✌️✌️স্বপ্ন যখন লক্ষ পুরনের ✌️✌️
🖋️🖋️বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
🌼🌼আসসালামু আলাইকুম 🌼🌼
☝সকল প্রশংসা মহান রবের জন্য, যিনি সৃষ্টি কারি! আসমান ও জমিনের। তিনি এই কঠিন বৈশ্বিক করোনা মহামারীর মধ্যে আমাদের সুস্থ রেখেছেন! আলহামদুলিল্লাহ
💞💞 দুরুদ ও সালাম পেশ করছি বিশ্ব মানবতার মুক্তির দূত, বিশ্ব নবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর প্রতি যাঁর জন্য আমরা পেয়েছি শান্তির বাণী ইসলাম।
❤️❤️ হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি এই মানচিত্রের সফল মানুষ যিনি দেশপ্রেমে উদ্ভুদ্ধ হয়ে ব এই দেশের যুব সমাজ কে বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি দিতে প্রতিষ্ঠিত করেছেন একটি স্লোগান!চাকুরী করবো না, চাকুরী দিব!! সেই লক্ষে তিনি গড়ে তুলেছেন *নিজের বলার মত একটা গল্প প্লাটফর্ম*। সেই মহান শিক্ষক, জাতির শ্রেষ্ঠতম সন্তান,আমাদের সকলের শ্রদ্ধেয় মেন্টর জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের প্রতি। তিনি আমাদের উপহার দিয়েছেন এমন একটি যৌথ পরিবার,যে পরিবারের আশ্রয়ে প্রতিদিন তৈরি হচ্ছে অসংখ্য দেশ প্রেমিক ভালো মানুষ, একটি সুশীল সফল উদ্যোক্তা সমাজ❤️❤️
❤️কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি সেই সকল ভালো মানুষদের প্রতি, যাদের ভালোবাসা উৎসাহ উদ্দীপনায় আমি নিজের জীবনের গল্প লেখার অনুপ্রেরণা পেয়েছি❤️
🖋️আমি আমার জীবন গল্প আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করছি আশা রাখি আপনারা পড়বেন, আমার জন্য দোয়া করবেন, আমি যেন একজন পরিপূর্ণ ভালো মানুষ হতে পারি ,হতে পারি একজন সফল উদ্যোক্তা।
❤️ গল্পটা পড়ে সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকবেন। ❤️
🌿🌿জন্ম ১৯৯২ সালে সিরাজগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার -গুপির পাড়া নামক নিভৃত সবুজ ঘেরা পল্লী গায়ে, দরিদ্র কৃষক পরিবারে। সংসারে অভাব থাকলেও স্নেহ মমতা ভালোবাসার কোন অভাব ছিল না। পাঁচ ভাই এক বোন বাবা মার ভালোবাসায় ঘেরা পরিবার।
😓😓মায়ের মৃত্যু 😓😓
🖋️🖋️খুব ঝাপসা ভাবে মনে পড়ে শৈশবের দিন গুলো, কিন্তু মাগো তোমার মুখ স্মৃতিতে চির অম্লান। জন্মের তিন বছর পর মমতাময়ী মা আমাকে সহ পাঁচ ভাই এক বোন রেখে পরপারে চলে যান। মায়ের যে মায়া মমতা, আদর স্নেহ ভালোবাসা!! আপনাদের মত আমি পাইনি। আমার দুর্ভাগ্য,তবে কোন অভিযোগ নেই। সবার কাছে শুধু দোয়ার দরখাস্ত, ইয়া আল্লাহ আমার মমতা ময়ী মা জননী কে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করুন,আমিন।
💗💗বাবার আদর💗💗
✍️আমার মমতাময়ী মায়ের মৃত্যুর পর বাবার আদর আর স্নেহময় ভালবাসায় বেরে উঠা শুরু। অনেক সময় দেখেছি বাবাকে আড়ালে কাঁদতে কিন্তু তখন বুঝি নাই আমার বাবার কান্নার কারন। বাবাকে জিজ্ঞেস করেছি মা কই.. কখন আসবে মা কেন আসে না। বাবা আদর করে ভুলিয়ে দিতো মায়ের কথা। কিন্তু রাত হলে আর চোখে ঘুম আসতো না।কারন প্রতিদিন ছোট ভাইয়ের সাথে আমাকে আদর করে ঘুম পারিয়ে দিতো।আমার ছোট থাকতো মা-র এক পাশে আর আমি অন্য পাশে। তখন আমার ছোট ভাইয়ের এক বছর বয়স। বুঝতেই পেরেছেন তখনো ওর মায়ের কোলে ঘুমিয়ে দুধ পান করার কথা। মায়ের কোলে উষ্ণ আদর ভালবাসায় কিন্তু মা'তো নেই সব সময় শুধু কান্না করতো।কখনো আমার বড় বোনের কোলে আবার ফুফাদের কোলে কখনো নানী-র কোলে কিন্তু বাবার কোল না পেলে কান্না থামানো যেত না।সবচেয়ে কষ্ট ছিলো বাবা যখন কাজের জন্য সকালে বের হয়ে যেত আর রাতে ফিরে আসতো যদি তখন কান্না করতো থামানো খুব কষ্ট ছিল।কখনো কান্না করে না খেয়ে ঘুমিয়ে যেতাম।আস্তে আস্তে বুঝতে পারি মা মনে হয় এমন-ই ।কিন্তু পরে বুঝি বাবা ছাড়া আমাদের আর কেউ নেই।এটাই আমাদের মা এটাই আমাদের বাবা।কখনো দেখি নাই বাবা আমাদের ছেড়ে একা কখনো খাবার খেয়েছে। বাহিরে যত সময় কাজের জন্য থাকতো বাসায় এসে খাবার খাইতো। আপনাদের অনেকের প্রথম শিক্ষক মা কিন্তু আমার বেলা বাবা আমার আদর্শ শিক্ষক। আর সবাই বাবার মত আমার বাবা শিক্ষিত ছিলো না।কিন্তু আমার বাবা সব সময় কিছু উপদেশ দিতেন..
👉 অভাবের সময় ধৈর্য্য ধারন করা।
👉 যে কোন পরিস্থিতিতে ন্যায় পথে চলা।
👉 একশো টাকা কুড়িয়ে পাওয়ার চেয়ে কষ্ট করে এক টাকা ইনকাম করা উওম।
👉 নিজেকে প্রতিষ্টিত হতে হবে এটা সৎ পথে।
👉 অন্যের হক নষ্ট না করা।
👉 সকল অবস্থায় আল্লাহ কে স্বরণ করা।
👉সামর্থ্য অনুযায়ী গরিব মিসকিনকে সাহায্য করা।
👉দিনে কমপক্ষে একটা ভাল কাজ করা।
👉দিনে কমপক্ষে একজনের উপকার করা।
👉সর্ব পরি বড়দের সন্মান আর ছোটদের স্নেহ করা।
বাবা সব সময় বলতো কথা গুলো মেনে চললে জীবনে কোন দিন বিপদে পড়বে না।
🤲🤲আমার বাবা আমাদের মাঝে এখনো বেঁচে আছেন সবাই আমার বাবার জন্য দোয়া করবেন আল্লাহ যেন নেক হায়াত দান করেন। আমি যেন বাবার আদর্শ সন্তান হতে পারি।
🎒🎒কষ্টকর শিক্ষা জীবন 🎒🎒
🖋️🖋️ছোট বেলা খুবই কষ্ট করে স্কুল জীবন শুরু করি।কতদিন না খেয়ে স্কুলে গিয়েছি- কত রাত না খেয়ে ঘুমিয়েছি হিসাবে নেই।
স্কুল জীবনে ঈদ ছাড়া নতুন জামা পড়ার ভাগ্য কখনো হয়নি। সেটা আবার আমি নিলে অন্য ভাই নিতে পারতেন না।এই বছর আমি নিলে অন্য বছর আরেক ভাই নিতেন।
অভাব অনটনের মাঝে জীবনে কিছু করার ইচ্ছে থেকে ছাএ জীবনে কলার ব্যাবসা শুরু করে প্রথম দিনে তিন শত টাকা লোকসান করি।
এর পর আর সেই ব্যাবসা করা হয়নি।
আমি কাজ শুরু করতাম ফজরের পর থেকে আটটা পর্যন্ত কাজ করার পর স্কুলে যাইতাম আবার স্কুল শেষে এসে কাজ শুরু করতাম।
সারাদিনের ক্লান্ত শরীর নিয়ে লেখা পড়া করা খুবই কষ্টের ছিল তার উপর আবার ঠিক মত খাওয়া নাই তবু পরের দিনের ক্লাসের সব পড়া শেষ না করে ঘুমাতে যাইতাম না।
অভাবের সংসারে কাজ না করলে অনেক সময় ভাত পাইতাম না।আর যেহেতু মা ছিলো না তেমন কেউ দেখার ছিলো না।
দেখতে দেখতে আমার এসএসসি পরীক্ষার ফর্মপুরনের সময় চলে আসে (২০০৬)কিন্তু টাকার অভাবে ফর্ম পুরন নিয়ে দুচিন্তার মাঝে পরে যাই। তখন আমার এক বড় ভাবি একশত টাকা দিয়ে সহযোগিতা করেন সেই একশত টাকা নিয়ে ঢাকা চলে গিয়েছিলাম আমার এক বড় ভাইয়ের কাছে। ভাই একহাজার টাকা দিয়ে সহযোগিতা করে ।গাড়ি ভাড়া বাদ দিয়ে আটশত পঞ্চাশ টাকা অবশিষ্ট থাকে । কিন্তু আমার টাকার দরকার ছিল একহাজার আটশত। বাকী টাকা অন্য দুই ভাইয়ের সহযোগিতা নিয়ে আল্লাহ রহমতে ফর্ম পুরন করি। আল্লাহ অশেষ রহমতে ফার্স্ট ক্লাসে নিয়ে এসএসসি পাশ করি,আলহামদুলিল্লাহ।
এইসএসসিতে ভর্তি হওয়া নিয়ে সেই দুচিন্তা আবার।একজনের সহযোগিতা নিয়ে ভর্তি হয়েছিলাম।
অনেক কষ্ট আর অভাবের মাঝে জীবন অতিবাহিত করে এইসএসসি(২০০৮) পাশ করি।
👊কর্ম জীবন👊
🖋️এইচ এস সি পাস করে চাকরির জন্য ঢাকা চলে গিয়েছিলাম। আঠারো বছর বয়স না হওয়ায় চাকরি আর হলো না।
হতাশা আর চোখে মুখে অন্ধকার নিয়ে বাসায় চলে আসি।কিন্তু মনের মাঝে স্বপ্ন বুনে রেখেছি নিজেকে কিছু করতেই হবে।
আঠারো বছর পূর্ন হবার পর প্রাণ আর এফ এল গ্রুপে ২২০০ টাকা বেতনে কাজ শুরু করি। চাকরির পাশাপাশি লেখা পড়া চালিয়ে গ্রাজুয়েসন শেষ করি। যদিও আমার ডিউটি ছিলো আট ঘন্টা কিন্তু পনের থেকে ষোল ঘন্টা কাজ করতাম। এর বিনিময়ে কোন টাকা পাইতাম না।
এভাবে আমি কাজ করে যাওয়ার ফলে ম্যানেজার স্যারের চোখে আমি একজন আদর্শ কর্মি হয়ে যাই।
মাএ পাঁচ মাসের মধ্যে আমাকে ঢাকা বানিজ্য মেলার ইনর্চাজ করে দেন আমি পেয়ে যাই উপরে উঠার সিঁড়ি।
আমার কাজের প্রতি আরো আগ্রহ বেড়ে যাই আরো বেশি উজ্জীবিত হয়ে কাজ শুরু করি।
কখন অফিসে আসি আর কখন বাসায় যায় সময় দেখি না। স্যারেদের চোখে আমি হয়ে যায় আদর্শ ইনর্চাজ।
দৃর্ঘ্য তিন বছর অক্লান্ত পরিশ্রমের পর ২০১৩ সালে নতুন স্বপ্ন পুরন হয় আমাকে দায়িত্ব দেন মাদারীপুর ডিপোর স্টোর ইনর্চাজ হিসাবে।
সে সময়ে আমি ছিলাম সর্ব কনিষ্ঠ স্টোর ইনর্চাজ।
তখন কাজের প্রতি আমার দ্বিগুন উৎসাহ বেড়ে যায়। বরিশাল বিভাগে নদীতে ভরা এখানে পণ্য ডেলিভারি করা ছিল খুবই কঠিন।
সব প্রতিকুলতা অতিক্রম করে ডিলার এবং স্যারদের কাছে আমি এক দক্ষ স্টোর ইনর্চাজে পরিনত হয়ে গিয়েছিলাম।
এই কোম্পানিতে আট বছর চাকরির সময় ঈদের ছুটি ছাড়া কোন দিন ছুটি নিতাম না।এক কোরবানি ঈদে বাসায় আসতাম আবার পরের বছর কোরবানি ঈদে বাসায় আসতাম।
এখানে আমি দ্বিতীয় স্থান করি।
বর্তমান আমি বাংলাদেশের সুনামধন্য কোম্পানি সুপার স্টার গ্রুপে ডিপো ইনর্চাজ হিসাবে কর্মরত আছি।এতো কিছুর পর আমার মাঝে শূন্যতা কাজ করতো কারন আমার ছোট বেলা থেকেই ইচ্ছে নিজে কিছু করতে হবে।
ইউটিউবে স্যারের বিভিন্ন ভিডিও ফলো করতাম আমার মাঝে সেই স্বপ্ন গুলো তাড়া দিতে থাকে এখনই সময় নতুন কিছু শুরু করার। স্যার সব সময় বলতেন আগে ছোট করে শুরু করুন।
অবশেষে ২০১৯ সালে মাএ বিশটা মেশিন নিয়ে ছোট্ট পরিসরে মেসার্স মোহাম্মদ আলী ট্রেডার্স এর যাএা শুরু। এখন আপনাদের দোয়া আর ভালবাসায় এক শত মেশিন এবং সাত জনের কর্ম সংস্থান ব্যাবস্তা করতে সক্ষম হয়েছি।
আল্লাহ যদি সহায় থাকেন আর আপনাদের ভালবাসা পেলে সিরাজগঞ্জের বুকে গার্মেন্ট করার লক্ষ নিয়ে কাজ করছি। করোনা কালিন সময় স্যারের অনুপ্রেরণায় কেমন আছি সেই গল্প অন্য দিন শোনাবো আজ আর নয়।
✍️"নিজের বলার মত একটা গল্প " ফাউন্ডেশন, যুক্ত হবার পর আমার পরিবর্তন
👉প্ল্যাটফর্ম আমাকে চিনিয়েছে একজন সফল উদোক্তা ও ভালো মানুষ হতে হলে পজিটিভিটি চিন্তার কোনো বিকল্প নেই।
👉শিখেছি প্রচুর ধৈর্য ধারণ করতে।
👉আমার আয়কৃত অর্থে আমার পরিবারের বাহিরে অসহায় মানুষের হক রয়েছে। এই কথাটা নিজের ভিতরে খোদাই করা লিখা হয়ে গেছে, আর এটা স্যারের কথা থেকেই শিখেছি।
👉 নিজের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি । প্রতিনিয়ত বিভিন্ন মিট-আপে বিভিন্ন বিষয় ভিত্তিক আলোচনায় শুনছি এবং নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি হচ্ছে যা পরবর্তীতে আমার বিজনেসে সহায়ক হবে।
👉 নিজের ভিতর একটা অকল্পনীয় পরিবর্তন এসেছে যা কখন চিন্তা করিনি। আজকে তা বুঝতে পেরেছি।
✍️ প্রিয় স্যারের প্রতিটা কথা বুকে ধারন করে চলতে থাকবো ইনশাল্লাহ। সবাই দোয়া করবেন আমার জন্য ।আমি যেন একজন সফল উদ্যোক্তা হয়ে আমার প্রিয় স্যার এর সামনে গিয়ে নিজের "ঘুরে দাড়ানোর গল্পটা " তুলে ধরতে পারি।
🤲🤲আসলে আপনাদের মত করে নিজের গল্প লেখার মত কোন গুণ বা ক্ষমতা আমার নেই, তবু লেখার সাহস করেছি আপনাদের অনুপ্রেরনায়, আমি জানি আপনারা আমাকে ভালোবাসেন, আমার দোষ ত্রুটি আপনারা বড় করে দেখবেন না এই বিশ্বাস নিয়ে লেখা। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন, আমি যেন সফল হতে পারি।
🙏🙏আমার লেখার মাঝে ভুল ত্রুটি হলে, কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে তার জন্য আমি ক্ষমা চাইছি! সবাই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
❤️❤️❤️সকলের প্রতি ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আপনার মূল্য বান সময় ব্যয় করে আমার গল্প পড়ার জন্য । আপনাদের প্রতি আকুল আবেদন যদি গল্পটা ভাল লাগে একটা কমেন্ট করে আপনাদের পাশে রাখবেন।
📌"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৭০৮
Date:- ২৭/১২/২০২১ ইং
🌹মোহাম্মাদ আলী
🌱প্রোঃ মেসার্স মোহাম্মদ আলী ট্রেডার্স
🌾ব্যাচ ১৪
🥀রেজিষ্ট্রেশন ৬২২২০
🌼নিজ জেলা সিরাজগঞ্জ সদর
🌺আজীবন গর্বিত সদস্য নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন।