ছোট বেলা থেকে প্রবল ইচ্ছে ছিল আমাদের দেশটা ঘুরে দেখার
☘️☘️☘️বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম ☘️☘️☘️
🥀🌷🥀✳️#আসসালামু_আলাইকুম ✳️🥀🌷🥀
💎💎সর্ব প্রথম কৃতজ্ঞতা জানাই মহান আল্লাহ্ পাকের প্রতি যিনি আমাকে ১৮ হাজার মাখলুকাতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ মাখলুকাত মানুষ হিসেবে সৃষ্টি করেছেন।
তার সাথে আরও কৃতজ্ঞতা জানাই শ্রেষ্ঠ ও শেষ নবীর উম্মত হিসেবে সৃষ্টি করেছেন আমাকে, আলহামদুলিল্লাহ।
💎💎আমি কৃতজ্ঞতা জানাই আমার মরহুম পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রতি যিনি আমার, আমার পরিবার ও দেশের গর্ব। সেই সাথে আমার গর্ব ধারিনী মা যিনি প্রতিনিয়ত জায়নামাজে বসে আমাদের জন্য কান্না করেন আল্লাহর দরবারে নেক হায়াত ও সুস্থতার জন্য।
🇧🇩🇧🇩সেই সাথে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমাদের সবার প্রিয় মেন্টর, ২১ শতকের শ্রেষ্ঠ আবিষ্কার, আল্লাহ পাকের দেয়া বাংলাদেশের স্বাধীনতা রক্ষাকারী শ্রেষ্ঠ পুরুষ, আমাদের দেশ সহ ৫০টি দেশের ভাল মানুষের চর্চাধারী ৫ লাখ মানুষের নয়নের মনি ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের প্রতি। আমাদের প্রিয় স্যারের অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে পেয়েছি আমরা এই বিশাল বড় পরিবার তথা ফাউন্ডেশন।✳️✳️✳️
যাইহোক আর কথা না বাড়াই, আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো আমার এই ছোট্ট জীবনের কিছু সুখ দুঃখের কথা।
💎💎💎💎আমার_জীবনের_গল্প 💎💎💎💎
আমি কখনো নিজের জীবনের গল্প বলার সুযোগ পাইনি, এই ফাউন্ডেশনের সুবাদে আজ বলছি।
ছোট ছোট পয়েন্টে আমার জীবন গল্পঃ-
☘️🥀☘️🥀পরিবার🌿🥀🌿🥀
আমার বাবা মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ আলম শিকদার। এখন মা ও বড় ভাই সহ দুই বোন আছি আমরা। বড় ভাই পুলিশ কন্সটেবল, ছোট দুই বোন বিয়ে হয়ে গেছে, শশুর বাড়ি। এবং আমার একমাত্র স্ত্রী সাথে একটা ফুট ফুটে ছেলে আল্লাহ্ পাক দান করেছেন আলহামদুলিল্লাহ। এই হচ্ছে আমার পরিবার।
🌿🥀🌿🥀#আমার_পিতা🌿🥀🌿🥀
আল্লাহ পাক যেন আমার পিতার কবর কে জান্নাতের বাগান বানিয়ে দেন।প্রতিটি পিতাই সবার জন্য বটবৃক্ষ তবে আমার পিতা একটু ভিন্ন ছিল আমর ছোট বেলা বাবা ঢাকা ছিল মাঝে মাঝে বাড়িতে আসত তাই শাসন করত না। তবে বাবার একটা শিক্ষা ছিল উপদেশ ছিল⚡
🥀🌴কখনো শিক্ষা গুরুর সাথে বেয়াদবি করবে না🌴🥀
আল্লাহর রহমতে বাবার সেই আদেশ টি এখনো মেনে চলি এবং সারাজীবন মেনে চলব ইনশাআল্লাহ। আমার বাবা ছিলেন আমার ও আমার পরিবারের মধ্যে বন্ধুর মতো এবং আমার অনেক বন্ধুরা মাঝে মাঝে আমার বাসা ও বাবার অফিসেও যেতেন বাবার সাথে একটু দেখা করার জন্য। আমার সেই বাবা ১৬ মাস ১৬ দিন যাবত আমাদের মাঝে নেই। আমার বীর মুক্তিযোদ্ধা,সহজ সরল বাবার জন্য সবাই দোয়া করবেন যেন বাবার কবর কে আল্লাহ পাক জান্নাতের বাগান বানিয়ে দেন।
🌿🥀🌴#আমার_মা🌿🥀🌴
একমাত্র মায়ের ভালোবাসা ছাড়া।
এই পৃথিবীতে ফ্রী তে কিছু পাওয়া যায় না।
মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত কি এক মধুর কথা মা বার বার জীবনের ঝুকি নিয়ে আমাদের কে রক্ষা করেন আবার আমাদের কে বেহেশত দান করেন, আলহামদুলিল্লাহ।
💠#আমার_মা_যখন জীবন যোদ্ধা⚡আমি যখন মায়ের গর্ভে আসি তখন থেকে ১০ মাস ১০ দিন প্রতি নিয়ত মাকে কষ্ট দিয়েছি এবং আমাকে যখন এই পৃথিবীর আলো দেখানোর জন্য তৈরি হন তখন তার জীবন বাজি রেখে তৈরি হন তাই আমার মা একজন জীবন যোদ্ধা।
💠#আমার_মা_একজন ডাক্তার➕ আমরা ছোট বেলায় যখন বিছানায় হিসু করে দিতাম সেখান থেকে মা সরিয়ে আমাকে শুকনো জায়গায় রাখত, কারন মা জানত ভিজে জায়গায় থাকলে আমার নিউমোনিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকত, জ্ব্রর আসলে সারারাত মাথায় পানি দিত আর গা মুছিয়ে দিত তাতে করে আমি সুস্থ হয়ে যেতাম।
💠#মা_আমার_সেরা_শিক্ষক👩🏫 আমাদের কথা বলা শিখা থেকে বিদ্যালয়ে যাওয়ার আগে পর্যন্ত অনেক সময় থাকে সেই সময়ে মা আমাকে আরবি, বাংলা, ইংরেজি শিক্ষা দিয়েছেন।আমার শিক্ষার হাতে খরি আমার মায়ের কাছে তাই পৃথিবীতে মা হল সেরা শিক্ষক।
🌿🥀🌴#প্রিয়_বড়_ভাই🌴🥀🌿
কথায় আছে, ভাই বড় ধন রক্তের বাধন, যদিও পৃথক হয় নারীর কারনে।
আলহামদুলিল্লাহ আমাদের ভাইয়ের বাধন রয়েছে অটুট। আমার বড় ভাই ছোট বেলা থেকেই ছিল অলস প্রকৃতির, তাই ভাইয়া ও আমার কাজ, প্রায় আমাকেই করতে হইত। আলহামদুলিল্লাহ আমার ভাই একজন সত্যবাদি পুরুষ তাই পুলিশের চাকরি করার সুবাধে কখনো ঘুষের টাকা আমাদের খেতে হয় নাই, আলহামদুলিল্লাহ।
তবে আমার ভাইয়ের মানষিক সমস্যা থাকার কারনে সেই ছোট বেলা থেকে সাফারিং করছি প্রতি নিয়ত। আমার ভাই যখন বেশি মাত্রায় অসুস্থ হয় গত বছর তখন বাবা খুবই ক্লান্ত ছিল ভাইয়া কে ডাক্তার দেখানোর অবস্থা ছিল না, আমি বার বার আমার অফিসে ছুটির জন্য অনুরোধ করি কাজ হয় না।শেষ পর্যন্ত চাকরি ছাড়তে বাধ্য হই এবং চাকরি ছাড়ার সাথে সাথে আমার বাবাও আমাদের ছেড়ে চলে যান আসল ঠিকানায় এই বিশাল দুনিয়া ছেড়ে।
রেখে যান আমার মা,অসুস্থ ভাই ও বোনদের, আলহামদুলিল্লাহ বাবার আদর্শ বুকে নিয়ে মা, ভাই বোন-ভগ্নিপতি ও পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভাল আছি।
বি.দ্রঃ আমার ছোট বোন ও আমার স্ত্রী আমাদের এই প্রিয় প্লাটফর্ম এর সদস্য।❣️❣️
🍀🥀🍀🥀শিশু কাল🌿🥀🌿🥀
আমাদের শিশুকাল ছিল অনেক স্বচ্ছ ও সুন্দর। ঘুম থেকে উঠে মসজিদ, মসজিদ থেকে এসে স্কুল। তার পর সারাদিন খেলাধুলা, সন্ধ্যা হলে পড়তে বসা, নানা বাড়ি কাছে থাকায় মাঝে মাঝে পালিয়ে চলে যেতাম নানা বাড়ি।
যেটা আমার জীবনের জন্য অনেক ক্ষতিকর ছিল। তারপরও কিছু কিছু কথা ভুলার নয়, শীতের সকাল ঘুম থেকে উঠে লুংগির ভিতরে করে মুড়ি নিয়ে মসজিদে যেতাম আর মুড়ি খেতাম, আরবি পড়তাম আর মুড়ি খেতাম কি মজা, কতক্ষনে মসজিদের পড়া শেষ হবে বাসায় আসব পোয়া মাছ আর সীম দিয়ে পাকানো তড়কারি সাথে ঠান্ডা ভাত নিয়ে রৌদে বসে খাব ইয়াম্মি ইয়াম্মি।
আমাদের বাড়ির পাশে অনেক হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষজন থাকে দূর্গা পূজায় প্রচুর মানুষ হইত, আমরা ও যেতাম, সবাই আগে থেকে বলে রাখতাম হুজুর যাতে না যানে কিন্তু মজার বিষয় যদি কেউ পড়া না পাড়ার কারনেও মার খেত তাহলে একজনের নাম বলে দিত আর সেই এক থেকে শুরু করে সবাই মার খেতাম তখন কষ্ট লাগলেও এখন খুব মনে পড়ে। আমাদের সারাদিন পড়ার টাইম না থাকলেও খেলার টাইম সিডিউল করা থাকত।
🔆হাডুডু খেলা।
🔆পুকুরে নেমে বোম বাস্টিং।
🔆চোখ পলান্তি।
🔆বিকেলে স্কুল থেকে এসে গোল্লাছুট,
🔆দারিয়া বান্ধা।
🔆স্ক্রু বাই বল্টু।
🔆কানা মাছি।
🔆ফুটবল ত আছেই।
🍀🥀🍀🥀পড়াশোনা🌴🥀🌴🥀
📀শুরু**প্রথম শুরু করি ৩৯নং পূর্ব সিড্যা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ১ বছর পরার পরে চলে আসি ঢাকা ১৯৯০ সালে এসে ভর্তি হই হাজারীবাগ গজ মহল প্রাইমারি স্কুলে আলহামদুলিল্লাহ ১ বছর পরে আবার চলে যাই গ্রামে ভর্তি হই ৩৯নং পূর্ব সিড্যা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। আলহামদুলিল্লাহ পড়াশোনা ভালই চলছে ৫ম শ্রেনি পাশ করে দারুল আমান উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হই নতুন বিদ্যালয় লাজুক প্রকৃতি ভাব নিয়ে ক্লাস করতেছি ইংরেজিতে দুর্বল হওয়ার কারনে একটু ভয় পাই, তারপর ও ক্লাসে নিয়মিত। হাটি হাটি পা পা করে ফাইনাল পরীক্ষা আসল ১১ টি পরীক্ষার মধ্যে ৬টি পরীক্ষা দিতে পেরেছি অসুস্থ থাকার কারনে বাকি ৫টি দিতে পারি নাই, স্যার দের সাথে দায়ীত্ব নিয়ে কেউ কথাও বলে না। আবার সিক্সে থাকতে হবে এই চিন্তা পাশাপাশি মায়ের ইচ্ছে ছিল মাদ্রাসায় পড়াবে তাই ভর্তি হলাম মাদ্রাসায় কিন্তু এক বছরে মাত্র ২ দিন ক্লাস করার পরে প্রথম সাময়ীক পরীক্ষা, কখন যে শেষ হল প্রথম সাময়িক জানিই না কারন ক্লাশ না করে শুধু সিনেমা দেখতাম। এভাবে মাদ্রাসা শেষ করে পরের বছর এসে দারুল আমান উচ্চ বিদ্যালয়ে আবার ভর্তি হই ক্লাস ৭ম শ্রেনিতে এক বছর পড়া শেষ করে আবার ঢাকা চলে আসি এয়ারপোর্টে এসে মোল্লারটেক উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হই ৮ম শ্রেনিতে "গ" শাখায় নতুন ভর্তি ৯ম শ্রেনীতে উঠে একেবারে "ক" শাখায় চলে আসি আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু "ক" শাখায় এসেও শেষ রক্ষা হল না।
গ্রুপ সিলেক্ট করতে গিয়ে বন্ধু দের সাথে
😍বিজ্ঞান বিভাগ😍 সিলেক্ট করে কিছু বুজতে না পেরে আবার সেই অমনোযোগী পড়াশোনা। পড়াশোনা বাদ দিয়ে সিনেমা দেখি আর ঘুড়ে বেরাই ইত্যাদি ইত্যাদি।
ছেলেবেলা থেকেই আমার পড়াশোনা তেমন একটা ভাল লাগত না তবে ছাত্র হিসেবে খারাপ ছিলাম না আলহামদুলিল্লাহ্।
ছোটবেলায় আমার প্রায়ই একটা না একটা অসুখ লেগেই থাকতো যার কারণে বেশিরভাগ সময়ই পরীক্ষা সঠিকভাবে দিতে পারতাম না। নিয়মিত ক্লাস করতে পারতাম না যার ফলে পড়াশোনাতেও অনেক সমস্যা হতো। একপর্যায়ে অল্প বয়সে খারাপ ছেলেদের সাথে আড্ডা ও বন্ধুত্ব হয়ে যায়।
বাবা-মা অনেক চিন্তায় পরে যায়।
তখন আমরা সবাই ছোট, আব্বুর একার আয়ে আমাদের সংসার চলতো। তাঁর এই কষ্ট দেখে নিজের পড়তে ভাল লাগত না আর, শুধু মনে হতো কাজ করে সংসারে সহযোগিতা করি, সেটই বোধহয় ভালো হবে। কিন্তু বাবা আমার নাছোর বান্দা ছিলেন, পড়াশোনা করতেই হবে প্রয়োজনে রক্ত বিক্রি করে টাকা দিবে! যাইহোক এভাবে চলতে চলতে খোঁজ পেলাম ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টারের যেখানে কাজ ও পড়া এক সাথে। রাজি হলাম এবং ভর্তি হলাম "বাংলাদেশ জার্মান টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার " মিরপুর-২ য়ে। এটা ছিলো সরকারি প্রতিষ্ঠান।
ভর্তির দিন আমার আব্বু আমার জন্য অনেক কষ্ট করেছিলো, যেটা আমার আজও মনে আছে।
তারপর ক্লাশ শুরু করি। এবং পরে ক্যাপ্টেন হয়ে খুব ভালোভাবে পরিচালনা করে ওখান থেকে কোর্সটি শেষ করে বের হই। এরপর ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি হবো, ৩ মাস গ্যাপ ছিলো।
ইতিমধ্যেই দুই জায়গায় চাকরির ইন্টারভিউ দিলাম, হয়ে গেলো এক জায়গায় চাকরি।
এক সপ্তাহ পরে জয়েন করলাম। এরই মাঝে কাগজ পত্র জমা দেয়া লাগবে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তির জন্য। পরে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে পেপারস জমা দিলাম আর ভাবলাম অন্য কোন জায়গায় আর যাবো না যদি নসিবে থাকে এখানেই হবে ইনশাআল্লাহ্।
আল্লাহর রহমতে অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে চান্স পাই এবং এই পর্যন্ত পড়াশোনা শেষ করে বি এস সি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের জন্য কিছু করার সাহস আর করতে পারি নাই।
🥀🌴🥀🌴ইচ্ছা বা শখ🥀🌴🥀🌴
📀 আমার ছোট বেলা থেকে প্রবল ইচ্ছে ছিল আমাদের দেশটা ঘুরে দেখার। আল্লাহর রহমতে আমি টেলিকমিউনিকেশনে চাকরি পাই যার কারণে বরিশাল ব্যাতিত প্রতিটি জেলায় ঘোরার সুযোগ পাই আমি, কোম্পানির খরচে।
আসলে যখন রাংগামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবন, নীলগিরি, টেকনাফ, সেন্টমার্টিন, স্বন্দীপ যেতাম তখন মনে হতো আমাদের দেশে এত কিছু আছে!
📀📀আমি ছাত্র জীবনে প্ল্যান করেছিলাম পড়াশোনা শেষ করার সাথে সাথে বিদেশে যাব ৫ বছর থাকব দেশে এসে বিজনেস করব বিয়ের পরে শুধু ঘুরতে বিদেশ যাবো ইনশাআল্লাহ্। এবং সেই মতো দুবাই সারজাহ এয়ারপোর্টে ইঞ্জিনিয়ারিং ভিসায় রিটেন, ভাইভা, মেডিক্যাল সব কিছু করি। এরপর মোট ২০ জনের মধ্যে আমরা ৬ বন্ধু চান্স পাই। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে, আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক মন্দা এবং আমাদের দেশের কিছু মানুষ ওখানে গিয়ে এজেন্সির নামে বদনাম করার কারনে আমাদের সম্পূর্ণ গ্রুপকেই বাদ দিয়ে দেয় আর যেতে পারি নাই।
এর পরে বিদেশ যেতে না পেরে কিছু করার চিন্তা করি এর মাঝে ইন্ডিয়ান একটা কোম্পানির অর্গানিক প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ শুরু করি, আলহামদুলিল্লাহ কিছু ডায়বেটিস ও গ্যাস্ট্রিক এর রুগি সুস্থ ও হচ্ছে বিজনেস করি এবং হেলথ এর উপরে ট্রেনিং ও করি বেশি দিন বিজনেস করতে পারলাম না কারন ইন্ডিয়ান কোম্পানি হওয়ার কারনে সঠিক ভাবে সাপ্লাই দিতে পারতেন না যার কারনে স্থায়ী হতে পারে নাই। এর পরে গ্রামে গিয়ে প্রায় ১ বছর থাকি মাগুর মাছ এর চাষ করি ও যুব উন্নয়ন এ ট্রেনিং করি।
এ এক বিশাল অভিজ্ঞতা আলহামদুলিল্লাহ। যুব উন্নয়ন এ নিয়ম ছিল প্রতিটি উপজেলা থেকে মিলিয়ে ৪০ জন থাকবে অনেক রকম লোক আসল আলহামদুলিল্লাহ শুরু করলাম এবং এখানেও ক্যাপ্টিন এর দায়ীত্ব পেলাম সে এক ভিন্ন রকম অবস্থা।
বি.দ্রঃ আমাদের আজকের এই বিশাল প্লাটফর্ম এর কবি খ্যাত #sukanto soikot ছিলেন সেই ব্যাচের ছাত্র।
একটা অভিজ্ঞতা শেয়ার করিঃ আমাদের সাথে একটা ছেলে ছিল নিরব দরিদ্র পরিবারের ছেলে Nokia 1100 মডেলের মোবাইল ব্যাবহার করতেন হঠাৎ এক জন ছাত্র নিজের প্রয়োজনে মোবাইলটা না বলে নিয়ে যায় নিরব আমার কাছে আসে জাকির ভাই আমার মোবাইল চুরি করে নিয়ে গেছে।
আমি গোসল করতে গেছি ওকে বললাম তুমি গেইটে দাড়াও কেউ বের হইলে বলবা জাকির ভাই বের হইতে না করছে সে গোসল করে আসতেছে।দুপুরের লাঞ্চ টাইম আমি তাড়াতাড়ি গোসল করে চলে আসলাম আমরা যে বিল্ডিং থাকতাম সেটা ৪ তলা ভবন, এসে কিছু বিশ্বস্ত লোক খোজে ৪ গেইটে দার করাইলাম আর কয়েক জন বিশ্বস্ত লোক নিয়ে খোজার অভিযান চালাইলাম আলহামদুলিল্লাহ খুজতে খুজতে ৩য় তলার বাথরুম এর উপরে যে ছোট একটা রুম থাকে সেদিকে তাকিয়ে দেখি মাকড়সার আশ পরিষ্কার সাথে সাথে ২ জন কে ডাকলাম বললাম উখানে হাত দাও, আলহামদুলিল্লাহ সফল হলাম নিরবের মোবাইল টা পেয়ে গেলাম সে যে কত খুশি।
এরকম বেশ কিছু ঘটনা ছিল অই ট্রেনিং এ।
ট্রেনিং শেষে মাগুর চাষ রানিং ছিল আর্থিক সমস্যা থাকার কারনে এগুতে পারি নাই, তারপরে চাকরি করলাম অবশেষে আবার উদ্ধোক্তা হলাম।
এখন ইনশাআল্লাহ্ বিজনেস করে যাচ্ছি চাকরি নয়।
দোয়া করবেন বিজনেস এর মাধ্যমে যেন মনের ক্ষুদা বিদেশে ঘুরতে যাওয়া আল্লাহ্ পাক যেন কবুল করেন।
🍀🥀🍀🥀স্বপ্ন🌿🥀🌿🥀
স্বপ্ন আমরা প্রতিটি মানুষ দেখি। কেউ ঘুমিয়ে দেখি, কেউ জেগে দেখি, কেউ তা অর্জনের জন্য দিন রাত পরিশ্রম করি, ধৈর্য ধরে সফলতা অর্জন করি আবার কেউ নিয়ম মাফিক পরিশ্রম না করে ও ধৈর্য হারা হয়ে ব্যার্থ হই।
🥀এ পি জে আবুল কালাম স্যার বলেছেন, যে স্বপ্ন ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে দেখে সেটা স্বপ্ন নয় জেগে জেগে যে স্বপ্ন দেখে সেটাই আসল স্বপ্ন।
🥀আমাদের প্রিয় মেন্টর, আমার মতে বাংলার স্বাধীনতা রক্ষায় যার ভুমিকা স্বরনীয় হয়ে থাকবে সেই ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার এর মতে, স্বপ্ন শুধু দেখলেই হবে না,
🥀স্বপ্ন দেখুন
🥀সাহস করুন
🥀শুরু করুন এবং
🥀লেগে থাকুন
🥀সফলতা আসবেই
🥀🥀🥀🥀ইনশাআল্লাহ্ 🥀🥀🥀🥀
🌴🥀🌴🥀#আমার_দুইটি_স্বপ্ন_ছিলো🌴🥀🌴🥀
📀আমার বিদেশ যাওয়া যখন বন্ধ হয়ে যায় তখন ২ বছর গ্রামে ছিলাম। তখন থেকেই দেখেছি আমাদের এলাকায় কোন কিন্ডারগার্টেন ছিলো না। অনেক বাবা-মা-ই তাদের সন্তানদের কিন্ডারগার্টেনে পড়াতে চাইতো কিন্তু আমাদের গ্রাম থেকে অনেক দূরে হওয়ায় সেটাও পারতো না। তাই তখন চিন্তা করেছিলাম, যদি আমাদের এলাকায় একটা কিন্ডারগার্টেন হয় তাহলে আমাদের এই এলাকার অনেকেই শিক্ষার দিক দিয়ে এগিয়ে যেতে পারবে খুব সহজেই। এইজন্য এলাকায় একটা ইসলামী কিন্ডারগার্টেন তৈরি করব এটা আমার প্রথম স্বপ্ন ছিলো। অবশেষে ২০০৮ সালের এই স্বপ্নটি বাস্তবায়ন হয়েছে ২০২০ সালে আলহামদুলিল্লাহ্। সবাই দোয়া করবেন যেনো এই পেন্ডামিক টাইমে টিকে থাকতে পারি।
📀📀আমি আরো একটি স্বপ্ন দেখি ২০০৬ সালে। ইন্ডিয়ান একটি কোম্পানি ফুড সাব্লিমেন্টারি পন্য নিয়ে বাংলাদেশে আসছে এবং সেই পন্য ব্যাবহার করে আমার এক আন্টি ডায়বেটিস থেকে মুক্তি পেয়েছেন এবং কিছুদিন পরে আবার অই কোম্পানি চলে যায়।
তখন থেকে চিন্তা করছি যদি এরকম কোন পন্য পাই তা নিয়ে মানুষের সেবা করার মাধ্যমে বিজনেস করব। আল্লাহর রহমতে ২০১৮ সালে আমাদের দেশেই এমন একটি পন্যের খোঁজ পাই এবং ৬ মাস এই পন্য নিয়ে নিজের পরিবারে ব্যাবহার করি এর মান যাচাই করার জন্য। আলহামদুলিল্লাহ্ মান নিয়ে যাচাই করার পরে শুরু করে দেই। আমি কষ্ট করে উদ্যোগ নেওয়ার কারণে আমার পরিচিত অনেকে গ্যাষ্ট্রিক, কষা, ডায়বেটিস ও মুখে মেছতা, বর্ন এবং কালো দাগ সহ আরো অন্যান্য সমস্যা থেকে ভাল আছেন আলহামদুলিল্লাহ্।
সবাই দোয়া করবেন, আমার ২ টা স্বপ্ন পূরণ হয়েছে এখন টিকে থেকে যাতে সফল হতে পারি।
আমার শিক্ষা হলো, স্বপ্ন দেখেছিলাম, লেগে ছিলাম
তাই আজ স্বপ্ন নিয়ে কাজ করতেছি, লেগে না থাকলে ইঞ্জিনিয়ার হয়ে অন্যের চাকরি করতে হতো হয়তো।
🍀🥀🍀জীবনের সব থেকে বড় পাওয়াগুলো🌴🥀🌴
📀আলহামদুলিল্লাহ্ আমার প্রথম পাওয়া আমার গর্ব ধারীনি মা ও আমার মরহুম বাবা যাদেরকে নিয়ে কোন ব্যাখ্যা নেই। সেই সাথে আমার বাবা ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা যেটা আমার গর্ব।
📀📀আমার জীবনের প্রথম আয়ের টাকা দিয়ে বাবার নানী ও মায়ের নানী সহ নিজের নানা-নানী ও দাদা-দাদী কে কাপড় দেই এটা আমার কাছে অনেক অনেক আনন্দের আলহামদুলিল্লাহ্।
📀📀📀সবশেষে আমাদের প্রিয় মেন্টর জনাব, ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারকে পাওয়া এবং প্রাণপ্রিয় এই বিশাল পরিবারটি পাওয়া। আমাদের একটিভ মডারেটর জাহাঙ্গীর খান ভাই, আমাদের অভিবাবক দুই দাদু এবং শরিয়তপুরের সকল ভাই বোন সহ নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশনের সকল ভাই ও বোনেরা আমার জীবনের একটা বড় পাওয়া আলহামদুলিল্লাহ্।
শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ধৈর্যের সাথে গল্পটি পড়ার জন্য সবার প্রতি আমি আন্তরিক ভাবে কৃতজ্ঞ।
📌"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৬৬১
Date:- ০১/১১/২০২১ইং
🍀নাম: মোঃ জাকির হোসেন
🍀ব্যাচ: ১১তম
🍀রেজিঃ ২৮৯১৭
🍀ব্লাড গ্রুপ ঃ বি(+)
🍀জেলা: শরীয়তপুর
🍀মোবাইল ঃ 01914386966
🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀🥀