কিন্তু আমার পন্যের অনেক গুন😍
সবাই গল্পে গল্পে সেল পোস্ট দিলো🥺
``আমার তো এতো সুন্দর করে গল্প লিখার গুন নাই🤦♀️🤦♀️
কিন্তু আমার পন্যের অনেক গুন😍
আজকে এসেছি লক্ষ্মীপুর জেলার বিখ্যাত পন্য নিয়ে। লক্ষ্মীপুরের বিখ্যাত পন্য শুধু বাংলাদেশে নয়। বরং এর চাহিদা বাইরের দেশ গুলোতেও রয়েছে তাই প্রতি বছর রপ্তানি হচ্ছে লক্ষ্মীপুরের বিখ্যাত পন্য নারিকেল & সুপারি।
🥥সবচেয়ে বেশি উৎপাদন স্থানঃ লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর ও রামগঞ্জ এলাকা নারিকেল ও সুপারি চাষের জন্য বিখ্যাত। বিশেষত দালাল বাজারের পশ্চিমে চর মন্ডল, রাখালিয়া মহাদেবপুর, হায়দরগঞ্জের বিস্তীর্ণ নারিকেল ও সুপারি বাগারে ছায়া সুনিবিড় পরিবেশ পর্যটকদের আকৃষ্টনা করে পারে না। নারিকেল গাছের চিরল পাতার ফাকে বাতাসের ঝাপটা, সুউচ্চসুপারি গাছের সারি পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষন করবেই।
সুপারির গুনঃ প্রতি ১০০ গ্রাম সুপারিতে আছে ২৮৯ ক্যালরি শক্তি যোগানোর ক্ষমতা। 'আন্তর্জাতিক ক্যান্সার গবেষণা এজেন্সী'র মতে, সুপারি এক ধরনের কার্সিনোজেন (বিষ), যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। সুপারিসহ পান খেলে মুখের ক্যন্সার হতে পারে। ক্রিমি, রক্ত আমাশয়, অজীর্ণ ইত্যাদি রোগ নিরাময়েও সুপারি উপকারী।
সুপারির উপকারিতা ও গুণাগুণ-বাংলাদেশের উষ্ণ প্রধান অঞ্চল সমূহের প্রায় সর্বত্রই সুপারির চাষ হয়ে থাকে, সুপারি ৩০০ ফুট পর্যন্তও উঁচু হয়। তবে স্থানে স্থানে এর বাড়–বৃদ্ধি বেশি, কোথাও আবার খুবই কম। সাধারণত অল্প লোনা বেলে মাটিতে সুপারির বাড়–বাড়ন্ত, এবং অধিক ফলনের পক্ষে অনুকুল। বাংলায় সুপারির চাষ হলেও পশ্চিমবঙ্গের চেয়ে পূর্ববঙ্গ ও উত্তরবঙ্গে বেশি হয়। ৭/৮ বছরের গাছ না হলে ফল হয় না, ফল হওয়া আরম্ভ হলে তারপর ৮/১০ বছর ভাল ফল হয়, তারপর থেকে ফলন কমতে থাকে। গাছ বেশ শক্ত, সরু ও লম্বা, নারকেল গাছের মত শাখা–প্রশাখাহীন গাছ, তবে বাঁশের মত মোটা হয়। লম্বায় ২৫/৩০ ফুট হতে সচরাচর লক্ষ্যে পড়লেও, বেশি দিনের গাছ হলে ৩০/৪০ ফুট পর্যন্ত উচুঁ হতে যে দেখা যায় না তা নয়। দেড়–দুই ফুটের মত পত্রদন্ড ৭/৮ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতেও দেখা যায়, প্রায় নারকেলের পুষ্পদন্ডের মত, বহু শাখা–প্রশাখা তাতে, চলতি কথায় সেটাই কাঁদি, কাঁদিতে প্রচুর ফল হয়, কাঁচায় ফলগুলো সবুজ, পাকলে লাল, হলদে বা কমলালেবুর রঙ্গের মত হয়। ফলের খোসা ছাড়ালে তার মধ্যে সুপারি পাওয়া যায়। বছরের প্রায় সব সময় অল্প–বিস্তর ফুল❀ও ফল হলেও বেশিরভাগ সুপারি সংগৃহীত হয় নভেম্বর–ডিসেম্বর মাসে। সংস্কৃতে একে পূগ, পোগীফলম, বাংলা ও হিন্দিতে সুপারি, বাংলার ও উড়িষ্যার অঞ্চল বিশেষে গুয়া বলে। ঔষধার্থে ব্যবহার্যঃ ফল, ফুল❀ত্বক ও শিকড় রোগ প্রতিকারে ব্যবহারকাঁচা সুপারি বিকাশি অর্থাৎ পরিপাক হবার পূর্বেই এটি এক ধরণের মত্ততা সৃষ্টি করে, সেই জন্য সর্বদা কাঁচা সুপারিকে শুকিয়ে ব্যবহার করতে হয়। সুপারি রসবহ স্রোতে এবং রক্তবহ স্রোতে কাজ করে।
সুপারির চাহিদাঃ জেলায় সুপারি বেচা-বিক্রি হয়ে থাকে তিনভাবে। রঙিন সুপারিতে একরকম দাম পাওয়া যায়। এরপর জাগ দিয়ে ভিজানো সুপারি মৌসুম শেষে আরেকটু চড়া দামে বিক্রি হয়। এছাড়া সুপারি শুকিয়ে মজুত রেখে কয়েক মাস পরে ছোবড়া ছিলেও বিক্রি করা হয়।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলায় চলতি বছর ৭ হাজার হেক্টর ভূমিতে সুপারি উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭ হাজার টন। যার বাজার মূল্য সাড়ে ৪শ’ থেকে ৫শ’ কোটি টাকা। এবার প্রতি (১২৮০ পিছ) এক ক্রাউন সুপারি প্রথমদিকে ১৮ থেকে ১৯শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। জেলায় সবচেয়ে বেশি সুপারি উৎপাদন হয় রায়পুর ও সদর উপজেলায়। মৌসুমে জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে সুপারি বিক্রির বাজার বসলেও সদর উপজেলার দালাল বাজার বসে সুপারির সবচেয়ে বড় হাট। সরকারি বেসরকারি উদ্যোক্তরা এগিয়ে আসলে এখানকার উৎপাদিত সুপারি দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখার পাশাপাশি এলাকার বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
চাষিরা জানান, সুপারি বাগানের পরিচর্যা, রক্ষণাবেক্ষণে তারা কৃষি অফিসের কোনো পরামর্শ ও সহযোগিতা কিছুই পান না। এতে করে গাছগুলো দুর্বল হয়ে পড়ায় আশানুরূপ উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে না। সুপারি ব্যবসায়ী আবদুল মোতালেব জানান, প্রতি বছর এ জেলায় হাজার হাজার টন সুপারি উৎপাদন হয়। এখানকার সুপারির আকার, স্বাদ ও রং তুলনামূলক ভাবে বড় হওয়ায় বাজারে বেশ চাহিদা রয়েছে। মৌসুমে সুপারি ক্রয় করতে ভিড় জমান দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা সুপারি ব্যবসায়ীরা।
🥥নারিকেলের গুনঃ নারিকেল রক্তের ইন্সুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রনে রাখে এবং ডায়াবেটিস জনিত কারণে শরীরের ক্ষতি রোধ করে। ওজন কমায়: নারিকেল অতিরিক্ত ওজন কমাতে সহায়তা করে। এটি খুব অল্প ক্যালোরিতেই মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে শরীরে শক্তি যোগায়। নারিকেল খেলে সহসা ক্ষুধাও লাগে না তাই ওজন কমে।
নারিকেল অত্যন্ত সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর একটি ফল। কাঁচা অবস্থায় একে ডাব বলা হয় এবং পাকার পর এটাকে ঝুনা নারিকেল বলা হয়।
নারিকেলের
পানি, নারিকেলের দুধ ও নারিকেলের তেল পুষ্টিগুণে ভরপুর এক উৎকৃষ্ট খাবার। নারকেল দিয়ে অনেক মজাদার খাবার তৈরি করা হয়।
নারকেলের নাড়ু, নারকেলের তৈরি সন্দেশ, পিঠা পুলি, পায়েশ ইত্যাদি তার মধ্যে অন্যতম। নারকেলের
পুষ্টিগুণও
অনেক বেশি। প্রতি ১০০ গ্রাম নারকেলে আছে ৩৫৪ ক্যালরী, ৩৩ গ্রাম ফ্যাট, ২০ মিলিগ্রাম সোডিয়াম, ৩৫৬ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম, ১৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট ও ৩.৩ গ্রাম প্রোটিন আছে। এছাড়াও ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন বি-৬ ও বি-১২ আছে। সম্মানিত পাঠক তাহলে এবার জেনে নিন নারিকেলের উপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ সম্পর্কে-
ত্বক কোমল করে
ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রেখে ত্বককে নরম রাখতে সাহায্য করে নারকেল। নিয়মিত নারিকেল খেলে
ত্বক
কোমল ও সুন্দর হয়। এছাড়াও নারিকেল ত্বকে সহজে বয়স জনিত বলিরেখা পড়েতে দেয় না।
চুল ভাল রাখে
চুল ভাল রাখতে সাহায্য করে নারকেল। নিয়মিত নারিকেল খেলে মাথায় খুশকি ও শুষ্কতা দূর হয় এবং চুল পড়া বন্ধ হয়।
শক্তি যোগায়
নারিকেলে অতিরিক্ত ক্যালরি থাকায় তাৎক্ষনিকভাবে শরীরে শক্তি যোগায়। তাই কাজের মাঝে ক্লান্তি আসলে বা হালকা খিদে পেলে নারকেল খান, সাথে সাথে কর্মউদ্দীপনা জেগে উঠবে।
হার্ট ভালো রাখে
নারকেল রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমিয়ে হার্টের সমস্যা দূর করে। নারিকেলে যে ফ্যাটি এসিডের চেইন গুলো আছে সেগুলো কোলেস্টেরল বাড়ায় না বরং আথেরোসক্লেরোসিসের ঝুঁকি কমিয়ে হার্ট ভালো রাখতে সহায়তা করে।
ইনসুলিন নিয়ন্ত্রন করে
নারিকেল রক্তের ইন্সুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রনে রাখে এবং ডায়াবেটিস জনিত কারণে শরীরের ক্ষতি রোধ করে।
ওজন কমায় নারকেল
নারিকেল অতিরিক্ত
ওজন কমাতে
সহায়তা করে। নারিকেল খুব অল্প ক্যালোরিতেই মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে অল্পক্ষণের মধ্যেই শরীরে শক্তি যোগায়। নারিকেল খেলে সহসা ক্ষুধাও লাগে না তাই ওজন কমে।
দাঁত ও হাড় ভালো রাখে
হাড়ে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম শোষণ করতে সাহায্য করে নারকেল এবং দাঁত ও হাড়ের গঠনে ভূমিকা রাখে। অস্ট্রিওপোরেসিস, অস্ট্রিও আর্থারাইটিস, যে কোনও হাড় সংক্রান্ত রোগের চিকিৎসায় নারকেল ঔষধ হিসেবে কাজ করে।
হজম সহায়ক
হজম প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে এবং বিভিন্ন ভিটামিন, মিনারেল ও এমিনো এসিড শোষন করে নিতে সহায়তা করে নারকেল।
তাছাড়া নারকেল রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বাড়ায়। লিভারের অসুখের ক্ষেত্রে হেপাটাইটিস সি, জন্ডিস ও অন্যান্য লিভারের অসুখে বেশ ভাল কাজ দেয় নারকেলের দুধ। নিয়মিত নারিকেল খেলে ব্রেস্ট ক্যান্সার, কোলন ক্যান্সার ও অন্যানো আরো কিছু ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে যায় অনেকখানি।
এতো এতো উপকারি ও প্রয়োজনীয় পন্যটি পেতে এখনি ইনবক্স করুন😍
📌"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৬৬৯
Date:- ০৯/১১/২০২১ ইং
আফরোজা ইরিন সাবি
১৫ তম ব্যাচ
রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার-৬৮০৭৬
ফাউন্ডার- বিজনেস লাভার
কো-ফাইন্ডারঃ Average64