তার কিছুদিন পর মা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে তার গলায় অপারেশন করতে হবে।
🌿🌿🌿🌿 জীবনের গল্প 🌿🌿🌿
👉👉👉সবার প্রতি অনুরোধ রইলো গল্পটা পড়ার জন্য।
আসসালামুয়ালাইকুম, ওয়ারহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহু
🌷🌷সকল প্রসংশা আমাদের সৃষ্টিকর্তা মহান রাব্বুল আলামিনের প্রতি যিনি আমাকে আশরাফুল মাখলুকাত হিসেবে সৃষ্টি করেছেন ও সুস্থ রেখেছেন। 🌷🌷
🌷🌷 দরুদ ও সলাম প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (স:) এর প্রতি। যিনি পৃথিবীতে এসেছিলেন সমস্ত মানব জাতীর মুক্তি ও কল্যাণের দুত হিসেবে 🌷🌷
☘️☘️শ্রদ্ধার সাথে স্বরন করছি প্রিয় মা-বাবাকে তাদের উছিলায় আমি এই সুন্দর পৃথিবীতে এসেছি। বড় হয়েছি তাদের ভালোবাসায়। তাদের ঋন কখনো শোধ হবার নয়।☘️☘️
🌼🌼🌼কৃতঙ্গতা প্রকাশ করছি আমাদের সকলের প্রিয় মেন্টর ## ইকবাল বাহার জাহিদ## স্যারের প্রতি। যার অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে আমরা নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন পেয়েছি। যিনি এ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ শিক্ষক। লাখ লাখ তরুন তরুনির ভালোবাসার মানুষ। পথ হারা মানুষের পথের দিশারি🌼🌼
🍂🍂কেমন আছেন সবাই, আসা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভলোই আছেন।আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে আমিও ভালোই আছি।আজ আমি আপনাদের সবার কাছে আমার জীবনের গল্প শেয়ার করব।🍂🍂
🍂🍂আমি মো: সবুজ খান, নিজ জেলা মানিকগঞ্জ।আমাদের
বাড়ি নদীতে মানে পদ্মায় ভেঙ্গে যায় আমার জন্ম হওয়ার আগেই।তার পর থেকেই আমাদের সংসারে দুঃখ কষ্ট আরম্ভ হয়। 🍂🍂
🍂🍂আমাদের অনেক জায়গা সম্পদ ছিলো যা বার বার পদ্মায় ভেঙ্গে যাওয়ায় আমাদের আর দু:খ কষ্ঠের শেষ ছিলো না।আমরা ছোট বেলায় অন্যের বাড়িতেও থেকেছি। এরপর নিজের চাচার বাড়িতেও থেকেছি অনেক বছর।🍂🍂
🍂🍂আমার যখন ৫ বছর বয়স তখন আমার বাবা মারা যায়।আমার বাবার লান্স ক্যানসার হয়েছিলো।ক্যানসার টা হঠাৎ করেই ধরা পরে। আমরা চার ভাই একবোন। 🍂🍂
🍂🍂বোনকেতো আমার বাবা মা ছারা ডাকতই না। আসলে বোন আমাদের খুব আদরের। আমার বাবা মারা যাওয়ার অল্প কিছু দিন আগেই তার ক্যানসার ধরা পরে।বলতে গেলে হঠাৎ করেই রোগ টা ধরা পরে। ডাক্তার বলেছিলো ইনজেকশন আছে সেটা দিলে আবার দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবে।🍂🍂
🍂🍂কিন্তু ঐ ইনজেকশন তখন কার সময় ঢাকায় ছারা আর কোথাও পাওয়া যায় না। তখন কার সময় একটা ইনজেকশন ৭/৮ হাজার টাকা একেতো টানা পরোনের সংসার এর ভিতর এত টাকার ঔষধ। ডাক্তার বলেছিলো কম হলেও তিন টা ইনজেকশন দিতে হবে। 🍂🍂
🍂🍂এদিকে তো আমার মায়ের অবস্থা পাগোল প্রায় কিভাবে কি করবে কি ভাবে টাকা যোগার করবে কোথায় যাবে। তার পর অনেক কষ্ঠ করে টাকার যোগার হয় ঢাকায় ইনজেকশন আনতে যায় মা। যেদিন ঢাকায় যায় সেদিন জানতো না তার পরের দিন থেকে হরতাল।জানলেও কিছু করার ছিলো না যেতেই হতো।🍂🍂
🍂🍂বাবার ইনজেকশন দিতে হবেতার পরের দিন। অনেক কষ্ঠ করেও মা তারতারি আসতে পারেনি যখন মা আসলো তখন অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিলো। বাবা কুিন্তু আমার বোনের হাতের উপর মারা গিয়েছিলো। আমার বয়স তখন ৫/৬ বছর আর আমার বোনের বয়স ছিলো ১০। 🍂🍂
🍂🍂বাবার অসুখের সময় কিছু টাকা ধার হয়ে গিয়েছিলো সেই টাকা শোধ করতে আমাদের কিছু জমি পানির দামে ছেরে দিয়েছিলো। তারপর সেই ধার শোধ করে মা। তখন থেকেই আমাদের কষ্টের শেষ ছিলো না।কারন বাবাই ছিলো আমাদের একমাত্র আয়ের উৎস।🍂🍂
🍂🍂আমার নানা বাড়ির মানুষের সাথে তখন আমাদের খুব যোগাযোগ ছিলো না। আমার মা কিন্তু তখন ও তাদের কিছু জানাইনি। আমার নানু কোথায় থেকে জেনে খুজতে খুজতে আমাদের কাছে চলে আসে। 🍂🍂
🍂🍂আমার মামারা তখন সবাই বিদেশ থাকে তখন তো আর ফোনের যুগ ছিলোনা চিঠির যুগ ছিল। মামাকে নানু চিঠি লিখে সব কিছু জানায়। মামা সব কিছু জানার পরে মাকে বলে আপা আমি এমন একটা কিছু করি যাতে আপনার সবাই একটু ভালো থাকতে পারেন। মামা চাইছিল আমাদের একটা জায়গা কিনে দিয়ে বাড়ি করে দিতে আর কিছু টাকা দেই যেটা দিয়ে আপনি বাচ্চাদের নিয়ে একটা কিছু করে খেতে পারেন।🍂🍂
🍂🍂কিন্তু আমার মা তখন বলেছিলো আমার জন্য এতকিছু করতে হবে না আমার বড় ছেলেকে তুমি বিদেশ নিয়ে যাও তুমাকে আর কিছু করা লাগবেনা ভাই। আমার এই ভাই আমার বাবার প্রথম ঘরের ছেলে সেখানে তারা দুই ভাই ছিলো আর আমরা দুই ভাই এক বোন। 🍂🍂
🍂🍂আমার বড় ভাইকে আমার মা কখনো সত ছেলে ভাবেনি নিজের আপন ছেলেই ভেবে ছিলো সব সময়। পরালেখা থেকে আরম্ভ করে সব কিছু করিয়েছে মা। মামা মাকে বলেছিলো ওকে নিলে ওজে আপনাদের দেখসুনা করবে মা তখন বলেছিলো দেখুক আর না দেখুক বড় ছেলেকেই নিতে হবে।মা ভাবছিলো বড় ভাই আমাদের ফেলবে না তাই মা এতযোর দিয়ে কথাগুলো বলেছিলো।🍂🍂
🍂🍂ভাইয়া তো বিদেশ গেলো ৫/৬মাস বেকার ছিলো সবকিছু মামারাই চালায় ছিলো। তারপর আমাদেরকে প্রতি মাসে ১০০০/১৫০০ করে টাকা দিচ্ছিলো। তারপর ১৯৯৮ সালে আমারা ঢাকায় চলে আশি। 🍂🍂
🍂🍂তখন আমি ক্লাস সিক্স এ পড়ি।কিন্তু সেই ভাই আমাদের শেষ পর্যন্ত দেখেনি।সেই থেকে খুব কষ্ঠ করে আমরা চলছিলাম। পড়ালেখা টাও শেষ পর্যন্ত করতে পারিনি। মা বোন হাতের কাজ করে সংসার চালায় এভাবেই চলছিলো আমাদের।🍂🍂
🍂🍂সেজো ভাই তখন আমাদের সাথেই থাকে। তো হঠাৎ করেই বোনটার বিয়ে হয়ে যায়।সংসার চালাতে হিমসিম খাচ্ছিলো মা। মা জার কাছ থেকে কাজ এনে করতো তখন তার একজন লোক লাগতো। মা তখন বল্লো আমার ছেলেটাকে দেখতে পারো। আমাকে নিয়ে আশলো কথাবলে তাদের ভালো লাগলো। আমার চাকরি হয়ে গেলো।🍂🍂
🍂🍂এভাবে বছর দুইএক চাকরি করলাম। হঠাৎ চাকরি চলে গলো। কারন ঐসময় তার ব্যবসাটা ছেরে দিয়েছিলো। এর মাঝে বোন অসুস্থ হয়ে আমাদের এখানে ফিরে আসলো।অসুস্থ মানে বোনের সৃতিশক্তি চলে গিয়েছিলো।🍂🍂
🍂🍂 অনেক চিকিৎসা করার পর বোন সুস্থ হলো। আমরা একটা ব্যবসা আরম্ভ করলাম ব্যবসাটা ভালোই চলছিলো। আমি আর বোন মিলে ব্যবসাটা করছিলাম।এর মাঝে হঠাৎ সেজো ভাই অসুস্থ হয়ে পড়ে।🍂🍂
🍂🍂ভায়ের ও বিদেশে যাওয়ার কথাছিলো এর মাঝেই অসুস্থ হয়ে পরে।ভায়ের যে রোগ হয় তার কোন চিকিৎসা বাংলাদেশে নেই।ভাই কে নিয়ে অনেক দোরঝাপ করতে হয়েছে আমাকে।তাকে দোতলা থেকে তিন তলায় তিনতলা থেকে নিচতলায় আমি নিজেই উঠানামা করিয়েছি। তার জেগে হাসপাতালে থেকেছি দিনের পির দিন।🍂🍂
🍂🍂কত জায়গায় ভাইকে নিয়ে গিয়েছি জেখানে যে বলেছে সেখানেই নিয়ে গিয়েছি কোন ফল পাওয়া যায়নি। ভাইকে সময় দিতেদিতে আমাদের ব্যবসাটা লছহয়ে গেলো। ভাই এখন প্যারালাইসিস।হাটাচলা করতে পারেনা।🍂🍂
🍂🍂তার কিছুদিন পর মা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে তার গলায় অপারেশন করতে হবে। অপরেশন হলো মা আবার সুস্থ হলো। তার বছর এক বছর পর মা মারা গেলো।তখন আমি একটা চাকরি করি। মা মারা যাওয়ার পর আমাদের এক মামা বল্লো এখন একাএকা ঢাকায় কিকরে থাকবে আমাদের এখানে চলে আসো।🍂🍂
🍂🍂বোন ও ভাবলোএকাএকা না থেকে এখানেই থাকাটা ভালো।তাই বোন ওখানে চলে গেলো।আমি চাকরি ছেরে বোনের কাছে চলে আসলাম কারন বোন একা। 🍂🍂
🍂🍂মামা বলেছিলো এখানে চলে আসো বিদেশে কোন ব্যবস্থ করতে পারলে পাঠিয়ে দেবো। ততোদিন এখানে কোন চাকরি করতে থাকো।কিন্তু শেষ পর্যন্ত মামা আর আমার জন্য কিছু করেনি,কারন মামা ভেবেছিলো অসহায় ছেলে তাই তার ফরমায়েশ খেটে জীবন কাটিয়ে দিবো,কিন্তু আমি তা করিনি,আমি চেয়েছি নিজে কিছু করতে।🍂🍂
🍂🍂চাকরির কোন খোজ নেই ছেলে মানুষ বেকার কতোদিন থাকা যায়।তাই আবার ঢাকায় চলে আসলাম তার পর কিছুদিন রেস্টুরেন্টে চাকরি করেছি এই চাকরি আমার ভালো লাগেনাই।তাই ছেরে দেই।ভাগিনা একটু বড় হলে বোন আবার ঢকায় চলে আসে। 🍂🍂
🍂🍂কাজটাজ করে কোন রকম চলছিলো এরপর চলে এলো করনা। করনার আগে আমিছোট একটা ব্যবসা করতাম সেই কাজটাও ঐসময় শেস হয়ে গেলো।করনা সারাদেশে বারতেই থাকে আর আমার মাথা ভার হতে থাকে।🍂🍂
🍂🍂চোখেমুখে অন্ধকার দেখেত থাকি আমি।কোন পথ খুজে পাচ্চিলাম না আমি। তার কিছুদিন আগে নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন এ আমার বোন যুক্ত হয়। আমাকেও বলে যুক্ত হতে।নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশনে যুক্ত হয়ে তাদের পোস্ট দেখে আমার খুব ভালো লাগে। 🍂🍂
🍂🍂মনে সাহস পাই । তখন ভাবি তারা যদিপারে আমি কেন পারবোনা। এরপর থেকেই আমি নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশনের নিয়মিত সদস্য। 🍂🍂
🍂🍂স্যারের প্রতি দিনের সেশন পড়ি আর মনের মধ্যে সাহস করি, স্বপ্ন দেখি আমিও পারবো, ইনশাআল্লাহ।
স্বপ্ন দেখুন, সাহস করুন,শুরু করুন লেগে থাকুন,সফলতা আসবেই, স্যারের এই কথাটা আমার জীবনে অন্য রকম শক্তি যোগায়।
তাই আমি শুরু করেছি,লেগে থাকবো। 🍂🍂
🍂🍂আপনাদের সকলের ভালোবাসা আমার একান্ত কাম্য। 🍂🍂
স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে 718
08-01-2022
মোঃ সবুজ খান
**ব্যাচ ঃ ১৬**
**রেজিষ্ট্রেশন নং ঃ ৭৮৫৫২**
** জেলা ঃ মানিকগঞ্জ **
** থানা ঃ হরিরামপুর **
**এখন অবস্থান ঢাকা মোহাম্মদপুর **