কষ্টের কথা হলো যাকে মন প্রান দিয়ে ভালোবাসতাম সে আমার জীবন থেকে চলে য়ায
_____বিসমিল্লাহির রাহমানীর রাহীম_____
_______আসসালামু আলাইকুম _______
______ #আমার_জীবনের_গল্পঃ _______
আমার প্রান প্রিয় ভাই ও বোনদের স্বহৃদয়ে ধৈর্য্য সহকারে পুরো লেখাটা পড়ার জন্য অনুরোধ করছি। মহান আল্লাহর দরবারে লাখো কোটি শুকরিয়া আদায় করছি যিনি পরম করুনাময় আমাদের এখন পর্যন্ত সুস্থ এবং সহি-সালামতে রেখেছেন।
শুরুতেই কৃতজ্ঞা জ্ঞাপন করছি আমাদের প্রিয় মেন্টর #জনাব Iqbal Bahar Zahid _স্যারের প্রতি,যিনি আমাদের মাঝে সারা বিশ্বের সেরা বাংলাদেশসহ পঞ্চাশটি দেশের এ যেন এক ভালবাসার অগ্রযাত্রার প্ল্যাটফর্ম আমাদের উপহার দিয়েছেন
#নিজের_বলার_মত_একটা_গল্প_ফাউন্ডেশন, লাখো কোটি তরুন তরুনীর এক 'সপ্ন দ্রস্টা' স্বপ্নের প্রাণ ।
যার অক্লান্ত প্রচেস্টায় আমরা আজ এত সুন্দর একটা প্লাটফর্ম উপহার পেয়েছি। এ যেন এক বিশাল একটি ভালো মানুষ গড়ার কারখানা।
প্রিয় ভাই ও প্রিয় বোনেরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করছি নিশ্চয়ই ভালো আপনাদের দোয়ায় আমি ও ভালো আছি।
সবার জীবনেই নিজের বলার মত একটা গল্প থাকার দরকার আর তারই ধারাবাহিকতায় আমি আমার নিজের প্রবাস জীবনের একটি গল্প নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম।
#আমার_পরিচয়ঃ আমি, হাফিজুর রহমান গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া,উপজেলায় একটি মধ্যবিত্ত পরিবারে আমার জন্ম, আমরা শুধু মাত্র দুই ভাই ,দুংখের বিষয় আমার কোন বোন যেখানে আমার জীবনের বিশাল এক অপুর্নতা রয়ে গেছে। দুই ভাইয়ের মধ্যে আমি বড় ,আমি আমার মায়ের কাছে অতি আদরের মায়ের অনেক ইচ্ছা ছিল আমাকে অনেক লেখা পড়া করিয়ে বড় কোন এক বড় অফিসার বানাবে কিন্তু অফিসার হওয়া তো ভাগ্যর ব্যাপার, আমাদের দেশে ঘুষ বিহীন চাকরি মোটেও সম্ভব নয়, আর আমি ও ঘুষ দিয়ে চাকরি করতে ইচ্ছুক নয় যে কারণে মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে ব্যর্থ হয়ে ভীড় জমায় প্রবাসে।
#আমার_জন্মভুমিঃ
আমার পড়া লেখা প্রাইমারি শিক্ষা শেষ টুঙ্গিপাড়ায় জিটি স্কুল ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হই।আলহামদুলিল্লাহ সেখানে অতি সহজেই সবাইকে আপন করে নেই, সেই সাথে পড়াশোনা করে যাচ্ছি আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো।
আমার ব্যাবহার এবং আমার পড়া লেখা মনযোগী থাকার
কারনে,,আমার স্কুলের শিক্ষক ও আমার বন্ধু বান্ধবীরা আমাকে অনেক ভালবাসতেন। সেখানে আমার ভালবাসার কোন কমতি ছিল না।তবে সেই সাথে শুরু হয় টিকে থাকার যুদ্ধ। আমার পরিবার মধ্যবিত্ত পরিবার। আর বাংলাদেশে আমাদের মতো মধ্যবিত্ত পরিবারকে টিকে থাকার জন্য প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করতে হয়।আর আমার বাবা না থাকার কারণে পরিবারের একমাত্র উপার্জনের হাল ধরতে হয় আমাকে। নিজের লেখা পড়া পাশাপাশি আয় রোজগার করা সেখান থেকে শিক্ষা হয় জীবনের সংগ্রাম। তাই স্বপ্ন দেখা শুরু করি আমি নিজে কোন একদিন ব্যাবসা করবো কিন্তু পরিবারের থেকে
তেমন কোন সহযোগিতা সাপোর্ট না পেয়ে আমাকে ভীড় জমাতে হয় প্রবাসে। এখানে এসে ও স্বপ্ন দেখা থেমে নেই
আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি অল্প অল্প করে,আর এর মাঝে
আমাদের প্রিয় স্যারের প্রিয় বানী আমাকে উৎসাহিত যোগায়,
স্বপ্ন দেখুন
সাহস করুন
শুরু করুন
লেগে থাকুন
সাফল্য আসবেই।।
#আমার_প্রবাস_জীবন_শুরুঃ
নভেম্বর-২০০৩ ইং সাল রোজ শুক্রবার, আমার জীবনের স্বরনীয় দিন,যেদিন প্রথম প্রবাসের জন্যে ঘর থেকে বের হয়েছিলাম। বাবা-মা আত্নীয় স্বজন থেকে বিদায় নিয়ে (বিকাল ০৩ টায় ) আকাশে উড়াল দিয়েছিলাম। ঠিক সেদিন থেকে মনে স্বপ্ন এঁকেছিলাম, বাবা ছাড়া আমার মাকে একটা স্বপ্নময় জীবন উপহার দেবো। আরাম-আয়েশ, বিলাসিতায় কাটাবে আমার-মা.. এবং পুরো পরিবারের প্রতিটা দিনই কাটবে সুখের। আমিও স্বপ্নের দেশ মধ্যপ্রচ্যর নবী রাসুল এর দেশে অট্টালিকা এবং প্রাচুর্যে মোড়ানো শহরে বেশ স্ফুর্তিতে দিন কা’টাবো।
আমি 2003 সালে নভেম্বর মাসে রোজ শুক্রবার বিকাল তিনটার সময় সৌদির উদ্দেশে বিমানে উঠি।
#আমার_ছিল_ফ্রি_ভিসাঃ
এবার বিদেশে আসলাম, কিন্তু কি করবো? আমি কোন কাজ না জানার কারনে কোথায় কোন কাজ পাইনা। আর যে কাজ পাই সেটা খুব কঠিন ছিল বিল্ডিং এর কাজ। যা আমার জন্য খুব কঠিন ছিল।কারন আমি দেশে কোন কাজ করি নাই।দোকানে কাজ খুজতে থাকি কিন্তু ভাষা না জানার কারনে কোথায় ও কাজ থাকে না 15 /20 দিন কাজ করলে চাকরি চলে যায়। আমার রুমে সবাই খুব ভাল মানুষ ছিল বিভিন্ন জেলার সবার ভালবাসায় আমার মনে এতো এরাই আমার ভাই, যার কারণে পরিবারের দুঃখটা কিছু ভুলে থাকতাম আমি ছোট ছিলাম সবাই আমাকে আদর করতো খুব ভালোবাসতো।সেখান থেকেই আমার নতুন করে মানুষের প্রতি ভালবাসার সৃষ্টি হয়।।প্রাবাস ছেড়ে দেশে চলে যাবার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কিন্তু আমার রুম মেট সবাই আমাকে বুঝায় এতো টাকা খরচ করে আসছো। টিকিট এর টাকা দেশের থেকে আনলে তোমার মা বাবা আরো বেশি কষ্ট পাবে। তুমি টিকিটের টাকা যোগার করে দেশে যায় সেজন্য দুই মাস কাজ করে টাকা জমা করো। দেশে চলে যাবো সেই জন্য আমার রুম মেট অনেক কষ্ট করে একটা AC কোম্পানিতে কাজ ঠিক করে দেয়।সেখানে আমি সৌদি আরবের লোকের সাথে কাজ করি। সেই সুবাদে আরবি ভাষা সহজে শিখতে পারি।
তখন থেকে বিভিন্ন জায়গা এক বছর কাজ করি।এক বছর পরে বিভিন্ন ছোট বিজনেসর করতে শুরু করি। আমি ছোটবেলা থেকে স্বপ্ন দেখতাম বিজনেস ম্যান হবো। তাই বিজনেস কে ভালোবাসি। এবং আমার সেই বিজনেস থেকে আমার জীবনের পরিবর্তন শুরু হয়। টাকার লোভে
এক টানা 10 বছর প্রবাস জীবন শেষ করে দেশে যাই।
কিন্তু কষ্টের কথা হলো যাকে মন প্রান দিয়ে ভালোবাসতাম সে আমার জীবন থেকে চলে য়ায। সেই কষ্ট আজও বুকে নিয়ে নিসংগ জীবন পার করছি। তবে একটা স্বপ্ন আমাকে বাঁচিয়ে রাখতে সাহায্য করে সেটা হলো আমাকে অনেক বড় ব্যাবসায়ী হতে হবে।।
স্বপ্ন আকছি দেশে গিয়ে কিছু করব।বিগত 16 বৎসর যাবৎ মরুভূমির দেশ সৌদি আরবে কাটিয়ে দিলাম এই বয়সে এখন আর প্রবাসে থাকতে ভালো লাগে না। তাই নিজেই নিজের সিদ্ধান্ত নেই,#নিজের_বলার_মত_একটা_গল্প_ফাউন্ডেশনে,লেগে থেকে নিজেকে একজন উদ্যোক্তার সফলতার মুখে দাঁড় করাবো আমার জন্য দোয়া করবেন।
অবশেষে আমার জীবনের গল্প লিখতে খুঁজে পেলাম "নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন" আমি #জনাব_ইকবাল_বাহার_জাহিদ স্যারের প্রতিটি কথা বুকে ধারন করে চলছি ৷ সবার কাছে আবার ও দোয়ার আহবান করছি ।
#শেষপ্রান্তেঃ-
যারা ধৈর্য সহকারে আমার এই লেখাটি সম্পুর্ন পড়েছেন তাদের প্রতি আমার আন্তরিক ভালোবাসা ও অসংখ্য ধন্যবাদ।সেই সাথে সকল ভাই ও বোনদের সুস্থতা কামনা করছি সুস্থতার কোন বিকল্প নেই।
🍁সপ্ন দেখুন
🍁সাহস করুন
🍁শুরু করুন
🍁এবং লেগে থাকুন.......
🍁সাফল্য আসবেই ইনশাআল্লাহ
______________ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার।
স্ট্যাটাস দ্যা ডে - ৭১৬
তারিখ ৬-০১-২০২২
🍁আমার পরিচয়🍁
নামঃ হাফিজুর রহমান।
গ্রুপঃ নিজের বলার মত একটা গল্প ফান্ডেশন।
ব্যাচঃ ১৩।
রেজিঃ৫৮২১২
ব্লাড গ্রুপঃ ও পজেটিভ।
জেলাঃ গোপালগঞ্জ।
বর্তমানঃ সৌদি আরব-দাম্মাম।
মোবাইলঃ+966-0533396654
ইমেইলঃhrahman557@gmail.com