মধুমাখা বাবা নাম টি
______বিসমিল্লাহির রহমানুর রাহিম।_____
___আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ ___
____সকল প্রশংসা মহান রব্বুল আলামীনের জন্য, শান্তি বর্ষিত হোক নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর উপর।__________
______কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি প্রিয় মেন্টর জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের প্রতি। যার প্রচেষ্টায় আমরা এমন একটা প্লাটফর্ম পেয়েছি। যেখানে প্রতিদিন তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন উদ্যোক্তা ভালো মানুষ, একটি সুশীল উদ্যোক্তা সমাজ ও পরিবেশ।____________
বাবা আমার বাবা _________
আমার কাছে বাবা মানেই ভালোবাসার আরেক নাম-হয়তো প্রত্যেক মেয়ে তার স্বামীর কাছে রাণী নয়। কিন্তু প্রত্যেক মেয়ে তার বাবার কাছে রাজকন্যা-বাবা হলো স্রষ্টার ভালোবাসার কবিতার প্রতিচ্ছবি। বাবাছাড়া বেচে থাকা মানে মাথার উপর ছাদ হারিয়ে ফেলার মতো।-অনেক দুঃখের সাথে জানাচ্ছি যে আমাদের মধ্যে এমন অনেকে রয়েছেন যারা বাবা-মা থাকতেও তাদের সন্মান করেন না বা ভালোবাসেন না। তাই আজও আমাদের দেশে বিদ্যাশ্রম রয়েছে। আর দিন কে দিন এটা বাড়ছে। কিন্তু একবার ভেবে দেখেছেন এই বাবা মা না থাকলে আপনার ঠিকানা কোন অনাথ আশ্রমে হতো। আজ আমরা একটু বাবার হয়েকিছু কথা শুনবো ও বলবো-বাবা আমাদের এমন একটা শক্তি যার কথা বলতে গেলে দিন থেকে রাত আর রাত থেকে দিন হয়ে যাবে। আমরা সত্যি কোনোদিন বাবাকে নিয়ে একটু বিশেষ ভাবে ভাবিনা, কোনোদিন বোঝার চেষ্টা করিনা। তবে এটুকু জেনেছি, তোমাকে বুঝবার ক্ষমতা আমার নেই। আমাদের বোঝার ক্ষমতা নেই যে তোমার ত্যাগ গুলো কি কি বা কোথায় কোথায় তোমার ত্যাগ আছে আমাদের জন্য। সেটা আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা আমরা মনে রাখিনা। তবে আমাদের বাবা আমাদের এক শক্তি। আমাদের বাবা আমাদের মাথার ছাদ। আমাদের বাবা আমাদের বর্ষার ছাতা আর আমাদের বাবা আমাদের শীতকালের কাঁথা-শুনেছি জাপানে কোন বিদ্যাশ্রম নেই কারণ সেই দেশে প্রতি বছর তাদের স্কুল কলেজে ছেলে মেয়েদের ডেকে সকলের সামনে তার বাবা মায়ের পা ধুঁইয়ে সেবা করানো হয়। তাই হয়তো বাবা মায়ের ভালবাসার মত পরম আনন্দ আর কোথাও পাবেন না।শুধু ফেসবুকে লোক দেখানো না বাস্তব জীবনেও বাবা-মাকে ভালবাসতে হবে আমাদের-একজন বাবা তার ছেলের প্রথম নায়ক এবং তার মেয়ের প্রথম শ্রেষ্ঠ মানুষ যিনি অনেক মহান। বাবা সর্বদা আমাদের জীবনের বিশেষ মানুষ। আমাদের জীবনে বিশেষ মানুষ গুলির মধ্যে অন্যতম। বাবাকে নিয়ে দুই থেকে চার, ছয়, এমনকি একটি বই লিখেও শেষ করা যাবে না।আমাদের বেশিরভাগই আমাদের বাবাকে নিয়ে ভাবি বাবার মতো আর কেউ নেই আমাদের জীবনে- আমাদের জীবনের স্তর বা বর্তমান পরিস্থিতিতে যাই হোক না কেন, তিনি আমাদের অটল সমর্থন এবং ভালোবাসা দেওয়ার জন্য রয়েছেন-জীবনের সর্বস্তরে বেশিরভাগ ছেলে মেয়ে বাবাকে অনুসরণ করে থাকি। বাবাকে অনুসরণ না করলেও বাবাকে অনেক ভালবাসি।
ছোটবেলা থেকে শুরু করে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সকল কাজে বাবাকে ছাড়া চলেই না। যে সকল ভাই বোন বাবার স্নেহ পাননি তারাই কেবল জানেন যে বাবার গুরুত্ব তাদের জীবনে কতটা।
পিতারা সবসময় আমাদের জন্য সঠিক জিনিস বলতে পছন্দ করার চেষ্টা করেন বলে মনে হয়।
মধুমাখা বাবা নাম টি_____________________
বাবার মাঝে জড়িয়ে আছে বিশালত্তের এক অদ্ভুত মায়াবী প্রকাশ”বাবা নামটা উচ্চারিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যে কোন বয়সী সন্তানের হ্রদয়ে শ্রদ্ধা কৃতজ্ঞতা আর ভালোবাসার এক অনুভব জাগে -বাবা এমন একজন যিনি সারা জীবন নিজের পরিবারের মুখে হাসি ফোটানোর জন্যে উদয়াস্ত পরিশ্রম করে যান…নিজের সব খুশি অবধি বিসর্জন দিয়ে দেন ইনি…তাই বিশ্বের সব বাবাকে জানাই হাজার সালাম.. বাবার ছায়া শেষ বিকেলের বট গাছের ছায়ার চাইতেও বড়-যে তার সন্তান কে জীবনের সব উত্তাপ থেকে সামলে রাখেন পৃথিবীতে একটি মেয়েকে তার বাবার চেয়ে কেউ বেশি ভালোবাসতে পারবে না-একটা মেয়ের জীবনে বাবায় হলো প্রথম পুরুষ এবং তিনি হলেন সবচেয়ে অনুপ্রেরণাদায়ক পুরুষ-একজন বাবা তার সন্তানকে ঠিক ততটাই ভালো বানাতে চান যতটা তিনি হতে চেয়েছিলেন-একজন বাবার হওয়া উচিত তার ছেলের কাছে প্রথম হিরো এবং একটি মেয়ের কাছে তার প্রথম ভালোবাসা-বাবাকে নিয়ে অনেক কিছুই লিখার আছে, সকল কথা কি লিখে বুজানো যায়। বাবা কে মন থেকে ভালোবাসবেন তবেই বুজতে পারবেন এবং বাবাকে নিয়ে কোন উক্তি খুজতে হয় না-একজন বাবাকে তার মেয়ের কাছে এতটা আদর্শ হওয়া উচিত যে আদর্শ যা দেখে সেই মেয়ে পৃথিবীর অপর সকল ছেলেকে যাচাই করবে-পৃথিবীতে সবাই তোমাকে ভালবাসবে,সেই ভালোবাসার মাঝে কোনো না কোন প্রয়োজন লুকিয়ে থাকে-কিন্তু একজন ব্যক্তি কোনো প্রয়োজন ছাড়াই তোমাকে ভালো বাসবে সে হলো বাবা-আমার বাবা আমার নায়ক ছিল-আমার যখন প্রয়োজন ছিল তখন তিনি আমার পক্ষে ছিলেন-তিনি আমার কথা শুনেছিলেন এবং আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছিলেন-একজন বাবার মাধ্যমে সন্তানের জীবনের শুরু। সন্তানের জীবনে বাবার অবদান অনস্বীকার্য-15- তম ব্যাচে প্রাণপ্রিয় মেন্টর জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার বাবা-মার প্রসঙ্গে একটি সেশন দিয়েছেন সেটি পড়ে আমি এত বেশি কেদেছিলাম কারণ আমি তো কখনোই বলতে পারবোনা বাবা তোমাকে ভালবাসি-- তুমি আমার জীবনে প্রথম ভালোবাসার একজন পুরুষ-- যার হাতের পরশে আমার জীবন পাল্টে গিয়েছে --যার চোখের দৃষ্টি দিয়ে আমি পৃথিবী দেখা শিখেছি------------
আমার প্রিয় ভাইয়া এবং আপুরা আমরা সবাই জানি যে মা বাবা হচ্ছে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ। সৃষ্টি জগতের শ্রেষ্ঠ সম্পদ হলো মা বাবা।দুনিয়ায় সব মানুষের বিকল্প কল্পনা করা সম্ভব হলেও মা বাবার বিকল্প নেই। যেমন - ভাই একাধিক হতে পারে, বোন একাধিক হতে পারে। সন্তান ও একাধিক হতে বাধা নেই। কিন্তু মা বাবা একবার যদি দুনিয়া ছেড়ে চলে যায় তাহলে বিকল্প আর কোন ভাবেই কল্পনা করা যায় না। তাই সকলকে উদ্দেশ্য করে বলবো বাবা মা বেচে থাকতে তাদের সেবা করুন ভালোবাসুন কষ্ট দিয়েন না। হারিয়ে গেলে আফসোস করে কুল পাবেন না___বাবাকে জড়িয়ে হয়তো কখনো বলা হয়নি ভালোবাসি বাবা তোমাকে অনেক ভালোবাসি-এটা হয়তো আমাদের জীবনের বড় ব্যর্থতা-আমি আমার বাবার ঋণ কখনো পরিশোধ করতে পারবো না। এবং কি কোনো সন্তান ও বাবার ঋণ কখনো পরিশোধ করতে পারে না। কঠোর শাসন, কোমল ভালোবাসা আর ত্যাগে অগ্রগামী যিনি, তিনিই তো বাবা-বাবারা যে কোনো ধরনের দুঃখ-কষ্ট অকাতরে সহ্য করেন। সবসময় চেষ্টা করেন সামান্য কষ্ট যেন সন্তানকে স্পর্শ না করে সন্তানের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের কথা ভেবে সারাজীবন অক্লান্ত পরিশ্রম করেন। তারপরও বাবাদের সঙ্গে আমাদের সমাজের অনেকেই খারাপ আচরণ করে থাকেন-পৃথিবীতে সব চেয়ে সুখ কি জানো.....? বাবা মারআদর...! পৃথিবীতে সব চেয়ে কষ্ট কি জানো..? বাবা মার চোখের পানি....! পৃথিবীতে সবচেয়ে অমূল্য রতন কি জানো.?বাবা ও মার ভালোবাসা...!
_______অনেক __ভাঙা_ঘরার _মাঝে_নিজেকে _ একটু _একটু _তৈরি _করা____________
২০০৮ সাল তখন আমি ক্লাস ৯ম শ্রেনীতে পড়ি,
তখন আমার বাবা মারা যায়-আমরা ৩-ভাই বোন-আমি বড়-আমার ছোট ভাই ও বোন।পরিবারে বড় সন্তান হওয়ার কারনে যেদিন বাবা মারা যাইপরদিন থেকেই জীবনের চলার পথ কঠিন হয়ে যাই-তখন জীবন সম্পর্ক তেমন জানা ছিলো ন---মন ছিলো বাচ্চাসুলভ অনেকেই বলে বড় সন্তান বোকা হয়-আমিও তেমন ছিলাম
কিন্তু পরিস্থিতি অনেক কিছু শিখাতে বাধ্য করেছে-আসতে আসতে বুজতে শিখি-টিউশন করেই নিজের পড়ার খরচ যোগাড় করতাম
আমার ১-ম টিউশন এর বেতন ছিলো ৭০০-টাকা এর ১-মাস পর ২--য় টিউশন পাই- যার বেতন ৫০০-টাকা আর আমি প্রাভেট পরতাম ৮০০ টাকা দিয়ে এইভাবেই দিন চলতে থাকে
পরিবারকে হেল্প করতো আমার ছোট চাচা-আর কিছুটা আমি-কারণ আমার ইনকাম থেকে যা আসতো সেটা দিয়ে আমার খরচই হয়তো নাহ
আমার বাসা থেকে স্কুলে ভাড়া লাগতো তখন কার সময়ে ২০টাকা-অনেক সময় ভাড়া না থাকার কারনে হেটে যেতাম আর হেটে বাসাই ফিরতাম-এই ভাবেই স্কুল লাইফ শেষ করলাম-
মাঝে মাঝে খুব কষ্ট পেতাম অন্যদের লাইফ দেখে- আমার সামনে কারোর বাবা আদর করলে এত কষ্ট লাগতো সাথে সাথে কেদে দিতাম-আর মনে মনে বলতাম আল্লাহ কেন তুমি বাবাকে নিয়ে গেলা-জীবনে অনেক আঘাত পেয়ে মনকে স্থির করি কিছু একটা করবো কারো ওপর ডিপেন্ট করবো-কিন্তু সময় সুযোগ আর সাহসের অভাবে কিছুই করতে পারি নাই-আরো অনেক ঘটনাই আছে- লাগে আর যেটা আমার নেই-লয়া নিয়ে পড়ার খুব ইচ্ছে ছিলো সেটাও হয় নাই শুধু টাকার কারনে-জীবনের অনেক কিছুই করতে পারি নাই শুধু মাত্র টাকার কারনেআর কিছুটা সাপোর্ট এর জন্য-নিজের মধ্যে সাহস ছিলো নাহ বলে একটা সময় কিছুই করতে পারি নাই
শুধু ভয় পেতাম আর ভাবতাম লোকে কি বললে
অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া চালিয়ে যাই
এস এস সিঃনরসিংদী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়-২০১০ সালে অনেক ভাল রেজাল্ট করে এরপরে নরসিংদী সরকারি কলেজে ভর্তি হই অনেক কষ্ট করে-এইস এস সি পাস করি নরসিংদী সরকারি কলেজ" থেকে ২০১২. সালে
ডিগ্রীঃনরসিংদী সরকারি কলেজ পরিবারের কথাই ২০১৫ সালে বিয়ে হয়-২০১৬সালে আমার ছেলে কে পাই উপহার হিসেবে আল্লাহর কাছ থেকে -আর সেই থেকে আমার সকল চিন্তা ভাবনাই ছেলে তারে কি করে ভালো রাখা যাই।নিজের কথা ভুলে শুধু লেখা পড়াটা চালিয়ে যাই
বর্তমানে মাস্টার্স ফাইনাল ইয়ারে আছি- ঘর সংসার লেখাপড়া সন্তান লালন পালন সবটাই যেন আমার প্রতিদিনের একটি ডিউটি-এইটুকুই-জীবন থেকে এইভাবে প্রায় ৬টা বছর চলে যাই-মন স্থির করে নিয়েছিলাম আমাকে দারা আর কিছুই হবে নাহ-আর ভাবতাম কি করলাম জীবনে আর কিবা করতে পারবো-এই সব ভাবতে ভাবতে কেমন জানি হয়ে যাচ্ছিলাম বলা যাই এক ধরনের ফ্রাস্ট্রেটেড এর ভিতর দিয়ে যাচ্ছিলাম-আমি সিউর ছিলাম আমার দারা কিছুই আর হবে নাহছেলে যখন নিজে খাবার খাওয়া শিখে তখন চেষ্টা করতাম নতুন নতুন কিছু বানিয়ে তাকে দেওয়ার জন্য-আর রান্নার প্রতি আমার আগ্রহ ছিলো আগে থেকে-কিন্তু কারো কাছ থেকে হেল্প পাই নাই রান্নার শিখার ক্ষেত্রে একমাত্র আমার মা ছাড়া-মা বাঙালি আইটেম আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো ওনি চাইনিজ আইটেম কিছুই পারেন নাহ-আমার বেশি আকর্ষন ছিলো চাইনিজ আইটেম এর প্রতি।তো নিজে নিজেই চেষ্টা করতে থাকি।আমার মনে আছে যেদিন ১ চিকেন ফ্রাই করি অনেক বাজে হয়ছিলো-পুরাই কাচা ছিলো কোন মশলা হয় নাই-তারপর আবার ট্রাই করলাম পরের বার একটু ভালো-এইভাবে করতে করতে এখন আলহামদুলিল্লাহ- তেমনি ১ম -পিজা বানাই নিচের অংশটা বেশ পুরে যায়-বার বার ট্রাই করতে করতে এখন অনেকটা ভাল বানাতে পারি আলহামদুলিল্লাহ- আমি যেইটুকু রান্না পারি যে একবার খেয়েছে আলহামদুলিল্লাহ অল্প হলেও প্রশংসা করতে হয়েছে-আর এই অল্প অল্প অনুপ্রেরণা থেকে মনের মধ্যে নতুন আশা জাগে এইটা নিজে কাজ করি-ভালোবাসা ভালো লাগা থেকেই সখ কে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছি-যে চিন্তা সেই কাজ সাহস করে কোন পরামর্শ ছাড়াই আমার এক কাকার মাধ্যমে পেইজ খুলে ১ম পোস্ট করি শুটকি বড়া নিয়ে-আর ওই দিনই আমার ১ম অর্ডার আসে ১০টা শুটকি বড়া-আমার খুব কাছের বান্ধুবি অর্ডারটি করে-সে হয়তো আমাকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য অর্ডার করেছিলেন কিন্তু তার সেই ১ম অর্ডার থেকে ইনশাআল্লাহ আমার এই পর্যন্ত আসা আমি বিজনেস শুরু করি ৪০০০টাকা দিয়ে-নিজে সাহস করে লেগে আছি বলেই আজ এতটুকু আসতে পেরেছি-আত্মীয়-স্বজন কারো কাছ থেকে কোন সাহায্য বা সাপোর্ট পাইনি-যখন শুরু তখন অনেকে অনেক কথাই বলেছে কোন কথাই কান দেইনি- নিজের লক্ষে অটুট আছি-ইনশাআল্লাহ আগামিতেও থাকবো-আমার ___পেইজঃক্ণার রসুইঘর___ আমি কাজ করছি হোমমেড খাবার আচার মশলা শুটকি বড়া,বিভিন্ন রকমের ভর্তা, পোলাও রোস্ট, পিজা,বার্গার, চিকেন ফ্রাই,তান্দুরি, গ্রিল,বিভিন্ন রকম বিরিয়ানি,নান রুটি সকল টাইম এর চাইনিজ খাবার,রসুনের আচার,আমের আচার জলপাই এর আচার,সিজনাল সব রকমের আচার-যার বেশির ভাগ অবদান আমার মার
মা থাকলে আমি আফরিন আজ আফরিন হতাম না-আর আমি সব সময় স্বপ্ন দেখতাম আমার বাবা আমার মাথাই হাতবুলিয়ে বলতেছে মা তুমি একদিন অনেক বড় হবা-আমার দোয়া সব সময় আছে তোমার সাথে আজ ১৪ বছর চলে বাবার চলে যাওয়ার কিন্তু এই স্বপ্ন এখনো দেখি প্রায় দেখি-বাবা মার জন্য কিছুই করতে পারি নাই-----
প্রিয় স্যারের বাণী_________________
স্যার একটা কথা সব সময় বলেন,স্বপ্ন দেখুন____সাহস করুন___সময় দেনলেগে থাকুন।সফলতা আসবেই-ইনশাআল্লাহ___ আল্লাহ চাইলে আর সৎ উদ্দেশ্য থাকলে আল্লাহ কখনো কাওকে ঠকান নাহ।আল্লাহ সুযোগ দেন আর সেই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে আমাদের কে।একজন উদ্যোক্তা হতে পেরেছি কিনা জানি নাহ কিন্তু যেই শিক্ষা টুকু পেয়েছি সেটা বাকি জীবন এর জন্য যথেষ্ট। একজন ভালো মানুষ হওয়ার চেষ্টা তো করতে পারচ্ছি।এতেই খুশি-নিজের জীবন নিয়ে বলা বা লিখা শেষ হবার নয়__
_____প্রিয় __ফাউন্ডেশনে__যুক্ত __হওয়ার __পর __আমার প্রাথমিক __অবস্থা_______
নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন এ যখন যুক্ত হই- তেমন কিছুই জানতাম না আমার যেদিন ১ম সেশন ছিলো আমি নিজের নামটাও বলতে পারি নাই-৪৫তম সেশন থেকে আমি যুক্ত হয়-এত ভালোবাসা পেয়েছি এই অল্প সময়ে যা বলার বাইরে-পেয়েছি অনেক গুলো শ্রদ্ধেয় বড় ভাইয়া ও আপু-যাদের অবদান ভুলার মত না।আর আমি ছোট মানুষ হয়ে জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার কে নিয়ে কিছু বলার মত সাহস আমার নেইএত ভালো মনের মানুষ পৃথিবীতে কবে মেলে স্যারকে যদি ধন্যবাদ দেই খুব কম হবে-আজ যা হতে পেরেছি স্যার জন্য
যা ভাষায় লিখে কাউকে বোঝানো যাবে না-----
ঘোর_ অন্ধকার_ হতাশা_ থেকে_ ফিরে আসা___
এই প্ল্যাটফর্ম থেকে আমরা এতো দিনে অনেক গুলো সেশন অনেক ইভেন্ট পেয়েছি যা একজন ভাল মানুষ হওয়ার জন্য একজন সফল উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য যথেষ্ট তবে সবাই সমান শিখতে পারবেনা, আমি, আপনি কতোটুকু শিখেছি সেটা আমরা নিজেরাই জানি স্যারের এ অক্লান্ত পরিশ্রম ফলে আমরা নিজেকে কতোটুকু পরিবর্তন করতে পেরেছি সেটা আমরা আমাদের নিজেকে প্রশ্ন করলে জানতে পারবো, তাছাড়া আমাদের প্রিয় প্লাটফর্মে অ্যাক্টিভিটি থেকেই বুজতে পারি সবার সাথে আমাদের কতটা ব্রান্ডিং আমরা সবার সাথে কতটা অপরিচিত, নিজেকে প্রশ্ন করলেই খুঁজে পাই ️এটা ভেবে হতাশ হওয়ার কিছুই নাই যে-আমরা তো এখনো কোন কিছু শুরু করতে পারেনি - অবশ্যই প্রিয় স্যাররে কথা গুলো ফলো করলে আমরা বুঝতে পারবো এখানে সবাই উদ্যোক্তা হতে পারবেনা কেউ কেউ উদ্যোক্তা হবে কেউ কেউ হবেনা তবে একজন ভালো মানুষ পজিটিভ মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়তে পারবেন ইনশাআল্লাহ -আমি ভালো মানুষী চর্চা করে যাচ্ছি বর্তমানে পজিটিভ চিন্তা করতে সক্ষম হয়েছি।_________!!!
ফাউন্ডেশন থেকে যা- যা- পেয়েছি, _________
️আসল কথা হচ্ছে প্রাণের গ্রুপে শুধু মাত্র উদ্যেক্তা বানানোর পাশাপাশি আরো অনেক গুলো কাজ করে এখানে উদ্যোক্তা সাথে আমাদেরকে একজন ভালো মানুষ হিসেবে গড়ার প্রশিক্ষণ দেয়া হয় আমাদের প্রত্যকের জিবনে- অনেক দুঃখ আছে-কষ্ট-বেধনা সব কিছুই আছে-প্রিয় স্যার বলেছেন,, যে দুঃখ, কষ্ট নিয়েই জীবন- তবে দুঃখ আছে বলে মনে করবেননা যে দুঃখটা সারাজীবন থাকবে,, দুঃখ না থাকলে সুখের মজা পাওয়া যায় না,, অনেক সময় একটু কষ্ট পেলে আমরা হতাশ হয়ে যাই যে আমার সব শেষ আমার জীবনে আর কিছু হবেনা,, আমরা যদি একজন পজিটিভ মানুষ হই তাহলে এ সব নেগেটিভ চিন্তা কখনো করবোনা কারন একটা উদ্যোগ সফল হয়নি তো কি হয়েছে আরেক টা চেষ্টা করবো সফল হওয়া পর্যন্ত লেগে থাকবেন,, ইনশাআল্লাহ।______
এই _ফাউন্ডেশন_ থেকে _যা _পেয়েছি_________
১. উদ্যোক্তা হবার মানসিক প্রস্তুতি ও অনুপ্রেরণা তা শিখেছি ।
২. স্বপ্ন দেখা এবং কিভাবে বাস্তবায়ন করতে হয় প্রতিটি ধাপে তা শিখেছি ।
৩. কিভাবে বিজনেস শুরু করতে হয় এবং বিজনেস শুরু করতে কি কি লাগে তার শিখেছি ।
৪. বিজনেস এর আইডিয়া ও খুব অল্প পুজিতে কি বিজনেস শুরু করা যায় তা শিখেছি।
৫. বিজনেস করতে মে মূলধন লাগে সেটা কিভাবে জোগাড় করতে হয় সেটা শিখেছি।
৬. স্বপ্ন দেখুন সাহস করুন শুরু করুন এবং লেগে থাকুন এগুলো নিজের জীবনের বাস্তবায়ন করা শুরু করে দিয়েছি ।
৭. আমার প্রোডাক্ট কিনবো কার কাছে উৎপাদন করব কোথা থেকে আমার কাস্টমার কারা হবে এবং বিক্রয় করব কার কাছে এসব আইডিয়া শিখেছি এই প্লাটফর্ম থেকে।
৮. মার্কেটিং প্লান এবং নেটওয়ার্কিং সেলস স্কেল মূলধন বৃদ্ধি শেয়ারিং ও কেয়ারিং এগুলো কিভাবে করব তা-ও শিখেছি ।
৯. এবং আমি কিভাবে একজন ভালো মানুষ হবো সেই চর্চা তা-ও শিখেছি এ প্লাটফর্ম থেকে।
১০. সামাজিক ও মানবিক কাজ ও ভলান্টিয়ারিং ইত্যাদি শিখেছি ।
১১. বিজনেস কিভাবে চালাবো তার দক্ষতা ।
১২. আমি তো আগে ঠিক ভাবে কথা বলতে পারছিলাম না এই প্লাটফর্মে এসে আমার মুখের জড়তা কেটে গেছে।
১৩. লিডারশিপ স্কেল শিখেছি ।
১৪. কমিউনিকেশান স্কিলস শিখেছি ।
১৫. উদ্যোক্তা জন্য বেসিক একাউন্টিং স্কিলস ।
__কষ্ট করে আমার লেখাটি পড়ার জন্য সকলের প্রতি অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই আশা করি সব সময় ভালোবেসে পাশে থাকবেন এবং আমাকেও পাশে রাখবেন________
📌"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৬৬৭
Date:- ০৬ & ০৭/১১/২০২১ইং
নাম__ আফরিন ক্ণা
ব্যাচ: __১৫
রেজিষ্ট্রেশন : __৭৩০৬৮
ব্লাড : গ্রুও___O+
নিজ জেলা: নরসিংদী সদর
পেজ লিংকঃ__https://www.facebook.com/konarRosuighor/