আমার জীবন কাহিনী
আমি, মোঃআব্দুল আওয়াল। জন্ম৩০জুন১৯৮৬.রোজ সোমবার।
আমার দাদার আট সন্তান চার ছেলে চার মেয়ে। আমি বাবার একমাত্র সন্তান।
আমার বাবা ছিলেন সকলের মধ্যে দ্বিতিয় সন্তান,ভাইদের মধ্যে প্রথম আমার বাবা একজন কৃষক মাঠে খেটে খাওয়া একজন মানুষ কৃষিকাজ করে আমাদের জীবন জীবিকা নির্বাহ করতে হয়।
পরিবারে সদস্য সংখ্যা বেশি থাকার কারনে অতি কষ্টের মধ্যে দিন কাটত।
আমার বাবা যেহেতু ভাইদের মধ্যে বড় সেহেতু দায়িত্ব টা তারই কাঁধে।
১৯৭১সলে মহাপ্লাবনের পর হঠাৎ করে অনেক মানুষের প্যরালাইসিস রোগ দেখাদেয় তার সঙ্গে আমার বাবার ও প্যরালাইসিস হয়।তখন থেকে বাবা স্বভাবিকভাবে হাটা, চলাফেরা করতে পরতেন না।
আমি বাবার একমাত্র সন্তান, বাবা তার প্রনের চেয়ে ভালো বাসতেন কারন বাবার বিয়ের চার বছর পরে নাকি আমার জন্ম হয়।
বাবার অস্বুস্থতাঃ
""""""""""""""""""""""
আমি তখন দশম শ্রেনির শেষভাগের ছাত্র হঠাৎ আমার বাবার পেট ব্যথাশুরু হয়। দ্রুত বাবাকে নিয়ে হাসপতালে যাই পরিক্ষা নিরিক্ষা করে ডাক্তার সাহেব বললেন আপনার বাবার লিভার সিরোসিস হয়েছে।
তারপর আমি তৎক্ষনাত বাবাকে নিয়ে জেলা সদর হাসপাতালে যাই।
সেখানে বাবার চিকিৎসা চলতে থাকে।
সপ্তাহ খানেক চিকিৎসা দেওয়ার পর বাবার অবস্থার কিছু টা উন্নতি হওয়ার কারনে বাবাকে নিয়ে আমরা বাড়ি ফিরে আসি।
২০০২সাল,এরমাঝে আমার এস,এস,সি পরিক্ষা আরম্ভ হয়।
তারপর হঠাৎ বাবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে নিয়ে আমরা পূনরায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।সেখানে বাবার চিকিৎসা চলতে থাকে।
আমি সকালেএস,এস,সি পরীক্ষা দিয়ে বিকেলে হাসপাতালে বাবার কাছে গিয়ে ওষধ সহ অন্যান্ন প্রয়োজনিয় জিনিস পত্র কিনে দিয়ে রাত্রে আবার বাড়ি ফিরে আসতাম।সেখানে সার্বক্ষনিক বাবাকে দেখার জন্য ছোট ফুফিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
হাসপাতালের সকল অন্যান্ন দায়িত্ব পালন শেষ করে আমি রাত্রে বাড়িতে ফিরে আসতাম।
বাড়িতে এসেএকটু পড়ার পর ঘুমিয়ে পড়তাম কারন সারাদিন জার্নি করার পর শরীর ক্লান্ত হয়ে চোখে ঘুম চলে আসে।
এভাবে প্রতিটিদিন রাত কাটতে থাকে।এভাবে আমার সকল পরীক্ষা শেষ হলো।
বাবার শারীরিক অবস্থা ততদিনে আরও খারাপ হতে থাকে। এর মধ্যে প্রায় একমাস পার হয়ে গেছে টাকা পয়সা শেষ।
এখন কি করে চলবো,সংসার কিভাবে চলবে আর বাবার চিকিৎসাই বা কিভাবে করবো দুশ্চিন্তায় মাথায় কাজ করছিল না।আর কোন উপায়ান্ত না দেখে মায়ের সাথে পরামর্শ করে একটি জমি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেই।
কারন জমির চেয়ে বাবার গুরুত্ব আমার কাছ অনেক বেশি।
জমি বিক্রি করতে কয়েক দিন সময় লেগে গিয়েছিল সে সময় একবেলা খেয়ে না খেয়ে দিন পার হচ্ছিল। তখন আমার পাশে কাউকে পায়নি তখন বুঝেছিলাম বিপদে পড়লে কেহ এগিয়ে আসে না।
যাই হোক জমি বিক্রি করে টাকা নিয়ে হাসপাতালে গিয়ে আবার বাবার পাশে দাড়ালাম,বাবা আমাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বলল বাবা তোর পরীক্ষা কেমন হয়েছে, পাশ করবি তো?আমি বললাম হ্যা বাবা পাশ করব ইনশাআল্লাহ ।বাবা বললএত কষ্ট করে পরীক্ষা দিয়ে কি পাশ করা যায় তারপর ও আমি দোয়া করি আল্লাহ তোর মঙ্গল করুক।আমি চাইনি কখনো বাবার মনোবল ভেঙ্গে যাক।
তারপর থেকে আমি হাসপাতালে বাবাকে সময় দিতে থাকি।
কয়েক দিন পর বাবার অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে ডাঃতাকে রিলিজ দিয়ে বাড়ি পাঠিয়েদেন।
বাড়িতে এসে বাবাকে অনেক স্বুস্থ মনে হচ্ছিল এভাবে তিন-চার দিন ভালই ছিল।দেখ মনে হয় যেন আমার বাবা সুস্ব হয়ে গেছেন।আমার মনটা খুশিতে ভরে উঠে।
আমি বাবাকে বলি বাবা তুমি সুস্থ হয়ে গেছ আর ভয় নেই।আমার কথা শুনে বাবা একটা মুচকি হাসি দেয়, বাবার সেই হাসি দেখে খুশিতে আমার প্রানটা ভরে যায়।
বাবার সেই হাঁসি টাই যে জীবনের শেষ হাঁসি আমি এটা কখনো ভাবতে পারিনি।
এর মধ্যে আামার প্রাকটিক্যাল পরিক্ষা শুরু হয়ে যায়।
সেইদিন আমার জীববিজ্ঞান প্রাকটিক্যাল হঠাৎ করেই বাবার অবস্থা ভীষণ খারাপ হয়ে গেলে সকলে মিলে বাবাকে গোসল করিয়ে ঘরের বারান্দায় শুইয়ে দিল, সে ঘর থেকে বের হওয়া যে শেষ বের হওয়া এটা আমি কখন ও ভাবতে পারিনি।
কিছু খনের মধ্যেই বাবা আমাকে ছেড়ে চির নিদ্রায় ঘুমিয়ে গেলেন না ফেরার দেশে।দোয়া করি আল্লাহ আমার বাবাকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করুন।
আমি ছেলে বেলা থেকেই নিয়মিত নামাজ পড়তাম আজ পর্যন্ত এমন একটি দিন নাই যে দিন আমি নামাজ পড়েবাবার জন্য দোয়া করিনি।
আজ নানার মৃত্যুর ১৯বছর চলছে,আজ প্রর্যন্ত প্রতিটি ঈদের দিন সকালে আমি বাবার কবরের পর্শে গিয়ে ইয়াছিন সুরা পাঠ করে দোয়া করি হে আল্লাহ যেন আমার বাবাকে জান্নাতুল ফিরদাউস নসিব করুন।
জীবনের ছন্দপতনঃ
"""""""""""""""""""""""""""
বাবার মৃত্যুর মৃত্যুর পর আমাদের সাংসারিক অবস্থা খুব খারাপ হয়ে গিয়েছিলো বাবা যখন হাসপাতালে ছিলেন তখন প্রচুর অর্থ ব্যয় হয়েছিলো এই রোগের চিকিৎসা খুবই ব্যায়বহুল।
এ কারণে মৃত্যুর পরবর্তী সময় আমাদের ইনকাম করার মত কোন মাধ্যম ছিলো না আমি সাংসারিক অভাব-অনটনের মধ্যে পড়ে গিয়েছিলাম।
২০০১সাল আমি নবম শ্রেণীতে পড়ি বাবার শারীরিক অসুস্থতার কারণে পড়াশোনার খরচ মেটাতে যেন কষ্ট না হয় সেজন্য বাবা ১ বিঘা জমি বিক্রি করে পোস্ট অফিসে এক লক্ষ টাকা ডিপোজিট ছিলেন।
বাবার মৃত্যুর পর পোস্ট অফিসে খবরটি জানানো হলে তারা আমাদের প্রফিট এর টাকা বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে আমরা বিষয়টি পোস্ট অফিস কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা প্রফিটের টাকা দেওয়ার নামে নানান তালবাহানা শুরু করে আমার বাবার ফুফাতো ভাই মোহাম্মদ আমিনুল মাস্টারের সহযোগীতায় রজশাহী আঞ্চলিক অফিসে অনেক ঘোরাঘুরির পর শেষ পর্যন্ত টাকা পাওয়া গেল।
আমার শ্রদ্ধেয় আমিনুল মাস্টার চাচা আজ কয়েক দিন হলো আমাদর ছেড়ে চির বিদায় নিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেছেন।দোয়া করি আল্লাহ উনাকে জান্নাতুল ফিরদাউস নসিব করুন।
অসহায় অবস্থার মধ্যে সেই সময় আমাদের দিন কাটছিল টাকা গুলো পাওয়ার কারণে কিছুটা স্বস্তি ফিরে আসল।
এর মধ্যে প্রায় কিছুদিন কেটে গেল আমি এইচ, এস, সি তে বিঙ্গান বিভাগে ভর্তি হওয়ার জন্য মনস্থির করলাম।
এর মাঝে বনপাড়া কারিগরি কলেজে একটি ফর্ম উঠিয়ে রাখলাম পাশাপাশি ডিগ্রী কলেজে একটি ফ্রর্ম তুলে রাখলাম প্রথম থেকেই এইচএসসিতে আমার ইচ্ছে ছিল বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে পড়াইচ্ছে ছিলো।
কিন্তু আমার ছোট মামার এক বন্ধু বলেছিল মানবিক বিভাগ নিয়েলেখা পড়া করার জন্য বলে।তিনি আমাকে অত্যন্ত ভয় দেখিয়ে ছিলেন ইন্টার মিডিয়াতে বিজ্ঞান বিভাগ নাকি খুব কঠিন হয়।
এর আগে আমি ভর্তি ফরম উঠিয়ে রেখেছিলাম সেখানে এর পরীক্ষার সময় হয়ে যায় আমি এডমিশন দেই এবং নির্বাচিত হয় এরপর দুই এক দিন পরেই আমার একটি কু চিন্ত কাজ করে যে , ভোকেশনাল কলেজে হয়তো খারাপ ছেলে মেয়েরা পড়াশোনা এই ভেবে বনপাড়া ডিগ্র কলেজে মানবিক বিভাগ নিয়ে ভর্তি হয়ে গেলাম।
কলেজ জীবনঃ
""""""""""""""
২০০২সাল এইচ, এস, সি তে বনপাড়া ডিগ্রি কলেজে ভর্তি হয়ে গেলাম। বাবা স্কুলে যাওয়ার সুবিদার্থে ৭০০টাকা দিয়ে আমাকে একটি বাই সাইকেল কিনে দিয়েছিলো আমি সেটা নিয়েই কলেজে যাওয়া আশা করতাম।
কলেজ থেকে বাড়ির দুরুত্ব ৮-৯কিঃমিঃকলেজ থেকে ফিরে আসার পর শরীরটা খুব ক্লান্ত হয়ে যেত ছোট বেলা থেকেই আমার শরীরে ছেই /ছৌদ ছিলো সাইকেল চলাতে চালাতে গরম ধরেলে শরীরে প্রচন্ড জালাযর্ন্তনা করত আমার এত কষ্ট হতো মনে হয় যেন শরীরটা ছিড়ে যাচ্ছিল।
তখন আমার মনে হয়েছিলো আমার বন্ধুরা বাসে চড়ে কলেজে যাওয়া আশা করত আমিও যদি ওদের মত পারতাম তাহলে কতই না ভালোহত।
কিন্তু প্রতিদিন বাসে কলেজে যাওয়া করব তার কোন ব্যাবস্থা আমার ছিলোনা। কিছু সময় রেষ্ট নিয়ে আবার রওনা হতাম।
প্রথম বর্ষ প্রায় শেষের দিকের কথা আমার মানোবিক বিভাগ নিয়ে পড়া আর ভালো লাগছিলোনা।
আমি প্রিন্সিপাল স্যার কে বললাম আমাকে একবছর লস দিয়ে হলেও তিনি যেন আমাকে বিঙ্গান বিভাগে ভর্তিও হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করেদেন কিন্তু প্রিন্সিপাল স্যার আমার কোন কর্ণপাত করলেন না।
তিনি বললেন এক বছর তো চলেই গেছে আরেকটি বছর কষ্টকরে পরিক্ষা দিয়েইদেখ এরমঝে একটি বছর চলে গেছে। পরের বছর নতুন ছাত্র ছাত্রী ভর্তি চলছিলো পূনরায় আমি প্রন্সিপাল স্যারকে অনুরোধ করে বললাম প্লিজ স্যার আপনি আমাকে নতুন করে বিঙ্গান বিভাগে ভর্তি হওয়ার সুযোগ করেদিন।
স্যার আমার কোন কথাই রাখলেন না তিনি তার সিদ্ধান্তে অটুট।
অবশেষে আমি মনটা খারাপ করেভর্তি বাতিল করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করি তারপর আমাকে কলেজ থেকে কাগজপত্র ফেরৎ দিতে রাজি হয় নি।
আমি কান্না করতে করতে বাড়ি ফেরৎ চলে আসলাম মা-কে বললাম মা স্যার আমার কোন কথা রখলেন না।
তখন থেকে পড়ালেখার প্রতি আমার আগ্রহটা কমে যায়।
এরমাঝে আমার জীবনের দুইটা বড় ভুল সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে-
১।কারিগরি কলেজে ভর্তি বাতিল করা।
২।একজন মানোবিক বিভাগের ইস্টুডন্ট এর পরামর্শে এইচ,এস,সি তে মানোবিক বিভাগে ভর্তি হওয়া।
এখান থেকেই আমার জীবনের আরও একটা বড় ছন্দ পতন শুরু হলো।
যাইহোক এভাবে আরও একটি বছর কেটেগেলো ফাইনাল পরীক্ষার সময় হলো পরীক্ষার রুটিন বের হলো।
২০০৪সাল এ সময় হঠাৎ করে আমাকে কুয়েত যাওয়ার জন্য একটি সুখবর নিয়ে হাজির হয় আমার দূর সম্পর্কে মামা তিনি দীর্ঘ দিন কুয়েত প্রবাসী।
প্রথমে বাড়ি থেকে সকলে আমাকে অনুমতি দিলো।জরুরী ভিত্তিতে পাসপোর্ট করলাম ১৫দিনের মধ্যে পাসপোর্ট হাতে পেলাম। পাসপোর্ট হাতে পাওয়ার পর হঠাৎ করে বাড়ি থেকে আমাকে বিদেশ যেতে নিষেধ করাহয়,আমার ছোট চাঁচি, আমার মা কান্না কাটি আরম্ভ করেদিলো আর বিদেশ যাওয়া হলো না সেইসময় বিদেশ গেলে আজকে আমাকে হয়ত এ অবস্থানে থাকতে হতোনা।
পরীক্ষার সময় এর ঘটনাঃ
""""""""""""""""""""""""""""""""""""""
সে সময় আমার নানা, নানী মামা সবাই জীবিত ছিলো আমি নানাকে বললাম বাড়ি থেকে এসে পরীক্ষ দেওয়া টা আমার জন্য খুব কষ্ট হবে তাই আমি আপনাদের এখানে থেকে পরীক্ষা দিতেচাই
নানা রাজি হলো মামারও রাজি হলো। পরীক্ষা আরম্ভ হয়ে গেলো আমি রাত জেগে পড়াশেষ করে যখন ঘুমিয়ে পড়তাম ঠিক সেই সময় আমার ঘুমানোর রুমের বিদ্যুতের লাইন বন্ধ হয়ে যেতো আমি ভাবতাম হয়তোবা বিদ্যুৎ চলেগেছে,চোখেঘুম প্রচন্ড গরম আর মশার কামড় ঘুম ধরেও যেন ধরেনা।
এভাবে প্রতিদন ই আমি যখন ঘুমাতাম তখন ই আমার রুমের বিদ্যুতের লাইন বন্ধ হয়ে যেত।
হঠাৎ একদিন গরমে বিরক্ত হয়ে বাইরে বের হয়ে আসলেদেখতে পাই এক অবাক কান্ড সকল ঘরে ফ্যান চলছে শুধু আমার ঘর ছাড়া আমি যখন ঘুমিয়ে পড়তাম ছোটমামা তখন বিদ্যুতের লাইন বন্ধ করে দিত,এটা দেখে সেদিন আমার চোখদিয়ে পানি বের হয়ে এসেছিলো।
পূর্বে থেকেই আমার ছোট মামার স্বভাবটা কিছুটা এ রকমের ছিলো আমার তাকে সন্ধেহ হতো।
ঠিক আমার সন্ধেহটা সত্যিসত্যি হলো।
এভাবে পরীক্ষা শেষ করে আমি বাড়িতে চলে আসলাম।
অনার্স জীবনঃ
""""""""""""""""""""
2006 সাল অনার্স এডমিশনের জন্য নবাব সিরাজ উদ দৌলা সরকারী কলেজে ফর্ম তুলে নাটোরে একটি ম্যচ এ রয়েগেলাম যেন এডমিশনের ভালো প্রস্তুতি নিতে পারি।
এডমিশন পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করলে স্যার আমাকে ইংরেজিতে ভর্তি হওয়ার জন্য উপদেশ দেন।
যদিও অ্যাডমিশন পরীক্ষায় ইংরেজিতে ভালো করেছিলাম তার পরেও আমার ইংরেজিকে একটু ভয় ছিলো সে কারনেই ইংরেজিতে আর পড়ার সুযোগ হয়ে উঠলনা ।
পরবর্তীতে রাষ্ট বিঙান,সমাজ বিঙান,সাবজেক্ট এ চয়েস দিলে সে সকল সাবজেক্ট এ সিট পাওয়া গেলো না কারন সে সকল সাবজেক্ট এ ভর্তির জন্য টাকারখেলা চলছিলো,যে, যত বেশি টাকা দিবে তাকে ততভালো সাবজেক্ট এ ভর্তির সুযোগ দেওয়া হবে। আমার টাকা না দেওয়ার কারনে ইসলামের ইতিহাসে ভর্তি হতে হয়।
বৈবাহিক জীবনঃ
"""""""""""""""""""""""
যেহেতু আমাকে সংসারের সকল দায় দায়িত্ব পালন করতে হতো সেতু প্রতি সপ্তাহে বাসায় যেত হতো।
তখন আমি অর্নাস চতুর্থ বর্ষের ছাত্র মায়ের শারীরিক অবস্থার কথা চিন্তা করে আমাকে বিয়ে দেওয়া প্রয়োজন অনুভব করে মেয়ে দেখা শুরু করে।
বিয়ের ব্যপারে আমার চাচাতো ভাইয়ের বৌ আমাকে সর্বদা একটি উপদেশ দিয়েছিলের যে আমি যেন আমার সমবয়সী মেয়ে বিয়ে করি।
ভাবি বলেছিলেন কম বয়স্ক মেয়েকে বিয়ে করলে সে তেমাকে সহযোগিতা করতে পারবেনা আর সংসারের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারবে ন।
আমিও ভাবীর কথাটি খুবই গুরুত্ব সহকারে নিয়েছিলাম যে ভাবি সত্যিই ভালো কথা বলেছে কারন তখন আমার সংকট চলছিল এমতাবস্থায় আমার পাশে একজন শিক্ষতা ভদ্র এবং ইসলামী চিন্তাশীল মানুষ প্রয়োজন।যে সর্বদা আমাকে সহযোগিতা করতে পারবে।
আমি জানতাম একজন শিক্ষত মা-ই পারে একটি শিক্ষত জাতি গঠনে অগ্রনিভূমিকা পালন করতে।
মায়ের পছন্দ মতে আমি বিয়ে করলাম,আলহামদুলিল্লাহ আমার সাংসারিক জীবন আল্লাহর রহমতে সকেলের দোয়াতে ভালই কাটছে।
চাকরি জীবনঃ
""""""""""""""
বাবার মৃত্যর পর আমার জীবনের ছন্দ পতন শুরু হয়ে যায়।তখন আমার অর্থনৈতি অবস্থা খুব খারাপ হয়ে গিয়েছিলো এর মধ্যে আমার অর্নাস পরীক্ষা শেষ এবং ফলাফল ও বের হয়ে গেছে দ্বিতীয় বিভাগ নিয়ে পাশ করলাম।
আমার বৌ এর ভাই সম্পর্কে আমার সুমন্দি তিনি ওষধ কোম্পানিতে চাকুরী করছিলেন প্রথমে আমার মনে হয়েছিলো ওষধ কোম্পানির চাকরি খুবই ভালো তারা সব সময় কি সুন্দর স্মার্ট ভাবে ঘুরে বেড়ায় তাদের দেখে খুব ভালো লাগত
এজন্য ভাইকে বললাম আমাকেও ওষধ কোম্পানিতে ঢুকিয়ে দেওয়ার জন্য প্রথমে তিনি একটু পিছুটান দিয়েছিলো আমি ব্যপার টি বুঝতে পারিনি কেন ভাই পিছু টান দিয়েছিলো।তখন আমি নিয়মিত চাকরির পত্রিকা পড়তাম একদিন ইবনে সিনা ফার্মাসিটিউক্যাল কোম্পানিতে এম,পি,ও পদে লোক নিয়োগের বিঙ্গপ্তি প্রকাশিত হয়।
ভাই বললেন ইবনে সিনা নিস্বন্ধেহে একটি ভালো ট্রাস্টি কোম্পানি অন্য অনেক কোম্পানির থেকে এটার সিস্টেম অনেক ভালো আমার মনে মনে খুশিই লাগছিলো নির্দিস্ট তারিখে সকল কগজপত্র নিয়ে ঢাকায় কোম্পানির হেড অফিসে হাজির হই এবং ভাইবা তে প্রাথমিক ভাবে নির্বাচিত হই তখন আমার খুশি আর দেখে কে জীবনের প্রথম কোন চাকরি পরিক্ষায় নির্বাচিত হওয়ার অনন্দটাই আসলে অন্য রকম।
পাঁচদিন পরে ট্রেনিং এর তারিখ দেওয়া হলো
ওইদিন রাত্রে ঢাকা থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হলাম কারন ট্রেনিং এ মোট ৫০টি ক্লাস হবে,এত লম্বা সময় থাকার জন্য একটা প্রস্তুতির ব্যপার আছে পরের দিন সকালে বাসায় এসে পৌছলাম সবাইকে সুখবরটি দিলাম শুনে সবাই খুশি হলো
এত লম্বা সময় ঢাকায় থাকার মত কোন টাকা আমার কাছে ছিলোনা। বাড়িতে একটি গরুছিলো সেটা বিক্রি করে দিলাম। চারদিন পরে কাপড় চোপড়ও বেডিং পত্র নিয়ে আবার ঢাকার উদ্দেশ্যে রাত ১২টার ট্রেনে রওনা হলাম।
ভোরে কমলা পুর স্টেশনে পৌছে সেখানে ট্রেনথেকে নেমে স্টেশনের মসজিদে ফজরের নামাজ আদায় করলাম।
একটু পরিস্কার হলেই সেখান থেকে শ্যমলির উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। আগেই বলেছি সেখানে আমার শালা ভাই সেলিম থাকে।
আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর অশেষ রহমতে নিরাপদে সেখানে পৌছে তারপর ফ্রেশ হয়ে হোটেলে নাস্তা করে ট্রেনিংএর উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। সকাল৮.৩০মিঃথেকে ট্রেনিংআরম্ভ হলো।
দুপুরে লাঞ্চবিরতি আমি তেমন হোটেল চিনি না সেখানে খুলনার রাব্বানি ভাইয়ের সাথে পরিচয় হয়েছিল তার সাথেই হোটেলে গিয়ে দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম।
প্রায় ২০০টাকার মত খাবারের বিল হলো আমি মনে মনে ভাবলাম এভাবে চলতে থাকলে আমার টাকা একমাসের মধ্যই শেষ হয়ে যাবে তারপর আমি চলবো কি ভাবে বাড়িতে তো কোন টাকার ব্যবস্থা নেই যে সেখান থেকে আবার টাকা নিয়ে আসব আমাকে হিসেব করে চলতে হবে।
সন্ধা৫.০০টায় ট্রেনিংশেষ হলো বাসার উদ্দেশ্য রওনা হই এবং জ্যামের কারনে পৌঁছতে রাত ৯.৩০মিঃবেজে গেলো সারাদিন ট্রেনিং করে শরীরটা খুবই ক্লান্ত হয়ে যায় বাসায় গিয়ে দেখি খাবার নেই মনটা খুব খারপ হলো।
সালাবাবুকে ব্যপার টি বুঝতে না দিয়ে বললাম চলো আজকে হোটেলে খাবো সালাবাবু প্রথমে রাজি হয়না একরকম জোর জবরদস্তি করেই তাকে ধরে নিয়েযাই কারন খিদের জালায় আমার পেট জলে যাচ্ছিলো হোটেলে গিয়ে রাতের খাবার খেয়ে এসে পরের দিনের ট্রেনিংএর বিষয় গুলো পড়া আরম্ভ করলাম।
সে দিন আমাদের এনাটমি ক্লাস হয়েছিলো প্রথম পাঁচ দিন এনাটমি ক্লাস হবে নতুন মানুষ এনাটমি বুঝতে প্রথমে খুব কষ্ট হচ্ছিলো।
পরেরদিন ক্লাসে যাওয়ার জন্য ভোরে ঘুমথেকে উঠে নামাজ পড়ে সকালের নাস্তার জন্য চিড়া ভিজিয়ে খেয়ে ৭.৩০মিনিটে রওনা হলাম।
ক্লাসে উপস্থিত হওয়ার পর স্যার আমাদের গতদিন যে গুলো পড়তে দিয়েছিলেন সেগুলোর একটি পরিক্ষা নিলেন।
তারপর আবার নতুন এনাটমির শিট দিতেন এগুলো প্রতিদিনের পড়া প্রতিদিন ক্লাসেই মুখস্থ করিয়ে নিতেন যত কষ্টই হোক না কেন।প্রচন্ড চাপের কারনে মাঝে মাঝে মনে হতো আমার দ্বারা আর হবে না, ট্রেনিং করব না বাড়ীতে চলে যাব।
কিন্তু পরে আবার ভাবি যে বাড়িতে যেটুকু সম্বল ছিলো সেটুকু তো বিক্রি করে এসেছি এঅবস্থায় বাড়িতে গিয়ে কি করব যত কষ্টই হোক আমাকে ট্রেনিং শেষ করতেই হবে।
দুপুরে নামাজ ও খাবারের বিরতি দেড় ঘন্টা এর মধ্যে নামাজ ও খাবার সেরে নিত হবে।সেদিন ভাবলাম আজকে দুপুরে আর ভাত খাবো না হালকা কিছু খেয়ে থাকব এতে কিছুটা টাকা সার্চয় হবে৷
একথা ভেবে বিস্কুট ও কলা খেয়ে সে দিন দুপুরের খাবার সেরে ফেললাম।পরবর্তীতে মাঝে মাঝে বাসা থেকে দুপুরের জন্য নুডুলস রান্না করে নিয়ে যেতাম।
সন্ধায় বাঁসায় ফিরে ফ্রেশহয়ে খাবারের খোজকরে দেখি খবার নেই , কারন রাত ১০টায় তারা রান্না শুরু করে।
তখন সালাবাবুকে নিয়ে বের হয়ে বাইরে হালকা খাবার খেয়ে নিতাম।রাতের খাবার রত দশটায় রান্না শুরু করত, রন্না শেষহতে হতে পড়াশেষ করে ক্লান্ত শরীর নিয়ে ঘুমিয়ে পড়তাম।শালাবাবু মাঝে মাঝে ঘুমথেকে ডেকে তুলতোখাবার খাওয়ার জন্য মাঝে মাঝে খেতাম আর মাঝে না খেয়ে ঘুমিয়ে থাকতাম এভাবেই চলছিলো।গোলাম রাব্বানি ভাইয়ের কথা আগেই বলেছি সে প্রশিক্ষনে খুব একটা ভালো করতে পারত না।
আমি সর্বদা তাকে সার্বিক সহযোগিতা করতাম, প্রতিদিন আমাদের পরিক্ষা হতো রাব্বানী ভাই পরীক্ষা ভালো ফলাফল করতে পারত না যেহেতু তিনি আমাদের বয়সে অনেক বড় ছিলেন এবং আমাদের উত্তরবঙ্গের একজন ভাই সেকারনে তার প্রতি আমার একটু সিম্প্যাথি তৈরি হয়েছিল আমি পরীক্ষায় তাকে দেখিয়ে দিতাম।
আমি যদি তাকে সহযোগিতা না করতাম হয়তোবা তার কোম্পানিতে চাকরিটা হতো না।
যাই হোক শেষ পর্যন্ত সফলতার সাথে প্রশিক্ষন শেষ করলাম। আমাদের সকল কে পোস্টিং দেওয়া হলো যারা লবিং করেগেছে তাদের পোস্টিং ভালো যায়গায় ।
আমার তেমন কেহ ছিলো না তাই আমাকে দেওয়া হলো কক্সবাজারের চকোরিয়া উপজেলায়। আমি যখন চকরিয়ায় পৌছলাম সেখানে আমার ম্যানাজার আমাকে চকোরিয়ার পরিবর্তে পেকুয়া তে জয়েন্ট করিয়ে দেন। আমি বস কে বলি বস আমাকে চকোরিয়ায় দেওয়া হয়েছ আমি চকোরিয়া তে কাজ করতে চাই তবে আমাকে এখানে কেন জয়েন্ট করাচ্ছেন কেন। তিনি আমার সাথে জালিয়াতি করে পেকুয়ায় জয়েন্ট করিয়েদেন।
সেখানে আমি কিছুদিন কাজ করার পর সেখান কার মানুষের ভাষা বুঝে উঠতে পরি নি।সেখানে আমাকে হেটে হেটে কাজ করতে কাজ করতে হত এতে আমার খুব কষ্ট হচ্ছিলো।
সে খাবার পনির সমস্যা, বাসার সমস্যা,মানুষের ভাষা বুঝতাম না সব মিলে সেখানে নিজেকে এডজাষ্ট করে নিতে পারছিলাম না।
কিছুদিন পর সেখান থেকে ঢাকায় চলে আসলাম এবং মার্কেটিং অপারেশন হিসেবে তাদের দায়িত্বে ছিলেন আমি সকল বিষয়গুলো স্যারকে খুলে বলাতে স্যার আমাকে চিটাগাং মেডিকেল কলেজে ট্রন্সফার করেন।আমি চিটাগাং মেডিকেল কলেজে যেতে রাজি হই।
যেই কথা সেই কাজ সেদিন ঐদিন ই সন্ধায় সেখানে চলে যাই এবং চিটাগাং রিজিওনাল অফিসে জয়েন্ট করি। তখন সেখানে আমি কিছুই চিনতামনা সাতক্ষিরার আমিনুর ভাইয়ের সাথে আমার থাকার ব্যাবস্থা করা হয় পরেরদিন সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে আমার রিপটিং। যথারীতি আমিনুর ভাইয়েট সাথে মেডিকেল কলেজে হাজির হই সেখানে বগুড়ার আজাদ নামে এক বড় ভাইয়ের সাথে পরিচিত হই।আমিনুর ভাই এবং আজাদ ভাই উভয় মিলে আমাকে মার্কেট পরিচিত করেদেন।
সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই আমি একটি বাসা ঠিককরি বাসা খোজ করতেগিয়ে সেখানে জান্নাতুল ফেরদৌস (মিন্টু)নামে এক আপার সাথে পরিচিত হই।বাসর ব্যাপারে জান্নাতুল ফেরদৌস আপু আমাকে খুব সাহায্য করেছিলেন আমি মিন্টু আপু কাছে কৃতঙ্গ।সেখানেই আমি টিনসেড ঘর ভাড়া পেয়ে যাই। যাইহোক ভালই চলছিলোএর মাঝে একমাস পেরিয়ে গেছে সেখানে আমার জীবনের আরোএক ছন্দ পতন শুরুহয়।
আমাকে সেলসের জন্য প্রচন্ড চাপ দেওয়া হয় আমি সকল ডাক্তার ও ফার্মেসিতে নিয়মিত কাজ করার পরেও আমি তেমন কোন ফিটব্যাক পাচ্ছিলাম না।আমিসেখানকার সর্ব্বচ্য প্রতিষ্ঠান সি, এস,সি,আর এ প্রতিদিন রাত ২-২.৩০মিঃপর্যন্ত কাজ করে ও কোন প্রকার ফল পেতাম না।কারন এর সমনের ভালো ফর্মেসি গুলো আমার আন্ডারে ছিলো না। বাসায় ফিরতে ফিরতে মাঝে মাঝে রাত ৩টা বাজত পরের দিন সকাল ৮.৩০মিঃ রিপোর্টিং তারপরও ফলাফল জিরো। আমার চেখে পানি চলে আসত বসের বকুনি ভালো লাগত না।
এভাবে প্রায় তিনমাস কেটে গেছে আমার সেলসের খুবই খারাপ অবস্থা।এর কারনটা ততদিনে আমি বুাঝতে পেরেছিলাম সেখানে ও আমার সাথে দূর্নীতি করা করা হয়েছে।উদাহরণ সরুপ বলাযায় যে,গোস্ত খেয়ে হাড্ডি ফেলে রাখার মত অবস্থা। আমাকে এমন একটি মার্কেট আমাকে দেওয়া হয়েছিলো যেখানে পূর্বের কোন কলিগ কখনো ভালো ফলাফল করতে পারেনি। অপর দিকে আমার সিনিয়র কলিগ তার এসিভমেন্ট ছিলো ২০০%। সে এই একই মার্কেটের ভালো ভালো ফর্মেসি গুলোতে কাজ করে।মাঝে মাঝে মনে হতো আর একটিদিন ও চাকরি করব না আজকেই ছেড়ে দিব,আবার চিন্ত করি কিছুদিন চেষ্টা করে দেখি না।মানুষ ইচ্ছেকরলে তো অনেক কিছুই পারে
ছয় মাস প্রান পন চেষ্টা করে ও আমি খুব একটা ভালো দিলে পারলাম না আমাকে প্রচন্ড চাপ দেওয়া হয় অবশেষে চাকরি ছেড়দিতে বাধ্য হই।
এর মাঝে আল্লাহ আমার স্ত্রীর কোল জুড়ে একটি কন্যা সন্তান চলে আাসে "আলহামদুলিল্লাহ"আজ আমার সন্তানের বয়স প্রায় সাত বছর।সে এখন ক্লাস ওয়ান এর ছাত্রী সকলে আমার সন্তানের জন্য দোয়া করবেন।
ডাক্তারি জীবনঃ
""""""""""""""
সেখান থেকে চাকরি ছড়ে বাড়ি এসে আমাদের এলাকায় একটি ছোট কোম্পানিতে যোগদান করি পাশা পাশি ডাক্তারি প্রশিক্ষন করার সিদ্ধান্ত নিই। এখানে এসে আমি প্রায় চার বছর কোম্পানিতে জব করার পর এর মাঝে দুইবছর মেয়াদি আর, ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল এসিস্টেন্ট কোর্স সম্পন্ন করি। তারপর আমাদের নাটোরের সিভিল সার্জন স্যারএর মাধ্যমে গ্রাম ডাক্তার প্রশিক্ষন সম্পন্ন করি।আমার ডাক্তারি জীবনের ছয় বছর ছয় মাস চলছে।
"আলহামদুলিল্লাহ" আল্লাহর অশেষ রহমতেহাটি হাটি পা পা করে সততার সহীত এগিয়ে যাচ্ছি। এখন ডাক্তারিআল্লাহর রহমতে ভালো ভাবেই চলছে।
আসলে সুখি হওয়ার জন্য খুববেশি অর্থের প্রয়োজন হয়না।
একদিন মূসা(আঃ)আল্লাহকে বলে ছিলেন,
আমি যদি আল্লাহ হই আর তুমি যদি মূসা হতে তাহলে তুমি আমার কাছ কি চাইতে,আল্লাহ বলেছিলেন স্বুস্থতা,মূসা(আঃ)বলেছিলো তুমি আমাকে ঐটাই দান করো।
স্বুস্থতা আল্লাহর কতবড় নেয়ামত অস্বুস্থ হলে বোঝাযায়।
উদ্দোক্তা জীবনঃ
""""""""""""""
খুব অল্প সময়ের জন্য আমদের এই পৃথিবীতে আসা। এই ছোট জীবনেআমাকে এমন কিছু করতে হবে যেন আমার মৃত্যুর পরেও মানুষ আমাকে মনে রাখে। আসলে মানুষ মরে গিয়েও তার কর্মের মাধ্যমে চিরদিন বেচে থাকতে পারে।এক্ষেত্রে ব্যাবসা হচ্ছে সবচেয়ে ভালো মাধ্যম।ব্যাবসা করলে নিজের উন্নতির পাশাপাশি কিছু গরিব ও অসহায় মানুষ কে কমসকর্মসংস্থান এর সৃষ্টি করতে পারি তাহলে সে সকল পরিবারের সকল সদস্য আমাকে মনে রাখবে ভালবাসবে এটাই হচ্ছে সবচেয়ে ভাল মাধ্যম এর ই ধারাবাহিকতায় মাঝে মাঝে আমি গুগোল এ বিভিন্ন প্রকার ব্যাবসার আইডি খুজতে থাকি হঠাৎ একদিন আমাদের শ্রদ্ধেয় স্যারের ভিডিও সেসান আমার নজরে আসে এবং আমি সেই সেসান টি মনোযোগ সহকারে দেখি তারপর থেকে প্রতিনিয়ত সময় পেলেই স্যারের ভিডিও সেসান গুলো দেখতে থাকি।এভাবে প্রায় ১৫-২০দিন ভিডিও সেসান দেখার পর কুমিল্লার জহিরুল ইসলাম ভাই এর সহযোগিতায় রেজিস্ট্রেশন করি এবং নাটোর জেলা মেসেঞ্জার গ্রুপে এড হই।
অসংখ্য ধন্যবাদ জহিরুল ইসলাম ভাই নিজের বলার মত একটি গল্প ফাউন্ডেশন এ আমাকে রেজিষ্ট্রেশন এবংনাটোর জেলা ম্যাসানজার গ্রুপ এ যোগদান করতে সহায়তা করার জন্য।
প্রথমে একটি পন্য ক্রয় করার জন্য দূর সম্পর্কে পরিচিত এক ভাইএর মাধ্যমে টাকা পাঠাই এবং তিনি আমাকে পন্য না পাঠিয়ে আজ নয় কাল,কাল নয় পর্শু এভাবে ঘোরাতে থাকে আজ চারমাস হয়ে গেলও তিনি আমাকে পন্য বা টাকা কিছুই পাঠায় নি।প্রথমে মন খারাপ হয়েছিলো বিসমিল্লাহয় গলদ। তারপর বুঝলাম ঠকলে সেখা যায়,
স্যার বলেছেন যে ঠকিয়েছে তারজন্য করুনা হয়েছে। তারপর দৃড় মনোবল নিয়ে আবার যাত্রা শুরু।
আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসা নিয়ে আমার উদ্দোক্তা জীবনের তিন মাস চলছে।
আমি এখনো সফল উদ্দোক্তা হতে পারি নাই তবে চেষ্টাকরে যাচ্ছি, আপনাদের সহযোগিতা ও ভালোবাসা পেলে ইনশাআল্লা আমি একদিন সফল উদ্দোক্তা হিসেবে নিজেকে সু প্রতিষ্ঠিত করতে পারব।
আমি কিছু মানুষকে ও যদি নির্ভজাল ওখাঁটি মানের পন্য দিয়ে জনস্বাস্থের উন্নতিতে কিছুটা হলেও সহযোগিতা করতে পারি এবংঅন্তত একজন মানুষের ভাগ্য বদলাতে সাহায্য করতে পারি তবেই আমারমানব জীবনও উদ্দোক্তা জীবন সফল হয়েছে বলে আমি নিজেকে ধন্য মনে পারব।
শ্রদ্ধেয় স্যার বলেছেন,
স্বপ্নদেখুন, সাহস করুন, শুরু করুন এবং
লেগে থাকুন সফলতা আসবেই ইনশাআল্লাহ।
শ্রদ্ধেয় স্যারের সেই বানী হ্রদয়ে ধারন করে লালন করে আমার উদ্দোক্তা জীবনে যাত্রা শুরু।স্যারের এই কথাগুলো প্রতিটি সময় আমাকে তাড়া করে বেড়ায় একদিন পরে শুরু করলাম তো জীবন থেকে একটি দিন পিছিয়ে গেলাম।
শ্রদ্ধের স্যারের বনী হ্রদয়ে লালন করে এগিয়ে যাচ্ছি,যতদন বেঁচে থাকি সততার সহিত বাঁচতে চাই সকলে আমর জন্য দোয়রবেন।
📌"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৬৬১
Date:- ০১/১১/২০২১ইং
✍️মোঃআব্দুল আওয়াল
✍️ব্যাচঃ১৪
✍️রেজিঃ৬৪৪০৯
✍️একজন গর্বিত সদস্য
🏠প্রতিষ্ঠানঃDaily organic shop
🇧🇩জেলাঃনাটোর
🤳মোবাঃ01740-987664