চলে এলাম ঋণের বোঁঝা নিয়ে সৌদি আরব
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ
প্রথমে শুরু করলাম আমার মহান আল্লাহ তালার নামে যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন
যার নেয়ামত খেয়ে বেঁচে আছি এখনো অসুস্থ আছি
তার কাছে লক্ষ কোটি শুকরিয়া আদায় করি
আরও লক্ষ কোটি সালাম জানাই আমার প্রিয় বাবা ও মা কাছে
যিনি আমাকে জন্ম দিয়েছে পৃথিবী দেখতে পেয়েছি তার কাছে চিরঋণী চির কৃতজ্ঞ তার ঋণ কিভাবে শেষ করব আমি নিজেও জানিনা প্রাণ প্রিয় মা বাবা, জন্য সবাই মন থেকে দোয়া করবেন, আমার মা-বাবা এখনো বেঁচে আছেন সবার কাছে একটাই অনুরোধ মন থেকে সবাই দোয়া করবেন বেশি বেশি করে, আল্লাহ যেন দীর্ঘ আয়ু কামনা করেন আমিন,
তৃতীয় বারের মতন লক্ষ কোটি সালাম জানাই এই যুগের প্রিয় আইডল ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার কে,
যার মাধ্যমে একটু একটু করে গল্প লিখতে শিখছি জার মধ্যমে বুকে সাহস করে সবার মধ্যমে কথা বলতে শিখেছি জার মধ্যমে একটু একটু গল্প করতে পারে সবার মাধ্যমে তুলে ধরতে পারি আমি একজন সৎ মানুষ সবসময় সত্যের পথে চলি
আজকে বলবো আমার জীবনের গল্প
প্রথমে বলব আমার ফ্যামিলিতে মেম্বার কতজন
চার ভাই তিন বোন ও মা বাবা,
সবার বড় বোন
চার ভাইয়ো মধ্যমে আমি বড় ,
আমি একজন গরীব ঘরের সন্তান
অর্থহীন বাবার ছেলে আমি
আট বছর বয়স থেকে কর্মজীবন
শুরু করলাম
ক্লাস ওয়ান টু থ্রি তে ছয় মাস পরে আমার পড়ালেখা শেষ হয়ে গেল
জীবনে নেমে এলো ঘোর অন্ধকার
সাংসারিক অভাব-অনটনের কারণে আমি আর লেখাপড়া করতে পারিনাই শুরু করলাম কর্মজীবন ,
প্রথমে আমি কাজ শিখার জন্য
শহরে যেতে হতো ৮ কিলোমিটার আসা যাওয়া রাস্তা সকালে ঘুম থেকে উঠে খাওয়া-দাওয়া করে ৭;৩০ মিনিট থেকে রওয়ানা করতাম কাজে যাওয়ার জন্য
প্রায় এক ঘন্টা ত্রিশ মিনিট লেগে যেত কাজে স্থানে পৌঁছাতে
এমনি করে আসা যাওয়া প্রতিদিন 3 ঘন্টা সময় লাগতো
দুপুরে খাবার জন্য 3taka নাস্তার জন্য দিত
3 টাকায় নাস্তা খেতাম
এমনি করে
21 দিন মাগনা কাম করেছি
কাজ শিখার জন্য
21 দিন পরে যখন কিছু কাজ শিখতে পেলাম তখন মালিক বলল-তোমাকে আগামী সপ্তাহ থেকে 20 টাকা হাজিরা ধরা হবে, তুমি কাজ চালিয়ে যাও কন্টিনিউ, আমি মালিকের সঙ্গে কোন কিছুই বললাম না,,হারতে হারতে রওনা করলাম বাড়ির দিকে
এমন সময়ে, হঠাৎ করে আমার এক বড় ভাই আমাকে বলল তুমি কোথায় যাইতেছ, না ভাই ঐখানে আমি প্যান্ট এর কাজ করি ওইখান থেকে কাজ শেষে বাড়ির দিকে রওনা হলাম
উনি বললো তোমার বেতন কত টাকা দেয়
আমি বললাম ভাই আমি তো কোন বেতন পাই না ঐখানে আমি মাগনা কাজ শিখার জন্য এসেছি, তখন সময় উনি বললো তোমাদের ফ্যামিলি কিভাবে চলে
আমি বললাম আমাদের ফ্যামিলি টা খুব অভাব দুঃখ কষ্টে চলতেছে,
তখন উনি বলল তোমার এই কাজটা তুমি ছেড়ে দাও
কাল থেকে আমার সঙ্গে কাজে চলে আসো
60 টাকা হাজিরা দেওয়া হবে
পরের দিন থেকে উনার সঙ্গে
রাজ মিস্ত্রীরি হেল্পার কাজে চলে যাই
আলহামদুলিল্লাহ সংসারে অভাব-অনটন কিছুটা কমে এল,
ছোট থেকে ভাবতাম কোন কিছু একটা করব
অল্প অল্প করে কিছু টাকা জমিয়ে
ছোটখাটো একটি সবজির বিজনেস স্টার্ট করলাম,,বাবা আমি
আলহামদুলিল্লাহ ভালই চলতেছে
হঠাৎ একদিন বাবাকে বললাম
আমি নিজে অন্য একটি ব্যবসা করব
বাবা বলল টাকা কোথায় পাবে
আমি বললাম বাবা আমি বিজনেস থেকে একটু একটু করে কিছু টাকা জমিয়ে রেখে ছিলাম,
বাবা শুনে খুব অত্যন্ত খুশি হয়ে গেল
আমি আমার নিজের মতন করে অন্য একটি মুদি মালের ব্যবসা চালাতাম
ভালই চলত,
এমনি এমনি করে 10 থেকে 12 বছর এই ব্যবসাটা আমি একাই কন্ট্রোল করতাম
মাঝেমধ্যে আমার ছোট ভাই গুলা দোকানে এসে বসতো
যার যেমনে মনে চায় এমনি টাকা নিয়ে চলে যেতো কাউকে কিছু বলতো না,
এমনি এমনি করে টাকা পয়সার কোন হিসাব মিলাতে পারি নাই দোকান টা বন্ধ হয়ে গেল
কি করব বুঝে উঠতে পারতাছিনা দোকানের টাকা কিছু আরদদার পাবে কিভাবে আমিটাকা গুলা দিব ,, গত ছয় সাত মাস ধরে বেকার ঘুরি আর খাই কিছু করতে পারি নাই,
হঠাৎ করে আমার একজন মামা আমাকে
সৌদি আরবে থেকে ফোন দেন
মামার সাথে দীর্ঘক্ষণ আলাপ করার পরে মামাকে বললাম মামা আমাকে আপনি একটি ভিসা দেন,
কিছুদিন পরে আমার মামা আমাকে একটি ভিসা সংরক্ষণ করে দিয়েছেন
,চলে এলাম ঋণের বোঁঝা নিয়ে সৌদি আরব
, দেখতে দেখতে চার টি বছর পেরিয়ে গেল
আলহামদুলিল্লাহ ঋণের বোঝা টা কিছুটা শেষ হয়ে গেল, ভাবছে পারতেছিনা কতদিন করতে হবে আমার জীবন সংগ্রাম,, আমার লেখাটি কোন জায়গায় কোন ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ,
📌"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৭১৪
Date:- ০৩/০১/২০২২ইং
মোহাম্মদ বকুল হোসাইন
ডিস্ট্রিক্ট৷ সিলেট
জেলা মৌলভীবাজার
থানা কমলগঞ্জ
আমি বর্তমান অবস্থান করছি
সৌদি আরব মদিনা
আমি বাংলাদেশে রেমিটেন্স যোদ্ধা
ব্যাচ নং ১১তম
রেজিস্ট্রেশন নং ২৭৯৪৬
ব্লাড গ্রুপ বি প্লাস