নাটোর জেলার ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ
নিজের বলার মতো একটা গল্প গ্রুপের ত্রাণ কার্যক্রম এর বিস্তারিত তথ্য সমূহ নিচে তুলে ধরা হলো:
১। ত্রাণ কার্যক্রম এর স্থান:
নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলা বিলদহর গ্রামের ৫ নং চামারী ইউনিয়ন এর কৃষ্ণনগর ও আনন্দনগর এলাকাতে শতাধিক পরিবারের মাঝে আমরা আমাদের কার্যক্রমটি সু সম্পন্ন করেছি।
২। ত্রাণ কার্যক্রমে সরাসরি অংশগ্রহণকারী ভলেন্টিয়ার সংখ্যা ও নাম: আমাদের নিজের বলার মতো গল্প গ্রুপের প্রায় ১৫ জন সদস্য সরাসরি এই ত্রাণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন। যারা যারা উপস্থিত ছিলেন কাওসার খান ডিস্ট্রিক্ট অ্যাম্বাসেডর নাটোর কোর ভলেন্টিয়ার ও মডারেটর প্রতুল পাঠক খুলনা নওগাঁ জেলার ডিস্ট্রিক্ট অ্যাম্বাসেডর রাকিবুল, মাসুদ, রকছি, সুমন, আলামিন, হাসান মাহমুদ, শাহাবুদ্দিন, সবুজ, রহমতুল্লাহ, শেখ রিফাদ, মাহমুদ, বাবু
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সুশীল সমাজের বিশিষ্ট রাজনীতিবিদগন স্বেচ্ছাসেবক এবং স্থানীয় কয়েকজন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।
৩। ত্রাণ কার্যক্রম এর পণ্য সামগ্রী: ৫০০ গ্রাম চিড়া ৫০০ গ্রাম মুড়ি ৫০০ গ্রাম গুড় ১০ প্যাকেট স্যালাইন এবং ২০ প্যাকেটের একটি বড় এনার্জি প্লাস বিস্কিট এর প্যাকেট একটি লিফলেট ও একটি বড় বাজারের ব্যাগ।
৪। ত্রাণ কার্যক্রম নিয়ে সাধারণ মানুষের অনুভূতি: নিজের বলার মতো একটা গল্প গ্রুপের ত্রাণ কার্যক্রম নিয়ে সাধারন মানুষের অনুভূতি ছিলো হৃদয় ছোঁয়া যা কখনো মুখে বলে প্রকাশ করা সম্ভব নয়। হৃদয় থেকে প্রাণভরে আমাদের সকলের জন্য দোয়া করেছেন মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়েছেন। নিজের বলার মত গল্প গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের জন্য দোয়া করেছেন। এবং তারা ব্যক্ত করেছেন নিজের বলার মতো একটা গল্প গ্রুপ এর মতো আরো অসংখ্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন যেন আমাদের বাংলাদেশে তৈরি হয় এবং তাদের পাশে যেন আমরা সবসময় দাঁড়াতে পারি।
এই কার্যক্রম সম্পর্কে আমার মূল্যায়ন:
নিজের বলার মতো একটা গল্প এই প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে আমি নিজেকে সবসময় ধন্য মনে করি এবং এমন একটি মহৎ কাজের উদ্যোগ এর দায়িত্ব স্যার আমাকে দিয়েছেন এজন্য সব সময় স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং ভালোবাসা জ্ঞাপন করছি। এবং এ কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য প্রত্যেকটি প্যাকেট তৈরি করার পিছনে আমার পরিবারের নারী সদস্যদের অক্লান্ত পরিশ্রম কেউ আমি সাধুবাদ জানাচ্ছি এবং তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। অত্যন্ত মানবেতর জীবন-যাপন করা একটি অচেনা অজানা গ্রামের মাঝে আমাদের কার্যক্রমে খুশি হয়ে সে এলাকার স্থানীয় একজন বাসিন্দা হঠাৎ করে আমাদের এতগুলো মানুষের জন্য দুপুরের খাবারের আয়োজন করা এবং তাদের হৃদয় ছোঁয়া ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ আমাদের নিজের বলার মতো গল্প গ্রুপের কার্যক্রমে কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে বলে আমি বিশ্বাস করি। হঠাৎ করে আয়োজন করার মায়া আর মমতা মেশানো গ্রামীন পরিবেশের ডাল আর আলু ভাজি তে সবাই যতটা তৃপ্তি সহকারে খেয়েছে নামিদামি বড় বড় হোটেলের মাংস ভাতেও হয়তোবা এতটা তৃপ্তির ঢেকুর তুলতে পারত না। এটাই আমাদের নিজের বলার মতো গল্প গ্রুপের সব থেকে বড় পাওয়া বলে আমি মনে করি।