আমার বিশ্বাস আমি পারবো আমাকে পারতেই হবে,
___________বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম______________
___অনেক লাঞ্ছনার পর হলাম উদ্দোক্তা„ গল্প আমার_____
____যে নারী রাঁধতে জানে সে চুল বাধতে ও জানে_____
____________ হা আমরা নারী আমরা পারি।________
আসসালামু আলাইকুম।আমার নিজের বলার মতো গল্পের ভাই ও বোনেরা সবাই কেমন আছেন? আশাকরি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালোই আছেন?আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি আলহামদুলিল্লাহ্।
প্রথমেইশুকরিয়া জানাই আল্লাহতায়ালার প্রতি।তার পর আমার পিতা ও মাতার প্রতি যাদে মাধ্যমে আমিএই সুন্দর পৃথিবীতে আসতে পেরেছি।তার পর আমার আপনাদের সকলে প্রিয় মেন্টর Iqbal Bahar Zahid স্যার এর প্রতি যার মাধ্যমে আমরা এই এতো বড় সুন্দর একটা প্লাটফর্মে সবাই যুক্ত হতে পেরেছি,যেখানেই প্রতিনিয়ত তৈরী অনেক অনেক উদ্দোক্তা, পেয়েছি অনেক ভাইবোনদের যা পেয়েছি অনেক ভালোবাসা,, আমি অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি প্রাণপ্রিয় শ্রদ্ধেয়ের স্যার এর প্রতি।পেয়েছি অনেক অনেক অঅনুপ্রেরণা ও সাহস ।।
একজন নারী উদ্দোক্তা হতে গেলে কত যে সমস্যার সম্মক্ষিন
হতে হয় তা একমাত্র নারীরাই জানে। আশা করি আমার কথাগুলা মনোযোগ দিয়ে পড়বেন আর আমার পাশে থাকবেন ভালোবেসে।
______________আমার উদ্দোক্তা হওয়ার গল্প শুরু।
আমি যখন ক্লাস এইটে পড়ি তখন আমি হাতে একটা বেবি ফ্রক সেলাই করি সেই সময় আামার নানু আসলেন আমাদের বাড়িতে আমার হাতের সেলাই করা বেবি ফ্রগটা দেখে বল্লেন। অনেক সুন্দর হয়েছে। এই জামাটা কে তৈরি করেছে আমি বল্লাম আমি, আমার নানু আমার উপর অনেক খুশি হলেন আর তিনি বল্লেন আমি তোমাকে একটা মেশিন কিনে দিব আর তুমি এইভাবে সেলাই করবে।যদিসুন্দর করে সেলাই করতে পার তাহলে অনেক টাকা তুমি রোজগার করতে পারবে। তারপর থেকেই আমি সেলাই শুরু করলাম প্রথমেই সেলাই করে একশত পঞ্চাশ টাকা পেলাম আর এতে আমি অনেক খুশি ভাবলাম টাকাগুলা দিয়ে এখন কি করবো।হঠাৎ মাথায় এলো গাছ লাগাবো।পরদিনই আমি নার্সারীতে গিয়ে পাঁচটি গাছ কিনলাম বাড়ীতে এসে আমি গাছগুলা রোপন করলাম আর আমার উৎসাহ আরো বেড়ে গেল।তারপর থেকে সেলাইয়ের কাজে আরো মনোযোগী হলাম তারপর প্রশিক্ষন নিলাম।এবং ভাবতে লাগলাম ঢাকার দিকেতো মানুষ গার্মেন্ট করে আমাদের এইদিকে কি করা যাবে?এইসব ভাবতে ভাবতেই আমার বিয়ে হয়ে গেলো তার পর সব কিছু বন্ধ হয়ে গেল।
_________আমার বিয়ের পর আবার সেই চিন্তা,, উদ্দোক্তা,,
তখন ছিলো ২০১১ সাল আমার মাথায় আবার চিন্তা এলো এখন কি কোন ভাবে গার্মেন্টস কি করা যায়? তারপর স্বামী সহপরিবারের সবাইকে অনেক বুজিয়ে রাজি করে আমার নানুর দেওয়া সেই মেশিন সহ আরো প্রায় একলক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা ইনবেস্ট করে আমার ছোট ভাইকে সঙ্গে নিয়ে ছোট করে একটা কারখানা শুরু করলাম।তিনজন মহিলাকে সাথে নিয়ে তারপর বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার কারনে সেখানেও ব্যাবসায় লস হলো।তারপর সেলাই এর কাজ বন্ধ করে যে কাপড়গুলা ছিলো সেইগুলার সাথে আরো কিছু টাকা ইনবেস্ট করে থান কাপড়ের দোকান চালু করলাম,এতেও লস হলো।তারপর আরোওপ্রচুর টাকা ইনবেস্ট করে সবরকমের রেডি আনরেডি কাপড় দোকানে রাখলাম এতে ভালো ফল পেলাম না।লোকের মুখেতো গালমন্দ তো আছেই
কতজনের কতরকম কথা সেই কথা গুলো মনে হলে আমার
দুই চুখে শুধুই অঝরেই পানি ঝড়ে, যা আমি নিরবেই নিস্তব্ধ হয়ে সয়ে গেছি,, আর সেই সময় আমার ব্যাবসায়িক সমন্ধে কিঁছুই ভালো ধারনা ছিলোনা,, আর ছিলোনা আমাদের এই নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন। সেই সময় যদি পেতাম এই ফাউন্ডেশন তাহলেই এত সমস্যার সমক্ষিন হতে হতনা আমার উদ্দোক্তার জীবনে।
__________আমার স্বামী একজন রেমিটেন্স যোদ্ধা ছিলো
যা কিনা আআমাদের স্যার বলে থাকেন বাংলাদেশের অক্সিজেন,, একদম সত্য ও বাস্তব, শ্রদ্ধেয়ের স্যার আপনাকে স্যালুট। আমার স্বামী আবার প্রবাসি,উনাকে বললাম যে কিছু টাকা লাগবে উনি আমাকে বলার সাথে সাথেই দিয়েছেন।তারপর চিন্তা করলাম দেখি এক আইটেমের কাপড় রাখলে মনে হয় ভালো করতে পারবো সেই আত্য বিশ্বাস রেখেই আমি সিদ্ধান্ত নিলাম,যেই কথা সেই কাজ শুরু করে দিলাম,, মাশাল্লাহ ভালো চলছিলো তাই আবার সিদ্ধান্ত বদলে বাচ্ছাদের কাপড় দোকানে রাখলাম এতে ধীরে ধীরে ভালো ফল পেতে শুরু করলাম। এবং আমার হাজবেন্ড কে বললাম আমার এই কথা গুলো উনি শুনে এত খুশী হয়েছেন
যে আমি আপনাদের বলে বুজাতে পারবোনা। উনি আমাকে শক্তি সাহস দিয়ে ছিলেন প্রতিনিয়ত এইরকম হাজবেন্ড পেয়ে
আমি নিজেকে গর্ববোধ করছি যে কিনা প্রতিটি মোহোরর্তে
আমাকে মনোবল শক্ত করেছেন।
________অনেক সাধনার পড়ে পেলাম আমার কষ্ঠের ফল
এখন আমার মাশাআল্লাহ ভালোই চলছে চারজন লোকের কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে।এই দোকানের লাভ থেকে একটা প্রইভেট কার কিনলাম চারটা ওটো রিক্সাওএকটা শিক্ষা প্রতিষ্টান।কিন্তুু তারপরও মনে হয় আমার আসল স্বপ্নটা পুরন হয়নি। মনের মধ্যে কেন জানি একটা কষ্ট।সেই গার্মেন্টস তারপর হঠাৎ একদিন ইকবাল বাহার স্যার এর একটা ভিডিও দেখলাম।অনেক ভালো লাগলো।আমি ফেসবুকে তেমন সময় দিতাম না যেই স্যার এর ভিডিও দেখলাম এই থেকে আমি স্যার এর পোষ্টগুলা দেখার জন্য ফেসবুকে প্রচুর সময় ব্যয় করতে শুরু করলাম।
___________________আমি চতুর্থ ব্যাচে যুক্ত হলাম
আমি তারপর গ্রুপের অনেক ভাইবোনের সাথে পরিচয় হলো।তারপর থেকে আবার শুরু করলাম গার্মেন্টস শুরু করার স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন পুরন করার লক্ষে আমাদের নিজের বলার মতোগল্পগ্রুপের ঢাকার দুই ভাইয়ের সাথে কন্টাক করে ঢাকায় আমরা গার্মেন্টস করবো শেয়ারে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছালাম। তারপর ঢাকা গেলাম আমাদের মতের মিল না হওয়ায় ফিরে এলাম বাড়িতে। বাড়িতে এসে ছোট করে কারখানা শুরু করলাম এখানে তৈরি হয় বাচ্ছাদের বেবি ফ্রগ, বড় মেয়েদের টপস, প্লাজু ও স্কার্টএখানে তৈরি হচ্ছে আমার সেই স্বপ্নপুরনের কাজ। আমার বিশ্বাস আমি পারবো আমাকে পারতেই হবে, তবে জানি না লক্ষে পৌছাতে পারবো কি না। তবে অনলাইনে বেশি সময় দিতে পারি না তাই বেশির ভাগই অফলাইনে কাজ করছি। আর আমার স্যার এর কথাগুলা মনের মধ্যে লালন করছি। আর আমি আমার স্যার এর প্রতি অনেক কৃতজ্ঞ স্যার এর মতো মেন্টর আমাদের পাশে থাকায় আমরা বুক ফুলিয়ে কথা বলতে পারি চলতে পারি। এগারো সালে যদিও ব্যবসা শুরু করেছি কিনএগারো সালে যদিও ব্যবসা শুরু করেছি কিন্তু লোক লজ্জার ভয়ে সবার সামনে প্রকাশ করতাম না আর আর আমাদের ব্যবসায়িক চলাফেরা টা ছিলো চুরের মতো। লোকে খারাপ বললে খুব কষ্ট পেতাম।😭এখন আর কষ্ট পাইনা। স্যালুট স্যার আমাদের মতো মহিলাদেরকে অনুপ্রেরণা দেওয়ার জন্য।
___________________আমাদের নারীর জীবটা
আসলেই আমাদের নারীদের জীবনটাকে বহমান নদীর মত মনে হয়।নদীর বুকে কখন যেমন উত্থাল ঢেউ বয়ে যায়।আবার কখন নদীর জ্বল হয় সান্ত কোমল।নদী তার বুকে সব যন্ত্রনা বয়ে বেরায় অবলীলায়।মানুষের তৈরী দুষিত বর্জ যেমন বিষক্ত করে নদীর পানিকে।তেমনি কৃষ্নচুড়া গাছের তলা থেকে বয়ে যাওয়ার সময় পানিতে ফুলগুলো পরলে নদীর পানি সুগন্ধময় হয় কিনা জানিনা, তবে গ্রাম্য বধু নিমেষেই ডুব দিয়ে বাড়ি ফেরে নদীর তীর থেকে। ইমাম সাহেবও তেমনি ওজু শেষে মসজিদে যাত্রা করে।আর নদী সবাইকে পবিত্র করার তৃপ্তিটুকু নিয়ে বয়ে চলে আপন গতিতে।।আমাদের জীবনটাও তেমনি এক নদী।সবাইকে তৃপ্তির হাসিটুকু উপহার দিয়ে আরালে রুমাল ভিজাই চোখের পানিতে।আমাদের জীবনটাও তেমনি এক নদী।যে নদীর কোন কুল নেই।যে নদীর কোন কিনারা নেই।আর এই কুল কিনারা বিহীন নদীর মাঝে আমি সাতরিয়ে বেরাচ্ছি।কিছু সময় পর পর ভাবি ঐ বুঝি তীরের দেখা মিলেছে।তীব্র বাসনা নিয়ে সাতরে যাই সেই তীরের দিকে।কাছে যেতেই দেখি এটা একটা বড় ঢেউ।যে ঢেউ নিমেষেই লন্ডভন্ড করে দেয় আমাকে।খতবিখ্যত করে দেয় আমার মনকে।ঢেউয়ের প্রবল বেগে আমি তলিয়ে যাই নদীর অতল গহ্বরে।হাবুডুবু খেতে থাকি সেই প্রলয়ন্কারী ঝড়জটকার মাঝে।ভাবি আর হয়ত নি:শাস নেয়া হবে না বুক ভরে।আর হয়ত দেখা হবে না আগামী দিনের নতুত সূর্য।মাঝি বিহীন নৌকার মত ছেড়ে দেই শরীরটাকে।সময়ের হাতে সপে দেই জীবন তরী।খানিক পরেই উপলবদ্ধি করি কে যেন গূনটানা নৌকার মতো আমাদের টেনে নিয়ে যাচ্ছে সুদূরে।কেনইবা আমাদের টেনে নিয়ে যাচ্ছ এভাবে? কোথায় পেলে আমাদের ।আমরা ঝড়ের বেগে হারিয়ে গেছি নদীর বুকে। আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন আর ভালোবেশে আমার পাশে থাকবেন।আপনারা যদি আমার পাশে থাকবেন যেন আমার লক্ষে পৌছাতে পারি
ইশাআল্লাহ।
সবার প্রতি অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি যে এএতক্ষন ধরে ধৈর্য সহকারে আমার এই ও গোছালো লেখা গুলো পড়ার জন্য।সকলের জন্য অনেক দোয়া ভালোবাসা রইলো আর আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন আল্লাহ হাফেজ।
স্ট্যাটাস দ্যা ডে - ৭১৭
তারিখ ৭-০১-২০২২
__________________________________________________
ধন্যবাদান্তে 💕💕💕💕💕
নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন এর
আমিঃ- লুৎফা বেগম
ব্যাচঃ-চতুর্থ
রেজিঃ১৮৩
জিলাঃ-মৌলভীবাজার
বর্তমানে অবস্থান করছি বড়লেখা