💐পরম করুনাময় আল্লাহ্ নামে শুরু করিলাম।💐 

       🧕 আসসালামুয়ালাইকুম 

🌿কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি মহান রাব্বুল আলামীনের কাছে।তার অশেষ রহমতে আজ আমি ভালো আছি। সকলের জন্য দোয়া রইল। আল্লাহ আপনাদের সকলকে সুস্থতা দান করুক।আমীন। 

🌿আমি আরো কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমাদের সকলের আইডল প্রিয় মেন্টর 🥀ইকবাল বাহার জাহীদ স্যারের প্রতি🥀

আজ তার অক্লান্ত পরিশ্রমের বিনিময়ে আমরা এতো সুন্দর এতো ভালোবাসার এবং ভালো মানুষের পরিবার পেয়েছি আলহামদুলিল্লাহ।স্যারের জন্য অসংখ্য ভালোবাসা ও দোয়া কামনা করছি।

বাবা মা ও শৈশব কাল 👇

আমার বাবা একজন খুব ই সৎ হোমিও ডাক্তার।

আমি ছিলাম আমার বাবা মা এর একমাত্র সন্তান। আমার বাবা মা আমাকে অনেক আদর ও শাশন এ লালন পালন করেছেন। তখন আমার ছোট বোন ছিল না আল্লাহ তাআলা ওকে পাঠিয়েছেন যখন আমার বয়স ১৫ বছর তখন । আমার বাবা মা আমাকে এমন আদর করতেন মাটিতে রাখলে পিঁপড়ায় খাবে, মাথায় রাখলে উকুন এ খাবে।

আমার বাবা মা কখনো আমাকে দিয়ে ঘরের কোনো কাজ ই করতে দিতো না। ইচ্ছে হলে করতাম না হলে করতাম না আমার এখন ও মনে আছে আমি যদি কোন দিন বাবাকে কিছু আনতে বলছি সেটা তার আনতে মনে নেই  বাবা বাসায় এসে পরেছে তার চেম্বার থেকে আমার বাজারে গিয়ে ঐ জিনিস এনে দিয়েছে যত রাত হোক না কেনো।

কৈশোর কাল👇

যেহেতু আমি বাবা মা এর একমাত্র সন্তান ছিলাম ।সে জন্য আমার কোনো খেলার সাথী/ কারো সাথে যে মন খুলে কথা বলবো ঐ টা পারিনি বা সুযোগ ও হয় নি ।মা কে খুব ভয় পেতাম কিছু বললে তার জন্য মায়ের সাথে ও ঐ ভাবে ফ্রি হয়ে আজ পর্যন্ত কোন কথা বলতে পারিনি 😭এই থেকেই আমি খুব চাপা স্বভাবের হয়ে যাই কারো সাথে নিজে ইচ্ছে করে মিশা / কথা বলা ও খুব কম ই হয়েছে।এই বদ অভ্যাস টা কাটিয়ে উঠতে চেষ্টা করছি। 

বৈবাহিক জীবন 👇

আমি ছোট বেলা থেকেই ঢাকা তে থাকি বাবার চেম্বার ঢাকা তে সেই জন্য। আমাদের পরিবার বা গ্রামে এখনো এই রিতিটা আছে যে এস,এস, সি পাশ দিলে ভালো কোনো ছেলে হলে বিয়ে দিয়ে দেওয়া। এই রকম ই আমার ও বিয়ে হয়ে গেল এস, এস, সি পরীক্ষার পর পর ই । তা ও হঠাৎ করে পারিবারিক ভাবেই বিয়ে হয় এবং আমার শশুর বাড়ির লোকজন বলে এখন কাবিন হবে পরে অনুষ্ঠিত করা হবে। বিয়ের পরে আমি তো আমার বাবার বাসায় ই আমার স্বামী ও আমাদের বাসায় আসা যাওয়া করে কারণ ও ঢাকা তে একটা প্রাইভেট কোম্পানির তে চাকরি করে। আমি আমার শশুর বাড়ি মানুষ দের সাথে কথা বলার জন্য ফোন দিলে অনেক সময় ফোন রিসিভ করতো না আর রিভিউ করলে ও এমন ভাবে কথা বলে যে কথায় আপনার সবচেয়ে বেশি কষ্ট হবে। এইভাবে চলতে চলতে একদিন তাদের সাথে কথা বলাই বন্ধ হয়ে গেল। এমনকি আমার দুইটা যে বাচ্চা হয়েছে একবার এর জন্য দেখতে ও আসে নি। আমি আর আমার স্বামী বাবা মা এর সাথে বাসা নিয়ে থাকি। আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি এর মধ্যে আমার প্রথম বেবি  কনসেপ্ট হলো আমি তখন খুব ই দূর্বল ছিলাম তাই বাসা থেকে কোথাও বের হতাম না যদি কোন দরকারে মা এর সাথে বের হতাম মাথা ঘুরিয়ে পরে যেতাম। তখন আমার মা ও অসুস্থ ছিলেন ওনার হাটের সমস্যা আছে। তিনি এই ভালো এই খারাপ হয়ে যেত তার শরীর। ঐ থেকেই আমার মা,বোনটা ও ছোট এবং আমার বাচ্চা হওয়ার পর আমার পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায়। এর দের বছর পরে আমার ছোট ছেলে হয়।

উদ্যোক্তা জীবন যেভাবে শুরু 👇

আমার মেয়ে হওয়ার পর আমার স্বামী প্রায় সময় ই  তার বন্ধু দের সাথে সময় কাটিয়ে রাত ৮-৯ টার দিকে বাসায় আসতো । আর আমার বাসায় আমার কাছাকাছি বয়সের কেউ ছিল না যে কারো সাথে কথা বললে ভালো লাগবে এমন । আমার বোন ছিল ওর তখন ৬-৭ বছর হবে। আমার স্বামী ও দেরি করে বাসায় আসতো। সারাদিন ঘরের সব কাজ, বাচ্চা দেখা শোনা করে দিন  শেষে কোরো সাথে কিছু খন কথা বলে যে মত হালকা হবে তার কোনো উপায় নেই।

  তখন থেকেই আমার মনে মানসিকতা কেমন যেন ভালো থাকে না কেউ কিছু বললেই রেগে যেতাম।  তখন আমি চিন্তা করলাম বাহিরে যেহেতু যেতে পারবো না ঘরে বসে কিছু একটা করি। তখন আমি নিজেকে খারাপ চিন্তা থেকে মুক্ত রাখতে এবং নিজেকে ব্যস্ত রাখতে।

হাতে তৈরি গহনা বানানোর কাঁচ মাল নিয়ে কাজ শুরু করি ৩০০০ টাকা দিয়ে কিন্তু আমার স্বামী আমাকে কোনো কাজ করতে দিবে না রিতিমত ওর সাথে রাগারাগী করে এর র মেটেরিয়াল গুলো আনি। এবং একটা গ্রুপ এবং পেজ আমি নিজেই খুলি।

তখন অনলাইনে খুব কম ই ছিল র মেটেরিয়াল সেলার।

এর পর থেকে শুরু হয় আমার উদ্যোক্তা হবার আসল পরীক্ষা আমার মা বাবা এবং আমার স্বামী আমাকে কোনো কাজ এ সাহায্য করা তো দূরের কথা এতটুকু ভরসা ও দেয়নি যে তোমার যা ভালো মনে হয় করো আমরা আছি তোমার পাশে এই কথাটা ও বলেননি। যেহেতু  আমাদের কোনো হেলপিং হেন্ড ছিলেন না। আরো অনেক কথা শুনতে হয়েছে কিন্তু আমার জেদ ছিল যে আমি নিজে কিছু একটা করবো যেন কখনো কারো কাছে আমাকে হাত পাত্তে না হয়।  বাচ্চাদের সামলিয়ে ঘরের সব কাজ আমাকে একাই করতে হতো। আমি দিনের বেলা ঘরের সব কাজ করতাম আর রাতে বাসার সবাই ঘুমিয়ে পরলে ১১ টার পর গিয়ে মোবাইলে লাইট দিয়ে / টস লাইট দিয়ে ওডার এর পারসেল রেডি করতাম ।  আমার জামাই তখন অফিস এ যাওয়ার সময় সাথে করে পারসেল নিয়ে যেত অফিস থেকে বাসায় আসার সময় কুরিয়ার করে দিত।  আমার প্রথম ওডার আছে প্রায় ১৫ দিন পর থেকে। আমি আগে কোথায় গিয়ে পোস্ট করলে লেকজন দেখবে বা কি করলে আমার সেল বাড়বে আমি কিছু ই জানতাম না ‌। আস্তে আস্তে  একটা দুইটা করে ওডার বাড়তে থাকে । আমি সব সময় নিজে খুব সামান্য লাভ করে পোডাক সেল করতাম। এবং সব সময় ভালো পন্য দেওয়ার চেষ্টা করছি বলে আজ আমার ৯৮% ই রিপিট কাস্টমার আলহামদুলিল্লাহ। এর মধ্যে আমার একটা অপারেশন হয় তখন বেশ কিছু দিন কাজ বন্ধ ছিলো, এর এক বছর এর মধ্যে মেয়ের এপেনডিসাইড এর অপারেশন হয়ে সুস্থ হতে না হতে  শশুর স্টক করে একে বারে বিছানার পরে যায় তখন আমার টানা ২-৩ মাস এর মত কাজ বন্ধ ছিলো কারণ ঘরের সব কাজ, বাচ্চাদের দেখাশোনা, অসুস্থ শশুর শাশুড়ি এর দেখাশোনা করার পর আর কাজে লেগে থাকতে পারি নি।  এর পর থেকে  আমার সেল একেবারে ই বন্ধ হয়ে গেছে। চেষ্টা করছি আবার ঘুরে দাঁড়াতে ।

এখন আমার মা বাবা ও অনেকটা অনেকটা আমার কাছে সাহায্য করে আলহামদুলিল্লাহ।

সবাই দোয়া করবেন আমার জন্য যেন নিজের লক্ষে পৌছাতে পারি ইনশাআল্লাহ। 

আমি র মেটেরিয়াল এর সাথে আরো কিছু আইটেম নিয়ে কাজ করেছি ,👇

আরটিফেসিয়াল ফুলের গহনা , শাড়ি,থ্রী পিস,হেন্ড প্রিন্ট শাড়ি পাঞ্জাবি বেবি ডেস,সিজনাল বিভিন্ন ধরনের আচার নিয়ে।

আমার পেইজ এ লাইক দিয়ে পাশে থাকবেন আসা করি।👇

Baby unique crafts  

Alif Crafts Collection 

📌"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৬৬১

Date:- ০১/১১/২০২১ইং

খায়রুন শিউলি।🌿

ব্যাচ-১৩🌿

রেজিঃ নং-৫৪৭৫৬🌿

ঠিকানা-ডেমরা,ঢাকা। (ওয়ারী জোন)🌿