নিজের জীবনের গল্প
আমার জন্মঃ
আমি জন্মগ্রহণ করি প্রিয় স্যারের ই জন্মভূমি প্রিয় জেলা ফেনী!
✌️✌️✌️নিজ দেশের অবস্থান 👍👍👍
আমি স্কুলে মিডিয়াম টাইপের মেধাবী ছিলাম,,তবে স্কুল কামাই করতাম না,,প্রাইমারি শেষ ২ এ পাশ করে,, ভর্তি হই ৬ষ্ঠ শ্রেনী তে,,তারপর পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছি মোটামুটি ব্রেন এর ছাত্র ছিলাম এস এস সি শেষ করা,, বি গ্রেড পেয়ে ভর্তি হই কলেজে ব্যাবসা শিক্ষা শাখার মাধ্যমে,, এইচএসসি শেষ করি এ-- নিয়ে,, অনার্স এ ভর্তি হওয়ার সুযোগ হয়নি ফেল করি ভর্তি পরীক্ষায় !
বিবিএস এ ভর্তি হই ফেনী সরকারি কলেজে এর কিছু দিন আগের একটু বলি,,প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি ভর্তি হওয়ার জন্য গেলাম ঢাকা অতীশ দীপংকর ইউনিভার্সিটি সেটা আর হলো,, কারণ আমার শ্রদ্ধেয় বাবা অসুস্থ হয়ে পডেন তারপর বাবাকে নিয়ে হাসপাতালে দৌড়া, অনেক দিন পযন্ত
আর হলো না,,পড়া প্রাইভেট ভার্সিটিতে কারণ অনেক টাকা লাগবে বাবার চিকিৎসার জন্য!
😭😭😭 প্রবাসের দূর্দশার কাহিনি 😭😭😭
হঠাৎ ছোট কাকা বলে আমার দুবাই এর ভিসা হয়েছে এই কথা শুনে আমি পালিয়ে যাই চিটাগং বন্ধুর বাসায় ৩ দিন পর আমার বড় মামা বুঝিয়ে নিয়ে আসে কারণ ছোট কাকা বলেছেন আসলে ও ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে কি আর করা?
দুবাই ২০০৯ আগস্ট এর ২৭ তারিখ আসি কাজে জয়েন্ট করি সম্পূর্ণ রৌদের মধ্যে ৩ দিনে এপেক্স এর জুতার অবস্থা খারাপ গরমে আর আমার অবস্থা শুধু কান্না করা,, চিন্তা করতাম কোথাই এসেছি এতো কষ্ট তবে বাড়িতে চলে গেলে টাকাগুলা কে শোধ করবে সেই চিন্তা মাথায় আমার জন্য পরিবার এর ক্ষতি হোক সেটা আমি চাইনা যাই হোক টাকা শোধ করে চলে যাবো নিজ দেশে সেই যাওয়া হয়েছে ৫ বছর ৪ মাস পর,,,পাউরুটি আর মিরিন্ডা জুস খেয়ে প্রাই ১০ দিন অতিবাহিত করা কারণ খাবারে গন্ধ লাগতো তাই খেতে পারতাম না তারপর ডিউটি চলছে অনবরত,,,, এক কাজ ২ মাস আবার কাজ পরিবর্তন চলছে এবার ভিসা প্রপেশনাল কাজ যা আমার ভিসা ছিলো,, অনবরত চলছে এখনো চলছে!
😭😭ট্র্যাজিডি
দুবাই আসার ৪ মাসের মাথায় আমার ঠাকুরমা মারা যায়,, তারপর আমার চাকুরির পরীক্ষা দেওয়ার কার্ড আসে কমিউনিটি ক্লিনিক এর কিন্তু মা কে জিজ্ঞেস করি মা আমি কি করবো এখন মা বলেছেন এতো টাকা খরচ করে ঋন করে গিয়েছ বাবা তুমি চলে আসলে হয়তো জমি বিক্রি করে টাকা পরিশোধ করতে হবে সেই কথা শুনে মন শক্ত করলাম আমার জন্য জমি চলে যাবে তা কি ঠিক হবে। কারণ আমাদের জমিগুলো অনেক দামী আমেরিকা ঘুরে আসা যাবে কিন্তু টাকা জমি পাওয়া যাবে না টাকা দিয়ে তাই আর গেলাম না দেশে তারপর একমাত্র ছোট বোনের বিবাহ ঠিক, একমাত্র বোনের বিয়ে দেখবো না আদরের ছোট বোন,,
ঋনের টাকা মাসে মাসে শোধ করা হচ্ছে বেতন যা পেতাম কিছু টাকা মাসের খাবারের জন্য রেখে।বাকিটা পাঠিয়ে দিতাম,,,তারপর বড় ভাই এর বিয়ে ঠিক তার আগে ঘর দিতে হবে সেখানে টাকা দেওয়া কিন্তু কোথায় থেকে দিবো দিতে তো হবে দিলাম যা পারলাম এদের ওদের থেকে ধারদেনা করে,, একমাত্র বড় ভাইয়ের বিয়ে তে আসতে পারবো না এইজন্য বলি আমি যদি বাড়িতে যায় অনেক টাকা খরচ হবে সেই টাকা ভাই কে দিলে বিয়ে সুন্দর মতো করতে পারবে,, আর বৌদির জন্য যা পেরেছি স্বর্নের গয়না পাঠিয়েছি,, কিন্তু এতো কিছু সবার জন্য করি কেউ বলেনি যে তোমার ভবিষ্যতে র জন্য কিছু টাকা জমা করতে
😭😭আসল দুঃখের কাহিনি 😭২০১৫ সালের ১লা জানুয়ারী বাবা স্বর্গবাসী হয় অর্থাৎ পরলোকে গমন করেন ;আগে থেকে ছুটি কনফার্ম করা জানুয়ারী ২০ তারিখে বাড়িতে যাবো বাবা বলেছেন আমাকে বিয়ে করাবে কারণ ছোট ছেলে পরিবার এর শেষ বিয়ে
ভাগ্যোর করুন দশা,,
প্রিয় বাবাকে নিয়ে গেলেন ঈশ্বর ওপারে বাবার মৃতু আমাকে আকস্মিক শকেএ।নিয়ে যায় ৬ জানুয়ারি বাড়িতে যেতে পারি কোম্পানি অনেক বাধাবিপত্তি পেরিয়ে কারণ আমি ২০ জানুয়ারি বাড়িতে যাওয়ার জন্য টিকিট করা ছিলো,, তাই আবার নতুন টিকিট নিয়ে ৬ তারিখ যাওয়া হলো দেশে তারপর বাবার ক্রিয়াকর্ম করেছি,,দুইভাই মিলে
কিছু দিন অতিবাহিত হওয়ার পর আমার পকেটে যখন কোন টাকা নাই তখন মনে হলো আমি বিদেশে কি করেছি টাকা কি করেছি,,প্রিয় স্যার যে শিক্ষা দিয়েছেন যে প্রত্যেক মাসের বেতনের টাকা থেকে কিছু নিজের জন্য জমানো,, যদি জমাতাম তাহলে সেটার সম্মুখীন হতে হতো না,,এরপরে বন্ধুদের কাছে থেকে ধার নেওয়া,, ২ মাস ১৯ বাড়িতে থেকে আসা এসে আবার সেই ঋনের টাকা শোধ করা,,তারপর ১বছর ৬ মাস পর আবার বাড়িতে যাওয়া মায়ের আদেশ, বটবৃক্ষ এর অর্ধেক খালি বাবা নেই আর বাকিটা আছে মায়ের সেবা করে যাবো, মায়ের আশীর্বাদ সাথে নিয়ে বাবার সেই ইচ্ছার ছোটবাবাকে বিয়ে করাবে,,তা হলো যে কোন ভাবে
এভাবেই চলছে প্রবাসীদেত হতভাগা জীবন
এতসময় প্রবাসে 😭😭
তারপর ও টাকা পয়সা জমানো হয়না,,এভাবেই খেয়ে খাইয়ে চলছে জীবন
আমি রেজিষ্ট্রেশন করি,,১২ তম ব্যাচে কিন্তু এক্টিভিটি না থাকার কারণে আবার ১৬ তম ব্যাচে এসে সক্রিয় হতে ই প্রিয় স্যার এর আগমন ইউনিক দুবাই কর্তৃক আয়োজিত সম্মেলন এ যোগ দিলাম,,১৭/১২/২০২১ তারিখে প্রিয় স্যার এর মুখ থেকে শুনাবানী গুলো যেন হ্রদয়ে ছুয়ে ছুয়ে যাচ্ছে এবং সৌভাগ্য হয়েছে স্যারের সাথে দেখা এবং ওনার হাত থেকে বই উপহার নেওয়া অল্প সময়ে সৌভাগ্য আমার হয়েছে! যখন বলেছি প্রিয় স্যার কে আমি ফেনী জেলার সন্তান এবং সাগর বনিক এর বন্ধু স্যার একটা অমায়িক হাসি দিয়েছে খুব ভালো লেগেছে স্যার এর হাসিটি!
👇এখন স্যার এর শিক্ষা থেকে 👇
🤝🤝নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন এ যুক্ত হতে পেরে আমার পরিবর্তন অব্যাহত!
✍️✍️✍️একজন উদ্যোক্তা ও ভালো মানুষ হতে হলে পজিটিভ চিন্তার মধ্যে দিয়ে এটাই শিখায় এই প্লাটফর্মে!
✌️✌️✌️ ধৈর্য্য ধরে থেকে সফলতা কিভাবে আনা যায় তাডাহুডো কোন কাজই ভালো নই!
🌺🌺 নিজের আয়ের কোন অংশ সঠিক জায়গায় দান করা সর্ব ধর্মের শিক্ষা
🌹🌹ভালোবাসা অবিরাম কিভাবে রাখবো প্রিয় স্যার শিখিয়েছেন,, ঘুরে দাড়ানো,, একটা নিজের বলার মতো গল্প তৈরি করা একান্তই লক্ষ্য,, পারলে উপকার করিও অপকার এর কথা চিন্তা ও করিওনা!
✍️✍️✍️প্রিয় স্যারের প্রত্যেক টি কথা শিক্ষা বুকে ধারন করে এগিয়ে যাবো সবার আশীর্বাদ কাম্য!
✌️✌️ আমার নিজের গল্প লেখার কোন যোগ্যতা আমার হয় নি তারপর ও আপনাদেরকে দেখে লিখতে ইচ্ছে হলো এবং প্রিয় স্যারের শিক্ষায় এগিয়ে যাবো এই কামানায়
🙏🙏 লিখলাম ভূল ক্রুটি ক্ষমামার্জনা দৃষ্টিতে দেখবেন কাহারো মনে যদি আঘাত দিয়ে থাকি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন!
❤️❤️❤️ সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা যে আমার এই লেখাটি আপনাদের মূল্যবান সময় দিয়ে পড়ার জন্য!
📌"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৭১০
Date:- ২৯/১২/২০২১ইং
❤️❤️ সুজন শর্মা
🌹🌹ব্যাচঃ১২
🌹🌹রেজিষ্ট্রেশন নং ঃ৪২২০১
🌺🌺ফেনী জেলার সন্তান
🌺🌺বর্তমানে দুবাই
https://www.facebook.com/profile.php?id=100072753707358