খাদির শহর কুমিল্লা জেলার প্রতিবেদন
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম❣️❣️❣️
নিজের.......................... আসসালামু আলাইকুম 💕💕💕
এক নজরে কুমিল্লা জেলার তথ্যাবলি:
কুমিল্লা জেলা ২৩°০১' থেকে ২৩°৪৭' ৩৬" উত্তর অক্ষাংশে এবং ৯০°৩৯' থেকে ৯১°২২' পূর্ব দ্রাঘিমাংশে বিস্তৃত।
কর্কটক্রান্তি রেখা কুমিল্লা জেলা অতিক্রম করেছে।
কুমিল্লা জেলার উৎপত্তি:
কুমিল্লা অঞ্চল প্রাচীন সমতটের অধীনে এবং ত্রিপুরা রাজ্যের সঙ্গে সংযুক্ত ছিল। নবম শতাব্দিতে এ জেলা হরিকেল রাজাদের অধীনে আসে। এ শহরের ৫কি:মি: পশ্চিম-দক্ষিণে লালমাই ময়নামতিতে দেব বংশ(অষ্টম শতাব্দী) ও চন্দ্র বংশের (দশম ও একাদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি ) রাজত্ব ছিল।এ জেলা ১৭৬৫ সালে প্রথম ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনাধীনে আসে। ১৭৯০ সালে এিপুরা জেলা নামে এই জেলার সৃষ্টি। ১৯৬০সালে কুমিল্লা জেলার নামকরণ হয়। ১৯৮৪ সালে চাঁদপুর ও ব্রাক্ষ্রণবাড়ীয়া মহকুমা দুইটি জেলায় উন্নীত হয় । কুমিল্লা পৌরসভা দেশের প্রাচীনতম পৌরসভাসমূহের মধ্যে অন্যতম ঐতিহ্যবাহী পৌরসভা। ১৮৬৪ সালে ৩০ শে নভেম্বর কুমিল্লা পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। কুমিল্লা পৌরসভার আয়তন ১৭.৯৪ বর্গ কিঃমিঃ। এতে সাধারণ আসনে ১৮টি ওয়ার্ড ছিল ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড ছিল-০৬টি। কুমিল্লা পৌরসভার সীমানা ঘেষে ২০০৩সালে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ পৌরসভা গঠিত হয়। সদর দক্ষিণ পৌরসভার আয়তন ৩৫.১০ বর্গ কিঃমিঃ। এতে সাধারণ আসনে ০৯টি ওয়ার্ড ছিল ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড ছিল-০৩টি। প্রায় ১৫০ বছরের পুরোনো কুমিল্লা মিউনিসিপালিটি প্রতিষ্ঠার ১০৯ বছর পর স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ১৯৭৩ সালের ২২ মার্চ কুমিল্লা পৌরসভা নামকরণের মাধ্যমে এর কার্যক্রম পরিচালিত হতে থাকে। ১৯৭৩ সালে জানুয়ারী থেকে এপ্রিল পর্যন্ত প্রথম পৌর প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন জনাব আবদুর রহিম এরপর জনাব মঈনুদ্দিন আহমেদ, জনাব মীর আফতাব উদ্দিন আহমেদ ১৯৭৪ সালের ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত পৌর প্রশাসকের দায়িত্বে ছিলেন। এরপর জনাব এম. এ. আউয়াল কুমিল্লা পৌরসভার প্রথম চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন। কুমিল্লা পৌরসভার সর্বশেষ নির্বাচিত প্রতিনিধি এবং নির্বাচিত মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন জনাব মোঃ মনিরুল হক সাক্কু। ১০জুলাই ২০১১ খ্রিস্টাব্দ কুমিল্লা পৌরসভা ও কুমিল্লা সদর দক্ষিণ পৌরসভা বিলুপ্ত করে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠা করে। কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন এর প্রথম প্রশাসক নিযুক্ত হন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের যুগ্ম সচিব জনাব মোঃ নাসির উদ্দিন আহমেদ।
সীমানাঃ উত্তরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা, দক্ষিণে ফেনী ও নোয়াখালী জেলা, পূর্বে ভারতের ত্রিপুরা, পশ্চিমে চাঁদপুর, নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জ জেলা।
আয়তনঃ ৩০৮৭.৩৩ বর্গ কিলোমিটার।
আন্তর্জাতিক সীমান্ত দৈর্ঘ্যঃ ১০৬
কিলোমিটার
যে কারনে কুমিল্লা বিখ্যাত:
খাদি কাপড় ও রসমালাইয়ের জন্যে বিখ্যাত কুমিল্লা জেলা চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তর্গত একটি জেলা। শিক্ষা, শিল্প ও সংস্কৃতির পাদপীঠ কুমিল্লা প্রাচীন ঐতিহ্যসমৃদ্ধ এই জেলা প্রাচীনকালে সমতট জনপদের অন্তর্গত ছিল এবং পরবর্তীতে এটি ত্রিপুরা রাজ্যের অংশ ছিল। কুমিল্লা জেলার দর্শনীয় ভ্রমণ স্থান, ঐতিহাসিক স্থাপনা ও ঘুরে বেড়ানোর সকল পর্যটন স্থানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো; শালবন বিহার, আনন্দ বিহার, ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি, ধর্মসাগর দীঘি, রূপবান মুড়া, চন্ডীমুড়া মন্দির, ম্যাজিক পার্ক ইত্যাদি।
কুমিল্লা জেলার নদ-নদী:
কুমিল্লায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নদী রয়েছে । এখানে প্রধান নদী গোমতী। ডাকাতিয়া, কাঁকরী নামে আরো দুটি নদী ও রয়েছে। এর মধ্যে ডাকাতিয়া নতুন ও কাঁকরী প্রাচীন নদী। গোমতীর উৎপত্তি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের পাহাড়ী এলাকায়। গোমতীর দৈর্ঘ্য ১৩০.১২২ কিলোমিটার। এটি কুমিল্লার সদর, বুড়িচং, ব্রা্হ্মণপাড়া, দেবিদ্বার, মুরাদনগর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে দাউদকান্দি হয়ে মেঘনায় মিলেছে। গোমতীর ডান তীরে ৪১ কিলোমিটার ও বাম তীরে ৩৪.৭৫ কিলোমিটার বন্যা ব্যবস্থাপনা বাঁধ রয়েছে।
প্রশাসনিক কাঠামো
উপজেলাঃ
১৭ টি (আদর্শ সদর, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ, চৌদ্দগ্রাম, লাকসাম, বরুড়া, নাংগলকোট, মনোহরগঞ্জ, চান্দিনা, তিতাস, দাউদকান্দি, হোমনা, মেঘনা, মুরাদনগর, দেবিদ্বার, বুড়িচং ,ব্রাহ্মণপাড়া ও লালমাই )
সংসদীয় আসন সংখ্যা১১ টি
সিটি কর্পোরেশন,০১ টি (কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন), প্রতিষ্ঠাকাল ১০/০৭/২০১১খ্রিঃ
আয়তনঃ ৫৩.০৪ বঃ কিঃ মিঃ
ওয়ার্ডঃ ২৭টি
জনসংখ্যাঃ ৩,৩৯,১৩৩ জন(পুরুষ:১,৭৭,৩০০ জন ও মহিলা:১,৬১,৮৩৩ জন)(২০১১ সালের আদম শুমারী অনুযায়ী)
হোল্ডিং সংখ্যাঃ সরকারি - ১৭৪টি
বেসরকারি- ৩৩,৭১২টি
মোট = ৩৩,৮৮৬ টি
পৌরসভা ০৮ টি
ইউনিয়নঃ১৯৩ টি
গ্রামঃ৩,৬৮৭ টি
জোতঃ৫,৩৪,৩০৭ টি
মৌজাঃ২,৭০০ টি
ইউনিয়ন ভূমি অফিসঃ১৭২ টি
হাট-বাজারঃ৩৫৭ টি
জনসংখ্যা (আদমশুমারী ও গৃহগণনা ২০১১ এর প্রাথমিক ফলাফলে কুমিল্লা)
মোট জনসংখ্যা৫৩,৮৭,২৮৮ জন
পুরুষ২৫,৭৫,০১৮ জন
মহিলা২৮,১২,২৭০ জন
জনসংখ্যার ঘনত্ব(প্রতি বর্গ কি:মিঃ)
১৭১২ জন (প্রতি বর্গ কিঃ মিঃ)
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারঃ১.৫৮% (প্রায়)
শিক্ষা সংক্রান্ত তথ্য
সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়০১ টি
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়০২টি
মেডিকেল কলেজ (সরকারি)০১ টি
মেডিকেল কলেজ (বেসরকারি)০৩ টি
ক্যাডেট কলেজঃ০১ টি
বেসরকারি কলেজঃ৭৭ টি
শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজঃ০১ টি
পিটিআই০১ টি
এইচএসটিটিআই ০১ টি
মেডিকেল এসিসটেন্ট প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (সরকারি) ০১ টি
মেডিকেল এসিসটেন্ট প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (বেসরকারি)
০৬ টি
নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়৩৩ টি
উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় (স্কুল এল্ড কলেজ) সরকারি০৩টা
উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় (স্কুল এল্ড কলেজ) বেসরকারি৩৪টি,
সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়১৪ টি,
সরকারি কলেজ২১ টি,
মাধ্যমিক বিদ্যালয়৫৪৩ টি,
দাখিল মাদ্রাস ২৩০ টি,
আলিম মাদ্রাসা৭৬ টি,
ফাজিল মাদ্রাসা৬২ টি,
কামিল মাদ্রাসা১১ টি,
প্রাথমিক বিদ্যালয়ঃসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,২১০৬ টি,
কিন্ডার গার্টেন২২৪৬ টি
➡️➡️➡️➡️➡️কুমিল্লা জেলায় নিজের বলার মত একটি গল্প ফাউন্ডেশন ➡️
➡️কুমিল্লা জেলার কোর ভলেন্টিয়ার মোট ২ জন
১- মাহবুব হাসান
২- নাসির উদ্দিন গাজী
➡️কুমিল্লা জেলার এম্বাসেডর ৬ জন।
➡️উপজেলা অ্যাম্বাসেডর প্রায় ১৭+ জন।
➡️কুমিল্লা NBMEG উদ্যোক্তা প্রায় ৫০ + জন
➡️কান্ট্রি এম্বাসেডর আছেন প্রায় ৫+ জন।
➡️কুমিল্লা জেলার কমিউনিটি ভলান্টিয়ার প্রায় ৫০+ জন
৯.কুমিল্লা জেলার সদস্য সংখ্যা (আনুমানিক) ১২০০+ জন।
➡️রেজিষ্ট্রেশন টিমে কাজ করছেন প্রায় ৮ জন।
এদের মধ্যে জে এ পারভেজ টানা ৫ বার প্রথম হয়ে রেকর্ড করেছেন।
➡️টপ টুয়েন্টি ক্লাব সদস্য আছে প্রায় ৫ জন।
এদের মধ্যে আব্দুল হাকিম ভাই অন্যতম ৬ বার এসেছেন।
➡️লাইভ সাপোর্ট টিমে কাজ করছেন ২ জন।
১. জে এ পারভেজ ( ওয়েব, ব্লগ ও লাইভ সাপোর্ট টিম)
২. সানি রাফি
➡️➡️ ৭- মে - ২০২১
#মানুষের_জন্য_কাজ_করলে_জীবিকার_অভাব_হয়না -Iqbal Bahar Zahid
এই শ্লোগানকে বুকে ধারন করে কুমিল্লা জেলা টিম
করোনা ভাইরাসের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী এবং পবিত্র ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে ঈদ উপহার (এক-বেলা খাবার ) বিতরণ করেছেন।
শুক্রবার (৭- মে - ২০২১)দুপুরে রেলওয়ে পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে মানুষের মাঝে 'ঈদ উপহার' (এক-বেলা খাবার) বিতরণ করা হয়।
আমাদের শ্লোগান ছিল --
"#দিনে_আনে_দিনে_খায়
অসহায় মানুষ'দের মাঝে
#এক_বেলা
খাদ্য সামগ্রী বিতরণ "
এই কার্যক্রমটি আমরা ৩/৪ দিনের ভিতর আয়োজন করতে সক্ষম হই। এতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে দেশের ও প্রবাসী সদস্যবৃন্দ। যাদের প্রত্যেকের চেষ্টায় আমাদের আয়োজনটি চমৎকার ভাবে সম্পন্ন হয়েছে। খুব অল্প সময়ে এই আয়োজন সম্পন্ন করার জন্য তাদেরকে জানাই অশেষ অশেষ ধন্যবাদ।
প্রতি প্যাকেটে ছিলঃ-
১. মসুরের ডাল ৫০০ গ্রাম।
২.পেয়াজ ১ কেজি।
৩. সয়াবিন তৈল ৫০০ গ্রাম।
৪. পোলাওয়ের চাউল ১ কেজি।
৫.চিনি ৫০০ গ্রাম।
৬. দুধ ( কনডেন্স) ১টা
৭.লাচ্ছা সেমাই ৫০০ গ্রাম।
(প্রতি প্যাকেটে খরচ হয়েছে ৩৫০টাকা করে)
➡️➡️➡️ কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলায় ২০২০ সালে শীতার্থদের মাঝে ২০০ কম্বল বিতরণ করা হয়।
➡️➡️➡️চান্দিনায় ২০২০ সালে শীতার্ত মানুষের মাঝে ২০০ কম্বল বিতরণ করা হয়।
➡️➡️➡️ ২-১০-২০২০ সালে আমাদের ফাউন্ডেশনের ১০০০ তম দিন কুমিল্লা জেলায় উদযাপিত হয়।
➡️➡️➡️২০২০ সালে ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের আগমন উপলক্ষে সংবর্ধনা অনুষ্টান অনুষ্ঠিত হয়।
➡️➡️➡️➡️ " দিনে আনে দিনে খায় " এরকম ১২৫ টি পরিবারের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
➡️➡️➡️➡️ ২০১৯ সালে অসহায় শিশুদের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
কুমিল্লা জেলার পক্ষ থেকে আমি
_______________________________
জহির আহমেদ পারভেজ
কো-ফাউন্ডার - VICTUS
২৪/৭ লাইভ সাপোর্ট টিম মেম্বার
রেজিষ্ট্রেশন টিম মেম্বার
একজন গর্বিত কমিউনিটি ভলান্টিয়ার
টপ ২০ ক্লাব সদস্য
ব্যাচঃ১০ম
রেজিষ্ট্রেশনঃ১৭০৩১
নাঙ্গলকোট উপজেলা
কুমিল্লা
ব্লাড ও +
মোবাইল ০০৯৭৩-৩৩১৬৪০৭৯
রেমিট্যান্স যোদ্ধা হিসেবে বাহরাইন প্রবাসী