""বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম""

আসসালামু আলাইকুম

""ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।""

🥀🥀সুপ্রিয় ভাই ও বোনেরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে আপনারা যে যেখানে আছেন সুস্থ আছেন, নিরাপদে আছেন আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। 🥀

🥀শুরুতেই সকল প্রশংসা জ্ঞাপন করছি সেই মহান প্রভু প্রতিপালক আল্লাহ পাকের প্রতি। যিনি আমাকে ১৮ হাজার মাখলুকাতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ মাখলুকাত শ্রেষ্ঠ জীব মানুষ হিসেবে সৃষ্টি করেছেন এবং আমাকে আপনাদের সকলের ভালোবাসার সান্নিধ্যে উপস্থিত হওয়ার তৌফিক দান করেছেন আলহামদুলিল্লাহ। 🥀

🔅দরুদ ও সালাম পেশ করছি মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি। কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি গর্ভধারিনী মা ও বাবার প্রতি।যারা আমাকে সুন্দর ধরণী দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন তাঁদের প্রতি অশেষ শুকরিয়া। 🔅

🥀শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি আমাদের প্রাণের প্রিয় প্লাটফর্ম ""নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা আমাদের সকলের প্রিয় মেন্টর প্রিয় শিক্ষক জনাব Iqbal Bahar Zahid স্যারের প্রতি। যার নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে আমরা পেয়েছি বিশাল পরিবার তথা ফাউন্ডেশন। 🥀

🥀🥀🥀যাঁর পথ অনুসরণ করে প্রতিদিন অগণিত পরিবারের মুখে ফুটছে তৃপ্তির হাঁসি। প্রতিদিন হাজারো তরুণ-তরুণীর বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি পেয়ে স্বর্নিভর বা আত্মনির্ভরশীল হয়ে সমাজ ও দেশের জন্য বয়ে আনছেন সম্মান আর বৈদেশিক মুদ্রা। আমার দেশের হাজারো মোটিভেশনাল স্পিকারের মধ্যে আমার কাছে সর্বশ্রেষ্ঠ মোটিভেশনাল স্পিকার শতাব্দীর সেরা মানব, তরুণ প্রজন্মের আইডল, তরুণ-তরুণীদের উদ্দোক্তা একজন প্রকৃত ভালো মানুষ ও পজিটিভ মানুষ গড়ার কারিগড় প্রিয় Iqbal Bahar Zahid স্যার । 🥀🥀🥀

🌷কৃতজ্ঞতা প্রকাশঃ

---------------------

কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এই গ্রুপের সকল ভাইয়া ও আপুদের প্রতি যাদের সাথে দেখা হয়না কথা হয়না তারাও অনেক আপন হয়। এই মানুষ গুলোর প্রতি সত্যি আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তারা বিভিন্ন ভাবে আমাকে সাহায্য করে যাচ্ছে। অনেক ভালোবাসা রইলো তাদের জন্য। 🌷

অনেক কিছুই করি তবুও

🌷 অনেক কিছুই বাদ পড়ে যায়

কিন্তু ইদানিং অনেক সাহস করি

আর একটু এগিয়ে যাওয়া বুঝতে পারি

পিছিয়ে যাওয়ার কারণটাও জানতে পারি

শিখার অনেক কিছু প্রয়োগ করতে পারি

আমি বিশ্বাস করি এগিয়ে যাওয়ার

অনেক শিক্ষা পেয়েছি

নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন থেকে। 🌷

🌷প্রিয় মেন্টর Iqbal Bahar Zahid স্যার এই ফাউন্ডেশনের জন্য আজও নিরলস ভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন ।

অনেকেই স্বপ্ন দেখতে পারে, কিন্তু তা বাস্তবায়নে সঠিক দিকনির্দেশনা ও অনুপ্রেরণার অভাবে অনেকের সেই স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে যায় এবং বাস্তব ভিত্তিক অনুপ্রেরণা ও উৎসাহ আমাদের প্রিয় স্যার ইকবাল বাহারের দ্বারাই সম্ভব ।🌷

🌷প্রিয় স্যারের প্রতিটি কথা, কাজ সবসময় আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করে ভালো মানুষ হওয়ার । স্যারের ব্যক্তিত্ব, নানাবিধ ও সামাজিক উদ্দোগ ও কর্মকান্ড অত্যন্ত প্রশংসনীয় ও শিক্ষণীয় । এই ফাউন্ডেশনের দায়িত্ব প্রাপ্ত সম্মানিত প্রিয় ভাইবোন সহ আমার শুভাকাঙ্ক্ষী সবার প্রতি সম্মান, ভালোবাসা, কৃতজ্ঞতা ও অফুরন্ত শ্রদ্ধা জানাআ যাঁরা আমাদের আন্তরিকতার সঙ্গে দিন রাত সীমাহীন অক্লান্ত পরিশ্রম করে আমাদের কে উৎসাহ ও কাজ করে যাচ্ছেন। 🌷

🌷আমি যা পেয়েছি ভালোবাসার এই ফাউন্ডেশনের প্রিয় ভাইয়া ও আপুদের লেখা পড়তে পড়তে নিজেকে বুঝতে পেরেছি, চিনতে পেরেছি, নিজের সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কিছু আবিষ্কার করতে পেরেছি, যা আগে কখনো জানতামই না । সাহস করে মুখে কোন কিছু সবার সামনে বলতে পারতাম না , এখন আমার লেখার মাধ্যমে আমি যা জানি সবার সামনে উপস্থাপন করতে পারছি । 🌷

🌷"পথ পথিকের সৃষ্টি করে না,

পথিকই পথের সৃষ্টি করে। "🌷

🌷"হাতে কাজ করাই অগৌরব নাই, অগৌরব হয় মিথ্যা মূর্খতায় আর নীচতায় ।" সৎ ইচ্ছা এবং অদম্য পরিশ্রমের মাধ্যমে জীবিকা অর্জন মহত্বের লক্ষণ । যদিও আমাদের দেশে পরিশ্রমী ব্যক্তিকে শ্রদ্ধার চোখে দেখা হয় না । যা আমাদের সংকীর্ণ দৃষ্টি ভঙ্গি ও মূর্খ তার ই প্রমাণ । 🌷

আমাদের প্রত্যেকের জীবনেই একটি করে গল্প থাকে, তেমনি আমার জীবনেও নিজের বলার মতো একটি গল্প আছে যা আপনাদের আজ ভালোবেসে শোনাতে চাই ।

সন্তানের কাছে প্রত্যেক বাবা মা-ই শ্রেষ্ঠ, আমার কাছেও আমার বাবা-মা মানে এক পৃথিবী ভালোবাসা ।

"আপনার লয়ে বিব্রত রহিতে

আসে নাই কেহ অবণী পরে,

সকলের তরে সকলে আমরা

প্রত্যেক আমরা পরের তরে ।"

আজ জীবনের গল্প লিখতে গিয়ে বহুদিন পরে কবির বাণী আমার হৃদয় গহীনে আঘাত করতে লাগলো । আমি আমাদের এই প্রিয় পরিবারে নিজেকে নতুন রূপে নতুন ভাবে খুজে পেলাম। আমি কারোর মা, কারো বোন আমি কারো স্ত্রী । এরপরেও আমার একটি বিশেষ পরিচয় থাকা দরকার । এই মহা উপলব্ধিবোধ এই প্রিয় পরিবারে যোগ হয়েছি বিধায় অন্তরে জাগ্রত হয়েছে আজ । আমি নারী , আমার একটি প্রয়োজনে হোক কিংবা অপ্রয়োজনে হোক পরিচয় থাকা উচিত । যেই চিন্তা আগে কখনো মাথায় আসে নাই ।

🥀"তৃষ্ণার জল যখন আশায় জাগরিত হয়

মরীচিকা তখন সহজেই ভোলায়" 🥀

স্বপ্ন দেখছি একজনা ভালো মানুষ হবো । মেয়ে মানুষ নয় একজন আদর্শ মানুষ হবো ।

🥀 বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি, চির কল্যাণকর

অর্ধেক তার গড়িয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর। "🥀

আজ আমি অনেকের গল্প পড়তে পড়তে আমার হৃদয়ের গহীণে লুকানো আমার আমিকে জাগিয়ে তুলিয়াছে । আমি অনেক নারীর গল্পে অশ্রু বিসর্জন করেছি । তাহাদের গল্পে আমাকে নতুন করে বাঁচতে শিখিয়াছে । আমি বুক ফুলিয়ে মাথা উঁচু করে আমি আমার পরিচয় দিতে চাই । আমি নারী আমি নারী । নারীকে অযোগ্য ও অকর্মণ্য ভেবে তাদেরকে গৃহবন্দী করে রাখা ঠিক নয় । জাতি গঠণে পুরুষের মতো নারী ও যে অবদান রাখতে পারে উন্নত বিশ্বের দিকে তাকালেই তার প্রমাণ মেলে ।

ভালোবাসা কি শুধুমাত্র পরিবার বা বন্ধু মহলের মধ্যে সীমাবদ্ধ? ""না""এটা প্রমান হলো আমাদের প্রিয় প্লাটফর্ম এ এসে চেনা অচেনা মানুষ মানুষের সাথে গড়ে উঠেছে এক আত্মিক সম্পর্ক সেই সম্পর্কের আন্তরিকতা যে কত মধুর এই প্লাটফর্ম ই তার প্রমাণ ।

🌷আমার পরিচিতি/ শৈশবকালঃ

--------------------------

আমি মোছাঃ কুরছিয়া আকতার বর্তমান অবস্থান রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলায় কিন্তু আমার শৈশব, কৈশোর কেটেছে গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলায় । আমার বাবা একজন সরকারী কর্মচারী ছিলেন বি আর ডি বি অফিসে একাউন্টিং পদে এখন বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত । আমাদের আর্থিক অবস্থা মোটেই ভালো ছিল না যদিও আমার বাবা চাকরী করতো সেই চাকরী থেকে ঠিকমতো বেতন পেত না । যাই হোক বেড়ে উঠছিলাম খুবই আনন্দের সঙ্গে আমার বাবারা ছিল ৬ ভাই ও ৪ বোন এখনকার তুলনায় অনেক বড় ফ্যামিলি । আমার বাবা ছিল আমার দাদুর ছেলে মেয়ে-দের মধ্যে সবচেয়ে বড় । আমার বাবা কে দাদু-দাদী প্রচুর ভালোবাসতো সংসারের বড় সন্তান বলে। আমার দাদুর অনেক জমি ছিলো কিন্তু আমার বাবা কখনো ওসব এর ধার ধারত না । আমার দাদু ছিল অনেক সহজ সরল ও নরম মনের মানুষ ঠিক তেমনি আমার বাবা ও । আমার অন্যান্য চাচা তারা সব জমি-জমা চাষ করত । আমার বাবা সবসময় নিজের পরিশ্রমী ও মনোভাবাপূর্ণ উদারতা ও মহানুভবতার প্রতিক নিয়ে সকল সমস্য মোকাবেল করার জন্য প্রবল ইচ্ছা শক্তির ধারক ও বাহক ছিলেন । আমাদের এলাকায় বেশ সুনাম রয়েছে আমার প্রিয় বাবার ।

আমাদের গড়ে ওঠা যৌথ পরিবারে দাদা-দাদী, চাচা-চাচী, মা-বাবা, ভাই-বোন কে নিয়ে আমাদের যৌথ পরিবারটি ভালোবাসায় ভরপুর ছিল। আমারা তিন বোন ও দুই ভাই আর চাচাতো অনেক ভাইবোন ছিল । আমার বড় ভাই বর্তমানে আছে আর এফ এল কোম্পানী তে আর ছোট ভাই আছে অন্য একটা এনজিওতে ।

একজন ব্যক্তির জীবনে সবচেয়ে মধুময় অধ্যায় হচ্ছে তার শৈশব । ছোট ছোট কত ঘটনা মিলে সাজিয়ে থাকেন তার শৈশব । ছোটবেলায় কত আনন্দ আয়োজনের মাধ্যমে বড় হয়েছি তা আধুনিক প্রজন্মের মানুষের কাছে কল্পকথা ছাড়া কিছুই নই ।

যেখানে মানুষ এন্ড্রয়েড ফোন ছাড়া কিছু বোঝে না কম্পিউটার ছাড়া কিছু বোঝে না সেখানে এই বালিকার বেড়ে ওঠার গল্প টা তাদের কাছে মনে হবে অনেক আজব গল্প । আমার এখনো মনে পড়ে আমি যখন ক্লাশ সেভেন কিংবা এইট এ পড়ি তখন ফাস্ট আমাদের গ্রামের মধ্যে আমার চাচাতো ভাই ও আমার পাশের আর একজন ভাই মিলে দুইটা ফোন দুইজনে কিনে তখন গ্রামে রব পড়ে যাই এবং সেই ফোন দেখার জন্য অনেক লোক আসে আমার এখনও মনে পড়ে সেই সময়কার কথা । আজও যেন স্মৃতি হয়ে আছে ।

সারাদিন হৈ হুল্লোড় করে সময়ে-অসময়ে নানা ধরণের খেলা সেটা আমাকে কারণে-অকারণে আনন্দ দেয় অনেক হই হুল্লোর করতাম আর মায়ের কত বকুনি যে খেয়েছি তার হিসাব করতে পারবোনা ।পুরণো সেই দিনের কথা ভুলি কি করে হায় ।পুরণো দিনের কথা চাইলেই তো আর ভুলা যায় না । আমরা চোখ বেঁধে নানা খেলা খেলতাম আর খেলা শেষে মাঝে মাঝে বাড়িতে বিশাল খাবারের আয়োজন করতাম ।

🌷শিক্ষা জীবনঃ

------------------

আমাদের গ্রামেই একটা প্রাইমারি স্কুলেই আমার হাতে খড়ি হয়ে যায়। ছাত্রী হিসেবে মোটামুটি খুব ভালোই ছিলাম । ১ থেকে ৬ এর মধ্যে আমার রোল থাকতো সবসময়। সবারই একটা স্বপ্ন থাকে তেমনি আমার একটা স্বপ্ন ছিল। আমার শিক্ষকতা করার খুব ইচ্ছা ছিল। ছোটবেলা থেকেই আমার স্বপ্ন ছিল শিক্ষকতা । তবে সেটা স্বপ্নই রয়ে গেল। সেটা আর বাস্তবে পরিণত হলো না। মানুষের সব স্বপ্ন পূরণ হবার নয় তেমনি এটাও না হয় হলো না। তাই মনকে সবসময় বোঝাতাম। মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম নিলে এমন হাজারো স্বপ্ন অপূর্ণ থাকে এটাই বাস্তব। ভর্তি হলাম অনার্স বাংলা ডিপার্টমেন্টে গাইবান্ধা সরকারী কলেজে বিভিন্ন বাঁধা-বিপত্তি পড়াশোনা ওখানেই থেমে গেল শত ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও কিন্তু পড়াশোনা আমার কাছে খুব ভালো লাগতো কিন্তু হার মেনে থেমে গেলাম যে পরিস্থিতির কারণে । 🌷

🌷বৈবাহিক জীবন/ব্যর্থতার জীবনঃ

-----------------------

আমি এইচ এস সি পাশ করার পর আমার বাবার বন্ধু আমার বাবাকে প্রস্তাব দেয় তার ছেলেকে দিয়ে আমার বিয়ের কথা বলে । তবে আমার বাবা রাজি হয় না । অল্প বয়সে মেয়েকে বিয়ে দিবে না বলে কিন্তু আমার মা তাদের কথাতে রাজি হয় এবং পারিবারিক ভাবেই আমাদের বিয়েটা হয়ে যায়। খুব ভালোই কাটছিলো দিন গুলো। কারণ শ্বশুড় বাড়িতে আমিই একমাত্র বউ । আমার শ্বশুড়ের দুই ছেলে ও এক মেয়ে । আমার শ্বশুড় তার মেয়েকে আগেই বিয়ে দিয়ে দেন এবং তার দুই ছেলের মধ্যে তিনি বড় ছেলেকে রেখে ছোট ছেলের বউ করে আমাকে ঘরে তোলেন । আমার যখন বিয়ে হয় তখন শ্বশুড় বাড়িতে আমার শ্বশুড়-শ্বাশুড়ী , আমার ননদ এর এক ছেলে ও এক মেয়ে ছাড়া আর কেউ ছিল না । যাই হোক বিয়ের কিছুদিন পর আমার শ্বাশুড়ীর ছোট বোন এর সুপারিশ এ আমি একটি চাকুরীতে জয়েন করি Computer পদে । আমি চাকুরী আর সে ব্যবসা করে দুজনেই ব্যস্ততা সময় কাটাতে লাগলাম এরই মাঝে আমার শ্বশুড় তার ছেলেকে বিদেশ পাঠানেরা সিদ্ধান্ত নেয় এক পর্যায়ে সে আমাকে রেখে চলে গেলো বিদেশ । সে বিদেশ যাওয়ার পরে আমাকে আর চাকরী করতে দেয় না আমার শ্বাশুড়ী তার ইচ্ছাতেই চাকরী ছেড়ে দিতে বাধ্য হলাম কারণ আমি ছোট বেলা থেকেই স্যক্রিফাইস মাইন্ডেড হঠাৎ চাকরী ছেড়ে দিয়ে একঘেয়েমি হয়ে গিয়েছিলাম সব রুটিন যেন চেঞ্জ হয়ে গেলো মনমানসিকতা ভালো ছিল না একদিন ফেসবুকে হঠাৎ স্যারের একটা ভিডিও দেখে আমি অনুপ্রাণিত হয় রেজিস্ট্রেশন করি তারপর থেকে সবসময় ভিডিও দেখতাম এবং মনের মধ্যে কিছু করার অনুপ্রেরণা কাজ করত কিন্তু কখনো কাউকে বলার সাহস পাইতাম না । তবুও থেমে থাকার চিন্তা করি নাই । আমি একটা ট্রেনিং করি সেলাই এর মেয়েদের সব ধরনের ড্রেস সেলাই করি তাতে আমার মোটমুটি সময় ভালোই কাটে এবং নতুন কিছু শিখতে শেখার আগ্রহ আরও দিন দিন বাড়তে থাকে । 🌷

🌷আমার মাঃ

একমাত্র মায়ের ভালোবাসা ছাড়া এই পৃথিবীতে ফ্রি তে আর কিছু পাওয়া যায় না । মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত । মা বার বার ঝুঁকি নিয়ে আমাদের জীবনের যে কোন বিপদ থেকে রক্ষা করেন আবার আমাদের কে বেহেশত দান করেন আলহামদুলিল্লাহ ।

🌷উদ্দোক্তা জীবন শুরুঃ

-----------------

স্যার স্বপ্ন দেখেছিলেন, সাহস করে লেগেছিলেন।আজ তিনি সফল। সফলতা চলমান তেমনি আমিও সাহস করে নেমেছি স্যার এর শিক্ষা বুকে ধারণ করে আমি জানি মানুষ খুব অল্প সময়ের জন্য এই পৃথিবীতে আসে কিন্তু কজনই বা মরে গিয়ে অন্যের মাঝে বেঁচে থাকতে পারে তাই চিন্তা করলাম এই ছোট জীবনে আমাকে এমন কিছু করতে হবে যেন আমার মৃত্যুর পরেও মানুষ আমাকে মনে রাখে। আসলে মানুষ মরে গিয়েও তার কর্মের মাধ্যমে চিরদিন বেঁচে থাকতে পারে । এক্ষেত্রে ব্যাবসা হচ্ছে সবচেয়ে ভালো মাধ্যম । ব্যাবসা করলে নিজের উন্নতির পাশাপাশি কিছু গরিব ও অসহায় মানুষ কে কর্মসংস্থান এর সৃষ্টি করতে পারি তাহলে সে সকল পরিবারের সকল সদস্য আমাকে আজীবন মনে রাখবে ভালবাসবে এটাই হচ্ছে সবচেয়ে ভাল মাধ্যম এর ই ধারাবাহিকতায় মাঝে মাঝে আমি গুগোল এ বিভিন্ন প্রকার ব্যবসার আইডি খুজতে থাকি হঠাৎ একদিন আমাদের শ্রদ্ধেয় স্যারের ভিডিও সেশন আমার নজরে আসে এবং আমি সেই সেশন টি মনোযোগ সহকারে দেখি তারপর থেকে প্রতিনিয়ত সময় পেলেই স্যারের ভিডিও সেশন গুলো দেখতে থাকি।

স্যার বলেছেন যে ঠকিয়েছে তার জন্য করুনা হয়েছে। তারপর দৃঢ় মনোবল নিয়ে আবার যাত্রা শুরু। আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসা নিয়ে আমার উদ্দোক্তা জীবনের শুরু হয়েছে । আমি এখনো সফল উদ্দোক্তা হতে পারি নাই তবে চেষ্টা করে যাচ্ছি, আপনাদের সহযোগিতা ও ভালোবাসা পেলে ইনশাআল্লাহ আমি একদিন সফল উদ্দোক্তা হিসেবে নিজেকে সু প্রতিষ্ঠিত করতে পারব। এবং অন্তত একজন মানুষের ভাগ্য বদলাতে সাহায্য করতে পারি তবেই আমার মানব জীবন সফল হয়েছে বলে আমি নিজেকে ধন্য মনে পারব।

""শ্রদ্ধেয় স্যার বলেছেন,

স্বপ্নদেখুন, সাহস করুন, শুরু করুন এবং

লেগে থাকুন সফলতা আসবেই ইনশাআল্লাহ।

শ্রদ্ধেয় স্যারের সেই বানী হৃদয়ে ধারন করে লালন করে আমার উদ্দোক্তা জীবনে যাত্রা শুরু।স্যারের এই কথাগুলো প্রতিটি সময় আমাকে তাড়া করে বেড়ায় একদিন পরে শুরু করলাম তো জীবন থেকে একটি দিন পিছিয়ে গেলাম।

শ্রদ্ধের স্যারের বনী হৃদয়ে লালন করে এগিয়ে যাচ্ছি,যতদন বেঁচে থাকি সততার সহিত বাঁচতে চাই সকলে আমার জন্য দোয়া করবেন। জীবনে যদি একজন ভালো উদ্দোক্তা নাও হতে পারি অন্তত একজন ভালো মানুষ হয়ে বেচেঁ থাকতে পারি সকলের মাঝে এটাই আমার কাছে অনেক পাওয়া ।

গ্রুপ থেকে কি পেয়েছি আমিঃ

--------------------------

যদিও গ্রুপে আমি প্রথম থেকে জয়েন ছিলাম না তবুও এই অল্প সময়ে অনেক কিছু পেয়েছি আলহামদুলিল্লাহ। কিভাবে উঠে দাড়াতে হয় হতাশাময় জীবন থেকে। ধৈর্য ধরে লেগে থেকে । এখন আর নিজেকে একা লাগেনা। কারন এই ভালোমানুষের পরিবারটা যে আমার সাথে আছে।অসংখ্য কৃতজ্ঞতা জানাই আমাদের পথপ্রদর্শক প্রিয় মেন্টর জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারকে কারন এতো সুন্দর এই প্লাটফর্ম উপহার দেয়ার জন্য।

কষ্ট করে সময় নিয়ে আমার জীবনের গল্পটা পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভালো থাকবেন সব সময় বিধাতার নিকট প্রার্থনা করেছি।

📌"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৬৭১

Date:- ১১/১১/২০২১ইং

🌷 মোছাঃ কুরছিয়া আকতার

🌷 জেলাঃ রংপুর

🌷ব্যাচ নং- ১১

🌷 রেজিঃ ৩২৮৩৪