প্রায়োরিটি পেতে হলে আপনাকে যোগ্যতা অর্জন করতে হবে
_________বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম __________
___________আসসালামু আলাইকুম _____________
🥀💞 "নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন" এর সন্মানিত প্রিয় বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই ?
আশা করছি যার যার অবস্থানে সকলেই সুস্থ ও নিরাপদে আছেন, আমি ও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি, আলহামদুলিল্লাহ ।
🥀👉আজ আমি আমার জীবনের কষ্টের গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ।
তবে তার আগে আমি "নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন" এর প্রতিষ্ঠাতা আমাদের সকলের প্রিয় মেন্টর, প্রিয় শিক্ষক জনাব Iqbal Bahar Zahid স্যারের প্রতি অন্তরের অন্তরস্থল থেকে অনেক অনেক শ্রদ্ধা- ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
যেই মানুষটির জন্য আজ হাজার হাজার বেকার তরুন তরুনী ভাই বোনেরা ইতিমধ্যে উদ্যোক্তা হয়েছেন এবং লক্ষ লক্ষ শিক্ষিত বেকার তরুন তরুনী, ও প্রবাসী ভাই বোনেরা আজ নিজের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার সুযোগ পেয়েছেন । তার পাশাপাশি আমরা বিশাল একটা প্লাটফর্ম পেয়েছি, এই প্লাটফর্মের মাধ্যমে নিজের নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি করতে পারছি।
দেশ বিদেশে বিভিন্ন মিটআপে যুক্ত হয়ে সবার সাথে পরিচিত হতে পারছি । প্রিয় স্যারের জন্য অনেক অনেক দোয়া রইলো, আল্লাহ যেন স্যারকে সব সময় সুস্থ ও নিরাপদে রাখেন, আমীন।
👉👨🎓 প্রতিটি মানুষের জীবনে গল্প থাকে, সেটা হতে পারে সাক্সেস এর গল্প, ব্যার্থতার গল্প, আর কষ্টের গল্প, তদরুপ আমার জীবনেও একটা গল্প আছে।
👉সেটা হচ্ছে কষ্টের গল্প,,
৮৩ তম সেশনের কিছু কথা আমার বাস্তব জীবনের কথার সাথে মিলে গেছে।
যেমনঃ-
🥀 আর আপনার সময় খারাপ যাচ্ছে, বা পড়ে গেছেন, তো, কেউ তাকাবে না আপনার দিকে – অনেক সময় আপনজনরাও না। এটা মেনে নিতে হবে। এটাই বাস্তবতা! প্রায়োরিটি পেতে হলে আপনাকে যোগ্যতা অর্জন করতে হবে🥀
আপনি হোছট খেয়ে পরে গেলে আপনার প্রতি হাত বাড়িয়ে দেওয়া মানুষ পাওয়া মুশকিল। আর কষ্টে থাকলে আপনজনদের মধ্যে কে কেমন সেটা অতি সহজেই চিনা যায়।
আমার গল্পটা পড়লে সবাই বিস্তারিত বুঝতে পারবেন।
🌱জীবন গল্পের শুরুটা কোথায় থেকে করবো বুঝতে পারছি না। আমার নাম জেসমিন ভুইঁয়া ______
জেসমিন নামেই সবাই আমাকে ডাকে,,ছোট বেলা থেকে শ্বপ্ন দেখতাম বড় হয়ে সরকারি চাকরি করবো। কিন্তু সেটা আর সম্ভব হলো না। সাধারন মানুষের মতই চাওয়াটা নিরবে নিব্রিতে মনের ভিতরই দাফন হয়ে গেছে সেটা অর্জন করা হয়নি।
আমরা চার বোন, এক ভাই। আমার বোনদের মধ্যে আমি দ্বিতীয়। আমার বাবা একজন কৃষক। মধ্যবৃত্ত পরিবারের মেয়ে আমি। শিশু কাল থেকে বেশির ভাগ সময়টাই আনন্দে কেটেছে.হাটি হাটি পা পা করে সারা বাড়ি মাথাই উঠিয়ে রাখতাম। কখন যে বড় হলাম বুজিনি। হইতো ছোট বেলার সব স্মৃতি মনে নাই। তবে আমার মা বাবা দাদা দাদিরা বলতো আমি নাকি অনেক দুস্ট ছিলাম অনেক কিউটও ছিলাম আমাই সবাই অনেক আদর করতো। আমি অনেক ছোট থেকে স্কুলে যেতাম ওয়ান থেকে ফাইভ পাস করছি তেমন পড়াশোনা পারতামনা। আস্তে আস্তে বুজতে শিখলাম পড়াশোনা না কড়লে কেউ পছন্দ করবেনা। মন থেকে পড়াশোনা শুরু করলাম আস্তে আস্তে বন্ধুবান্ধব স্যার সহ সবাই পছন্দ করা শুরু করলো।
🍦🍦স্কুল জীবনের কিছু স্মৃতি 🍦🍦
ক্লাস ওয়ান থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত যেই বান্ধবীর সাথে চলতাম। বান্ধবী হয়তোবা অনেকেই ছিল কিন্তুু মনের মত বান্ধবী সেই ছিল শুধু। তার নাম রুপালি, সে ছিলো হিন্দু কিন্তু ওর সাথে মিশতে কখনো মনে হয়নি মনে হতো আমাদের মত সেও মুসলমান। সবচেয়ে কষ্টের বিষয় কি জানেন তার একটা হাত ছিলোনা ডান হাত। এতেও ওর বেশি কস্ট ছিলো না যতটা কস্ট ছিলো ওর পরিবার থেকে পাওয়া। ওর নিজের মা ছিলো না। সৎ মা কে সে মা বলে বুজে নিতো। আবার সকল সৎ মাই খারাপ হইনা। সব মিলে মেয়েটা খুব অসহায় ছিলো। আর অসহায় মানুষ দেখলে কেন জানি আমার অনেক কস্ট হই। তাই ও আমার সবচেয়ে কাছের বান্ধবী ছিল। সব সময় আমি টিফিন বেশি নিয়ে যেতাম ও আমার সাথে প্রতিদিন টিফিন খেত। যা ওদের খাওয়া যায় না তাও ও খেতো খিদার তাগিদে সব খেয়ে নিতো। ওর অনেক পরীক্ষার ফি আমি দিয়ে দিছি।পরীক্ষায় ওকে আমি লিখেও দিয়েছি অনেক। মোট কথা ও আমার মনের একটা জায়গা জুরে ছিলো। দেখতে দেখতে কয়টা বছর পেরিয়ে গেলো নবম শ্রেণির পর ও আর পরেনি। ও আর স্কুলে আসেনা ওর জন্য আমি প্রতিদিন স্কুলে কান্না করছি।এখনো ওকে মন থেকে অনেক মিস করি।সবাই ওর জন্য একটু দোয়া করবেন। 🍦🍦
আমরা চার বোন আমার বাবা আমাদের অনেক বেশি আদোর করতো।তার পর ও আমাই একটু বেশিই আদোর করতো।এখন আমি তা অনুভব করি। যখন যেটা আবদার করতাম হাসি মুখে সেটা এনে দিতো। আমার নিজ জেলা- ঠাকুরগাঁও।
🌱আমার জীবনটা আর দশজন সাধারণ নারীর মত নয়, অনেক চড়াই উত্রাই পার হতে হয়েছে আমাকে।আমি লেখা পড়ায় যথেষ্ট ভালো হওয়া সর্তেও আমাকে অনেক বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। জীবন সম্পর্ক তেমন কিছু বুঝতাম না।না বুঝার জন্য আর কিছু ভুলের জন্য জীবনটা অগুছালো থেকে গেছে। সে অনেক কথা, সে সব লিখতে চাচ্ছি না।
আমার বিয়ে হয় ২০১১ -জানুয়ারীতে। আর এই বিয়েটাই ছিলো আমার জীবনের চরোম ভুল। আমার একটা স্বপ্ন ছিল যা প্রত্যেকটা মেয়ের দেখে। ভাবতাম বিয়ে মানেইতো অনেক সুন্দর করে কনে সাজা কিন্তুু আমার জীবোনের সাথে এটা হইনি।।বিয়ে করে শ্বশুর বাড়িতে প্রথম পা দেই তখন মন থেকে সবাইকে আপন করে নিয়ে ছিলাম। কিন্তুু তারা আমায় কতখানি আপন করে নিয়েছিলো জানিনা। ভাবতাম আমার ভালোবাসা দিয়ে সব ঠিক করে দিবো। আমি আমার মত করে ভালোবেসে গেছি. SSC পরীক্ষার কিছু দিন আগে আমার বিয়ে হই। ওরা আমায় পরীক্ষাটাও দিতে দিবেনা। বুঝিয়ে অনেক কষ্টে সবাইকে রাজি করিয়ে অবশেষে পরীক্ষাটা দিতে পারি। কেউ আমায় পছন্দ করত না। তা ও এভাবেই তাদের সাথে মিসে থাকতাম। আর যাই হোক বরটা আমার অনেক ভালো। পরিবারে একটু সমস্যা থাকলেও ও আমাই সাপোট করতো। ভাবতো আমার কথা অনেক বেশি সে আমার কাছে থাকতোনা চাকরির জন্য বাইরেই থাকতো বেশি। এরই মধ্যে একটা সত্য কথা কি আমার বর সহ পরিবারের কেও চাইত না আমি পড়ালেখা করি। এরই মধ্যে কেটে গেলো দুটা বছর, চলে এলো HSC পরিক্ষা। অনেক চিন্তাই পরে গেলাম এবার বুজি আর পরিক্ষাটা দেওয়া হবেনা।
সাহস করে শশুরকে বলতে গেলাম বলেও ফেললাম বাবা আমি পরিক্ষা দিতে চাই।উত্তরে আমায় বললো কোন কিছু দিতে হবেনা। আমার বরকে বললাম সেও একি কথা বললো। চলে গেলো কয়েক দিন সারারাত ঘুমাতে পারতাম না। চিন্তাই কিছু ভালো লাগত না। একদিন সকালে শশুরের পায় পরে গেলাম। বললাম বাবা এবার শুধু রাজি হন।আর কখনো পরিক্ষা দিবনা।। যতখন রাজি হয়নি ততখন পা ছাড়িনি। শেষে রাজি হন।।পরীক্ষাটা দিলাম। আমার বর কখনো ওর বাবার বিরুদ্ধে কথা বলতনা।আমি HSC পর অনাস পরি সেটাও জোর করে। আমি সব সময় ভাবতাম পড়ালেখা ছাড়া জীবন অচল।
সে কখনো চাইতো না আমি চাকরি করি বা বাহিরে কোন কাজ করি,,কিন্তুু আমার খুব ইচ্ছা ছিলো চাকরির করবো।বরকে অনেক বলতাম কিন্তুু রাজি হয়নি। এই বলে দিন চলতে ছিলো। চলতে চলতে টুকটুকে একটা পুত্র সন্তানের মা হলাম। প্রথম বার মা হওয়ার আনন্দটাই অন্য রকম। মনে হচ্ছে আমার জিবনের সকল কস্ট দুর হইয়ে গেছে। কিন্তুু মনের মধ্যে একটা ভাবনা সবসময় নারা দিতোই আমি কিছু করবো। এবার ভাবলাম চাকরিরটা যেহেতু হলোই না এবার আমি একটা ব্যবসা করবো। আমি ছোট থেকে একটা জিনিস খুব ভাল পারতাম, সেটা হলো হাতের কাজের থ্রিপিচ।।
🎉🎉🎉এবার একটা গল্প বলবো সপ্নপুরোনের গল্প।🕯️🕯️🕯️আমার একজন খুব ভালো শুভাকাঙ্ক্ষী আমায় অনেক আগে একদিন একটা গ্রুপের কথা বলেছিল। তখন আমি খুব বিজি ছিলাম। সময় পাইনি দেখে কথাগুলো ভালো করে শুনিনি। কিন্তু যখন চিন্তা করেছি ব্যবসা করবো, তখন হঠাৎ আমার মনে হলো তার কথা। আমি তাকে ফোন দেই সে তখন আমায় সব বিস্তারিত বলেন। শুনে অনেক ভালো লাগো। আমি বললাম আমায় রেজিষ্ট্রেশন করে দেন। সে আমায় রেজিষ্ট্রেশন করে দিলেন। আমি প্রথমে কিছু বুজতাম না, সবার পোস্ট দেখতাম আর কিছু বুজার চেস্টা করতাম। আমাদের শ্রদ্ধেয় ইকবাল বাহার স্যারের প্রতিদিনের সেশন গুলা পড়তে শুরু করলাম। পড়তে পড়তে অনেক ভালো লাগতে লাগলো। প্রত্যেকটা সেশন মন কেরে নেওয়ার মত ছিলো। আমি স্যারের সেশন থেকে প্রতিদিন অনেক কিছু শিখছি।
✌️✌️স্যারের শিক্ষা এবং অনুপ্রেরণা নিয়ে চিন্তা করলাম আমি আমার পছন্দের কাজটি দিয়ে কিছু একটা শুরু করি, সেই চিন্তা দিয়েই আমি প্রিয় আপুদের থ্রি-পিস নিয়ে কাজ শুরু করেছি।সেই সাথে আমার নিজের হাতের কাজের থ্রিপিচ, বেস ভালোই চলিতেছে। সংসারের কাজের ফাঁকে ফাঁকে। এখন আমি বেশ বালোই আছি। আলহামদুলিল্লাহ। এখন সবসময় ভাবতেছি কিভাবে আমার ব্যবসাটা কে এগিয়ে নিয়ে যাওযা যায়✌️✌️
আমি অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আমার সেই শুভাকাঙ্ক্ষী কে। তার জন্য আজ আমি অনেক কিছু শিখছি এই গ্ৰুপ থেকে।
🙏আমি মনের গভীর থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই আমাদের সকলের প্রিয় মেন্টর, লাখো তরুণ তরুণীদের অনুপ্রেরণার স্বপ্নদ্রষ্টা, ওয়ার্ল্ড রেকর্ড পুরস্কারপ্রাপ্ত নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার কে💐❤️
যিনি আমাদের এত সুন্দর একটা ভালো মানুষের পরিবার দিয়েছন। যেখানে প্রতিদিন আমরা নতুন নতুন জ্ঞান অর্জন করতে পারি।
সেই সাথে ধন্যবাদ জানাচ্ছি যারা আমায় প্রতিনিয়ত সাহযোগিতা করতেছেন।
১। Bokul Ray
২। Badol Islam
৩। Sahinur Islam shahin.
৪। Sohag Islam.
আরো অনেক ভাই বোন।
এদের অনুপ্রাণাই একদিন এগিয়ে যাব আমি ইনশাআল্লাহ। এরা সবাই আমাকে অনেক বেশি সাপোর্ট করে।ব্যবসার ক্ষেত্রে মনোবল বাড়াতে উৎসাহ দেয়। তাদের জন্য মনে অনেক সাহস পাই। সবার জন্য দোয়া কামনা রইলো।
🕯️🕯️কস্ট করে আমার গল্পটা পরার জন্য সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ 🕯️🕯️
🍦🍦আমার লেখার মধ্যে যদি কোনো কথা ভুল হয়ে থাকে সবাই ক্ষমার দৃস্টিতে দেখবেন। আমি এখন পরিবার বর সন্তান ব্যবসা নিয়ে আল্লাহর রহমতের অনেক ভালো আছি।সবার কাছে দোয়া কামনা করে আমার জীবনি এখানেই শেষ করছি আল্লাহহাফেজ।🍦🍦🍦
📌"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৭০৪
Date:- ২৩/১২/২০২১ইং
নাম- জেসমিন ভুইঁয়া
জেলা- ঠাকুরগাঁও।
ব্যাচ-১৫
রেজিষ্ট্রেশন- ৭২৯৭২