আমার_প্রবাস_জীবনের_গল্প
#আমার_প্রবাস_জীবন_শুরুঃ
২৮/১০/২০০৫ সাল রোজ শুক্রবার, আমার জীবনের স্বরনীয় দিন,যেদিন প্রথম প্রবাসের জন্যে ঘর থেকে বের হয়েছিলাম। বাবা-মা আত্নীয় স্বজন থেকে বিদায় নিয়ে (সকাল ৮:৩০ মিনিটে) আকাশে উড়াল দিয়েছিলাম। ঠিক সেদিন থেকে মনে স্বপ্ন এঁকেছিলাম, মা- বাবাকে একটা স্বপ্নময় জীবন উপহার দেবো। আরাম-আয়েশ, বিলাসিতায় কাটাবে বাবা-মা.. এবং পুরো পরিবারের প্রতিটা দিনই কাটবে সুখের। আমিও স্বপ্নের দেশ কুয়েতে অট্টালিকা এবং প্রাচুর্যে মোড়ানো শহরে বেশ স্ফুর্তিতে দিন কা’টাবো। যেদিন প্রথম এসেছিলাম তার দ্বিতীয় দিনই থেকে ই খুব ভালো সাট প্যান্ট পরে বের হলাম কাজের স্থানে , সেখানে গিয়ে চোখ উল্টে গেল আকাশে, যেখানে কল্পনায় ছিল চেয়ার টেবিলে বসে অফিস করব সেখানে ভাগ্যর পরিনিতির কারনে হয়ে অফিসে বসে তো দূরের কথা হয়ে গেলাম অফিস বয়। হায়রে কাজ! প্রবাসের কাজ বলতেই আমার কাছে মনে হয়েছিল এটা আমার জন্য একটি নিন্মস্তরের কাজ ,যা সত্যিই নিজেকে লজ্জাজনক মনে হতো, যে কাজটি কোন দিনই দেশে থাকতে করার প্রশ্নই আসেনা। কিন্তু প্রবাসে এসে সেই কাজটিই মা, বাবা ভাই বোনসহ পুরো পরিবারের দিকে তাকিয়ে অমনযোগী কাজ কে ও একমাত্র পরিবারের কথা চিন্তা করে মাইন্ড চেঞ্জ করে মনোযোগ সহকারে করতে শুরু করলাম।যে কাজটি আমাকে দেওয়া হয়েছিল তাও অনেকেই বলেছিলেন ভাগ্যর জোরে জোটে। একটি কাজ জোগাড় করা যে কি কষ্ট তা শুধুমাত্র যে করে সেই বুঝতে পারে। এটা নাকি আমার ভাগ্য সুপ্রসন্ন দেখে হয়েছে। আর যদি ভাগ্য একটু খেলা করে তবে তো কথাই নেই, সেই নিন্মস্তরের কাজ জোগাড় করতে করতে জীবন হয়ে যায় সারশূন্য। হায়রে বাসা ! যেখানে আমি প্রথম উঠলাম ছিল না কোন পরিচিত,পরিজন। ছিল শুধু দুংখ ভরা কান্নায় জরজড়িত জীবন। কি যে দুঃসহ অবস্থা যা যে উপভোগ করেছেন সেই একমাত্র জানেন। প্রতিটি রুমে ছিলো সাত আট জন সদস্য, সকালে সবার একই সময়ে ডিউটি থাকায় ছিল ওয়াসরুমে যেতে দীর্ঘ লাইন। কোনরকম সিমিত সময় নিয়ে ওয়াস করা, কখনো কখনো ওয়াস না,করেই যাওয়া। শব্দ ছাড়া হাঁটতে হয় ফ্লোরে কারণ বিভিন্ন সময়ে অনেকের ডিউটি থাকায়, কত কিছুইনা সহ্য করতে হয় থাকার জন্য, তখন শুধু মনকে একটি কথা বলেই সান্তনা দিতাম কষ্টে যাদের জীবন গড়া তাদের আবার কষ্ট কিসের ? এই কথাটা ভেবে কোন রকমের জীবন পার করা। শুধু সবসময় ভাবতাম বাবা-মা’র সর্বস্ব দিয়ে দালালের পিছে ঘোরাঘুরি করে আজ না কাল,কাল না পরশু,দিনের পর দিন,মাসের পর মাস , কষ্ট করে তারা আমার জন্য চেষ্টা করছিল যদি একটি ভিসা হয় যদি বিদেশে আমার ছেলেটা যেতে পারে তাহলে হয়তো কোনদিন ভাগ্যর চাকা ঘুরবে,এই কথা গুলো যখন মনে পড়তো ভুলে যেতাম অবস্থানের কষ্টের কথা। তবুও চলছে জীবন, কাটছে দিন ,এভাবেই চালিয়ে নিতাম, সবসময় অনেক চিন্তা করতাম জীবন থাকবে অনেক সপ্নের,সুখের পিছনে ছুটতে,ছুটতে আবার একদিন সবকিছু শান্ত নিরব হয়ে আসবে এই আশায় কতটুকু সুখ পেয়েছি কিংবা পাবো সেই হিসাব মেলাবার সাহস আমার কখনো হয়নি।যখনি মেলাতে যাই চোঁখ দু’টো জলে ভেশে উঠে আমি আর পারছিনা। এভাবে আর কতোদিন ?তারপর ও অনেক প্রচেষ্টা চলছে এইতো আর দুই তিনটা বছর কষ্ট করে একবারেই চলে যাব। এ কথা বলতে বলতে আজ অবধি শেষ করে দিলাম ( ১৭ ) সতেরটি বছর।।
#প্রবাসে_আমার_চাকরির_পরিবর্তনঃ
০৫/০৯/২০০৭ইং সাল ঘুরে গেল আমার জীবনের ভাগ্যর চাকা যেটা আমার জীবনের বড় কিছু পেয়েছিলাম বলে মনে করি।আর এই পরিবর্তনের সম্পুর্ন অবদান শুধু মাত্র আমার বড় ভাইয়ের একটি কথা, যেমন ভাই আমাকে প্রবাসে আসার সময় বলেছিলেন, মেহেদী তুমি যেখানে যাও যেই কাজ করনা কেন? সবসময় একটা কথা মাথায় রাখবে, সবসময় সেরা কাজটি উপহার দেওয়ার চেষ্টা করবে, আর ঠিক সেই কথাটি মাথায় রেখে আমার সাথে থাকা আরো সকলের মধ্যে সেরা কাজটিই উপহার দিয়ে জয় করেছি সকলের মন। যেখানে ছিলনা কোন অলসতা,যার কারণে আমি অতি অল্প সময়ের মধ্যে আমার ডিউটি অফিসারের কাছে হয়ে উঠি অতি প্রিয়।
আর যার কারণে আমার ডিউটি অফিসার কোম্পানি
থেকে ভিসা ট্রান্সফার করে নতুন করে নিয়োগ দেয়
গভমেন্ট জব। যেখানে আমার কাছে ছিলো আলাউদ্দিনের চেরাগ এর মতো হঠাৎ পরিবর্তন।
বেড়ে গেল বেতন আগে থেকে বিশ গুন বেশি যার কারণে আমার কাছে আনন্দের ছিল সীমাহীন।কে না চায় জীবনে উন্নতি করতে? জীবনে উন্নতি হলেই তো সফলতা নিশ্চিত হয়ে যায়। আর তাইতো আমার নজর চলে গেল পুরো পরিবার উন্নতি করার দিকে। শুরু হলো রংধনুর মতো সাত রঙে স্বপ্ন আঁকা। শুরু করলাম ভাইদের নিয়ে স্বপ্ন দেখা। সবসময় চিন্তা করতাম আমরা পাচ ভাই একই ফ্রেমে থাকতে চাই সবদিক দিয়ে। তাই বড় ভাইয়ের জন্য মোটা অংকের টাকা ইনবেষ্ট করে তাকে ব্যাবসার কাজে সহযোগিতা করি। ছোট ভাইকে ইন্জিনিয়ারিং পড়াইয়াছি, আরেক ভাইকে একটি ফার্মেসী করে দিয়েছি। মোটামুটি সবার আর্থিক অবস্থা একই পজিশনে নিয়ে এসেছি। বাড়িতে মোবাইলে এই ব্যাপারে কথা বলার সময় আমার রুমমেট এবং কর্মস্থানের বন্ধুরা আমাকে বিভিন্ন
জন বিভিন্ন পরামর্শ দিতেন। বিশেষ করে একটি কথা সবাই বলতেন, সব টাকা বাড়িতে না পাঠিয়ে নিজের জন্য শতকরা ১০% জমা করো কাজে লাগবে এরকম আমরা ও ভাই বোনকে দেখে দেখে বর্তমান অবস্থা শুন্য হাত। তখন আমি তাদের অন্য চোখে দেখে উল্টো জবাব দিতাম সব ভাই বোন এক নয়। আমার ভাই-বোন সম্পুর্ন ভিন্ন। আরো বলতাম ভাইদের একটা পজিশনে নিয়ে আসলে। আমি একবছরের টাকা জমালে আমার জন্য যথেষ্ট, এইভাবেই
চলতে থাকে জীবন। ২০১০ং সাল ফ্রেব্রুয়ারি মাসে
প্রথম আমার দেশে ছুটিতে যাওয়া। পরিবারের সবাই একই কথা মেহেদী এখন তোমার বয়স হয়েছে। এসেছো যেহেতু বিবাহর কাজ সেরে যাও। আমার যদিও ফিফটি ফিফটি ইচ্ছে ছিল কিন্তু যখন ভাইদের কথা স্বরন করি। মনে হয় বিবাহ করলে এখন যতটুকু সহযোগিতা করতে পারি তখন পারবো না শুধু মাত্র এই চিন্তায় বিবাহ বাদ দিয়ে ছুটি শেষে রিটার্ন চলে মধ্যপ্রচ্যর দেশ কুয়েত। শুরু করি নতুন যাত্রা সবার সাথে খুবই আনন্দের সাথে চলতে থাকে জীবন। বছর খানেক পরে প্রতিনিয়ত ফোন আসে বাড়িতে যাওয়ার জন্য পরিবারের সবাই বিবাহ দিবেন এটায় তাদের বড় চিন্তা ও দিকে আমার একটু ভিন্ন রুপে ভাইদের প্রথম একটা জায়গায় নিয়ে আসবো তারপর বিবাহ করবো যাই হোক নিজে স্বইচ্ছাই একটু দেরি করে ২০১৩ ইং ফ্রেব্রুয়ারি মাসে দ্বিতীয় বারের মতো দেশে যাওয়া হয় এবং মার্চ মাসের ৬ তারিখে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলাম। শুরু হলো নতুন করে জীবন সাজাতে স্বপ্ন দেখা। বেশ আনন্দের সাথে সাথেই কাটছে আমাদের পরিবারের সবাই আমি নিজে ও খুব আনন্দিত সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ।।
#প্রবাস_জীবনে_আমার_হতাশাঃ
০৬/০৩/২০১৩ ইং সাল বিবাহ সম্পন্ন করে ৩ মাস ২০ দিন পর ছুটি কাটিয়ে চলে আসি পুনরায় পরাধীন কর্মস্থানে এ যেন মনে শুরু হলো আমার আরেকটা কষ্টের জীবন । যদিও কর্মস্থানে কোন প্রকার অসুবিধা ছিল না, ছিল শুধু বুকের ভেতর না বলা কিছু হাহাকার,যে মেয়েটিকে আমি জীবন সঙ্গিনী করে রেখে চলে এসেছি, হয়তো কোন একদিন তাকে আমি চিনতাম না, ছিলনা কোন পরিচয় ছিল শুধু তিন মাসের মায়ায় জড়িত ভালবাসার বন্ধন। যা প্রতিনিয়ত আমাকে সব কিছু থাকা অবস্থায় ও বুকের ভেতর থেকে একটি শব্দ এসে কানে কানে বলে দিতো
কি যেন তোমার নেই। তারপর ও যতদুর সম্ভব প্রতিনিয়ত কথা বলে বুকের ভেতর না বলা কথাগুলো একটু হালকা করতাম।বুকের ভেতর জোর করে হাসি ঠাট্টার সান্তনা দিয়ে ভুলিয়ে রাখতাম বেদনা আনন্দটাই বেশিরভাগ উপভোগ করতে চেষ্টা চালিয়ে যাই প্রতিনিয়ত। ইতিমধ্যে বাবা হতে চলছি আমি । এভাবেই ভালোই চলছিল আমাদের জীবন কিন্তু কিছুদিন পর থেকেই আমার জীবন সঙ্গিনীকে নতুন চিন্তায় আক্রমণ করে যে তোমার বাচ্চা হবে। জানিনা এই পৃথিবীর মাঝে হাজারো গর্ভধরনী মা বাচ্চা প্রসব করতে গিয়ে মারা গেছেন। তাই মনে বড় ভয় জানিনা তোমাকে আর দেখতে পাবো কিনা এ কথাটি যখনই শুনি বেদনায় কাতর হয়ে যায় আমার এ মন। শুরু হলো দেশে যাওয়ার প্রচেষ্টা কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়
আমার কর্মের স্থলে আমি বাদে অন্য কেউ ছিলো না
আমার কাজটা চালিয়ে নিতে তাই আর ভাগ্যে ছুটির দরখাস্ত মনজুর হলো না, কিছু দিন পর আমার বাচ্চা প্রসব হলো মেডিক্যালে আমার সহধর্মিণী মেডিক্যাল থাকা অবস্থায় আমাকে অনেক কথার মাঝে একটি কথা বলেছিল। সুখের সময় পেলাম গো তোমায়
কষ্টের সময় পেলাম না তোমায় জানিনা যদি হারিয়ে যাই ক্ষমা টুকু করে করে দিও গো আমায়, এই কথাটা শোনামাত্র মনে হলো পৃথিবীর মাঝে আমি নিঃস ব্যাক্তি
যেখানে সুখ- দুঃখ সব মিলিয়ে পাশে থাকতে পারছি না। রক্ত চেপে গেল মাথার মগজে তাই ডিউটি অফিসারকে ছুটির প্রস্তাব রাখলাম ওনি রাজি হলেন না বলল কিছু দিন পর যেতে কিন্তু ধৈর্য্য ধারণ করার মতো ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছিলাম অফিসারকে একটু গরম শুরে বললাম হয়তো ছুটি দিন না হলে চাকরি থেকে ফিনিস করে দিন তবুও আমাকে দেশে যেতে হবে। যাই হোক অফিসারের সেক্রেটারি বুঝিয়ে বলে কোনমতে
ইমার্জেন্সি ছুটি নিয়ে দেয়। কিন্তু অফিসারের চোখে
আমি হয়ে উঠি কালো দাগের ছাপ তখনই বুঝতে পারলাম আমার জন্য কিছুটা অমঙ্গল ভয়ে এসেছে। ১ মাসের ছুটিতে গিয়ে ৩ মাস ১০ দিন
পর ফেরৎ আসলাম কর্মস্থানে কাজ করতে শুরু করলাম কিন্তু দুর্ভাগ্যের পরিনিতি আমাকে ছাড়ছে না হঠাৎ করে একটি নোটিশ আসে আমাদের কর্মস্থান থেকে কিছু লোক চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে।
আর সেই লিষ্টে পড়ে যায় নিজের নামটি ও
এ কথাটি শুনা মাত্রই মনে হলো এ পৃথিবীটা
আমার মাথার উপর ভেঙ্গে পড়লো এমনিতেই
কেবলমাত্র দেশের থেকে অনেক দিন পর ছুটি শেষে
অনেক মোটা অংকের ঋণ (দেনা) হয়ে এসেছি।
আশা ছিল এখানে এসে মাস শেষে বেতন পেয়ে পরিশোধ করে দিব কিন্তু তা আর হলো না বরং আরো দেনা হতে শুরু করলাম এবং যাদের থেকে টাকা নিয়েছিলাম ওদের কাছে নিজের মুখখানি লজ্জায় লজ্জিত হতে শুরু হলো আমার কাছে মনে হলো এ যেন আমি এক সাগরে ডুবে আছি। না পারছি এই কুলে আসতে না পারছি ওই কুলে যেতে ঘুম আমার জন্য হারাম হয়ে গেল। হয়তো ওই সময় কিছু বন্দু সহযোগিতার কারনে আল্লাহ বাঁচিয়ে রেখেছেন মনে হয়। যারা আমাকে বলতো বিপদে আল্লাহকে স্মরণ কর বেশি বেশি তাই তাদের কথা অনুযায়ী মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়ে আল্লাহর নিকট
হাত দুটো তুলে কেঁদে কেঁদে প্রার্থনা করি হে আল্লাহ তুমি ছাড়া আমার কোনো মাবুদ নেই তুমি রক্ষা করো।
এভাবে কাঁদতে কাঁদতে একদিন আল্লাহর দরবারে
দোয়া কবুল হয়ে যায় পুনরায় চাকরি ফিরে তবে
সর্ত মোবাবেক। একই নিয়ন্ত্রণে চাকরি ট্রান্সফার করে দেয় অন্য কোথাও যেখানে কাজ হয় সেলসম্যান হিসেবে কিন্তু দুঃখের বিষয় সেলারি কমে চলে আসে অর্ধেক এখানে এসে ও ভালোই কাটছিল চাকরির জীবন। সরকারের নিয়ন্ত্রণে এখানে এসে ও আবার প্রতিবছর ছুটিতে যাওয়া চলতে থাকে কিন্তু দুঃখের বিষয় করোনার মাস খানেক আগে দেশ থেকে আসি তার কিছুদিন পরই সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী সবকিছু বন্ধ হয়ে যায় কিন্তু বেতন চলতে থাকে। এভাবে বছর খানেক চলার পর নতুন করে ঘোষণা আসে এখান থেকে ও ৫০ জন লোক বরখাস্ত করা হবে তার মধ্যে আমিও একজন এমনকি এখান থেকে বরখাস্তকৃত কেউই অন্য কোথাও গিয়ে থাকার কোন সুযোগ নেই। এক হতাশা কাটতে না কাটতেই আবার হতাশা,, দুরচিন্তা পুর্বের ন্যায় এখানে ও আমার এক বরিশালের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল ও আমাকে একটা কথা বলে সান্ত্বনা দিয়ে রাখছে যে যা হবার হয়ে গেছে কিন্তু এর শেষ কোথায় সেই পর্যন্ত দেখে যা। যদিও চাকরিচ্যুত হওয়ার পর এখানকার আইন অনুযায়ী তিন মাস থাকার বৈধতা রয়েছে বেতনসহ। কিন্তু আমার আর মন মানছে না
পুরো পুরি প্রস্থুতি নিয়ে ফেলছি আর হবে না
চেষ্টা করে ও লাভ নেই চলে যাব দেশে। কাগজ পত্র
পুরো পুরি রেডি ইতমধ্যে পঞ্চাশ জনের মধ্যে
আমরা হাতে গুনা চার পাচ জন আছি বাকি সবাই চলে গেছে যার যার দেশে কিন্তু আমাদের বৈধতার মেয়াদ দুই দিন থাকা অবস্থায় সরকার আবার নতুন করে ঘোষণা দেয় এরা অন্য কোথাও থাকতে পারবে তাই এখানে এসে ও আবার ও পেয়ে গেলাম নতুন আরেকটি সুযোগ আল্লাহ মিলিয়ে দিলো নতুন চাকরির সন্ধান। আলহামদুলিল্লাহ বর্তমানে আমি একটি সুপার মার্কেটে সেলসম্যান হিসেবে কাজ করছি আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ যথেষ্ট ভালো রেখেছেন।
#পরিশেষেঃ
নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশনের প্রিয় ভাই ও বোনেরা যারা আমার লেখাটি ধৈর্য সহকারে সম্পুর্ন পড়েছেন তাদের প্রতি আমার আন্তরিক ভালোবাসা ও অসংখ্য ধন্যবাদ। সেই সাথে সকল ভাই ও বোনদের সুস্থতা কামনা করছি সুস্থতার কোন বিকল্প নেই। সকলের জন্য দোয়া রইল।
আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা সকলকে নেক হায়াত দান করুন। আমার জন্য দোয়া করবেন। আবার ও ধন্যবাদ জানিয়ে শেষ করছি। দেখা হবে নতুন কোন গল্পের মাধ্যমে ❇️।
সপ্ন দেখুন
সাহস করুন
শুরু করুন
এবং লেগে থাকুন.......
সাফল্য আসবেই ইনশাআল্লাহ
_______ #ইকবাল_বাহার_জাহিদ_স্যার।
📌"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৬৭০
Date:- ১০/১১/২০২১ ইং
🤵নামঃমেহেদী হাসান
⚛️গ্রুপঃনিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন।
🎀 কমিনিউটি ভযলেন্টিয়ার।
✍️রেজিস্ট্রেশনঃ ১০২৮১
💉ব্লাড গ্রুপঃ (o+)
👮ব্যাচঃ নবম
🛣️থানাঃ নগর কান্দা।
🌐নিজ জেলাঃ ফরিদপুর।
🇰🇼বর্তমানঃ কুয়েত
📱মোবাঃ+৯৬৫-৬৯৯৭৬১২৬
📧 ইমেইলঃ mahadi.kwkw@gmail.com