আমার এলোমেলো জীবনের গল্প :-
আজ চেষ্টা করছি নিজের জীবনের কিছু সুখ আর কিছু দুঃখের স্মৃতি শেয়ার করতে আপনাদের সাথে। তবে সেই সাথে একটু অনুরোধ করবো কারো জীবন গল্প শুনে তাকে হেয় ভাবে দেখবেন না। প্রিয়জনের সাথেই মানুষ সুখ ও দুঃখের কথা বলে। এখানে আমরা সবাই খুবই আপন পরিবারের মতোই তাইতো অবলিলায় বলতে চেষ্টা করে সবাই সবার কথা গুলো।
আমার জন্ম লক্ষীপুর জেলায়। গ্রামে জন্ম তাইতো প্রকৃতির মতোই ছিল আমার বৈশিষ্ট্য। ছোট থেকেই ছিলাম দুষ্ট, চঞ্চল, হাসি - খুশিতে ভরপুর একজন মানুষ।লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা, নাচ, কারাতি, সেলাই, কম্পিউটার কোর্স, গ্রাফিক্স ডিজাইনের কোর্স, এখন শেষ পর্যন্ত বল্কের কাজ পর্যন্ত শিখেছি। খেলাধুলায় ভালো থাকায় ছাত্রজীবনে স্কুলের পাশাপাশি জাতীয় শিশু ক্রিয়া প্রতিযোগিতায় উচ্চ লাফ, দীর্ঘ লাফ ও সাঁতারের মতো খেলায় ছিল ১ম ও ২য় স্থান। শৈশব, কৈশোর লক্ষ্মীপুরে কেটেছে তাইতো গ্রামের প্রতি মন টানে খুব বেশি মনের অজান্তেই। তবুও জীবন চলে তার নিজেস্ব নিয়মে। আজ আমি সত্যি আবেগ আপ্লুত। কারন নিজের জীবন কাহিনী বহুবার লিখতে গিয়েও কলম আটকেছে বার বার। কিন্তু আজ এভাবে প্রিয় স্যার সহ এতো ভাই বোনদের সামনে নিজের জীবনকে তুলে ধরবো তা কখনো ভাবতেও পারিনি। এই জন্য আল্লাহর দরবারে জানাই লাখো কোটি শুকরিয়া । মানব জীবন পরিবর্তনশীল তাইতো আমার জীবনের ধারাও তার ব্যতিক্রম নয়। আমি মধ্যেবৃত্ত পরিবারের মেয়ে । বাবা মায়ের ৩ সন্তানের মধ্যে আমি বড়। আর বড় হওয়ার সুবাদে জীবনের পথ চলতে শিখেছি ছোট থেকেই একা। নিজের বহুকাজ নিজেকেই করতে হয়েছে। যেহেতু বাবা ব্যবসা করতেন জন্য সময় কম ছিল। আম্মু তেমন কিছু বুঝতে পারতোনা। এই সুবাধেই পথচলা।
আমি ছিলাম ছোট থেকেই স্বপ্ন বিলাসী । প্রতিনিয়তই নিজের মাঝে স্বপ্নকে লালন করতাম। পূরন হোক বা না হোক এই নিয়ে কখনো আক্ষেপ অনুভব করতাম না। তবে স্বপ্ন দেখা ছিল আমার নেশা। এজন্যই ছোট থেকেই মনের অজান্তেই ব্যবসা নিয়ে স্বপ্ন দেখতেম। কিছু করবো এই ভেবে। চাকুরিতে ইচ্ছে করলেই নিজের মতো চলা যায়না তবে ব্যবসায় ইচ্ছে করলেই নতুনত্ব আনা যায়। এভাবেই দিন চলে যাচ্ছে। একসময় এস.এস.সি.পরিক্ষা দিলাম। অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে ফিজিক্সের রেজাল্ট খারাপ হলো। ভেংগে পড়লাম। লেখাপড়া আর করবোনা মনে জিদ হলো। কোন ভাবেই আর বাবা - মা পারলোনা । এখান থেকেই জীবন পথের যাত্রা শুরু --->
আমি সবসময় হাসতে ভালোবাসি। এরই মাঝে শুরু করলাম ২ টা টিউশনি। যত যাই করিনা কেন দিন শেষে মনটানে বইয়ের পাতা। ঘরে ছোট ২ ভাই বোন পড়ে, ওরা সবসময়ই ভালো ছাত্রছাত্রী আলহামদুলিল্লাহ। গ্যাপ হলো তাই নতুন করে আবার ভাবতে শুরু করলাম। আর উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে এস,এস,সি কোর্সে ভর্তি হলাম নিজের টিউশনির টাকায়। এসএসসি শেষ হলো নেশা ধরলো কলেজ পড়ার। তাইতো ভর্তি হলাম টংগী সরকারি কলেজ & ইউনিভার্সিটিতে। কলেজের সব খরচ নিজেই বহন করেছি। একবার শুধু আম্মু বই কেনার জন্য ১০০০ টাকা নিজে থেকে দিয়েছিল। এছাড়া আর কোন খরচ কখনো নেইনি। সেই ধারাবাহিকতায় রয়েছি। এইচএসসি পাশের পর ভেবেছি কিছু করবো। তাইতো ভুল পথে হেঁটেছি। জেনারেল লাইনে ভর্তি না হয়ে ডিগ্রি প্রোগ্রামে ভর্তি হই উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে। তখনো জানা ছিলনা এখান থেকে বেরিয়ে মাস্টার্স করতে পারবোনা। যদি জানতাম তাহলে ভর্তি হতাম না। ডিগ্রি প্রথম বর্ষের পরে বিয়ে হয় পুরান ঢাকার লালবাগে। আমার পরিবারকে আগেই বলেছিলাম বিয়ে দিলেও আগেই বলে নিবে আমাকে পড়তে দিতে হবে। বিয়ে হলো। বিয়ে সবার জীবনে সুখ এনে দেয়না কারো কারো জীবনকে জীবন্ত আগুনের কুন্ডলী ও বানিয়ে দেয় আগে দেখেছি কিন্তু পরবর্তীতে নিজেই সেই কুন্ডলীতে পুড়বো কখনো ভাবিনি। বিয়ের পর আসা যাওয়া, চাকুরী, লেখাপড়া সব নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছিলাম। আমাদের জানা ছিলনা আমার হাসব্যান্ড যে ব্যবসায়ের কথা বলেছিন তা শুধু নাম মাত্র। কারন নিজে কখনো যায়না ,দেখাশুনা করেনা পার্টনার আছে সব উনিই করেন। এদিকে হাসব্যান্ডের রাজনৈতিক নেশা থাকায় সেখানে ও তার ব্যাকগ্রাউন্ড বেশি ভালো ছিলনা। আমার লেখাপড়া আর চাকুরির জন্য কম থাকা হতো শশুর বাড়ী তাই অনেক কিছুই বুঝতে পারিনি প্রথম। কিছুদিন যাওয়ার পর কিছুটা বুঝতে পারি উনার বাহিরে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেয়ার প্রচন্ড নেশা। এই আড্ডার জন্য আমার খোঁজ নেয়ার ও সময় পেতনা। এভাবেই চলছে দিন। এদিকে আমার অফিসে আন্দোলন শুরু হয় তখন চাকুরী ছেড়ে দিলাম। চাকুরী ছাড়ার কারনে একবার হ্যাঁ একবার না এমন করছে। ভালো লাগেনি তার ব্যবহার কিন্তু বুঝতে পারলাম আমি কিছু করি সবসময়ই এটা চান। তাইতো একটু প্রতিবাদ ও করি মাঝে মাঝে। ২য় বর্ষের পরিক্ষা শেষ করি। ততদিনে দুইজনের মাঝে দ্বন্দ্ব একটু একটু শুরু হয়।
আমি চেয়েছিলাম আমাদের একটা গুছানো জীবন হোক সব কিছু হোক নিয়মের ভিতর। কিন্তু পুরান ঢাকার মানুষগুলো কেমন এটা অনেকই জানেন। আমি কোন ভাবেই কন্ট্রোল করতে পারছিনা তার এলোমেলো জীবনকে। কিছুই বলা যায়না উনার মা বোনদের জন্য। এরি মাঝে আমার ছেলের জন্ম। ওকে ৩ মাসের রেখেই ফাইনাল পরিক্ষা দিয়ে আলহামদুলিল্লাহ পাশ ও করেছি। এবার স্বপ্ন মাস্টার্স করবো। আমার কাছে তখন কোন টাকা নেই তাই গলার চেইন বন্ধক দিয়ে টাকা জোগাড় করি। টাকা নিয়ে খুব আনন্দে ইডেন কলেজে যাই ভর্তি হতে। গিয়ে বিস্তারিত জেনে আমি স্তব্ধ হয়ে যাই। কারন উম্মুক্ত থেকে পাশ করার জন্য জেনারেলে মাস্টার্স করা যাবেনা। এদিকে উম্মুক্ত তে তখন মাস্টার্স ছিলনা। তাই আর ভর্তি হতে পারবোনা এই কথা ভাবতে ভাবতেই অজান্তেই চোখ দিয়ে ঝরঝর করে পানি পরতে ছিল। আটকাতে পারিনি কোন ভাবেই। স্বপ্ন ভংগের কষ্টটা খুব কষ্টে সয়েছি।
আমার জীবনের প্রথম অধ্যায় গেল ছেলের জন্মের দেড় মাস পর্যন্ত। তারপর থেকেই শুরু হলো অত্যাচারের দিনযাপন। জীবনে টাকা ছাড়া চলা কতটা কষ্ট তা আমি উপলব্ধি করেছি। যে মানুষ এসএসসি পরিক্ষার পর থেকে কখনো পরিবারের কাছে হাত না পেতে এতদূর এসেছি সেই আমি কিভাবে হাসব্যান্ডের কাছে টাকা চাইবো ? বিয়ের পর চাকুরিটা ছাড়ার পর প্রায় শূন্য হাতেই চলেছি যেহেতু বাহিরে কম যাওয়া হতো তাই টাকার তেমন প্রয়োজন না হলেও খুব দরকার হলেও চাওয়া হতোনা। ছেলের জন্মের পর আত্মীয়তা দেখতে আসতো আর সবাই টাকা দিয়ে যেত। আমি কখনো কোন টাকা রাখিনি। হঠাৎ একদিন ১০০ টাকা রাখলাম। পরে হঠাৎ করে সেই টাকাটা চাইলো তখন কেন জানিনা খুব মেজাজ খারাপ হলো। আর আমি ও দিতে মানা করি তাই খারাপ ব্যবহার করে। একপর্যায়ে কথা কাটাকাটি হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে আমার গায়ে হাত তুলে আর তার পরিমান টা খুব বেশি ছিল। আমি তখনো অসুস্থ যেহেতু ছেলে সিজারে হয়েছে আর তা মাত্র দেড় মাস হলো।
খুব ঘৃনা করতাম এই কাজটা তবুও ভাগ্যে তাই জুটলো। এভাবেই দিন যাচ্ছে আর উনার বেপরোয়া ভাব ও দিন দিন বাড়তেই থাকে। এর পর থেকে খারাপ ব্যবহারের পরিমান বেড়ে গেল। কিছু হলেই বকাবাজি আর প্রতিবাদ করলেই গায়ে হাত তোলা হয়ে গেল খুবই সহজ। এ অবস্থা দেখে আম্মু আর ছোটবোন সবসময় কোন চাকুরীর চেষ্টা করতে বলতো । আমি ছেলের অবহেলা হবে ভেবে চাকুরী করার চিন্তা বাদ দেই। বাসায় বসেই কিছু করার কথা ভাবতে থাকি। ৪ বছর আগে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ শিখি সেখানে ল্যাপটপ , কোর্স ফি আর আনুষঙ্গিক খরচ সহ প্রায় ৫৫ হাজার টাকা নেই আম্মুর কাছ থেকে। কাজ শুরু ও করি হঠাৎ করে একদিন অযথা ঝগড়া করে আমার গায়ে হাত তোলে। সেদিন খুব খারাপ লাগলো তখন আমি আম্মুর বাসায় চলে আসি। এসে একটা জব নেই আর ছেলেকে আম্মুর কাছেই রাখি। প্রায় ৪ মাস পরে পারিবারিক সম্মতিতে ফিরে যাই। ভাবছি হয়তো এবার ভালোই হবে। কিন্তু বিধি বাম। ২ মাসের মাথায় সামান্য কথা নিয়ে এমন অবস্থা শুরু করে শেষ পর্যন্ত শাশুড়ি সাথে যোগ দিল আর আমাকে বের করে দিতে বললো বাসা থেকে। হাসব্যান্ড উনার মায়ের কথা মতো চুলে ধরে সিঁড়ি দিয়ে টেনে নামানোর সময় একটা লাথি পর্যন্ত দেয়। সারাজীবনেও ওই কথা ভুলতে পারবো কিনা জানিনা। এদিকে বাবার বাসায় গিয়ে চাকুরীর কারনে ফাইবারে করা আইডিটা ও বন্ধ হয়ে যায়। একটা পিসি থেকে একটা আইডি হওয়ার কারনে সেই কাজটাও বিফলে গেল। ২০২০ সালে অনলাইনে ব্যবসা করার কথা চিন্তা করি। ছেলের পড়াশোনা আমিই তদারকি করি তাই করোনায় স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় একটু পড়ার চাপ কম। তখনি ব্যবসা করার সিদ্ধান্ত নিলাম। আম্মুর সাথে আলাপ করে Rup collection house নামের একটা পেইজ করি। আম্মুর থেকে আবারো ১০ হাজার টাকা নিয়ে কাজ শুরু করি।
আমি প্রথমে শুধু মেয়েদের থ্রি পিস নিয়ে কাজ শুরু করি। কিছুদিন পর দেখি সবাই একি প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করে। আমি সবসময়ই ভিন্নতা খুঁজি চলার পথে। তাইতো হঠাৎ করে মাথায় এলো নিজে যেহেতু হাতের কাজ পারি তাহলে হাতের কাজের কুশন কভার নিয়ে কাজ করবো।
যেই ভাবা সেই কাজ , এর সাথে যুক্ত করি টারসেল। পরবর্তীতে মার্কেট থেকে পন্য এনে কাজ করাটা আমার তেমন ভালো লাগছিলনা । তাই সিদ্ধান্ত নিলাম বল্কের কাজ শিখবো। আলহামদুলিল্লাহ শিখে এখন নিজেই কাজ করছি। আমি যেহেতু থ্রি পিস নিয়ে কাজ শুরু করি তাই হাসব্যান্ড খুব বাধা দিয়েছিল কিন্তু আমি চুপচাপ কাজ করছি , ভাবনা তো আমার একটাই তাহলো এগিয়ে যেতে হবে। তাইতো আমার নাম ও দিয়েছিল কাপড়ওয়ালী । আমার উৎসাহের প্রধান হলো আম্মু, ছোট বোন আর আমার ছেলে। আমার ছোট বোন একটা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতলতে জব করে। আমার ছেলে ছোট থেকে দেখতে দেখতে ওর হয়তো এটা ভালো লাগে । আমাকে মাঝে মাঝে বলতো খালামনির মতো তুমিও জব নাও অফিসে। আমি কেন নেইনা তাতো ও বুঝতে পারেনা তাই কিছু বলতাম না। একদিন ছেলে তার বাবার সাথে বাসার বাহিরে গেল । ওর বাবা কার সাথে যেন কথা বলার একপর্যায়ে আমি ব্যবসা করি এটা বললো আর সেই সাথে এটাও বললো আমি নাকি কাপড়ওয়ালী হয়ে গেছি । ছেলে কি ভেবে সাথে সাথে জবাব দিল আমার আম্মু ব্যবসা করে। আর ব্যবসা করলে কাপড়ওয়ালী হয়না। ও আমাকে সবসময় উৎসাহ দেয়। ভালো লাগে ওর কথায়। এভাবেই হঠাৎ করে নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশনের পোস্ট চোখের সামনে আসতো। নাম দেখে ভাবতাম হয়তো যারা জীবনে সফল তাদের জীবন গল্প নিয়ে এই গ্রুপ। তাই একটু দূরেই থাকতাম গ্রুপ থেকে। একদিন দেখি এক ফ্রেন্ড পরিচিতি পোস্ট দিল। আমি ওর পোস্ট এ লাইক কমেন্ট করেছি কিন্তু গ্রুপের কোন কিছুই বুঝতে পারিনি। আর তখনও জানিনা কি আছে গ্রুপে। আর কিভাবেই আমি যুক্ত হলাম গ্রুপে। তখন থেকে একটু আগ্রহ বাড়ে আর একটু সময় দিতে থাকি দেখি সুন্দর সুন্দর শিক্ষনীয় পোস্ট। তখন ১৪ তম ব্যাচের রেজিস্ট্রেশনে ইচ্ছুকদের জন্য পোস্ট। আমি কমেন্ট করি রেজিস্ট্রেশন করতে চাই।
কেরানীগঞ্জ জোনের Md Ariful Islam ভাই আমাকে সর্বাত্মক ভাবে সাহায্য করে রেজিস্ট্রেশন করিয়ে দেয় এবং সকল নিয়ম কানুন বুঝিয়ে দিয়ে লালবাগ জোনে যুক্ত করে দেন। ধন্যবাদ ভাইয়াকে । এখানে এসে জীবনে এতো বড় পরিবর্তন হবে তা কখনো ভাবিনি। গ্রুপে যুক্ত হওয়ার পর থেকে স্যারের প্রতিটা সেশন মন দিয়ে পড়ি আর নিজের জীবনকে সেই ভাবেই গঠন করতে চেষ্টা চালাচ্ছি প্রতিনিয়ত। স্যারের কথায় কি আছে জানিনা, তবে আমার ভিতরের সব কথাই স্যারের সেশন পড়লে সমাধান খুঁজে পাই। স্যার বলেন প্রতিদিন নিজের সাথে কথা বলতে আমি এই কাজটি সবসময়ই করি। তাইতো জীবন চলার পথে এতো কিছুর পরেও নতুন করে স্বপ্ন দেখি প্রতিদিন। প্রিয় গ্রুপে এসে আহমেদ জুয়েল ভাইয়ার মাধ্যমে যুক্ত হতে পেরেছি নিজ জেলা লক্ষ্মীপুরের মেসেন্জার গ্রুপে। ধন্যবাদ ভাইয়াকে। এখানের সব ভাইয়া আপুদের ব্যবহার এতো সুন্দর আর কাজের ধারা খুবই চমৎকার। আমি সবসময়ই গর্ববোধ করি লক্ষ্মীপুরে জন্ম গ্রহন করে। আমি লক্ষ্মীপুর জেলার কারো সম্পকেই জানতাম না এ ব্যাপারে Nasir Mirza ভাই সাহায্য করেছেন। ভাইয়াকেও ধন্যবাদ।
আমার উদ্যোক্তা জীবনের সব কাজ আমি নিজেই করি। এমনকি ঢাকার ভিতরের বেশিরভাগ ডেলিভারী আমি দিয়ে আসি।
আমি অনেক অত্যাচারিত হয়ে শেষ পর্যন্ত হাসব্যান্ডের বাড়ী ছেড়ে বাবার বাসায় আছি প্রায় ৭ মাস। তবে আমি আর আমার ছেলের সব খরচ আলহাদুলিল্লাহ আমিই বহন করি। আমার বর্তমানে মাসিক আয় যা হচ্ছে তা দিয়ে মোটামুটি ভালোই আছি।
ফাউন্ডেশনে যুক্ত হয়ে স্যারের শিক্ষা গুলোকে কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত। এখন আমার কাছ থেকে ৪/৫ জন আপু পাইকারী নিয়ে সেল করেন । যেহেতু উনারা নতুন সেলার তাই যথেষ্ট সাহায্য করার চেষ্টা করি তাদের । আমি ১০ হাজার টাকা দিয়ে শুরু করেছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ এখন আমার মূলধন প্রায় ১ লাখের উপর আছে । আমার এই গ্রুপ থেকে যা পাওয়া তা সত্যি অবিশ্বাস্য। প্রথম পরিচিতি পোস্টেই এক ভাইয়া নক দিয়ে উনার বেবীর জন্মদিন উপলক্ষে বেবী ড্রেস সহ কাপলসেটের অর্ডার করেন। দ্বিতীয় পোস্টে আমি SOD হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করি। অসংখ্য ধন্যবাদ স্যারের প্রতি। যিনি না হলে এমন একটা প্লাটফর্মের কখনোই জন্ম হতোনা। দোয়াকরি এমন ভালো মানুষ বেঁচে থাকুক আমাদের মাঝে হাজার বছর।
ধন্যবাদ সবাইকে এতোটা ধৈর্য ধরে আমার লেখা পড়ার জন্য।
আমার আর আমার ছেলের জন্য সবাই দোয়া করবেন।
🍂🍁🍂আমার উদ্যোগের নাম Rup Collection House & এস.আর আচার সমাহার।
কাজ করছি পুরান ঢাকা থেকে মেয়েদের সব ধরনের পোশাক, হাতের কাজ ও বল্কের কুশন কভার, টারসেল এবং বেডসীট আর নতুন সংযোজন রসুনের আচার নিয়ে।
নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখুন
সুস্থ থাকুন।
📌"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৬৭৫
Date:- ১৫/১১/২০২১ইং
সুলতানা রাজিয়া সীঁথি
ব্যাচ ১৪
রেজিস্ট্রেশন ৬৫২১৭
কমিউনিটি ভলান্টিয়ার
লালবাগ জোন
জেলা লক্ষ্মীপুর
ঢাকা