আমি ও আমার জীবনের কিছু গল্প
☘️☘️☘️বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম ☘️☘️☘️
🥀🥀পরম করুনাময় আল্লাহর নামে শুরু করছি🥀🥀
আমি সর্বপ্রথমে শুরুতেই শুকরিয়া আদায় করছি সেই মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে যিনি আমাদেরকে এত সুন্দর করে এত সুন্দর একটি পৃথিবীতে আমাদের কে পাঠিয়েছেন ।
সর্বপ্রথম কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমাদের সবার প্রিয় ভালবাসার মানুষ নিজের বলার মতো একটি গল্প ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের প্রতি যিনি আমাদের কে এতো সুন্দর একটি প্ল্যাটফর্ম উপহার দিয়েছেন ।
যেই প্ল্যাটফর্ম এর মাধ্যমে আমরা প্রতি দিন স্যারের শিক্ষা আমাদের জীবনে ধারণ করে ভালো মানুষ হওয়ার পাশাপাশি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারছি ।
🛑🛑 নিজের সংক্ষিপ্ত পরিচয়ঃ 🛑🛑
আমি মোঃ আফসার উদ্দিন । ঢাকা জেলার একজন গর্বিত সন্তান । আমার বর্তমান অবস্থান ঢাকা বংশাল
লালবাগ জোনের সাথে যুক্ত আছি । আমার পরিচয় দিতে গেলে আমি এখন একজন উদ্যোক্তা ।
আমার সুখ বা আনন্দের বেশকিছু স্মৃতি রয়েছে। কিন্তু কোনটি যে সবচেয়ে আনন্দময় দিন সেটা মনে করা কঠিন। শুনেছি সুখের স্মৃতি নাকি বেশিদিন মনে থাকেনা। সময়ের সাথে সাথে ঝাপসা হতে থাকে থাকে। আমার বেলায় হয়তো তাই হয়েছে।
কখনো কখনো আবার অন্য চিন্তাও আসে মাথায়। মনে হয় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে আনন্দময় কোন দিনের সম্মুখীন হইনি।এমনটা ভাবা অস্বাভাবিক কিনা জানিনা। এখনো ভাবনায় চলে এলো এটা। মানুষ তো তাই হয়তো অল্পতে সন্তুষ্ট হতে পারিনা।তাই ভাল মানুষ হাওয়ার চেষ্টা করছি। যাতে অল্পতে শুকরিয়া করতে পারি। কেউ এমন একটা প্রশ্ন করলে যেন ভালভাবে উত্তর প্রদান করতে পারি
👉আজ আমি আমার জীবনের কিছু গল্প শেয়ার করবো👈
❤️💜আমার বাবা💜❤️
বাবাকে নিয়ে কি লিখবো আর কি লিখবো না সেটাই ভেবে পাচ্ছি না।অতো ভালো লিখতে পারি না। তবুও বাবাকে নিয়ে কিছু লিখার চেষ্টা।
আমার বাবা পেশায় একজন ব্যাংকার।বাবাই আমার আদর্শ।
ছোটবেলায় যখন সন্ধ্যা হলে পড়তে বসতাম তখন বাবা বলতো জোড়ে জোড়ে পড়, আমি আশপাশেই আছি, কোথাও ভুল হলে ঠিক করে দিবো। জোড়ে পড়লে সহজে ঘুম আসবে না আর পড়াও তাড়াতাড়ি মুখস্থ হবে।আমাদের বাসায় তখন কারেন্ট ছিলো না।তাই গরম কালে যতক্ষণ পড়তাম বাবা ঠিক ততক্ষণ পাশে বসে হাতপাখা দিয়ে বাতাস করতো, আর বলতো পড়রে বাবা পড়, অনেক বড় হতে হবে তো।মানুষের মতো মানুষ হতে হবে।তখন বুঝতাম না তাই বলতাম মানুষ তো এমনি আছি পড়ে আবার মানুষ হয় কেমনে।
বাবা মুচকি হেসে বলতো বড় হলে বুঝবি।পরীক্ষার সময় আমার চাইতে আমার বাবার টেনশন হতো বেশী, সেটা এখনও হয়। স্কুলে পরীক্ষা দিয়ে এসে আবার বাবার কাছেও পরীক্ষা দিতে হতো, কতটা পেড়েছি সেটা বাবা এভাবেই পরখ করতেন। কখনো ভুল করলে বাবা যদি মারতেন তাহলে মারার পর নিজেই জড়িয়ে ধরে কান্না করতেন আর বলতেন কেনো এমন করছ, তোদের মারলে যে আমিই বেশী কষ্ট পাই।
যতক্ষণ পড়তাম রাতে বাবা ঠিক ততক্ষণ এই আমার পাশে বসে থাকতেন।কখনো আমার আগে ঘুমাতে যেতো না।এমনকি এসএসসি, এইচএসএসি পরীক্ষার সময়ও বাবা না যতক্ষণ জেগে থেকেছি ঠিক ততক্ষণ আমার পাশে বসে থাকতেন, কখনো টিভি দেখতেন আবার কখনো বা নিজের রুম আর আমার রুমে পায়চারী করতেন।যদি বলতাম ঘুমিয়ে পড়ো গিয়ে তুমি, তখন বলতো তোর পড়া শেষ কর তারপর একসাথে ঘুমাবো।আমি কখনো পরীক্ষা দিয়ে আসার পর বইয়ের সাথে উত্তর মিলিয়ে দেখিনি, এই কাজটা বাবাই করতো সবসময়, পরীক্ষা দিয়ে আসার পর বই আর প্রশ্ন নিয়ে লেগে যেতেন উত্তর মিলানোর কাজে।স্কুল থেকে ফেরার পথে বৃষ্টি হলে বাবাকে দেখতাম একটা ছাতা মাথায় ধরে আরেকটা ছাতা হাতে নিয়ে এগিয়ে আসছেন আমাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য।পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার সময় দেখতাম বাবা মাঝ রাস্তায় আমার অপেক্ষায় আকুল হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। কাছে আসতেই পরীক্ষা কেমন হলো? কমন আসছিলো তো? সব ঠিকঠাক দিয়েছিস তো?
অনার্স প্রায় শেষের দিকে এখনও আমার বাবা এই কাজটা করেন।কখনো বাবা বাসায় না থাকলে আমার ফেরার একটা নির্দিষ্ট সময় বুঝে মায়ের ফোনে কল দিয়ে খবর নিবে পরীক্ষা কেমন হলো। সব দিতে পারছি কীনা, কত পাবো? অথচ নিজেই কিছুক্ষণ পর এসে সব জানতে পারবে এমনিতেই, কিন্ত এই যে টেনশন।
বাবাকে ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি বাহির থেকে বাড়ি ফেরার পর আমাদের ভাই -বোনদের সামনে দেখতে না পেলেই মায়ের কাছে জিজ্ঞেস করবে আমরা কে কোথায় আছি?আমরা ভাই বোনেরাও বাড়ি ফিরে বাবাকে দেখতে না পেলেই মা কে জিজ্ঞেস করি আব্বা কই, এখনও আসে নি।আমার বাবা সবসময় কিছু কথা বলতেন ( উপদেশ)
#কাউকে করে রাখো নয়তো কারো হয়ে থাকো
#কঠিন পরিস্থিতিতেও সত্য কথা বলবে
#কখনো কাওকে ছোট করে কথা বলবে না
#যে যত খারাপ ব্যবহারই করুক না কেনো সবসময় তুমি তার সাথে উত্তম ব্যবহার করবে
#রাগের সময় চুপ থাকবা।
বাবাকে নিয়ে লিখার অনেক কিছুই আছে। এটুকুতেই সমাপ্ত।
😢😢বাবার সাথে অভিমান😢😢
একদিন রাগ করেই ঘর থেকে বেরিয়ে গেছিলাম, সেদিন আমি এতটাই রেগেছিলাম,,, যে বাবার জুতোটাই পড়েই বেড়িয়ে এসেছি।
” তুমি যদি বাইক টাই ছেলেকে কিনে না দিতে পারো , তাহলে ছেলেকে আবার ব্যাংকার বানানোর স্বপ্ন কেন দেখো ?”
তখনি হঠাৎ করে মনে হয়েছিলো আমার পায়ে কিছু একটা লাগছে। আমি আমার পায়ের জুতোটা খুলে দেখি একটা পিন উঠে আছে। পা দিয়ে একটু রক্ত ও বেরতে লাগলো, তবুও আমি না থেমে চলতে লাগলাম।রাগের কারনে রাস্তায় কোনো কিছু না দেখে হাটছি, হটাৎ পা টা আমার কেমন যেন ভিজে ভিজে লাগলো,নিচের দিকে তাকিয়ে দেখি রাস্তায় পানি
একটু তাকিয়ে থেকে পা তুলে দেখি জুতোর নিচটা পুরো নষ্ট হয়ে গেছে। হাটতে হাটতে বাসস্ট্যান্ডে এসে শুনলাম একঘন্টা পরে বাস আসবে। আমি বসে রইলাম। হঠাৎ বাবার মানি ব্যাগটার কথা মনে পড়ে গেলো যেটা আমি বাসা থেকে বের হবার সময় সঙ্গে করে নিয়ে এসেছিলাম। বাবা এই মানি ব্যাগটায় কাউকে হাত দিতে দেয় না, এমনকি মাকেও না।
ব্যাগটা খুলতেই তিনটা কাগজ, পেলাম। প্রথম কাগজটা তে লিখা আছে ল্যাপটপের জন্য লোন চল্লিশ হাজার টাকা।
কিন্তু আমর তো একটা ল্যাপটপ আছে, পুরাতন বটে। দ্বিতীয় কাগজটা ছিলো ডাঃপ্রো প্রেসক্রিপশন। এতে লিখা আছে নতুন জুতো ব্যবহার করবেন। মা যখনি বাবাকে জুতো কেনার কথা বলতো বাবার উত্তর দিতেন আরে এটা এখনো ছয়মাস চলে যাবে। আমি তাড়াতাড়ি করে শেষ কাগজটা খুললাম , এতে লিখা ছিল পুরাতন স্কুটার বদলে নতুন বাইক নিন লেখা শোরুমের কাগজ।
💜❤️আমার বাবার স্কুটার!!❤️💜
আমি বুঝতে পেরেই বাড়ির দিকে দৌড়িয়ে গিয়েছিলাম। তখন আর জুতোটার পিনটা পায়ে লাগে নাই। দৌড়াতে দৌড়াতে বাড়ি গিয়ে দেখলাম বাবা বাড়িতে নেই, জানি কোথায় গেছে বাবা। একাদৌড়ে সেই শোরুমটায় গিয়ে দেখলাম বাবা স্কুটারটা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আমি ছুটে গিয়ে বাবাকে জড়িয়ে ধরলাম। কাঁদতে কাঁদতে বাবার কাঁধটা ভিজিয়ে ফেললাম আর বাবাকে বললাম যে, বাবা আমার বাইক চাই না, তুমি তোমার নতুন জুতোটা আগে কেনো বাবা,,আমি ব্যাংকার হবো,কিন্তু বাবা তোমার মতো করে।
“মা হলো এমন একটা ব্যাংক,যেখানে আমরা ছেলেরা আমাদের সব রাগ, অভিমান, কষ্ট দুঃখ জমা রাখতে পারি।।”আর বাবারা হলো এমন একটা ক্রেডিট কার্ড, যেটা দিয়ে আমরা পৃথিবীর সমস্ত সুখ কিনে নিতে পারি, কিন্তু তা আমাদের কখনো পরিশোধ করতে হয় না ।
❤️💜আমার মা💜❤️
আমার মা। মাকে আমি ভালোবাসি। আমার জন্য কত কষ্টই না তুমি করেছো মা। মনে পড়ে এক রাতের ঘটনা। তখন আমি ক্লাস থ্রি কি ফোরে পড়ি। আমার কি জ্বরটাই না হল সে রাতে। সারাটা রাত আমি জ্বরে কাতরাচ্ছিলাম। ঘরে জ্বরের ঔষধ ছিল না। দোকান পাটও অত রাতে বন্ধ হয়ে গেছে। মা আমার মাথা ধুইয়ে দিলেন। সারাটা রাত আমার সাথে জেগে রইলেন। সারাদিন পরিশ্রমের পর যে কোন ব্যাক্তিরই ঘুমে চোখ জড়িয়ে আসার কথা। অথচ মায়ের চোখ থেকে ঘুম যে ছুটে কোথায় গেল। কি যেন একটা উৎকন্ঠা মায়ের মুখকে এতটুকু করে দিয়েছিল। এমন কত রাত যে মা আমার না ঘুমিয়ে কাটিয়ে দিয়েছেন তার কি হিসেব আছে। আমি যখন কোলে ছিলাম । যে বয়সের স্মৃতি আমার একটুও মনে নেই। কতবার যে ক্ষুধায় কেদে উঠেছি। মা আমার ঠিকই বুঝে যেতেন। সেই মাকে আমি কিই বা দিতে পেড়েছি।
এই বেশীদিন আগের ঘটনা নয়। এক রাতে হঠাৎ জেগে দেখি মা আমার জায়নামাজে বসে আল্লাহর কাছে দুহাত তুলে কাঁদছেন। একজন মা তার সন্তান ও পরিবার ছাড়া কার জন্যই বা দোয়া করতে পারে। ভেবে আমার চোখেও জল এসে গিয়েছিল।মা আমাকে মাঝে মাঝে বকা দেন। আমি যখন পড়ায় ফাকি দিতেন বা যখন একটু বেশী দুষ্টুমি করতাম। সহসা কিছুটা মন খারাপ হয় কিন্তু আমি জানি মা আমার ভালোর জন্যই তিনি বকেন। আমাকে পড়তে বলেন সে তো আমার ভবিষ্যতের জন্যই। নি:স্বার্থ মা আমার।
মা গো জানি অনেক সময় অনেক কষ্ট দেই ক্ষমা চাওয়া ছাড়া আর কিছু নেই মা । তোমার এই ঋন কোনদিন শোধ করতে পারবো না মা । দোয়া করি মা তুমি অনেক দিন বেঁচে থাকো। দুনিয়ার সব মা দের বাচিয়ে রাখুক ।
👉👉👉আমার ঘুরে দাড়ানোর গল্প👈👈👈
হঠাৎ করে আমার বাবার চাকরি টা চলে যায় তারপর নেমে আসে আমাদের পরিবারের একটা হতাশার ছোঁয়া। তখন আমি অনার্স এর শিক্ষার্থী । তখন আমি আর লেখা পড়া করি না ছোট ভাই এর পড়াশোনা এবং পরিবারের হাল ধরার চেষ্টা করি আমি । শুরুতেই অনেক বাধা আসে কোন চাকরি পাইনি অনেক ঘুরেছি মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়েছি । তবুও হাল ছাড়িনি যখন কোন কিছুই পাচ্ছিলাম না তখন আমার একটাই পথ খুঁজে নিলাম টিউশন । বাসায় গিয়ে ছাত্র ছাত্রী পড়াতাম এভাবে করে টিউশন এর টাকা দিয়ে কোন মত আমি পরিবার কে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলাম। তারপর হঠাৎ করে ছাত্রের বাবা আমাকে তার দোকানে একটা চাকরি দিলো সেখান থেকে ভালোই বেতন পেতাম সেই বেতন থেকে সব কিছু হয়ে যা থাকতো সেগুলো জমিয়ে রাখি ভবিষ্যতে কিছু করার জন্য কারণ আমার ছোটবেলা থেকেই উদ্যোক্তা হওয়ার চিন্তা কাজ করতো অনেক অনেক সফল উদ্যোক্তা দের ভিডিও দেখতাম গল্প শুনতাম ।
একদিন আমার জীবন থেকে আমার সেই চাকরি টাও চলে যায় তারপর অনেক ডিপ্রেশন কাজ করে নিজের মনের ভেতরে ।
ফ্রেব্রুয়ারিতে আমার ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হয়। মার্চ মাসে যখন করোনার প্রকোপ বেড়ে যায়, তখন চারটি পরীক্ষা স্থগিত রেখে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। ওই সময়টাতে আমার বাবা আমাকে বলতেন, তুমি ঘরে বসে কাজ করা যায় এমন কিছু একটা চিন্তা করো। কিন্তু সেই সময়টাতে আমার মন-মানসিকতা এতটাই দুর্বল ছিল যে, আমি কিছু ভাবতে পারছিলামনা। তখন আমার একজন শিক্ষকের কথা মনে পড়ে যায়- তিনি ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার। যিনি সবসময় বলতেন,
🏵️🏵️সপ্ন দেখুন🏵️🏵️
🏵️🏵️সাহস করুন🏵️🏵️
🏵️🏵️শুরু করুন 🏵️🏵️
🥀🥀এবং 🥀🥀
🏵️🏵️লেগে থাকুন🏵️🏵️
🏵️🏵️সফলতা আসবেই 🏵️🏵️
🥀🥀🏵️🏵️ইনশা-আল্লাহ🏵️🏵️🥀🥀
স্যারের এই উক্তি আমার মনোবলকে জাগিয়ে তোলে।
কিন্তু অনলাইনে কিভাবে শুরু করবো বুঝতে পারছিলাম না। সেই মূহূর্তে আরও একজন শিক্ষকের দেখা পাই। রাজীব আহমেদ স্যার। যিনি বলেন, পার্সোনাল ব্রান্ডিং-এর দিকে গুরুত্ব দিতে। স্যারের কথা অনুযায়ী, আমার মনে হলো যে- আমার আগে নিজেকে ব্রান্ডিং করতে হবে। আমার ফেসবুক ফ্রেন্ডরা সবাই যেহেতু আমার পরিচিত ছিলেন, সেক্ষেত্রে আমি নতুন করে আবার সবার সাথে পরিচিত হওয়া শুরু করলাম। আমার আত্মীয়-স্বজন এবং বন্ধু- বান্ধবদের সাথে যোগাযোগ বাড়িয়ে দিলাম। তারপর একদিন আমার একজন ফেসবুক ফ্রেন্ড আমাকে নক করলেন কিছু পারফিউম কেনার জন্য। কারণ উনি জানতেন আমার নিজের একটা অনলাইন শপ আছে।
আমার কাছে যেহেতু পারফিউম কালেকশন ছিল না, তাই আমি আমার একজন ফ্রেন্ড-এর কিছু পারফিউম কালেকশন উনাকে দেখাই। তো উনি সেখান থেকে দুই হাজার টাকার আরব সিরিজের কিছু পারফিউম এবং কিছু মিষ্টি সুগন্ধি জাতীয় পারফিউম অর্ডার করেন। তো অর্ডারটা আমার ফ্রেন্ড কে কনফার্ম করার পর সে ওগুলো পাঠিয়ে দেয়। পারফিউম হাতে পেয়ে আমার সেই কাস্টমার ফ্রেন্ড অনেক খুশি হন। আর সেই অর্ডার থেকে আমার লাভ ছিল মাত্র ৮০ টাকা। কিন্তু আনন্দ ছিল এতো বেশি যে, আমার মনে হয়েছিল- আমি কোটি টাকা হাতে পেয়েছি। কারণ উনি আমার প্রথম অনলাইন কাস্টমার ছিলেন। আর তখন যেহেতু আমি ঘুরে দাঁড়ানোর পথ খুঁজছিলাম।
তখন আমি আমার এক বন্ধুর পরামর্শ অনুযায়ী একটা পার্সোনাল গ্রুপ ক্রিয়েট করি এবং আমার শপের নাম অনুযায়ী। গ্রুপের নাম দেই হ্যাভেন পারফিউম। একই নামে একটা পেইজও খুলি। পেজ এবং গ্রুপ খোলার পর পরিচিতদের থেকে ভালো সাড়া পাই ।
এছাড়াও বর্তমানে আমার এই উদ্যোগে সামিল হয়েছেন পাশের বাসার প্রতিবেশী থেকে শুরু করে আত্মীয়-স্বজন এবং বিভিন্ন সময়ের বন্ধু-বান্ধবরা। আমার এ সফলতার সবচেয়ে বড় অংশীদার আমার বাবা-মা। বাবা-মায়ের দোয়া এবং ভালোবাসা সবসময় আমাকে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে। এছাড়াও আমি এমন দুজন শিক্ষকদের সান্নিধ্য পেয়েছি যাদের প্রতিটি কথা এবং কাজ আমার ব্যক্তিগত জীবন ও ব্যবসায়িক জীবনের চিন্তাভাবনাকে বদলে দিয়েছে।
🎀🎀 ভালোবাসার প্ল্যাটফর্ম নিয়ে কিছু কথা আমার 🎀🎀
#নিজের_বলার_মত_একটা_গল্প_ফাউন্ডেশন_ এমন একটি ফাউন্ডেশন এমন একটি পাঠশালা যেখান থেকে হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ ইকবাল বাহার জাহিদ তৈরি হয়ে বের হচ্ছে অনেক সফল উদ্যোক্তা হয়ে । আমাদের প্রান প্রিয় স্যার একদিন একটা
অনলাইন মিটাআপে বলেছিলেন যে আমি যদি কোন দিন মারা যাই আমার কোন আফসোস থাকবে না কারন আমি মনে করি আমি একা এখন আর ইকবাল বাহার নই এখন আমার মত ইকবাল বাহার হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ ইকবাল বাহার আপনারা তৈরি হয়ে গেছেন ।
তাই আমি বলবো এই ফাউন্ডেশন শুধু একটি ফাউন্ডেশন নয় এটি এমন একটি পাঠশালা যেখান থেকে টানা ৯০ দিন এর সেশন চর্চা ক্লাস বুকে ধারন করে হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছেন । একদিন ইনশা-আল্লাহ বেকারত্ব থাকবে না । সবাই উদ্যোক্তা হবে আর সেই দিনটি বেশি দূর নয় ।
বেকার মুক্ত দেশ হয়ে যাবে ইনশা-আল্লাহ । বেকারত্বের হার কমে আসবে একদিন ইনশা-আল্লাহ ।
স্যারের একটি উক্তি বলতে চাই-
🥀🥀বৃষ্টি পড়ে সবার জন্য🥀🥀
🥀🥀ভিজে কেউ কেউ"🥀🥀
🌀🌀🌀উপসংহার🌀🌀🌀
সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ কষ্ট করে ধৈর্য নিয়ে আমার গল্পটা পড়ার জন্য
আমার জন্য সবাই বেশি বেশি করে দোয়া করবেন আমি যেন সব সময় এই ফাউন্ডেশনের সাথে লেগে থাকতে পারি ।
📌"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৬৬৭
Date:- ০৬ & ০৭/১১/২০২১ইং
♦️মোঃ আফসার উদ্দিন
♦️ব্যাচঃ ১৫
♦️রেজিষ্ট্রেশনঃ ৭১৫০২
♦️জেলাঃ ঢাকা
♦️বর্তমান অবস্থানঃ বংশাল, লালবাগ জোন
♦️কাজ করছি আতর পারফিউম নিয়ে