক হয়ে যান।বাবা-মা তখন খুব কষ্ট পান। এক পর্যায়ে বড় ভাইয়ের পড়ালেখার প্রতি মনোযোগ কম থাকায় সে বাবার পেশায় যোগ দেয়। মেজো ভাই এসএসসি পড়ার পর আর পড়তে চায় না।তাকে অনেক বলা হয়েছে পড়ার জন্য। সে পড়বে না। এর মাঝে বাবা টেইলারিং পেশার পাশাপাশি কাপড়ের ব্যবসা চালু করেছেন।সেখানে বাবার সাথে বড় ও মেজো ভাই থাকতেন।
🙏বাবা ছিলেন একজন সাদা মনের মানুষ। কারো সাথে কোনোদিন কাল মুখে কথা বলেনি। একজন কিছু বললেও তা সহজভাবে নিতেন।
🙏বাবার পাশাপাশি মাও সংসারের জন্য অনেক পরিশ্রম করে যাচ্ছিলেন।
তখন আমরা দুই ভাই ও এক বোন পড়ছি। তৃতীয় ভাই পরিবার থেকে সুযোগ সুবিধা বেশি পাওয়ায় সে ছোটবেলা থেকে প্রাইভেট পড়তো।আমি ও আমার বোন তেমন সুযোগ পাইনি। আমি ৯ম শ্রেণিতে ৩মাস ও ১০ম শ্রেণিতে ৩-৪মাস প্রাইভেট পড়ি।
>💪আমার সংগ্রামী জীবন💪>
আমি যখন এসএসসি পরিক্ষা দেই তখন থেকেই আমার সংগ্রামী জীবন শুরু। তখন থেকে আমি ছাত্র পড়িয়ে আমার লেখা, পড়ার খরচ চালাতে চেষ্টা করি।বড় কোনো ধরনের প্রয়োজন না হলে পরিবার থেকে টাকা নেই নাই।আমি সংসারের চিন্তা করে টাকা নিতাম না। ২০০৮সালে আমি এসএসসি পাশ করি। আমার রেজাল্ট ভালো হয় নাই। তারপরও আমি হাল ছাড়ি নাই।এইচএসসি ভর্তি হই।আমার এইচএসসি ফাইনাল পরিক্ষার সময় বোনের বিয়ে হয়। তারপর আমি এইচএসসি পাশ করি। তখনো আমি ছাত্র পড়াতাম। স্নাতক ডিগ্রি ভর্তি হবার কিছু মাস পরে 👉বড় ভাই বিয়ে করেন। 👉মেজো ভাই তখন নারায়ণগঞ্জ চাকুরী করতো।
👉তৃতীয় ভাই মাস্টার্স পড়তো আনন্দমোহন কলেজে ইংলিশে। তারপ্রতি অনেক আশা ছিল পরিবারের।
😭😭বাবার মৃত্যু 😭😭
👉২০১৩সালের ৩১মার্চ বাবা পরলোকগমন করেন।ইশ্বর বাবার স্বর্গপ্রাপ্তি করোন। বাবা যখন মারা যান তিনি বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ছিলেন। ময়মনসিংহ মেডিক্যাল এমনকি ঢাকা পিজি হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। এক পর্যায়ে বাড়ি আসেন। তার কিছুদিন পর কাকা বাবার সাথে বাঁশ কাটা নিয়ে ঝগড়া করলে বাবা এই কষ্ট সহ্য করতে না পেড়ে স্ট্রোক করেন। বাবার ডায়বেটিসও ছিল। তখন আমাদের উপজেলা হাসপাতালে নেয়ার পর উনারা অন্যত্র নেবার কথা বলেলে, আমি বন্ধুদের সাহায্যে মাইক্রোবাস ভাড়া করি। যখনি বাবাকে গাড়িতে উঠানো হবে তখন দেখি বাবার মুখ কেমন করছেন। আমি বাবার মাথার পাশদিয়ে ধরে ছিলাম। তখন আমি একজনকে বললাম জলদি করে জল আনতে। কারণ আমি বুঝেছিলাম বাবা আর থাকবেন না। 😭আমি যখন বাবার মুখে জল দিলাম, বাবা নিরব হয়ে গেলেন। ডাক্তার তখন বাবাকে মৃত ঘোষণা করলেন। 😢বাবাকে আর ডাক্তার দেখানো হলো না। আমি এতিম হলাম। মা বিধবা হলেন। এই দৃশ্য আমি মেনে নিতে পরছিলাম না। আমার মনে হচ্ছিল আমার মাথার উপর থেকে ছায়াটা সরে গেছে। 😭আমি এতটাই কান্না করছিলাম যা ভাষায় প্রকাশ করতে পরছি না। বাবা আমাদের জন্য অনেক কষ্ট করেছেন।
👉👉বছর খানিক পরে মেজো ভাই বিয়ে করে ব্যবসা শুরু করে। তৃতীয় ভাই প্রাইভেট চাকুরী করে।আমি তখন ছাত্র পড়ানোর পাশাপাশি একটি কিন্ডারগার্টেনে শিক্ষকতা করি। সেখান থেকে যা পেতাম তা দিয়ে আমার লেখাপড়ার খরচ, কাপড়চোপড় কিনতাম। আমার স্নাতক ডিগ্রি শেষ হবার পর আমি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে একজন ইঞ্জিনিয়ারের আন্ডারে কম্পিউটারের কাজ করতাম। তার ব্যবহার ভালো না থাকায় জবটা ছেড়ে দেই। পরে একটি এনজিওতে চাকুরী নেই। সেখানেও তাদের সিস্টেম ভালো না থাকায় তিনমাস পরে রিজাইন দেই। রিজাইন দেবার সাথেসাথে আগের স্কুল থেকে বলে আবার স্কুলে যোগ দেবার জন্য। আমি স্কুলে যোগ দেবার সাথেসাথে কৃষি ব্যাংকে ১০০০ টাকা মাসে একটি একাউন্ট খুলি এবং সংসারে কিছু টাকা দেই।তখন রাস্ট্রবিজ্ঞানে মাস্টার্স পড়ছি নেত্রকোনা সরকারি কলেজে।
তার ৮-৯ মাস পরে আমার তৃতীয় ভায়ের মাধ্যমে একটি লেদার এক্সপোর্ট কম্পানিতে একাউন্টেন্ট হিসেবে যোগ দেই। আমার অফিস ধানমন্ডি। আমি থাকতাম ঝিগাতলা। চাকুরী ভালোই চলছিল। মাস শেষে সেলারি পাই। ৯-৫ টা অফিস। হঠাৎ একদিন এফবি চালাতে গিয়ে চোখ পড়ে "নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশনে"। আমি খুব আগ্রহের সাথে লিংকটাতে ঢুকে বিস্তারিত দেখি। তখন ১০ম ব্যাচ চলছে। আমি ১১তম ব্যাচে রেজিষ্ট্রেশন করি। তখন থেকে মূল গ্রুপে যুক্ত আছি এবং আজীবন থাকতে চাই এই ভালোমানুষের পরিবারে।
💥💥করোনার প্রভাব💥💥
কভিট-১৯ যখন আমাদের দেশে দেখা দেয়,তখন আমাদের কোম্পানির এক্সপোর্ট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অফিস বন্ধ রেখে ৬৫%সেলারি দিত। কয়েকদিন পর আমার মাঝে করোনার উপসর্গ দেখা দেয়। আমি প্রথম পিজি হাসপাতালে করোনা পরিক্ষা করতে ব্যর্থ হয়ে মুগদা হাসপাতালে পরিক্ষা করি। আমি বাসায় একা ছিলাম। সেই দিনগুলো খুব কষ্টের ছিল। যারা আক্রান্ত হয়েছে তারা অনুভব করেছে।আমি নিজে অসুস্থ শরীর নিয়ে করোনা প্রতিরোধক সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাই। ৫ দিন পর আমি রিপোর্ট পাই নেগেটিভ কিন্তু তখনো সব উপসর্গ রয়েছে আমার মাঝে। একটু ভালো হবার পর আমি বাড়ি চলে আসি।বাড়ি আসার পর ভাবলাম ৬৫%টাকা দিয়ে ঢাকা ধানমন্ডির মতো এলাকায় থাকা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। তারপর মা ও ভাইদের সাথে আলোচনা করি ব্যবসা করবো। তারা যেন আমাকে টাকা দিয়ে সহযোগিতা করে। তারা কথা দিয়েছিল টাকা দিয়ে চালাবে। চালানোর কথা বললাম কারণ তারা তিনজন এখন বিয়ে করে তাদের মতো করে চলছে। শুধু একপাতিলে খাচ্ছে। তাদেরকে আমি ধার হিসেবে দেবার কথা বলেছিলাম। যদিও আমি জানতাম তারা দিবে না। তারপরও মায়ের কথায় বললাম। যখন আমি পজিশন খুঁজছি ব্যবসার জন্য, তখন তাদের কোনো সাড়াশব্দ নেই। মাকে বলার পর মা জানতে পরলো তারা এখন টাকা দিতে পারবে না! তারা আগে না করলে আমি চাকুরী ছাড়তাম না। মাকে বললাম আমি আগেই বলছি ওরা টাকা দিবে না।
তখন কোনো উপায় না পেয়ে আমার কৃষি ব্যাংকের একাউন্টটি ভেঙ্গে পেলি। এবং ঢাকা থাকা অবস্থায় এলাকায় একটি ব্যবসায়িক সমিতিতে মাসে ১০০০ টাকা জমাতাম সেখান থেকে লোন নেই। আর মায়ের অল্প কিছু টাকা ছিল তা দিয়ে ছোট করে একটি কসমেটিকস ব্যবসা শুরু করি ১৩ ডিসেম্বর ২০২০ সালে।
আমার প্রতিষ্ঠানের নাম " জীবনের গল্প স্টোর "। আমি ভাবলাম আমার জীবনেতো একটি গল্প আছে তাই এর নামকরণ করা হয় " জীবনের গল্প স্টোর "।
>>👬সামাজিক কাজ👫<<
আমি ছোটবেলা থেকেই কিছু কিছু সামাজিক কাজের সাথে জড়িত ছিলাম। দরিদ্র স্টুডেন্টদের আমি ফ্রি পড়াতা। অভাবগ্রস্থ মানুষকে আমরা বন্ধুরা মিলে টিম করে সাহায্য করতা। এখনো করার চেষ্টা করি।২০০৪ সালে যখন দেশে বন্যা হয়, অভাব দেখা দেয়, আমরা মানুষের বাসা থেকে পুরাতন কাপড়, পেন্ট,শার্ট এমনকি শীতের পোশাক বস্তা করে এনে তাদের মাঝে বিতরণ করে দিতাম।
আমি মঞ্চ নাটকের সাথে জড়িত আছি। আমাদের থিয়েটারের নাম " কংস থিয়েটার বারহাট্টা "।সংগঠনটি আমাদের চাঁদায় চলে।আমরাই একমাত্র নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা থেকে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সদস্য হতে পেরেছি। এই থিয়েটারের মাধ্যমে আমরা সমাজকে কিছু মেসেজ দিয়ে থাকি। সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার হিসেবে।
পাশাপাশি বারহাট্টা পাবলিক লাইব্রেরির সদস্য। এটাও আমাদের চাঁদায় চলে।আরও কিছু সামাজিক কাজের সাথে জড়িত আছি...।
😥কষ্টে ভরা জীবন আমার😥
এসএসসি থেকে মাস্টার্স পর্যন্ত পড়েছি আমার তিন ভাই খবর নেয় নাই যে আমি কেমন আছি,কিভাবে চলছি,আমার কি করা উচিৎ। আমি খুব সংগ্রাম করে এ পর্যন্ত এসেছি। এতে আমার ভাইদের কোনো ভূমিকা নেই।আমি যদি নিজের হাল নিজে না ধরতাম তাহলে আমার এপর্যন্ত আসা হতো না! আমার জীবনের সবচেয়ে বড় কষ্ট, আমার তিন ভাই থেকেও আমি তাদের কাছ থেকে কোনোরকম সহযোগিতা পাইনাই। তারা এখন নিজের সংসার নিয়ে ব্যস্ত। তারা এখন পৃথক খায়। আমি মাকে নিয়ে আছি।মৃত্যুর আগ পর্যন্ত যেন মায়ের সেবা করে যেতে পারি। বাবা নেই, বাবার শূন্যতা অনুভব করি। বাবাকে কিছু করে দেখাতে পারি নাই।মায়ের জন্য কিছু করতে চাই। এখন মা-ই আমার সব।
🙏আপনারা সকলেই আমার মা-বাবার জন্য আশির্বাদ/দোয়া করবেন। ভালোবেসে আমার পাশে থাকবেন। আপনাদের ভালোবাসা, দোয়া নিয়ে থাকতে চাই। আপনাদের সকলের জন্য রইলো শুভকামনা।
🌹লক্ষন সরকার,
🌷ব্যাচঃ ১১,
🌷রেজিঃ ৩৪০৭৬,
🌷জেলাঃ নেত্রকোনা,
🍎রক্তের গ্রুপঃ O+ve,
👉নিজের বলার মতো একটি গল্প ফাউন্ডেশনের একজন আজীবন গর্বিত সদস্য।
💄 পেশাঃ কসমেটিকস ব্যবসা।