জীবনের অর্থ হচ্ছে একটি একটি নতুন পথের যাত্রা।
______বিসমিল্লাহির রহমানুর রাহিম।_____
___আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ ___
____সকল প্রশংসা মহান রব্বুল আলামীনের জন্য, শান্তি বর্ষিত হোক নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর উপর।__________
______কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি প্রিয় মেন্টর জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের প্রতি। যার প্রচেষ্টায় আমরা এমন একটা প্লাটফর্ম পেয়েছি। যেখানে প্রতিদিন তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন উদ্যোক্তা ভালো মানুষ, একটি সুশীল উদ্যোক্তা সমাজ ও পরিবেশ।____________
নিজের জীবনের অর্থ খুঁজতে হবে ________
জীবনের অর্থ হচ্ছে একটি একটি নতুন পথের যাত্রা। নতুন কিছু স্বপ্ন এক মুঠো আশা,,সকলেরে ভালবাসা...যে যাত্রাপথে আমাদেরর সাথে হাজার মানুষের সাথে দেখা হবে, কথা হবে, সাথে বন্ধুত্ব হবে আবার সেই সম্পর্ক চোখের পলকে ভেঙ্গে যাবে।জীবনের এই সময়ের সবটুকু পথ সুন্দর ভাবে কাটবে এমনটা কিন্তু নয়, কারণ মাঝে মাঝে খারাপ সময়ের দেখা না পেলে সুখের মূল্য বুঝিনা-তেমনি জীবন পথে অতিবাহিত হওয়া কঠিন সময় সাহস অনুপ্রেরণার সংস্পর্শে না এলেও আমাদের ভেতর থেকে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠতে পারি না আর নিজের প্রতি কত খানি আস্থা রাখতে পারি তাও বুঝে উঠতে পারিনা।
আমাদের জীবনে কঠিন সময় কখন আসবে তা যেমন কেউ জানিনা তেমনি সেই সময়ে কী করতে হবে তা নিয়েও অনেকে অনেক কিছু ভাবিনা কেউ ভাবেএই সময় মনে হয় আর শেষ হবে না। নিজের প্রতি নিজের এই কম আত্মবিশ্বাস আমাদেরকে জিতার বাজিটাও মাঝে মাঝে হারিয়ে দেয়।তাই জীবনের এই বহমান ধারার মাঝে যখনি কঠিন সময় আসবে তখনি নিজের প্রতি আরও বিশ্বাসী হয়ে উঠতে হবে,আমাদেরকে নিজের প্রতি আস্থা বিশ্বাসের উপরে অটল থাকতের হবে,,,জীবনের চরম মুহূর্তে মাথায় ঠান্ডা রেখে সিদ্ধান্ত নিতে পারলে সেই সিদ্ধান্ত দিয়ে এই কঠিন সময়গুলো পার করা যায়,সব সময় একইরকম থাকবে না এই কথাটা হতে পারে আপনার কঠিন সময়ে চলার মূল মন্ত্র,এই ছোট একটি কথা আপনাকে নানান ভাবে অনুপ্রেরণা যোগাবে কঠিন সময়ে টিকিয়ে রাখতে সাহায্য করবে----------------------!!!!!!
আমার শিশুকালের কিছু কথা___________
আমার মা বাবার মুখে শোনা কথা আমার ছোটবেলা জীবনে ঘটে যাওয়া একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনা আমার যখন ছয়মাস বয়স তখন আমার খুব ডাইরিয়া হয়। আমি নাকি খুব অসুস্থ হয়ে পড়ি- আমার কোন বাঁচার আশা-ছিলোনা।+ গাছে থেকে আম পাড়াতে গিয়ে গাছ থেকে পড়ে গিয়ে অনেক ব্যাথা পাই আর এক দিনের কথা- আম গাছের নিচে ছিল তালের ডগা আমি এর উপর দাড়িয়ে আম পাড়ি আমি বুঝতে পারিনায় এর উপর দাড়ালে আমার পা কেটে যেতে পারে- আমি নিচের দিকে তাকিয়ে দেখি আমার পায়ের তালু অনেক কেটে ফাঁক হয়ে গিয়েছে- আমার পায়ে অনেক গুলো সেলাই দিতে হয়-আমি ছোট বেলায় অনেক খেলাধুলা করতাম-নদীতে পুকুরে গোছল করা পুকুরেসাঁতার খেলার প্রতিযোগিতার করতাম খুব অনন্দ করতাম- বৃষ্টি এলে বৃষ্টিতে ভিজতে অনেক মজালাগতো-ঝড়ের দিনে চাচাতো ভাইবোন মিলে আম কুড়ানোর মজায় ছিলো আলাদা সেই দিন গুলো খুব মিস করি-আমার যখন ছোট ছিলাম তখন আমাদের এলাকায় বিদুৎ ছিল না আমার হাড়িকেন জালিয়ে সবাই যে যার যার ঘরে পড়তে বসতোম-সব চেয়ে ছোট বেলার জীবন থাকে সব চেয়ে সুন্দর জীবন- কোন চিন্তা কোন হিংসা নেয় কোন দ্বায়িত্ব নেই- এখন খুব অনুভব করি-এখন মনে হয় আবার যদি সেই ছোটবেলা ফিরে পেতাম----------------!!!!!!!
ছোটবেলার ভ্রমণ_______________________
আমার আব্বু চাকুরী করার কারণে বিভিন্ন জায়গায় থাকতে। আমার ছোট বেলা অনেক সুন্দর কেটেছে-আমি ছোট বেলা অনেক খেলা ধুলা করতে পছন্দ করতাম-স্কুলে অনেক প্রতিযোগিতা অংশগ্রহন করতাম স্কুলে প্রতিযোগিতার সময় একটু দুষ্টুমি করেছিলাম- তখন ক্লাস সেভেনে পড়ি- বিস্কুট দৌড় প্রতিযোগিতা সময় আমার পিছনে হাত বধে দিয়েছে আমার হাত গিয়েছে খুলে আমি হাত দিয়ে বিস্কুট মু্খে দিয়ে দৌড় দিয়েছি- আমি দ্বিতীয় হয়-আজও মনে পড়ে সেই দিনের কথা।মামার বাড়ি গিয়ে ছিপি দিয়ে মাছ ধরা,পুকুরে গোছল করা-ছয় বছর বয়সী আমি প্রথম স্কুলে ভর্তি হই-আমি খুব সহজে পড়া বুঝে যেতাম
পড়াশোনায় অনেকে ভালো ছিলাম। আমার শিক্ষাক আমাকে খুব ভালোবাসতেন-পড়াশোনার কারনে বা অন্য কারনে আমার বাবা ঐ স্কুলের একজন ভালো ছাত্র ছিলেন- সেই জন্য আমাকে স্যারওম্যাডামরা খুব ভালোবাসতেন-তাই প্রাইমারি স্কুল জীবন ভালই কটেছে-শৈশাব কালটা খুব অন্দন্দে কেটেছে-এই ভাবে আমি প্রাইমারি জীবন শেষ করি------------------!!!!
আমার কৈশোর কাল _______________
আমি মাধ্যামিক জীবনে পদাপন করি- মাধ্যমিক জীবনে আমরা পড়ালেখা বেশ ভালোই ছিলো- ১-৫ মধ্য রোল ছিলো- মাধ্যমিক জীবনে আমার নানার সমস্যর মধ্য পড়তে হয়েছে- আমি দেখতে অনেক সুন্দর ছিলাম সেই কারণে-বিভিন্ন ছাত্রদের কাছ থেকে বিভিন্ন কমান্ড আসা শুরু করে- আমার এমন অবস্তা হয়ে যায় রাস্তা ঘাটে চলা মুশকিল হয়ে পড়ে-তখন আমার মনে হতো আমাদের দেশের মেয়েরা স্বাধীন ভাবে রাস্তা চলাফেরা করার কোন নিরাপওা নেয়- স্কুল শেষ করে বাড়ি ফেরার সময় অনেক বকাটে ছেলে আমার পিছু নিত-আমি খুব ভয়ে ভয়ে রাস্তায় চলাফেরা করতাম-আমি বাড়িতে এসে আমার পরিবারকে জানাই আমার সাথে প্রতিদিন এই সব ঘটনা ঘটে রাস্তায়-বাড়ি লোক চিন্তায় পড়ে যাই আমাকে নিয়ে-তারা আমার নিরাপত্তার জন্য চোখে চোখে রাখে-এই ভাবে আমার স্কুল জীবন শেষ করি-রেজাল্ট ও অনেক ভালোই হয়----!!!
আমার প্রিয় বাবা মা_________________
পৃথিবীর সব সন্তানের কাছে তার বাবা হল আসল হিরো -বাবা হলেন একজন বীর সৈনিক- একজন সুপারম্যান- একটি বিশাল বড় বটবৃক্ষ যে সব সময় তার ডানা দিয়ে তার সংসারের প্রত্যেকটা মানুষকে ছায়া দিয়ে থাকেন- যত ঝড় তুফান আসুক না কেন তার ওপর থেকে চলে যায-় কোন কিছুর আচ পরিবারের কারও গায়ে লাগতে দেয় না-বাবা আমার কাছে ছাদ আর মা আমার কাছে খুটি একটা বাড়ি বানাতে ছাদ খুটি ছাড়া বাড়ি অচল তেমনি আমার মা বাবা আমার জীবন অচল আমার বাবা আমাদের সাথে থাকেনি ঠিকি কিন্তু সে আমাদের কোন চাওয়া অপুন্ন রাখেনি- মা আমাদের কে ছায়ার মতো আগলে রেখেছেন- আমার মা আমাদেরকে ইসলামি কায়দায় মানুষ করেছেন - নামাজের দিক দিয়ে - পর্দা পুশিদা দেন কালামের দিক থেকে সর্বদা এ আমাকে তাদের দিতেন এবং একজন ভালো মানুষ হওয়ার জন্য সব সময় উৎসাহ অনুপ্রেরণা যোগাতে যাতে করে আমি সব সময় সবার সাথে ভাল ব্যবহার আচরণ করতে পারি আমার মা বেশিভাগ সময় বলতেন একজন ভালো মানুষ কখনোই মৃত্যুবরণ করে না সে পৃথিবী থেকে চলে গেল তার মায়া তারাচরণ তার কথা তার কার্যক্রম পৃথিবীতে বেঁচে থাকে তাই যদি মানুষ হতে চাও মানুষের মত মানুষ হও যাতে তোমাকে মানুষ পৃথিবীতেও ভালোবাসে তুমি না থাকলে ওজন পৃথিবীর পরিবেশ গুলো তোমাকে ভালোবাসে কারার,মানুষের সাথে ভালো ব্যবহার করা বড়দের সম্মান করা। আমার মা বাবা আমার কাছে পৃথিবীর শেষ্ঠ মা বাবা। তাদের ঘরে জন্ম নিয়ে আমার জীবন ধন্য আমি মনে করি। আমার বাবা যখন বাড়িতে আসতেন আমার আর বোনের নিয়ে বাজারে যেতেন আমাদেরকে মিষ্টির দোকানে বসিয়ে রেখে যেতেন তোমরা যত পার মিষ্টি আর পরটা খাও আমি বাজার করে নিয়ে আসি আমার বসে খেতাম বাবার বাজার শেষ করে আমাদেরকে নিয়ে আসতো আমার মা সবাব কাছে বলতো আমার মেয়েকে বিয়ে দেব চাকুরীজীবি ছেলে দেখে-আমাদের বাসায় বেড়াতে আসে আমার খালাতো ভাই আর বোন ওরা আমার বড় খালার ছেলে মেয়ে আমি ওদেকে ঐভাবে চিনতাম না- আমার বড় খালা মারা গেছেন আমার ছোট
থাকতে আমার সেইভাবে খালার বাড়ি যাওয়া আসা করতাম না- আমি যখন নাইনে পড়ি তখন আমাদের বাড়িতে বেড়াতে আসে-আমার খালাতো ভাই আমাকে দেখে খুব পছন্দ করে- আমি দেখতে নাকি ওর মায়ের মতো-সে আমার মার কাছে বিয়ের প্রস্তাব দেয় আমার মা বাবা প্রথমে রাজি ছিলো না- কিন্তু পরে রাজি হয়। ওর চোখের একটু সমস্যা ছিলো- আমি মা বাবা কথা শুনে রাজি হয়। কিন্তু কিছু দিন পর দেখি অনেকেই বলা শুরু করলো এই যানিস ওর বিয়ে ঠিক হয়েছে তার নাকি চোখ ট্যারা- শুনে আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়লো-আমি মা বাবা কে বলি আমি এইবিয়ে করতে পারবো না" আমরা মা বলো তোমার কে কি বলেছে আমাদের বলো" আমি বললাম কেউ কিছু বলে নাই আমি বিয়ে করতে পারবো না- আমাকে সবাই কাছে নিয়ে মাথায় হাত দিয়ে বোঝার -আমি মনে মনে ভাবি বিয়ে এখনো হয়নি ততে মানুষ এই গুলো বলে বিয়ে হলে যেন মানুষ আরও কিনাকি বলে- সবাই আমাকে বোঝায় আমার এক কথা আমি ওকে বিয়ে করবো না- ওর সাথে বিয়ে দিলে আমি আত্মহত্যা করবো-তখন আমার বাবা মা আমাকে আর কিছু বললো না- ওযখন আমার মায়ের কাছে ফোন দিয়ে বলতো খালাম্মা টুম্পা কে বুঝান- আমার এক কথা আমি ওকে বিয়ে করবো না-এভাবে আমার মা কে ফোন দিতে থাকে- ওর যখন ফোন আসতো আমার ভিষণ রাগ হতো- আমার মা কে ফোন রিসিভ করতে নিষেধ করতাম- ওর কথা শুনলে আমার গাজ্বলে যেতে- যাই হোক এক পযার্য়ে ওর সাথে আমাদের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়-এর পর আমি এস.এস.সি পরিক্ষা দিয়ে পাবনায় আমার খালার বাড়ি বেড়াতে আসি- সেখানে এসে আমার খালার ননদের ছেলে আমাকে দেখেখুব পছন্দ করে- আমার মার কাছে বিয়ের প্রস্তাব দেয়- আমার মা বলে ব্যবসায়িক ছেলের সাথে মেয়ে বিয়ে দেব না- তার পর যখন আমার বিয়ে হয় ব্যবসায়িক ছেলের সাথে- সেই ছেলে যখন ফোন করে আমার মা কে বলে কি ব্যাপার ব্যবসায়িক ছেলের সাথে মেয়ে বিয়ে দেবেন না এখন তো ঠিকি দিয়েছেন- আমার মা বলে ভাগ্য ছিলো তাই হয়েছে-----------!!
আমার মুক্ত কলেজ জীবন _____________
আমি মাধ্যমিক শেষ করে কলেজে ভর্তি হই।নতুন নতুন কলেজে উঠে অনেক মজা হচ্ছিলো কিছু দিন কলেজ করা শুরু করি-আমার কলেজ আমার বাসা থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে বাসে করে কলেজে যেতেম আমি বোরখা পড়ে কলেজে যেতেম কিন্তু কিছুদিন কলেজ করার পড়ে আবার আমার সাথে ঐ রকম ঘটনা ঘটা শুরু হয়-আমি যখন কলেজের রাস্তা দিয়ে হেঁটে বাসের জন্য অপেক্ষা করতাম তখন আবার চারপাঁচ জন বকাটে ছেলে আমার পিছু নিত- আমি অনেক ভয় পেয়ে যায়-বাড়িতে এসে জানায় এইভাবে প্রতিনিয়ত হতে থাকে আমার সাথে আমার বাড়ির লোক চিন্তায় পড়ে যায় মেয়ে বলে কথা-সম্মান থাকতে মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দেওয়া উচিত- বিয়ের জন্য ছেলে দেখা শুরু হয় তারপর আমার বিয়ে দিয়ে দেয়- যখন আমার বিয়ের বয়স হয়নি তখন আমাকে বিয়ে করতে হয় বাধ্য হয়ে কারণ বকাটে ছেলে দের হাত থেকে বাঁচার জন্য ইচ্ছার বিরুদ্ধে হলো আমি বিয়ে করতে রাজি হয় কারণ মেয়ে মানুষ সম্মানের একটি ভয় থেকে যায় বর্তমান সমাজে মেয়েরা সত্যিই বেশিরভাগ জায়গায় লাঞ্চিত--------!!!!
️বৈবাহিক জীবন ____________________
আল্প বয়সে আমার বিয়ে হয়ে যায়-তারপর থেকে আমার নতুন জীবন শুরু-নতুন জীবন খুব অনন্দে কাটিয়েছি উচ্চ বিত্ত পরিবারে আমার বিয়ে হয়-সব মিলে ভালোই যাচ্ছিল আমাদের নতুন সংসার অল্প বয়স আমার সবকিছু বুঝে উঠতে পারতাম না কিন্তু শ্বশুরবাড়ি পরিবারের সকলে আমাকে অনেক সাহায্য সহযোগিতা করতেন এবং আমার স্বামী ও আমাকে অনেক সহযোগিতা করতেন প্রত্যেকটি ব্যাপারে সে আমার বন্ধু হয়ে পাশে থাকতে-আমার স্বামীরা দুই ভাই এক বোন-আমার স্বামী সবার বড়
বোনের বিয়ে হয়ে গেছে- ছোট ভাই আগেই পছন্দ করে বিয়ে করেছে-সে বৌ নিয়ে ঢাকা থাকতো।আমি বাসায় শ্বশুর শাশুড়ী ও স্বামী থাকি-শাশুড়ী অসুস্থ থাকার কারণে বাসায় রান্না করার জন্য আলাদা লোক রাখা আছে- ঘরের কাজের জন্য আলাদা লোক রাখা আছে- আর বাহিরে কাজের ও আলাদা লোক রাখা আছে- আমার কিছু করা লাগতো না-সব কাজ কাজের লোকেরা করতো-----------!!!!
ভাঙা গড়ার মাঝে সংসারের পথ চলা_________
পৃথিবীতে প্রত্যেকটা নারীর কাছে দুটি সেরা সম্পদ থাকে- একটি হলো বাবা নামের একটি পুরুষ -দ্বিতীয় হলো স্বামী নামে একটি ভালো বাসার জায়গা নির্ভরশীল উর্বর একটি বাসস্থান -একটা মানুষ যার হাত ধরে পথ চলা যায় -জীবনের সমস্ত সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করা যায় - যার চোখে তাকিয়ে সারা পৃথিবী কে জয় করা যায়-- যার পায়ের উপর ভর করে সপ্ত আসমান সওয়া যায় - যাকে বিশ্বাস করে সারা জীবন তার পাশাপাশি চলা যায় - আমার স্বামী আমার কাছে সবচেয়ে শেষ্ঠ-- সে আমার প্রতি খুব যত্নবান --সে আমার খুব খেয়াল রাখেআমার স্বামী ব্যবসায়িক দিক দিয়ে অনেক সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়েছে-তার একটা সুনন্দ প্রতিষ্ঠান ছিল প্রতিষ্ঠান টি খুব সুনন্দ ভাবে চলতে ছিল কিন্তু একটা কর্মচারি রেখেছিল তারপর আমার স্বামী যখন বাসায় আসতো বা কোথাও বেড়াতে যেতো তখন কর্মচারি ঠিক মতো হিসাব দিত না এই ভাবে আস্তে আস্তে লস হতে থাকে তারপর প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়- তারপর সে চলে যায় ঢাকায় সেখানে সুন্দর একটা চাকরি পায়- কিন্তু আমাদের রেখে যায় বাসায়-চাকুরিটা প্রথম দিকে ভালোই বেতন দেয় কিন্তু ছয় মাসরে পর বেতন আটকায় দেয় তিনমাস পার হয়আর বেতন দেয় না তারতো চল চলতে হতো তার পর আবার চাকুরি ছেড়ে চলে আসে বাড়িতে. এসে আবার আরো একটি প্রতিষ্ঠান দেয়-সেখানে প্রথম দিকে ভালোই চলে কিছু দিন পরথেকে লস হতে থাকে সেই প্রতিষ্ঠান টাও বন্ধ হয়ে যায় - তখন খুব হতশায় পড়ে যেটাই করি কোন কিছুতে সফল হতে পাড়ি না কি করবে ভেবে পাই না অনেক চিন্তাভাবনা করে- হাজার হতাশার ভিতরেও সে কখনোই কোনদিন আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করেনি- প্রত্যেকটা সময় আমাকে পাশে রেখে চলার চেষ্টা করেছে - সব সময় তার মুখে একটা কথাই তুমি পাশে থাকো আমি পৃথিবী জয় করতে পারবো - খুব কম মেয়েরা এমন ভাগ্য করে পৃথিবীতে জন্ম নেয় -যে ভালো একটা স্বামী পায়- সব মেয়েদের কপালে সব সুখ হয় না- সব মেয়েরা স্বামী নিয়ে সুখী হয় না-- তবে আমার বেলায় একটু ব্যতিক্রম যেমন অল্প বয়সে আমার বিয়ে হয়েছে- ঠিক তেমন আমার স্বামীর কাছ থেকে আমি অনেক সম্মান অনেক মর্যাদা অনেক ভালোবাসা পেয়েছি আরও পেয়েছি আগামী দিনের স্বপ্ন দেখার অনেক অনুপ্রেরণা -- অনেক ভাঙ্গা-গড়া অনেক হার-জিতের পরে আমার স্বামী দুইটি গাড়ি কেনে অনেক ভালো চলছিল ভালো টাকা ইনকাম হচ্ছিল--পাশাপাশি লেবেব কিছু মেশিন সাপলাই দেয় ক্লিনিকের-আর কিছু টুকিটাকি ব্যবসা আসে আল্লাহ শুকরি সব মিলে ভালোই চলতিছে- আগামী দিনে নতুন নতুন স্বপ্ন দেখার রাস্তা তৈরি হয়ে গেল প্রত্যেকটা মানুষ অভাব থেকে শিক্ষা নেয় আমার স্বামী অনেক অভাব থেকে শিক্ষা নিয়েছে অনেক কিছু হারিয়েছে অনেক ভেঙেছে আবার অনেক কিছু ঝোরা লাগিয়েছে আমার স্বামীর দুচোখে কখন আমি হতাশার অন্ধকারে দেখতে পায়নি সর্বদায় তার চোখে আমি দেখেছি আগামীদিনের অনেক নুতন কিছু স্বপ্ন আমি খুব ভাগ্যবতী একজন মেয়ে যে আমার স্বামীর মত একজন ভালো মানুষকে জীবন সাথী হিসেবে আমার পাশে পেয়েছি সকলে দোয়া করবেন আমাদের দাম্পত্য জীবনের জন্য এবং আমার সন্তানদের জন্য আমি যেন একজন ভালো মা হতে পারে সন্তানের জন্য আগামী সুন্দর ভবিষ্যত গড়ে দিতে পারি সেই সাথে আমি যেন আমার স্বামীর প্রত্যেকটি ভালো কাজের সহযোদ্ধা হিসেবে তার পাশে থাকতে পারে যে মানুষটা আমাকে ভরসা করে বিশ্বাস করে আমি যেন জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তার ভরসা এবং বিশ্বাসের মর্যাদা রক্ষা করতে পারি,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,!!!
জীবনের অসমাপ্ত জীবন যুদ্ধ ___________
আমাদের সমাজে অনেক মেয়েরাই মনে করে বিয়ে করা মানে জীবন শেষ- কিন্তু আমার জায়গা থেকে আলাদা- আমি বিয়ের পর এইচ-এসসি পরীক্ষা দেয়-তারপর আমি ডিগ্রি ভতি হয়- এর মাঝেই আমি মা হওয়ার স্বাদ অনুভব করি
আল্লাহর রহমতে আমি কন্যাসন্তানের মা হই আমার কোল জুড়ে ফুটফুটে একটি চাঁদের জোছনা আল্লাহর রহমত আরেকটি টুকরা নাযিল হয় -- আমার মেয়ে হওয়ার কয়েক দিন পরে আমাদের রান্না করার কাজের মহিলা মারা যান- তখন রান্নাবারার চাপ আমার কাঁধে এসে পড়ে- ছোট মেয়েকে নিয়ে রান্নাবাড়া করতে এমনিতেই আমার অনেক কষ্ট হতো তার ভিতরে আমার শাশুড়ি স্টক করে -- শাশুড়ি স্ট্রোক করার পরে আমার কাজ আরো বেড়ে যায় অনেকগুলো দায় দায়িত্ব আমার কাঁধে এসে ভিড় জমায়--- দায়িত্ব আর অস্থিরতার মাঝেই আমি দ্বিতীয়বারের মতো মাতৃত্বের স্বাদ অনুভব করি- সন্তানসম্ভবা অবস্থায় আমি অনেকটা অসুস্থ হয়ে পড়ি অসুস্থতার মাঝেই আমার ডিগ্রী পরীক্ষার ডেট চলে আসে--
শারীরিক অসুস্থতার থাকার কারনে আমার আর ডিগ্রী পরীক্ষাটা দেওয়া হলো না সংসারের দায়-দায়িত্ব এবং দুটি বাচ্চা লালন পালন আমার কাছে অত্যন্ত কঠিন মনে হতো তার পাশাপাশি আর লেখাপড়ার সুযোগ হয়নি -- যখন আমার বাচ্চার একটা বড়ো হলো তখন আমি নিজেই চিন্তায় করলাম কিভাবে আমার লেখাপড়াটা চালিয়ে যাওয়া যায় একান্ত ইচ্ছা এবং মনের শক্তি দিয়ে আবারও ডিগ্রিতে ভর্তি হই-- এমত অবস্থায় আমি তৃতীয় বারের মতন মা হওয়ার আনন্দ অনুভব করি --তবে এখন আর কোন অজুহাত দেখিয়ে লেখাপড়া বন্ধ করতে চাইনা-- যেভাবেই হোক কষ্ট করে লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি--
স্মৃতির পাতায় কষ্টগুলো________________
তৃতীয় বারের মতো যখন আমি মা হই তখন আমি শারীরিকভাবে অনেকটাই অসুস্থ হয়ে পড়ি এবং রীতিমতন আমার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়-- শ্বাস নিতে এতটাই কষ্ট হতো যে আমাকে বেশিরভাগ সময় অক্সিজেন ব্যবহার করতে হতো - লেখাপড়ার ফাঁকে ফাঁকে আমি একটি চাকরির জন্য দরখাস্ত করি মহিলা অধিদপ্তরে-পরিক্ষার ডেট আসে
আমি অসুস্থ- নয় মাসের বাচ্চা পেটে নিয়ে পরিক্ষা দিতে যাই- পরিক্ষা হওয়ার কথা ছিল সকাল সকালে কিন্তু কিছু কারণে পরিক্ষা হয় বিকালে - আমি সারাদিন না খেয়ে পরিক্ষার জন্য অপেক্ষা করছি ওখান থেকে যেতে পারছিনা কখন বা পরিক্ষা শুরু হয়-যাই হোক সে পরিক্ষা হয় বিকালে পরিক্ষা দিই -পরিক্ষা খুব ভালো হয়-আমি টিকে যাই-- যাই হোক এর মধ্য বাচ্চা হওয়ার সময় হয়ে গেলো- আমি চলে গেলাম বাবার বাড়ি-কিছু দিনের মধ্যে বাচ্চা হলো- আমার কাছে ফোন আসলো মহিলা অধিদপ্তর থেকে আমার চাকুরী হয়ে গিয়েছে-- আমাকে এত তারিখে ঢাকায় এসে সাইন করতে হবে- আমি আছি বাবার বাড়ি -মাত্র সিজার করেছি এই অবস্থায় কিভাবে যাব-সাইন করলে আমার চাকুরী কনফার্ম হবে-এই অবস্থায় আমার ঢাকায় যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না-তাই চাকুরিটা আর হলোনা- তার পর আমি প্রাইমারি স্কুলে চাকরির পরিক্ষা দিয়েছি কয় একবার- রিটেনে টিকতে হলে নাকি পনেরো লাখ টাকা দিতে হবে-তাই আমি বললাম এত টাকা দিয়ে চকুরি করবো না - প্রয়োজনে এ টাকার অর্ধেক দিয়ে আমি যে কোন ব্যবসা করব- টাকা দিয়ে চাকরি করার চেয়ে টাকা ব্যাংকে রেখে ইনকাম করা অনেক ভালো -তাছাড়া আমি যখন ঘুষ দিয়ে চাকরি নেব তারা তো আমার টাকায় আমাকে দেবে- তাহলে আমার ঘরের টাকা ঘরে থাকাই ভালো- তাই সিদ্ধান্ত নিলাম চাকরি করব না- আমি যে কোন ব্যবসা করব না হয় আমি উদ্যোক্তা হব --আমি যদি ব্যবসায়ী হই় ব্যবসার পাশাপাশি আমি আমার বাচ্চাদেরকে মানুষ করতে পারব -এবং সংসারের কাজকর্ম করতে পারব- আমি যদি উদ্যোক্তা হই তাহলেও আমি আমার সংসারের পাশাপাশি উদ্যোক্তা হতে পারব বেনিফিট হিসেবে আমার টাকাগুলো বেঁচে যাবে- অনেক চিন্তা ভাবনার পরে সিদ্ধান্ত নিলাম আমাকে যেভাবেই হোক উদ্যোক্তা হতে হবে,,,,,,,,,
ইউনিক কিছু আইডিয়া_________________
আমার চারপাশে আমি যতটুকু দেখেছি ততটুকু দিয়ে অনুভব করেছি-- যুগ অনেক এগিয়ে গেছে- যুগের সাথে তাল মিলিয়ে নারীরা অনেক এগিয়ে গিয়েছে -এখন আর কেউ পিছনে পড়ে নেই -যারা বোকা তারা ও চালাক হয়ে যাচ্ছে -আমি কেন ঘরে বসে থাকব- আমিও যদি মন শক্তি স্থির ও দৃঢ়তার সাথে কাজ করি আমিও পারব সকলের মত করে- আমি নিজেকে মোটিভেট করার জন্য ইউটিউবে চ্যানেলে মোটিভেশনাল ভিডিও গুলো দেখতাম-আমি ইউটিউব, গুগল সাচ করা শুরু করি করতে করতে আমি পেয়ে যায় ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের ভিডিও তার বক্তব্য গুলো শুনি শুনে আমার খুব ভালো লাগলো।আমার উৎসাহ আমিও পাড়ি ভালো উদ্যাক্তা হতে- সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন- আমি যেন ভালো মানুষ ও সফল উদ্যাক্তা হতে পাড়ি-----!!!
📌"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৬৬৭
Date:- ০৬ & ০৭/১১/২০২১ইং
__নামঃটুম্পা হাসান
__রেজিষ্ট্রেশন ঃ73419
__ব্যাচঃ১৫
__জেলা ঃপাবনা