শরিয়তপুর জেলার প্রতিবেদনঃ
শরিয়তপুর জেলার প্রতিবেদনঃ-
পারস্পারিক সহযোগিতায় বর্তমান বিশ্বে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দরিদ্র দেশগুলোর আর্থসামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে অগণিত ছোট বড় প্রতিষ্ঠান, দল, সংগঠন, অনলাইন ও অফলাইনে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে অত্যাধুনিক রোবটিক্স সভ্যতার অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশের ভাবমূর্তি সমুজ্জ্বল রাখতে। ইতিমধ্যে ধনী-গরীব জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে একযোগে এক পরিবারে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন সৃষ্টি করে ৬৪ টি জেলা ও ৫০ টি দেশের প্রায় ৬ লক্ষাধিক মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষদের নিয়ে "নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন "এর নির্মাতা তারুণ্যের অহংকার, উদ্যোক্তাদের উদ্যোক্তা ভালো মানুষ গড়ার কারিগর, সকলের প্রিয় মেন্টর জনাব, ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার সেই ২০১৮ সাল থেকে শুরু করে আজ ১৪৭৫ তম দিন পর্যন্ত প্রতি দিন উক্ত পরিবারের সকলের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য একটানা বিরতিহীন নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে সমানতালে এগিয়ে যাচ্ছেন যা পৃথিবীতে একটাই, দৃশ্যমান। একটি ইতিহাস সৃষ্টি করছে "নিজের বলার মত একটা গল্প" ফাউন্ডেশন। এই মহা কর্মকান্ডের প্রভাত ফেরীর প্রথম উচ্ছ্বাস থেকেই হাজী শরীয়তউল্লাহ'র ভূমি নামে খ্যাত পরিশ্রমী শরীয়তপুর জেলা অগ্রণী ভূমিকা পালন করে এসেছে।
আমাদের শরিয়তপুর জেলায় "নিজের বলার মতো একটা গল্প" ফাউন্ডেশনের অগ্রযাত্রা শুরু হয় ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে, মাত্র ১ জন সদস্য নিয়ে। বর্তমানে আমাদের শরিয়তপুর জেলা টিমে প্রায় ৫৫০ জন মেম্বার রয়েছেন। সবচেয়ে খুশির বিষয় হচ্ছে মাত্র ১ বছরের মাথায় আমাদের সৌভাগ্য হয় "নিজের বলার মতো একটা গল্প" ফাউন্ডেশনের কর্ণধার জনাব, ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের সাথে শরীয়তপুরবাসীর একটি অনলাইন মিটআপ করার।
গত ২বছর ০২মাসে আমাদের অর্জনসমূহঃ-
__________
১) মাত্র ১জন সদস্য নিয়ে যাত্রা শুরু হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই আমাদের সামনে বড়ো একটি চ্যালেঞ্জিং বিষয় আসে ৪ জানুয়ারি "২য় মহাসম্মেলন"। আলহামদুলিল্লাহ আমরা শরিয়তপুর থেকে তখন ৫০+ সদস্য সেই প্রগ্রামে উপস্থিত হতে সক্ষম হয়েছিলাম। এটা একমাত্র সম্ভব হয়েছে আমাদের জেলা এ্যাম্বাসেডর সহ সকল এ্যাক্টিভ মেম্বারদের এ্যাক্টিভিটির জন্য।
২) যখন আমরা নতুন ছিলাম তখন আমাদের সাধারণ মিটআপ গুলোতে প্রায় ৪০+ মেম্বার উপস্থিত থাকতো। বর্তমানে এই সংখ্যা প্রায় ২০০+ এ দাড়িয়ে গেছে।
৩) এরপরে ২০১৯ সালে "নিজের বলার মতো একটা গল্প" ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে শীতের সময় আমরা শরিয়তপুর থেকে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করি। এমনকি পুনরায় কিছুদিন আগে ২০২০ সালে আমরা বেদে পল্লি ও চর এলাকা সহ বেশ কিছু জায়গায় ২ ধাপে শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করি।
৪) করোনাকালীন সময়ে ১০০ পরিবারের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ করি।
৫) "নিজের বলার মতো একটা গল্প" ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আমরা শরিয়তপুর জেলা টিম বন্যায় কবলিত ১০০ পরিবারের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ করি।
৬) ১০০০তম দিনটি অত্যন্ত চমৎকারভাবে উদযাপন করি। আমাদের সাথে উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেনঃ-
♦শরিয়তপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র জনাব, রফিকুল ইসলাম কোতোয়াল।
♦শরিয়তপুর সরকারি কলেজের অধ্যাপক জনাব, হারুন অর রশিদ স্যার।
♦সরকারি গোলাম হায়দার খান মহিলা কলেজের সহকারি অধ্যাপক জনাব, দেলোয়ার হোসেন স্যার। এবং
♦ "উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্প" এর প্রশিক্ষক, সমন্বয়ক জনাব,সাইফুর রহমান স্যার।
এছাড়াও আমাদের জেলা এ্যাম্বাসেডর, উপজেলা এ্যাম্বাসেডর, ক্যাম্পাস এ্যাম্বাসেডর, কমিউনিটি ভলান্টিয়ার সহ আমাদের জেলার সকল সম্মানিত ভাইবোনেরা উপস্থিত ছিলেন।
৭) ১০০০তম দিন উদযাপন উপলক্ষে আমরা ১০০টি চারা গাছ রোপণ করি।
৮) এরপরে আমাদের ধারাবাহিক মিটআপ গুলোর মাধ্যমে শরিয়তপুর জেলা থেকে এই পর্যন্ত প্রায় ৩৫-৪০ জন উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছেন। তারা এখন স্বপ্ন দেখতে শিখেছেন এবং দেখা স্বপ্নকে বাস্তবেও রুপদান করেছেন।
৯) আমাদের শরিয়তপুর জেলা থেকে সফল ব্যাবসায়ী হিসেবে "নিজের বলার মতো একটা গল্প" ফাউন্ডেশনের ইউটিউব লাইভে তাদের সফলতার গল্প বলেছেন শরিয়তপুর জেলার কৃতি সন্তান উক্ত ফাউন্ডেশনের একজন সম্মানিত সুপার এক্টিভ মডারেটর, রিসার্চ এ্যান্ড প্রমোশন টিম মেম্বার শ্রদ্ধেয় জাহাঙ্গীর খান ভাইয়া ও কেরানীগঞ্জ জোন এ্যাম্বাসেডর এবং সুপার এ্যাক্টিভ কমিউনিটি ভলান্টিয়ার রুনা আহমেদ আপু ও কমিউনিটি ভলেন্টিয়ার জাহিদ জোবায়ের ভাইয়া।
১০) ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারী মাসের ৩ তারিখে "নিজের বলার মতো একটা গল্প" ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা স্বয়ং জনাব, ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের মাধ্যমে অনলাইনে আমাদের শরিয়তপুর জেলা টিমের লাইব্রেরি উদ্বোধন কাজ সম্পন্ন হয়ে একটি লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১১) এছাড়াও আমরা ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের নির্দেশনা অনুযায়ী গত রমযান মাসে এতিমখানার এতিমদের নিয়ে ইফতার পার্টি করি।
১২) স্যারের ঘোষণার আগে আমরা আমাদের শরিয়তপুর জেলার গর্ব প্রিয় সম্মানিত মডারেটর জাহাঙ্গীর খান ভাইয়ার অনুপ্রেরণায় বিগত ৯ মাস আগে লিখিত আকারে সেশন চর্চা শুরু করি এবং বিগত কিছুদিন আগে ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার দিকনির্দেশনা দেন প্রতিটি জেলায় ও দেশে নিয়মিত অনলাইনে সেশন চর্চা মিটআপ করার। আমাদের শরিয়তপুর জেলায় সেই নির্দেশনা অনুযায়ী আমাদের শ্রদ্ধেয় দুলাল আংকেল, সিরাজ আংকেল ও আমাদের জেলার কৃতি সন্তান সম্মানিত মডারেটর জাহাঙ্গীর খান ভাইয়ার সার্বিক সহযোগিতায় আমি ফজিলাতুন্নেছা রাবেয়া ধারাবাহিকভাবে প্রতিদিন অনলাইনে উক্ত সেশন চর্চা মিটআপগুলো পরিচালনা করছি। এই পর্যন্ত আমরা মোট ১৯৫টি অনলাইন সেশন চর্চা মিটআপ সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছি এবং আর পাঁচদিন পরেই আমাদের ২০০তম দিন পূর্ণ হবে ইনশাআল্লাহ্।
১৩) বর্তমানে স্যারের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী আমরা শরিয়তপুর জেলা টিম বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করার আরো একটি প্রকল্প হাতে নিতে চলেছি।
১৪)এখন বলব আমাদের শরিয়তপুর জেলা টিমের মোট সদস্য ও দায়িত্বশীলগণদের তালিকা নিয়েঃ-
সদস্য সংখ্যাঃ- প্রায় ৫৫০ জন।
মডারেটরঃ- ১ জন
জেলা এ্যাম্বাসেডরঃ- ৪ জন
উপজেলা এ্যাম্বাসেডরঃ- ৭ জন
ক্যাম্পাস এ্যাম্বাসেডরঃ-৮ জন
রিসার্চ এ্যান্ড প্রমোশন টিম মেম্বারঃ- ১জন
রেজিষ্ট্রেশন টিম মেম্বারঃ- ৭ জন
ব্লাড ডোনেশন টিম মেম্বারঃ-২ জন
হাট মনিটরিং টিম মেম্বারঃ- ৩ জন
কমিউনিটি ভলান্টিয়ারঃ- ২৩ জন
টপ টুয়েন্টি ক্লাব মেম্বারঃ-২জন
লাইভ সাপোর্ট টিম মেম্বারঃ- ২জন
উদ্যোক্তাঃ- ৩৫-৪০ জন
৩০০ এর বেশি ভিডিও সেশনে অংশগ্রহণকারী সদস্যঃ- ১জন। (মোঃ দুলাল) ১০০ এর বেশি ভিডিও সেশনে অংশগ্রহণকারী সদস্য ১জন (মোঃ জাকির সরদার,জেলা এম্বাসেডর)।
অনলাইন, অফলাইন মাসিক মিটআপ অনুষ্ঠিত হয় আনুমানিকঃ- ২৫-৩০টি।
স্যারকে নিয়ে মিটআপঃ- ৩ টি
"নিজের বলার মত একটা গল্প" ফাউন্ডেশনের অন্যতম অংশীদার হিসেবে তুলে ধরার জন্য যারা স্বেচ্ছায় স্বেচ্ছাসেবীর দায়িত্ব থেকে ওতপ্রোতভাবে আমাদেরকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারা হলেন, আমাদের বৃহত্তর ফরিদপুরের অহংকার এবং এই পরিবার তথা "নিজের বলার মতো একটা গল্প" ফাউন্ডেশনের কোর ভলান্টিয়ার ও মডারেটর শ্রদ্ধেয়, কাজী নাজমুল আলম হামিম ভাইয়া, লোকমান বিন নুরহাশেম ভাইয়া,সাইদুর রহমান ভাইয়া।
এবং আরো একজন হচ্ছেন আমাদের শরীয়তপুর জেলার গর্ব, আমাদের ফাউন্ডেশনের সম্মানিত একজন সুপার এক্টিভ মডারেটর প্রিয় জাহাঙ্গীর খান ভাইয়া।
আমাদের শরিয়তপুর জেলা টিমের আরো ২ জন শক্তিশালী অভিভাবক রয়েছেন যাদের অবদানের কথা না বললেই নয়! যাদের ছত্রছায়ায় থেকে আমরা আমাদের শরিয়তপুর টিমকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।
তাঁরা হলেন, কান্ট্রি এ্যাম্বাসেডর সৌদি আরব প্রবাসী শ্রদ্ধেয় মোঃ দুলাল আংকেল এবং সৌদি আরব প্রবাসী মদিনা এ্যাম্বাসেডর শ্রদ্ধেয় মোঃ- সিরাজ সিত্তু আংকেল।
"নিজের বলার মতো একটা গল্প" ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা শ্রদ্ধেয় ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা সবসময় সকল কার্যক্রম গুলো বাস্তবায়িত করেছি এবং ভবিষ্যতেও করে যাবো ইনশাআল্লাহ্।
স্যারের দোয়া এবং সকলের সহযোগিতা ও স্বেচ্ছাশ্রমে শরীয়তপুর জেলা একদিন আরও এগিয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ্, এই প্রত্যাশা রাখি আমরা শরিয়তপুরবাসীরা।