"জিবনের গল্প কখনো লেখা সম্ভব নয়। জিবনে বড় হতে হলে একটি পেইন ছিচুয়েশনই (Pain situation ) যথেষ্ট ।
🕋 বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম ।
আসসালামুলাইকুম, ওরাহমাতুল্লাহ।
🍀🍀 প্রিয় ফাউন্ডেশনের ভাই ও বোনেরা আপনারা সবাই কেমন আছেন? আলহামদুলিল্লাহ্ আমি চমৎকার ভালো আছি।
🌺🌺 সকল প্রশংসা মহান রাব্বুল আল আমিনের দুরুদ ও সলাম মানবতার শ্রেষ্ঠ শিহ্মক হযরত মোহাম্মদ সঃ উপর দুরুদ প্রেরন করি। এ কঠিন বৈশ্বিক করোনা মহামারীর মধ্যে আমাদের সুস্থ রেখেছেন। আলহামদুলিল্লাহ্। হ্রদয় নিংড়ানো শ্রদ্ধা এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এমাটির গবির্ত সন্তান আমার আপনাদের অত্যান্ত শ্রদ্ধভাজক দিক হারা মানুষদের প্রিয় অভিবাবক জনাব" ইকবাল বাহার জাহিদ" স্যারের প্রতি। যেখানে প্রতিদিন তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন উদ্যোক্তা,ভালোমানুষ হওয়া, এবং একটি সুশীল উদ্যোক্তা সমাজ ও পরিবেশ।
👩 আমি সোনিয়া জামান। আমার আব্বু হচ্ছেন একজন হার্ডয়্যার ব্যবসায়ি। আর আম্মু হচ্ছেন গৃহিনী। আমরা চার বোন এক ভাই।ভাই সবার বড় তারপর বোনদের মধ্যে আমি বড়।
👧 আমার পরিচিতিঃ
আমি খুব নিড়িবিড়ি ও শান্ত স্বভাবের মেয়ে।প্রয়োজন ছাড়া বেশি কথা বলতামনা আমাকে একা একা বড় হতে হয়েছে। কারন আমার বাড়িতে কোন চাচাতো ভাই বোন বা বান্ধবী কেউ ছিলনা।
🙎♀️ আমার সময় কাটতোঃ
লেখা পড়া করাই ছিল আমার কাজ। আমার আম্মু আমাকে সংসারের কোন কাজে হেল্প করতে দিত না। তিনি সবসময় বলতেন শুধু আমাকে পড়তে বসতে। স্কুলে যেতাম সারা দিন স্কুল শেষ করে প্রাইভেট পরতাম। আবার বাসায় এসে পড়তে বসতাম। ছুটির দিন কাটত আমার গাছ ও গাছের টব পরিস্কার করে। আমি গাছকে অনেক ভালোবাসি। আমি সময় কাটাতাম গাছ দেখে দেখে।
👧 পড়ালেখাঃ
আমি পড়া লেখায় ভালই ছিলাম। সব সাবজেক্ট থেকে অংকে অনেক ভালো ছিলাম। যেদিন অংক পরীহ্মা থাকতো সেই দিন সবাই কান্না করতো। আর আমার ঈদের দিনের মতো মনে হতো। আমার আম্মু সব স্যারদের জিজ্ঞেস করেছিলো মেয়ে কেমন ছাত্রী।মেয়েকে কোন সাবজেক্টে পাড়াব। স্যারা বলেছিল মেয়েতো ছিত্রী ভালো বিশেষ করেও অংকে অনেক ভালো ওকে সাইন্সে পড়াতে পারেন। সব স্যাররা একি কথা বলে।আমি সাইন্স নিয়ে পড়তে ইচ্ছুক ছিলাম না। আমার ইচ্ছে ছিল কমার্রস নিয়ে পড়ার জন্য । আমার আম্মুর ইচ্ছে ছিল আমাকে ডাক্তার বানাবে। আমার ইচ্ছে না থাকার সত্তে ও সব স্যারের ইচ্ছায় আমাকে সাইন্স নিয়ে পড়তে হয় ।
👧 আমার চিন্তা ভাবনাঃ
আমি মাঝে মাঝে চিন্তা করতাম আমার আব্বুর দোকানে আমি বসবো। কল্পনায় চিন্তা করতাম আমি যে বসতে চাই আমি কি বসতে পারব।সমাজ কি আমায় বসতে দেবে।
🏘 🍀🌺 পরিবারের চিন্তা ভাবনঃ
যেহেতু আমি ঘরের বড় মেয়ে সেহেতু আমি যখন অষ্টম শ্রেণিতে পড়ি তখন থেকেই আমার জন্য বিয়ের প্রস্তাব আসতে শুরু করে। তখন যারা বিয়ের জন্য প্রস্তাব আনত তারা বলত ছেলে ভালো স্টাবলিষ্ট,মেয়েকে বিদেশে নিয়ে যাবে,অনেক স্বর্ন দিয়ে দেবে । তখন আমার আম্মু বলত মেয়েকে যদি পা থেকে মাথা পযর্ন্ত স্বর্ন দেয় তাহলেও আমি এখন মেয়েকে বিয়ে দেবনা। আমার মেয়ের এখনো বিয়ের বয়স হয় নি।
🎎 🌺🍀🌺 বিয়েঃ
আমার আব্বুর কোন র্গাডিয়ান ছিলো না ।তাই আমার নানা ভাইকেই গার্ডিয়ান মানত। আমার নানাভাই মনে করতেন আমার আববু একা মানুষ তার যেহেতু কেউ নেই আল্লাহ্ না চায়তো আমার আব্বু সুস্থ থাকতে আমার বিয়ে দিয়ে দেবে কারন আমার পর আরো তিন বোন আছে। অতএব আমার নানা ভায়ের পছন্দের ছেলের সাথে আমার বিয়ে ঠিক করে।আমি যখন এচ এ সি প্রিটেষ্ট পরীহ্মার দেই তার পরের দিনিই আমার বিয়ে ছিল।
🌺🍀🌺 প্রথম দেখাঃ
সেদিন ছিল শুক্রবার বিকেল বেলা অল্প অল্প ঝিরিঝিরি বৃষ্টি পরছে আমাদের ফেমেলীর সবাই মিলে Tv তে ছবি দখছিলাম।উনাদের আবার হার্ডয়্যারের ব্যাবসা পাইকারি ও খুচরা। আমার আব্বু উনাদের দোকান থেকে মাল আনতো সেই সুবাদে দুজন দুজনকে চিনত। উনার চাচাতো ভাই এবং উনি ঝিরিঝিরি বৃষ্টিতে ভিজে আমাদের বাসায় আসে। আমার আব্বু তাকে দেখে বলে "আরে তুই এখানে" উনিও বলে আমার আব্বুর নাম ধরে " আরে সৈয়দ ভাই আপনি এখানে "। আমার আব্বু বলে আমার বাসায় আমি থাকবনা। তারপর আরকি তাকে আপ্যায়ন করা হলো। এরপর দীর্ঘ তিন মাস পর তাদের বাসা থেকে আমাদের বাসায় প্রস্তাব আসে। এবং তাদের বাসা থেকে আমাকে দেখতে আসে।আমার শশুর প্রথম দেখাতেই আমাকে "মা" বলে।আমি নাকি উনার মায়ের মতো। উনার মা নাকি হুবহু আমার মতো দেখতে ছিল।তাই সে আমাকে বলে তোমাকে যেহেতু মা বলেছি আজ থেকে আমি তোমাকে মা বলে ডাকব।
🎎🌺🍀🌺 বিয়ের পরঃ
তারা ছিল আট ভাই চার বোন। যৌথ ফেমেলী এবং দোকানের কর্মচারী। অনেক বড় একটি সংসার। তারা মনে করত কয়েক গ্রামের ভিতরে এমন যৌথ ফেমেলী নেই তাই তারা গর্ববোধ করত। প্রতি ওয়াক্তে অন্তত ৩৫ জনের রান্না হতো আর সবসময়তো মেহমান থাকতই। আমি সবসময় লেগে থাকতাম শশুর শাশুড়ির সেবা এবং জালেদের সাথে কাজ করতাম এবং তাদের ছেলে মেয়েদের দেখা শুনা করতাম বাচ্চাদের খায়য়ে দিতাম। সংসারের যে যা বলত সেই কাজই করতাম। যে দিন শশুর শাশুড়ি আমার প্রশংসা করত সে দিন বাসায় তুমুল ঝগড়া চলত কিন্তু আমার অগচরে আমি বুঝতে পারতাম না। সবাই আমার শশুর শাশুড়িকে এসে স্বাসাত বাড়িতে আরো বৌ আছে তাদের সামনে ওর প্রশংসা করে কেন?
আমার আম্মু চেয়েছিল আমি যেন ফাইনাল পরীহ্মাটা দেই। আমার হাজবেন্ড ও চেয়েছিল। আমার হাজবেন্ড তার বাবা মা কে রাজি করায় কিন্তু যৌথ ফেমেলীর কারনে অন্য কেউ রাজি হয়নি। তাই আর আমার ফাইনাল পরীক্ষা দেওয়া হয় নি।বড় সংসারে থাকতে হলে সবার মনযোগীয়ে থাকতে হয় । আমি ঠিক এই কাজটিই করি। আমি সংসারের সব কাজ সেরে অবসর সময় আমার রুমে বসে বসে জামার মধ্যে হাতের কাজ করতাম। আমার নামে জালেরা বিচার দেয় আমার শশুরের কছে।তারা চায় সংসারের সব কাজ সেরে তাদের সাথে আমি আড্ডা দেই আর শশুর শাশুড়ি চাইত আমি তাদের সামনে বসে থাকি। আমার শশুর আমাকে বলেতুমি তাদের সাথে কথা বলনা। আমি বল্লাম আমিতো বলি কখন কোন কাজ করতে হবে আমি জিজ্ঞেস করে করে করছি। সব সেরে অবসর সময়ে আমি আমার কাজ করি আমার শশুর আমার জায়েদের সামনে আমাকে স্বাসিয়ে দিল।তারপর আমি আমার রুমে চলে আসি। আমার জাল চলে যাওয়ার পর আমার শশুর আমাকে আবার ডাকে। আমাকে ডেকে বলে মা তুমি আমাকে হ্মমা করে দাও।তুমি যা করছ ভালো করছ তোমার মতো তুমি চলতে থাক। আমার শশুর শাশুড়ি আমাকে অনেক আদার করত কিন্তু কখনও প্রকাশ করতে পারতনা যদিও কখনও প্রকাশ করোত তাহলে তুমুল ঝগড়া হতো । আমার শশুড় যখন আমাকে টাকা দিত তখন কেউ যেন না দেখে এভাবে দিত।আমার হাজবেন্ড ও অনেক ভালো মানুষ। সেও আমাকে শিখিয়ে দিত আমি কার সাথে কিভাবে কথা বলব আমি কিভাবে কোন কাজটি করব সেটা শিখিয়ে দিত। এর মধ্যে দেখতাম হঠাৎ যে কোন রাতে আমাজবেন্ডের পেটে প্যাইন হতো সারা রাত্র ভূগত মনে করতো শশুর বাড়িতে গেছে ভালো মন্দ খেয়েছে সে জন্য ব্যাথা করছে।এরকম প্রতিবছরে এক বার হতো। এর মধ্যে আমাদের ঘর আলো করে আমাদের ছেলে আসল। তার পেটের প্যাইন টা আস্তে আস্তে এক বছর থেকে ছয় মাস পরপর তিন মাস পরপর দুই মাস এক মাস এমন করে ঘনিয়ে আসতে থাকল।যখন ব্যাথা হতো তখন ঔষধ খেত। এর ভিতরেই তার চিকিৎসা চলছে। তার পর এক চিকিৎসায় ছয় মাস ভালো থাকে। এর পর আবার প্যাইন শুরু হয়। যখনপ্যাইন হতো তখন সারা রাত্র ব্যাথা করত। এরপর ব্যাথা দিনেও শুরু হতো।সে দোকানে যেত যেকোন সময় আমার কাছে ফোন আসত সে হাসপাতালে র্ভতি আছে। এমনি করে যখনই প্যাইন উঠে তখনই সেলাইন ও ব্যাথার ঔষধ আর সাবজিটার দিয়ে ব্যাথা কমানো হতো। আলহামদুলিল্লাহ্ তখন আমার এক ছেলে এক মেয়ে। বাংলাদেশের সব জায়গায় তার চিকিৎসা করানো হয়েছে ল্যাবেটে, গ্যাস্ট্রোলিভারে,পি জিতে ইত্যাদি জায়গাই চিকিৎসা করা হয়। এন্ড্রোসকপি,ক্লোরস কপি,আলট্রা, সিটিস্কেইন আরো অন্যান্য পরীক্ষা নিরীক্ষা করে কিছুই পায়না। সে কাউকে বুঝাতে পারতনা তার পেটে প্যাইন অথচ ডাক্তাররা বলত তার কোন সমস্যা নেই। সে অনেক সময় ডাক্তারদে কথা শুনে সে বলত আমারতো ট্রেনের নিচে চাপা পরে মরে যেতে ইচ্ছে করছে । আমার পেটে প্যাইন হয় আর সে বলছে আমার কিছুই হয়নি। সে প্রায়ই না খেয়ে থাকত।সে মনে করত না খেলেই মনেহয় আমি ভালো থাকব।। এমন এক পর্যায় আসে অলটাইমই ব্যাথা করত।ডাক্তর উনাকে টাটকা শাকসবজি ,দুধজাতীয় খাবার ডিম,তৈল বা ঘি এর তৈরি খাবার সব নিষেধ করে দেয়। ডাক্তার বলে তার এ সমস্যাটা যতদিন ধরে উনি যদি কোন নেশা জাতীয় খাবর খেত তাহলে সে এতদিনে কন্সারে আক্রান্ত হয়ে যেত। তার এ রোগের কোন চিকিৎসা নেই। ডায়াবেটিসের যেমন কোন চিকিৎসা নেই নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয় ঠিক তেমনি তার এটাও নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। আমি তখন প্রতিদিন রোজা থাকতাম,পাচঁ ওয়াক্ত নামাজতো আছেই চাষতের নামাজ,তাহাজ্জুদ নামাজ আরো অনেক নফল নামাজ পরতাম। রাত যত গভির হতোএকা একা কান্নাকাটি করতাম আর নামাজ পরতাম। বাসায় খতম পরাতাম সবাই আমাকে বলত সতি নারির প্রতিভক্তি যদি করে তাহলে স্ত্রীর কথা নাকি আল্লাহ্ শুনতে পায়। বাসার সবাই যখন ঘুমাতো আমি তখন তাহাজ্জুদ নামাজে বসতাম। সবাই বলতো আমি যে ভাবে আল্লাহকে ডাকি সবসময় রোজা রাখি আল্লাহ আমার কথা শুনবে। এমন র্পযায়ে সে চলে আসে সারাহ্মনই তার প্যাইন হয়। কিন্তু কোন ঔষধেও কাজ হয় না।তারপর আমাদের বাসার সামনে এক ডাক্তারের ডিসপেন্সারি আছে ঐখানে গেলে তির কাগজ পত্র দেখে উনি বলল আমার ভাসুরকে তোদের যেহেতু টাকা পয়সা আছে তোরা ওকে চেন্নাই নিয়ে যা।উনি ঠিকানা দিয়ে দিল। তারপর তার শরিরের অবস্থা এতোই খারাপ যেউঠে দারাতে পারেনা। আর সারাক্ষণই ব্যাথা সাবজিটার ব্যবহার করে থাকে। তার শরিরে তিন ব্যাগ রক্ত ভরতে বলেছে। সে চেন্নাই যাওয়ার আগের দিন আমার শরির থেকে তাকে এক ব্যাগ রক্ত দিলাম। এর পরের দিন তার ভায়ের সাথে অনেক ভূরে চেন্নাইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। ওখানে দির্ঘ দেরমাস শুধু পরীক্ষা নিরীক্ষাই চলে।ডাক্তাররা তাকে পরীক্ষা করে বলে কে বলেছে আপনি কিছু খেতে পারবেনা।আপনি সবকিছু খেতে পারবেন। তার পেটের একটা নার ছিদ্র হয়ে ইনফেকশন হয়ে গেছে। তা একটা অপারেশন করতে হবে।সেটা অনেক ম্যাজর অপারেশন। অপারেশনের সিরিয়াল আরো দের মাস পর ঐখান থেকে ডাক্তার তাকে ঔষধ দিয়েদেয় এবং তাকে বলে ভালো করে খাবার খেয়ে শক্তি করে আসতে। তারপর তারা এতদিন ঐখানে বসে থাকবে সেজন্য তারা দেশে এসে পরে। যখন আসে তখন তার দিকে আমি তাকাতে পারিনি সে শুকিয়ে অনেক ছোট হয়ে গেছে। সেআবার দুই মাস পর ডাক্তারের তারিখ মতো আবার চেন্নাইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হয় । সে যখন চেন্নায় যায় তখন আমি চেয়েছিলাম তার দোকানে বসতে কিন্তু যৌথ ফেমেলী তার উপর মুন্সী পরিবার। আমি চাইলেতো ফেমেলী দেবেনা।সে কর্মচারীর উপরে দোকান রেখে চলে যায়।দীর্ঘ আট ঘন্টা ধরে অপারেশন। অপারেশন সাকসেস করে একমাস পর দেশে আসে। লাখো কোটি শুক্রিয়ায় আল্লাহর রহমতে সে এখন পুরাপুরি সুস্থ্য। এর মধ্যে আমার শাশুড়ি মারা যায়। আমার শশুর অসুস্থ। তাকে খায়ে দিতে লাগে গোসল করাতে লাগে এমন কি সে বিছানায় প্রসাব পায়খানা করে।
🍀আমার হাজবেন্ড সুস্থ্য হওয়ার দুই বছর পর হঠাৎ একদিন সে আমাকে বলে ব্যবসার মধ্যে দুই নাম্বারি ঢুকে গেছে। মিস্ত্রি ফাংশন কমিশন দিতে হয় এক নং এর জায়গায় দুই নং এর মাল দিতে হয় । মিস্ত্রি বলে আমাকে এত টাকা দিতে হবে। সেবলে আমার পহ্মে সম্ভব না। সে আমাকে বলে আমি বিদেশে যাব সৈদিয়ারব। তখন আমরা কেউ রাজি হলাম না।সে বলে আমার ইচ্ছে আমি নবীর দেশে যাব হালাল কিমাব হালাল খাব। আমাকে নবীর দোহায় দিল। আমি আর কথা বলতে পারলাম না। তার ভাইদেরকে বুঝালো ঐখানে যেয়ে সে দোকান দেবে।দোকান দিতে পরলে তার ভাইদের নিয়ে যাবে। কেউ তাকে বুঝাতে পারেনা সে উল্টো সবাইকে বুঝিয়ে দিল। অবশেষে তার ব্যবসা তার ভায়ের কাছে বুঝিয়ে দিয়ে সৌদি চলে যায়। সেখানে যেয়ে ছয় মাস হয়ে যায় তার কোন চাকরি হয়না। ফ্রিভিসার কারনে। এরপর সে ফ্রিভিসা চেঞ্জ করে ওমরা ভিসা করে তারপর তার একটা চাকরি হয়। সেখানে ছয় মাস চাকরি করার পর তাকে টেনেসফার করে এর ভিতরে আমার শশুর ও মারা যায়। সে একদিন ফোন করে কাদতে লাগলো।সে ঐখানে অনেকি অসুস্থ ।ঐখানকার আবহওয়া তাকে সুট করছেনা।
🍀🌺🍀 যারা নিজেরা কর্মচারী খাটিয়েছে যারা নিজেরা কাজ করেনি সেই জায়গায় তারা কিভাবে কাজ করবে। আমি তাকে বল্লাম তুমি এহ্মন এসে পরবে। আমার টাকা পয়সা লাগবেনা জান বেচেঁ থাকলেই হবে। ঐসময় ফেমেলীর একেক মানুষের রান্না একেক রকম তাই তারা সিদ্ধান্ত নেয় বাজার এনে ভাগ করে দেবে যার যার রান্না সে সে করে খাবে। যখন সে দেশে এসে পরবে তখন সে তার ভাইকে জানায় তখন তার ভাই বলে দেশে এসে আপনি কি করবেন? তার ভাই বলল আপনি আপনার শশুরের দোকানে বইসেন। সে আমার আব্বুকেও বলল আমার শরীর ভালোনা আমি থাকতে পারছিনি আমি চলে আসব। আমার আব্বু বলল তুমি কোন চিন্তা করনা আমার টাকা পয়সা কিছু লাগবেনা তুমি ভালো থাকো।কি আর করবা যেহেতু থাকতে পারছোনা চলে আস। ঠিক চৌদ্দ মাস পরে সে দেশে চলে আসে।
🌺🌺🌺 একদিন সবভায়েরা বসে মিটিং বসে সেখানে উনার একভাই উনাকে বলে এখন তুই বাদাম বিক্রি করে খা আমাদের দেখার বিষয় না। উনি বলে এটা কেমন কথা বললেন।আমার বাবার কি কম আছে নাকি আমি বাদাম বিক্রি করব।এমন এক কথায় দুই কথায় তার ভাইদের সাথে ঝগড়া শুরু হয়ে গেছে। আমি তখন কোরআন তলোয়াত করছিলাম। আমি শব্দশুনে বের হয়ে দেখী তারা তুমুল ঝগড়া করছে। তখন ঝগড়ার কারণে তারা আমাদের বাজার বন্ধকরে দিল।আমি চিন্তা করলাম আমি কদের জন্য এই সংসারের সুখে দুখে ছিলাম। আমি আমার ফেমেলী থেকে এইবাড়ির মানুষকে আপন মনে করতাম।তাদেরকে আমি যতখানি আপন ভাবতাম আমার আপন ভাই বোনকেও ততখানি ভাবতামনা। আমার ভাইবোন দুরে থাকে আর তারা আমার কাছে থাকে তারাই আমার আপন জন। দীর্ঘ চৌদ্দ বছর সংসার জীবনে তাদের সাথে কাটিয়েছি। কেউ কোন অসুবিধা হলে বিপদ হলে ঝাপিয়ে পরেছি কেউ অসুস্থ হলে দিনরাত তার সেবা করেছি। কেউ হাসপাতালে থাকলে তার সাথে হাসপাতালে থাকতাম অথচ আমার মেয়েটা ছোট ওকে আমার আম্মুর কাছে রেখে যেতাম। আমার ছেলের পরীক্ষা আমি হাসপাতালে তাও আরেক জনের জন্য।হাসপাতালে আমার জায়ের বাচ্চাকে আমি যেভাবে সেবা দিতাম তার সকল পয়পরিস্কার করতাম হাসপাতালের মানুষ বলতো তখন তারা মনেকরেছে আমি ঐ বাচ্চার মা। তারা বিশ্বাস করত না আমি ওর বৌমা হই। কেউ একটা কাজ না করতে না পারলে আমি যেয়ে তার কাজটা করে দিতাম। আমি কারো জন্য কিছু করতে পারলে নিজের আত্তার তৃপ্তি পেতাম। আমি চিন্তা করলাম আমিতো কারো হ্মতি করিনি। আমিতো কোন পাপ করিনি।আমিতো সবার বিপদে আপদে ছিলাম তবে আজ সৃষ্টিকর্তা আমাকে এত বড় শাস্তি দিল। চৌদ্দ বছর এই সংসারের জন্য খেটে আজ আমার বেলা শেষে এই প্রাপ্তি পেলাম। কারন একটাই,আজ আমার মাথায় তৈল নেই। তার ভায়েরা যদিও মিমাংসায় আসতে চেয়েছিল কিন্তু আমার জায়েরা বলল ওদের সাথে মিমাংসায় গেলে তারা এই সংসার ছেরে চলে যাবে চিরতরে।তো আরকি তার ভায়েরা আর কথা বলে না। তার ভায়েরা ভায়েরা এক মায়ের সন্তান কিন্তু আমার জায়েরাতো সবাই আর এক মায়ের সন্তান না। এখানে এতো কিছু হচ্ছে আমি কিন্তু আমার ফেমেলীতে যানাইনি। আমার আম্মু সবসময় তাদের বাসায় যে খাবার আনত এমনকি নুডলস থেকে শুরূ করে মুরগি সবই পাঠিয়ে দিত তার নাতিনাতকুরের জন্য আমার শশুর বাড়িতে কিন্তু খাবারের অভাব নেই। আমি যখন বাসায় যেতাম আসার সময় আমার হাতে ধরিয়ে দিতেন। আর আমার আজ এই পরিস্থিতিতেও ও আমি কি রান্না করছি কি খেয়েছি যাকে বলে মায়ের মন মায়ের কাছে কিছু বলতে হয় না মায়ের মন আপনা আপনি জানতে পারে। এই সংকটময় পরিস্থিতিতে আমি চিন্তা করলাম আমার সংসার কিভাবে চলবে তখন আমার কাছে১৭,০০০ টাকা ছিল। আমি চিন্তা করলাম ঐ টাকা খেলেতো শেষ হয়ে যাবে ঐ টাকা আমি ধরবনা। বিয়ের পর টেইলার্স এর কাজ শিখেছিলাম ছোট বেলা আমার খালামনির কাছ থেকে কুশিকাটা কাজ শিখেছিলাম। আমার মেয়েকে কুশিকাটার জামা বানিয়ে পরিয়েছিলাম তাই দেখে স্কুলের অনেক গির্ডিয়ানরা বানাতে দেয়। প্রথমে যাদেরকে বানিয়ে দিয়েছিলাম তাদের থেকে টাকা নেইনি তাদেরটা দেখে অনেকে বানানোর অর্ডার দিত আমি যখন একটা কুশিকাটার জামার অর্ডার পেতাম সেই মজুরিটা দিয়ে আমি বাজার করতে দিতাম। আর মনে মনে চিন্তা করতাম এটা শেষ হলে কি করব তখন আল্লাহরই মেহের ঐ কাজ শেষ না হতেই আরেকটি অর্ডার পেতাম। আমার শশুরের বাজারঘাটে অনেক নাম ডাক এক নামে সবাই চিনত। তেমনি আমার আব্বু অনেক পুরান ব্যবসায়ী ছিলেনতো তাই তাকেও এক নামে সবাই চিনত। আমার হাজবেন্ড লজ্জায় সে নিজে যেয়ে চালের দোকান থেকে চাল কিনে আনতে পারেনি যেখানে ৩/৪ বস্তা একসাথে বাসায় চালের বস্তা আনে সেখানে ২কেজি চালকি করে কিনবে।তাই তার এক বন্ধুর কাছে টাকা দিয়ে বলে আমাকে২কেজি চাল এনে দাও। আমি চিন্তা করতাম বাসার অন্য বাচ্চারা ভালোমন্দ খাবে আর আমার বচ্চারা ওদের কাছে ছোট হয়ে থাকবে সেটা আমি মেনে নিতে পারছিলামনা।
🌺🌺 ওরা আমাকে নানা রকম ভাবে পেরা দিতো।আমাকে সংসারের কিছু ধরতে দিতনা এমনকি চুলায় রান্না করতে ও দিতনা। আমি ফজরের আজানের সময় রান্না করতাম সেই সময় দেখতাম ওরা ফযরের আজানের আগে এসে চুলা দখল করে বসে থাকত আমি যেন রান্না না করতে পারি। জীনটা তখন যন্ত্রণাদায়ক হয়ে উঠেছিল। আমি কোন প্রতিউত্তর করিনি।নিরবে চোখের জলফেলতাম। দীর্ঘ এক মাস কোন খাবার খেতে পারিনি ওদের কথা মনে করতাম আর কান্না করতাম। আমার হাজবেন্ড খাওয়ার সময় আমাকে দুই লনা খাইয়ে দিত আর বলত তুমি একদিন দেখবে "এই ওরাই একদিন তোমার পায়ের নিচে এসে পরবে,তোমার কাছে হ্মমা চাইবে তুমি দেখবে ওদের চেওতুমি ভালো থাকবে।" আমার ননদ ননাসরাও এই কথাই বলত। ননদ ননাসরা আমার সাথে দেখা করতে পারতনা। দেখা করত পালিয়ে পালিয়ে। তাদের বলে দেওয়া হয়েছে আমার সাথে কথা বললে এই বাসায় আসতে পারবেনা।মাঝে মাঝে মনে হতো আল্লাহ্ যদি আমাকে সামর্থ দিত তাহলে আমি এই জন্জাল ছেড়ে বহু দূরে যেখানে চারদিকে সবুজ আর সবুজ সেখানে বাস করতাম।
🍀🌺🍀 আমি অনেক জায়গায় চাকরির সন্ধান করতে থাকি।আমি কম্পিউটার কোর্সের জন্য ভর্তি হই। সেটা জানতে পেরে ওরা আমাকে শুনিয়ে শুনিয় বলত ব্যাংকে চাকরি নেবে কম্পিউটার শিখছে ব্যাংকার হবে। আর হাসাহাসি করত। আমি সারাক্ষণ নিসংঙ্গ জীবন কাটাতাম। আমি বাইরের আলো দেখতে পেতাম না বাতাসের মুক্ত অক্সিজেন নিতে পারতাম না সবসময় রুমে বন্দী থাকতাম।আমার ছেলে বলত মা মনি তুমি দেখি ছাদে যাওনা,বাইরে যাওনা সারাহ্মনরুমে থাকো।ওরা সবাই ছাদেযায় একসাথে বসে কথা বলে আমার ছেলে আমাকে টেনে বাইরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করত।
🌺🍀🌺 আমি একদিন আমার ছোট দেবরকে ডেকে দেখালাম দেখ আমি পাকের ঘরে কিছু রাখলে আমারটা নিচে ফেলে দেয়া হয়। ওকে বললাম একজন ভারাটিয়া রাখলেও তাকে কিন্তু সব সুযোগ সুবিধা দেয়া হয় তবে আমার সাথে কেন এমন করে আমিতো কারো সাথে খারাপ ব্যবহার করিনি তুমিতো জানো কারো উপকার ছাড়া অপকার করিনি। তাহলে আমার অপরাধ কি?আমার অপরাধ একটাই "আমার টাকা নেই এইতো"। আমার দেবর বলে "হ্যা "। আচ্ছা ঠিক আছে আমিও দেখেছারব " টাকা কোথায় আছে "।তাকে বলে দিলাম।
🙎♀️ 😢😥😭 আমি লিখতে পিরছিলাম না যতবার লিখতে বসছি ততবারি কান্নায় আমার মন ভেঙ্গে পরেছে তবুও আমি লিখছি।
🌺 💞🌸 এর মধ্যে আমি ২দিন ডায়গনিষ্ট সেন্টারে সকাল ৯টা থেকে রাত্র৯ টা র্পযন্ত সময় দেই আমার ছোট মেয়েকে আমার মায়ের কাছে রেখে। বাসা থেকে আম্মু ফোন করে বলে আমাকে তুমি কোথায় গেছোওকে দুদিন ধরে রেখে। চিন্তা করে দেখলাম মেয়েকে রেখে আমার কাজ করা সম্ভব হবে না কম্পিউটার শিখতে গিয়ে দেখলাম নিয়োগ বিঙ্গপ্তির পোষ্টার লাগানো আছে।আমার হাজবেন্ডকে জানালাম এবং ঠিকানা মত যেয়ে দেখি চায়না প্রডাক্ট ফেক্টরি বাংলাদেশে একটি মেয়ে এটার ডিলার। তার প্রডাক্ট সেইল দিতে হবে এটা কোন দোকানে দেবেনা ডোর টুডোর সেইল করতে হবে। সেল হিসেবে বেতন দেবে। আমি রাজি হয়ে গেলাম। আমার সেইল দেখে মেয়েটি অবাক মাত্র ১ ঘন্টায় ৩ হাজার টাকা সেইল করি। পন্যটির রেইট ছিল ১২৫ /১৩০\৬৫ । কিন্তু আমি যখন সেইল দিতে যেতাম আমার পরিচয় গোপন করে অনেক পরিচিত মানুষের সামনে পরতাম আমার চোখ মুখ ঢাকা থাকত। আমি রাস্তা দিয়ে হাটতাম আর কান্না করতাম আমি কোন ফেমেলীর মেয়ে। আমি কি করছি চোখের পানি ধরে রাখতে পারতামনা। কিন্তু আমার যিদ আমাকে এগিয়ে নিয়ে যেত। ভাবতাম আমার বাড়িতে যদি জানতে পারে,,,,,,, আবার ভাবতাম আমাকে পারতেই হবে। অনেক মেয়েরা একদিন কাজ করেই বলত সেল হয় না কাজ করব না একেক জন আমাদেরকে একেক কথা বলে।তখন ডিলারের মেয়েটি সবাইকে আমার কথা বলত।আমার কাজের কথা বলত সে কি করে পারে তার এতো সেইল হয় কেন? আমি সেইল দিতে গিয়ে দেখলাম কাষ্টমার আমার কাছে আরো অনেক কিছু চাচ্ছে।
🌺🍀🌺 আমি আমার হাজবেন্ডকে১৭,০০০ ধরিয়ে দিয়ে বলি এই টাকা দিয়ে তাকে যে কোন একটা ব্যবসা দিতে। সে টাকা নিয়ে কিছু হাডয়্যার এর মাল নিয়ে আসে এবং পূর্ব পরিচিত হিসেবে কিছু বাকি দেয়। সে একটি দোকান খোঁজতে লাগল একটি অফিস বানানোর জন্য। দোকান খোঁজতে খোঁজতে পেয়ে গেল। মার্কেটা ছিল অচল। দোকান ভাড়া ছিল কম। আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম দোকানটি দুই ভগে ভাগ করা হবে। এক পাশে আমি লেডিস আন্ডারপাস বিক্রি করব,আরেক পাশে সে হাডয়্যারী মাল পাইকারী সেইল দেবে। আমার ছোটবোনকে বললাম আমি দোকান দিয়েছি।৩০/৩৫ হাজার টাকা হলে হয়ে যাবে।ধার দেওয়ার জন্য । আমি পরে শোধ করে দেব।আমার বোন রাজি হয়ে গেল।
🌺🌺🍀 তখন দোকানের ভিতরের সকল কাজ এমন কি রং দেওয়া পযর্ন্ত আমরা দুজন মিলে করলাম দোকানের সাটার বন্ধ করে করে। সব নিজের হাতে করা। যখন শশুর বাড়ির সবাই জানতে পারল আমি এগুলো বিক্রি করব তখন আরো অত্যাচার বেরে গেল। আমাকে দেখলেই মুখে যা আশে তাই বলে বকাঝাকা ও করে এমনও বলে দেখতে হবেনা কোন যায়গার মেয়ে। আমার জায়েরা আমার নামে বিচার দেয় ভাশুরদের কাছে। তাদের মুখে এতো কিছু শুনেও আমার ভাশুররা কখনোই আমাকে কিছু বলেনি। কারন তারা জানত আমি কোন ফেমেলীর মেয়ে এবং কোন ধরনের মেয়ে।
🌺🍀🌺 আমার ছোট দেবর বলে আপনি এই কাজ করবেন বাসার সবাই জানলে কি বলবে। আমি ওকে বলে দিলাম এখন কে কি বলল আমার যায় আসেনা। আমার বাচ্চারা কিভাবে ভালো থাকবে সেটাই হচ্ছে বড় কথা। আমার হাজবেন্ডের হার্ড ওয়্যার ব্যবসাটা বাকিতে পরে যেত তাই ঐ বিজনেসটা বন্ধ করে দেই। তখন অফিস কহ্মের ভিতরে আমি তোসক বিছিয়ে দেই। ঐখানে আমার বাচ্চারা স্কুল শেষ করে আমার কাছে চলে আসে । ঐখানে ওদের ঘুম পারাতাম ঐইখানে খাওয়াদাওয়া করাতা এরং পড়তে বসাতাম। একদিন আমার কাষ্টমার এসে আমাকে বলল আপি তুমি যেহেতু এখানে সময় দাওয়ি সেহেতু তোমার দোকানে মেয়েদের সবকিছু উঠাও তোমার দোকানে চলবে। আমি বললাম সবিই বুঝতে পারি আপি,,,,,,,
🍀🌺🍀 আস্তে আস্তে আমি সবমলই উঠাতে থাকি। সেই অফিস কহ্ম ভেঙ্গে দোকান বড় করি আমার আব্বু ও আম্মু আমাকে অনেক ভাবে সহযোগিতা করে। সিজেনের সময় সারা দিন দোকানদারি করে আবার রাতে ঢাকা যেতাম মাল কিনতে। আমি আর আমার হাজবেন্ডস মাল বহন করতাম তখন অনেক কষ্ট হতো তখন চিন্তি করতাম আমাকে এগিয়ে যতেই হবে।মাল কিনে ঢাকা থেকে আসতে আসতে ফজরের আযান দিয়ে দিত।আবার সকাল ৮ টায় দোকান খোলতাম
🌺🍀🌺 আলহামদুলিল্লাহ, আমি আমার কর্মজীবনের ৩ বছরের মধ্যে একটি থেকে দুইটি দোকান করতে পেরেছি। মা বাব এবং সকলের দোয়ায়। আমি চাইলে পারতাম আমার বাবার যে সম্পত্তি আছে বা আমার হাজবেন্ডের বাবার যে সম্পত্তি পাবে সে গুলি দিয়ে চলতে।আমি কিন্তু তা করিনি।আমি চিন্তা করেছি আমি নিজে কিছু করব। আমি আমার পরিচয়ে বড় হব। আজ আমি হ্যাপি আমার কাষ্টমার এসে আমাকে সালাম দেয়। আমাকে অনেক ভালোবসে। এমনো কাষ্টমার আছে কোন কিছু না নিলেও আমাকে দেখার জন্য আসে। আমাকে বলে আপু তোমার কথা ভালো লাগে,তোমকে ভালোলাগে তোমার ব্যবহার ভাল লাগে। আজ আমার শশুর বাড়ির সবাই আমার সাথে কথা বলতে চায়। আমাকে জড়িয়ে ধরে আমার কাছে হ্মমা চেয়েছে। আজ তারা বলে বেরায় বাড়ির সেরা বৌ আমি। আমার কথাবার্তা আমার ব্যবহার,আমি তাদেরকে সবসময় সম্মান করতাম আর ছোটদের ভালোবাসতাম। আমি নাকি সবার থেকে ভালো আছি। আমি মনে করি অনেক সম্পদ থাকলেই সুখী হওয়া যানা।অল্পতেই সুখী হওয়া যায়।
🌺🌺🌺 আমি সষ্টিকর্তার কাছে বলতাম হে আল্লাহ্ তুমি আমাকে এতবড় শাস্তি কেন দিলে।নিশ্চই আমার কোন ভূল ছিল। আমি কি কোন পাপ করেছিলাম সেজন্যই এতবড় শাস্তি আমাকে পেতে হচ্ছে। আজ সৃষ্টিকর্তার কাছে লাখো কোটি শুকরিয়া যানাই। আল্লাহ্ যা করেন বন্দার ভালোর জন্য করেন।সৃষ্টিকর্তা যদি ঐ সময় আমাকে কষ্ট না দিত তাহলে আজকের আমি, আমি হতে পারতাম না আমি আগের আমি ঐ থাকতাম ।আমি ছোট বেলায় মনে মনে যেটা পুশতাম সেই জায়গায় আনার জন্যই আল্লাহ্ আমার সাথে এ খেলা খেলেছে।
🌺🌺🌺 আমাদের প্রিয় এ ফাউন্ডেশনের সকল কোর ভলান্টিয়ার,মডারেটর ডিস্টিক্ট এম্বাসেডর,কমিউনিটি ভলানটীয়ার সহ সকল আজীবন সদস্যবৃন্দ যে যার অবস্হান থেকে আমাদের এই প্ল্যাটফর্মকে
এগিয়ে নিয়ে যেতে সহোযগিতা করছেন তাদের সবাইকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ।
💐💐💐 আপনারা এতহ্মন ধৈর্য ধরে আমার লিখাটা পড়েছেন সেজন্য আন্তরিক ভাবে কৃতজ্ঞ এবং সবার সুন্দর ওসুখী জীবন কামনা করছি।সুন্দর হোক আপনাদের সবার আগিমী জীবনের প্রতিটি দিনের প্রতিটি হ্মন এই প্রত্যাশায় আজকের মত ইতি টানলাম।
📌"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৬৭১
Date:- ১১/১১/২০২১ইং
🍀 আমি সোনিয়া জামান
🍀জেলা:মুন্সীগঞ্জ
🍀ব্যাচ:১৪
🍀রেজিষ্ট্রেশন:৬৬৮৭৩
🍀 কাজ করছি সকল প্রকার লে
ডিসআইটেম নিয়ে।
🍀প্রতিষ্ঠানের নাম : লেডিস চয়েজ