জখন মাথায় করে গাছের চারা আর গারিতে করে লাকরি নিয়ে জেতাম ক্লাসমিট দের দেখলে আমি লুকিয়ে যেতাম এমন ভয়াবহ দিন
বিসমিল্লাহির রাহমানুর রাহিম।
🌺আমার বাস্তব জীবন থেকে নেওয়া গল্প🌺
জংগল থেকে কাট কেটে বিক্রি
ও মাটি কাটার কাজ করে সংসার চালোনোর গল্প।
🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।সকল প্রশংসা মহান রব্বুল আলামীনের জন্য শান্তি বর্ষিতহোক নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর উপর।আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি প্রিয় মেন্টর জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের প্রতি। যার প্রচেষ্টায় আমরা এমন একটা প্লাটফর্ম পেয়েছি, যেখানে প্রতিদিন তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন,উদ্যোক্তা ভালো মানুষ, একটি সুশীল উদ্যোক্তা সমাজ ও পরিবেশ। যার অনুপ্রেরণা আজ লেখার সাহস পেয়েছি। পেয়েছি লক্ষ মানুষের মানুষের উৎসাহ অনুপ্রেরণা।
(#আমার_পৃথিবী মা_ও_বাবা)
🌸দ্বিতীয়তঃ আমার জন্মদাতা #মা ও #বাবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি যিনি আমাকে এই ত্রিভুবনে আগলে রেখে মায়া মমতার দুঃখের সুখের মধ্যখানে মায়ার বন্ধনে জড়িয়ে রেখেছেন সেই মা বাবার প্রতি রইল মাগফিরাত এবং উধার্ত ভালোবাসা আমার পৃথিব মা ও বাবা,
______________চাকরি করব না চাকরি দিবো।
শ্রদ্ধেয়ের স্যার এর কথা থেকেই অনুপ্রেরণা পেয়ে আমার উদ্দোক্তার জীবন শুরু।
(#আমার_কারিগর_প্রিয়_স্যার)
আমার শ্রদ্ধেয় এবং ভালোবাসার প্রাণ প্রিয় আইডল প্রাণ প্রিয় মেন্টর প্রাণ প্রিয় স্যার এবং শ্রদ্ধেয় স্পিকার প্রাণ প্রিয় প্রতিষ্ঠাতা নিজের বলার মত গল্প ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান #ইকবাল_বাহার_জাহিদ স্যার.
যার তুলনা সীমাহীন যার অক্লান্ত পরিশ্রমের বিনিময়ে সুন্দর বিশাল ভালো মানুষের ফ্যামিলিতে আজ কথা বলতে পারছি.
উনার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ভালবাসা অবিরাম স্যালুট ভালো মানুষ আমার কারিগর প্রিয় স্যার,
গল্প শুরু শৈশবকাল আমার।
আমি যখন ক্লাস থ্রিতে পড়ি তখন সামান্য কিছু স্মৃতি মনে আছে তখন নিজের পরিছন্নতা নিজে করতে পারতাম না,
আর লেখাপড়া বুঝতাম না শুধু স্কুলে যেতাম আর আসতাম আমাদের মা বাবা ছিল আগেকার যুগের মত সহজ সরল,
মাঝেমধ্যে উনাদের চোখের আড়ালে স্কুলে চলে যেতাম লুঙ্গি পড়ে তখন স্যার আমাদেরকে বুঝাতেন পিটুনি ও দিতেন আর কাউকে খোলা আকাশের দিগে তাকিয়ে এক পা আরেক পার উপর তুলে চাঁদের দিকে তাকিয়ে থাকা লাগতো কানে ধরে 4/5 মিনিট. এখন হাসি পায় এগুলো যখন আমরা কজন এক সাথে কথা উঠে।
তখন কথা মনে পড়ে স্কুলের ঘর ছিল কিন্তু ভাঙ্গা ডিংগা পানি পড়তো চাল দিয়ে,চাঁদ দেখা জেত ছাউনি দিয়ে ব্রাঞ্চ গুলো কাদামাটি থাকতো বেরের গর অনেক সময় বাহিরে কাঁঠাল গাছ ছিল ওই গাছের নিচে লাইন ধরে মাটিতে বসিয়ে আমাদেরকে স্যার পড়াতেন,এমনই ছিল আমাদের ছোটবেলার শৈশবকাল।আর আমার আব্বু একজন মোটা মুটি ভালো সৎ ব্যবসায়ী ছিলেন তখনকার কালে ওনাকে মালদার বলতো গ্রামের সবাই আর উনি গাছের কাঠের বিজনেস করতেন।যাই হোক শত ব্যস্ততার মাঝে মধ্যে রাতে আব্বু পড়াতে নিয়ে বসাতেন তখন অনেক দুষ্টুমি করতাম।ধীরে ধীরে যখন ক্লাস ফাইভে উঠলাম তখন বেশিরভাগ খেলাধুলার জন্য পাগল ছিলাম,সময়-অসময় বুঝতাম না বিশেষ করে আমার পরিবারের সবার আদরের একজন খোকা ছিলাম,তখন ছোট এবং বর ছেলে সবার আদরের পুরো বাড়িতে আমি ছিলাম এক জন।তখন ফ্যামিলিতে ছিলেন চাচা-চাচী দাদা দাদু আম্মু আব্বু এবং আমি।অনেক ভালো চলতো আমাদের পরিবার।তারপর আমার আব্বু যখন হঠাৎ করে বিজনেস এর মধ্যে কি এক মহা বিপদ আসলো এক রাতে তখন মোবাইল টেলিফোন ছিল না খবর পাঠালেন একজন লোক দিয়ে উনার 60 সাইট হাজার টাকার খুব প্রয়োজন যে কোন একটি বিষয়ে ওই টাকাটা না দিলে আব্বুর অনেক ক্ষতি হবে ওই ধরনের খবর এক লোক বললেন বাসায় সবাইকে।যাকে বলে কিডন্যাপ।
______________শুরু হলো অন্ধকারের জীবনযাত্রা
ফ্যামিলির সবার চোখে টলমল করে পানি ঝরছে কি করবে না করবে এত টাকা কোথায় পাবে এক মহা বিপদ।😥
আমি তখন ক্লাস সেভেনে পড়ি এতকিছু বুঝি না,ফ্যামিলির সবাই তাড়াহুড়ো করে এক রাতে দাদা আর দাদি ছিলেন উনারা আমাদের পুরো 180 শতাংশ বাড়িটা মাএ 60 হাজার টাকায় বিক্রি করে দিলেন এক বিত্তবান লোকের কাছে।
দুই দিন পর আব্বু কে ফিরিয়ে নিয়ে আসলেন টাকা দিয়ে তারপর আমাদের ফ্যামিলিতে অনেক কষ্টে দিনকাল কাটছে,আব্বুর বিজনেসর উপর নির্ভরশীল ছিল পরিবার,
আব্বুর তখন ওই বিজনেস আর করেনি অনেকেই টাকা পয়সা হাতিয়ে নিছে আব্বুর কাছ থেকে ঐ কিডন্যাপ এর লোক গুলো। অসহায়তার অভাব এর জীবন নেমে আসলো আমাদের পরিবারের। তখন আব্বু বাড়িতে টুকিটাকি এটা-ওটা করে ফ্যামিলি চালাতেন তখন আস্তে আস্তে আব্বুর সাথে আমিও কাজে সাহায্য করতাম এবং ছোট চাচা ও করত,এমন কাজই করতাম অনেক কষ্টের, চোখের কোণে জল এসে যায় ঐসব কথা মনে হলে।তারপর,, আমি আব্বু জঙ্গল থেকে কাট কেটে নিয়ে এসে বাজারে বিক্রি করতাম মাঝে মধ্যে আমি স্কুলে থাকতাম আব্বু নিয়ে আসতো পরে স্কুল থেকে এসে আমি একা নিজে নিয়ে গিয়ে বাজারে বিক্রি করে চাল ডাল নিয়ে আনতাম,আমার জীবনটা ছিল অনেক কষ্টের মাটি কাটার কাজ সহ আমি করছি কয়েকদিন।
তবে এখন আমার গর্ব ধারিনী মা যার পায়ের নিচে আমার বেহেস্ত আমাকে নিয়ে গর্ব করেন আর জীবনের কষ্টের কথা বলেন আমার ছেলে এতো কষ্ট পরিশ্রম করেছেন।
আমার জীবনের এগুলো কষ্ট নয় শোক মনে হয়।
এভাবে কাটতে থাকলো জীবন যাত্রা পড়াশোনার পাশাপাশি,
জখন মাথায় করে গাছের চারা আর গারিতে করে লাকরি নিয়ে জেতাম ক্লাসমিট দের দেখলে আমি লুকিয়ে যেতাম এমন ভয়াবহ দিন ছিল কারণ আমার মত কষ্ট পরিশ্রম করত না ওরা কেউ আমার লজ্জা লাগতো আলহামদুলিল্লাহ তাও থামিনি,কিছুদিন পর বাড়ি ওলা এসে বললো উনার বাড়ি খালি করতে তখন মনে পড়ে আমাদের গোছালো ফ্যামিলির আবাস পত্র নিয়ে আমরা আমাদের একটু দূরে একটি জমি ছিল ওখানে বাড়ি করেন খুব মজা করে আবাস পত্র এক বাড়ি থেকে আরেক বাড়ি নিতে শুরু করলাম খুব আনন্দ লাগছিল তখন ও আমি ততটা বুঝিনা আবার বোজি এমন ছিলাম,তারপর এভাবে আস্তে আস্তে আমরা বাড়ির মধ্যে একটি নার্সারি করি ঐ নার্সারিতে আমরা ফ্যামিলির সবাই কাজ করি এবং আমি পাশা পাশি লেখাপড়া করি এ তেও ভালো করে ফ্যামিলি চলেনা, তারপরে আসলো আমাদের এই ফাউন্ডেশন।
#নিজের_বলার_মত_একটি_গল্প_গ্রপ সামনে আসলো................🤲🤲🤲🤲🤲🤲
আর স্যার এর সেশন গুলো পড়তে থাকলাম আমাকে অনুপ্রেরণা দিতে লাগল উৎসাহ দিতে লাগলো প্রিয় ভাই বোনদের কথা এবং পোস্ট দেখে অনেক টা সাহস লাগলো আনন্দ ও ভালোলাগা কিছু বিষয় অজানা চিন্তা ভাবনার সাথে মিলে গেল প্রিয় সেশন গুলো অনেকটা নিজের চিন্তা ভাবনার অনুভূতির সাথে মিলে গেল।এখানে ভালো মানুষের চর্চা হয় এখানে এখান থেকে একটা ভালো মানুষ এর এবং একটা ব্যবসায়ীরা শিক্ষা গ্রহণ করা যায়.নিজের নিজের সাথে কথা বলা শুরু করলাম।রেজিস্ট্রেশন করলাম দশম ব্যাচ রেজিস্ট্রেশন 18141 আমি এই পরিবারের একজন হয়ে গেলাম, আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভাই-বোনদের সাথে পরিচিত হতে লাগলো আর এমন এক জন মানুষ পেলাম সেচাসেবক জার তোলনা হয় না আলহামদুলিল্লাহ ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার।
তারপর যা হলো কয় এক মাস এর মাধ্যমে আমি
আমাদের ডিসটিক এর ভাই বোনদের সাথে যোগাযোগ হয় মিট হয় সবার সাথে পরিচিত হয়।
তারপর সিদ্ধান্ত নিলাম গত জুন মাসে চাকরি ছেড়ে দিলাম উদ্যোক্তা হওয়ার নেশায় চাকরি ছেড়ে দিলাম,
দোকান ক্রয় করলাম আমার 10 বছরের কষ্টের ডিপিএসের জমানো টাকাটা দিয়ে আমি উদ্যোক্তা জীবন শুরু করলাম 2021আগস্ট মাস থেকে।এইচএস ফ্যাশন নামে গার্মেন্টস আইটেম নিয়ে ছোট ছেলেদের থেকে বড় ছেলে দের পোশাক আইটেম।
এখন আমি আছি আর আমার নিজের বলার মত গল্প ফাউন্ডেশন এর পরিবার আছে আসা ভালোবাসা বুকে ধারণ করে প্রিয় স্যারের কথা গুলা নিয়ে জীবন যাত্রা শুরু।
আমার সকল কিছুর বিনিময়ে আমি চেষ্টা করে যাবো একজন সফল উদ্যোক্তা হবার চেষ্টা 2022 এর মধ্যে আমার পরিবারের সবাই সাহায্য-সহযোগিতা এগিয়ে যাবো ইনশাল্লাহ দোয়া করবেন আল্লাহ ভালো রাখুক সবাইকে আল্লাহ হাফেজ।সকলের সুসাস্থ্য ও দিরগ্যয়ু কল্যাণ কামনা করছি।
স্ট্যাটাস দ্যা ডে - ৭১৬
তারিখ ৬-০১-২০২২
#নামঃ ShipoN Ahmed ShahiN
#ব্যাচঃ ১০ম
#রেজিষ্ট্রেশন: নংঃ18141
#জেলাঃ মৌলভীবাজার,
#বর্তমানে: নিজের কাজ নিজে করি স্বপ্ন বুকে নিয়ে👇 https://www.facebook.com/HSfashiongarments/
#পাশাপাশি _বিজনেস পার্টনারশিপে স্যাটেলাইট 2 ইন্টারনেট দুইটা কোম্পানিতে শেয়ার বিজনেস।
#লেখাপড়া:মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ।
# বর্তমান এবং স্থায়ী ঠিকানা: মৌলভীবাজার।