সবুজের জেলা খাগড়াছড়ির প্রতিবেদন
খাগড়াছড়ি জেলা
খাগড়াছড়ি জেলায় সবুজাভ পাহাড়ের ছড়াছড়ি। এর সঙ্গে পাহাড়ের বুক চিরে বয়ে যাওয়া চেঙ্গি, মাইনি ও ফেনী নদী এই জেলাকে সাজিয়েছে অপরূপ সাজে। চারদিকে নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সবুজ পাহাড়, গিরি-ঝিরি-ঝরনা ও ক্ষুদ্র-ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর বৈচিত্র্যময় জীবন-সংস্কৃতির সুবাদে পর্যটকদের কাছে এই জেলা বেশ আকর্ষণীয়।
১৮৬০ সালে ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক স্বতন্ত্র জেলা ঘোষণা করার আগে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছিল বৃহত্তর চট্টগ্রামের একটি অঙ্গ। পার্বত্য চট্টগ্রাম তিনটি মহকুমা নিয়ে গঠিত ছিল। এগুলো হলো রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি। রামগড় মহকুমায় ছিল তিনটি থানা। এগুলো হলো রামগড় সদর, মহালছড়ি ও দীঘিনালা। এর মধ্যে তৎকালীন মহালছড়ি থানাধীন একটি ইউনিয়ন ছিল খাগড়াছড়ি। ১৯৬৮ সালে খাগড়াছড়িকে থানায় উন্নীত করা হয়। ১৯৮৩ সালের ৭ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ জেলায় রূপান্তরিত হয় খাগড়াছড়ি।
খাগড়াছড়ির প্রাচীন নাম ছিল ‘তারক’। ‘খাগড়াছড়ি’ নামের উৎপত্তি হয়েছিল নল খাগড়ার বন থেকে। খাগড়াছড়ি সদর শহরের বুক চিরে বয়ে গেছে একটি ছড়া নদী। ওই ছড়া নদীর দু’পাড়ে গভীর নল খাগড়ার বন ছিল। এই নল খাগড়ার বন থেকেই ‘খাগড়াছড়ি’ নামের উৎপত্তি।
খাগড়াছড়ি জেলা বাংলাদেশের
দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত চট্টগ্রাম বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। এটি একটি পার্বত্য জেলা। উপজেলার সংখ্যানুসারে খাগড়াছড়ি বাংলাদেশের একটি “এ” শ্রেণীভুক্ত জেলা।
আয়তনঃ ২,৬৯৯.৫৬ বর্গ কি.মি.।
নির্বাচনী এলাকাঃ ২৯৮ পার্বত্য খাগড়াছড়ি।সংসদীয় আসনঃ ০১টি।
উপজেলাঃ ০৯টি (খাগড়াছড়ি সদর, দীঘিনালা, পানছড়ি, মাটিরাঙ্গা, গুইমারা, মানিকছড়ি, মহালছড়ি, লক্ষ্মীছড়ি ও রামগড়)।
থানাঃ ০৯টি (খাগড়াছড়ি সদর, দীঘিনালা, পানছড়ি, মাটিরাঙ্গা, গুইমারা, মানিকছড়ি, মহালছড়ি, লক্ষ্মীছড়ি ও রামগড়)।
পৌরসভাঃ ৩টি (খাগড়াছড়ি, রামগড় ও মাটিরাঙ্গা)।
ইউনিয়নঃ ৩৮টি।
মৌজাঃ ১২১টি।
গ্রামঃ ১,৩৮৮টি।
জনসংখ্যাঃ ৫,১৮,৪৬৩ জন।
জনসংখ্যা ঘনত্বঃ প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ১৯২ জন।
শিক্ষার হারঃ ৪৪.০৭% (পুরুষ-৫৪.১৯%, মহিলা-৩৩.৬২%)।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গমনের হারঃ৮৩%।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানঃ ৫৪৭টি।
(১) কলেজ-১৮টি।
(২) উচ্চ বিদ্যালয়-৭১টি (সরকারি-৫টি ও বেসরকারি-৬৬টি)।
(৩) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়-৪২০টি (সরকারি-৩২০টি ও বেসরকারি-১০০টি)।
(৪) কিন্ডার গার্টেন-০৯টি।
(৫) মাদ্রাসা-১৩টি (মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড এর অধীন)।
(৬) এবতেদায়ী মাদ্রাসা-২২টি।
(৭) অন্যান্য ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান-০৩টি।
(৮) কারিগরি বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়-০১টি।
(৯) টেক্সটাইল ভোকেশনাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট-০১টি।
(১০) কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র-
ধর্মীয় উপাসনালয়ঃ ৭৫১টি। (১) মসজিদ-২৫৫টি। (২) বৌদ্ধ মন্দির (ক্যাং)-২৬৩টি। (৩) মন্দির-২০৭টি। (৪) গীর্জা-২৬টি।
গুচ্ছগ্রাম ও ভারত প্রত্যাগত শরণার্থীঃ
(ক) ১। গুচ্ছগ্রামের সংখ্যা-৮১টি।
২। গুচ্ছগ্রামে বসবাসরত পরিবার-৫৩,৮৫৫টি।
৩। গুচ্ছগ্রামে রেশন কার্ডধারী পরিবার-২৬,২২০টি।
৪। রেশন কার্ডবিহীন পরিবার-২৭,৬৩৫টি।
৫। গুচ্ছগ্রামে বসবাসকারী জনসংখ্যা-২,১২,১৬৫জন।
(খ) ১। ভারত প্রত্যাগত উপজাতীয় শরণার্থী পরিবার-১২,১৭০টি।
২। রেশন কার্ডধার
পরিবার-১২,১৭০টি।
৩। ভারত প্রত্যাগত উপজাতীয় শরণার্থীর সংখ্যা-৬৪,৩৩৪জন।
খাস জমি সংক্রান্তঃ
(১) মোট খাস জমির পরিমাণ-৩,০৫,৯৬৫.৭৩ একর।
(২) বন্দোবস্তকৃত জমির পরিমাণ-১,৮০,২৭৯.৬২ একর।
(৩) বর্তমানে খাস জমির পরিমাণ-১,২৫,৬৮৬.১১ একর।
সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানঃ
(১) সিনেমা হল-০১টি।
(২) ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট-০১টি।(৩) শিশু একাডেমি-০১টি।
(৪) শিল্পকলা একাডেমি-০১টি।
স্টেডিয়ামঃ ০১টি (জিমনেসিয়ামসহ)।
প্রেস ক্লাবঃ ০৪টি।
জেলা কারাগারঃ ০১টি।
দর্শনীয় স্থানঃ
আলুটিলা পাহাড়ের রহস্যময় সুড়ঙ্গ;
নুনছড়ি মৌজার দেবতা পুকুর;
রিছাং ঝর্ণা;
ঐতিহাসিক রামগড় (ইস্টার্ন ফ্রন্টিয়ার রাইফেলস্ বর্তমান বিডিআর এর প্রথম হেডকোয়ার্টার); রামগড় লেক;
পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের খামার;
শান্তিপুর অরণ্য কুটির, পানছড়ি;
দীঘিনালা সংরক্ষিত বনাঞ্চল
ভগবান টিলা
পর্যটন কেন্দ্রঃ
১)হর্টিকালচার পার্ক
(২)আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্র।
(৩) নূনছড়ি দেবতা পুকুর।
(৪) দীঘিনালা সংরক্ষিত বনাঞ্চল।
(৫) খাগড়াছড়ি পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র।
(৬) দুই টিলা ও তিন টিলা, দীঘিনালা।
(৭) ভগবান টিলা
(৮)লেমুয়া লেক গার্ডেন-মানিকছড়ি
(৯)শিশু পার্ক-মানিকছড়ি
(১০)জল পাহাড়-মাটিরাঙ্গা
(১১)স্বর্গের সিঁড়ি-পানছড়ি
নদীঃ ০৩টি (চেঙ্গী, মাইনী, ফেণী)।
চা-বাগানঃ ০১টি (রামগড়)
রাবার বাগানঃ ৩,৪০০.০০ একর।
সেনাবাহিনী ব্রিগেডঃ ০২টি (খাগড়াছড়ি ও গুইমারা)।
বিজিবি সেক্টরঃ ০২টি।
ব্যাংকঃ ১০টি ( মোট শাখা-২১টি)।
এনজিওঃ ৩৪টি। (ক) জাতীয় ও আন্তর্জাতিক-০৭টি। (খ) স্থানীয়-২৭টি।
প্রাকৃতিক সম্পদঃ
কৃষিজ- (১) প্রধান ফসলঃ ধান ,গম, ভুট্টা, সরিষা, তুলা, আখ ও শাকসবজি ইত্যাদি।
(২) ফলমূলঃ আম, কাঁঠাল, আনারস, কলা, পেঁপে, পেয়ারা, লেবু ও তরমুজ ইত্যাদি।
খনিজ- গ্যাস (সিমুতাং গ্যাসফিল্ড, মানিকছড়ি)।
বনজ- সেগুন, গামারী, কড়ই, গর্জন, চাপালিশ, জারুল ইত্যাদি।
➡️➡️➡️➡️➡️জেলায় নিজের বলার মত একটি গল্প ফাউন্ডেশন এর কার্যক্রম --
জেলা অ্যাম্বাসেডর:২জন
১/কাউসার আলম ভাই এবং
২/মনিশা চাকমা
উপজেলা অ্যাম্বাসেডর:৫জন
১/খাগড়াছড়ি সদরে দহেন বিকাশ চাকমা
২/মাটিরাঙ্গা:জসিম উদ্দীন
৩/মানিকছড়ি:তাজুল ইসলাম
৪/পানছড়ি:চাকমা অর্পন
৫/লক্ষিছড়ি:হায়দার
রেজিষ্ট্রেশন টিম মেম্বার:১জন
১/আমেনা আক্তার
সোশ্যাল মিডিয়া ফিডব্যাক টিম মেম্বার: ১জন
১/আমেনা আক্তার
কমিউনিটি ভলেন্টিয়ার:৮জন
১/সালাহউদ্দীন
২/ কামাল হোসেন টিটু
৩/ আমেনা আক্তার
৪/খাদিজা আক্তার
৫/কামরুজ্জামান
৬/ইফতেদা আক্তার নীলা
৭/তাজুল শুভ
৮/অঞ্জনা চাকমা
➡️ UTV চ্যানেলে দুই জন অংশ গ্রহন করতে পেরেছে।
১. আমেনা আক্তার
২. মনিশা চাকমা।
- নিজের বলার মত একটি গল্প ফাউন্ডেশন থেকে শীতার্ত মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে আমাদের খাগড়াছড়ি জেলায়।
খাগড়াছড়ি জেলার পক্ষ থেকে আমি
_____________________________________
আমি আমেনা আক্তার
কমিউনিটি ভলান্টিয়ার
রেজিষ্ট্রেশন টিম মেম্বার
সোশ্যাল মিডিয়া ফিডব্যাক টিম মেম্বার
ব্যাচ:১৪/৬২৭৮৩
মানিকছড়ি,খাগড়াছড়ি।