উত্থান-পতন একাধিক ব্যর্থতা নিয়েই চলছে আমার জীবন।
“আসসালামু আলাইকুম"
🔥🔥আজ প্রিয় ফাউন্ডেশনের সকল ভাই-বোনদের সাথে আমার শৈশবের একাংশ তুলে ধরলাম।
✅স্কুলে ভর্তিতে আমার চ্যালেঞ্জিং সফলতাঃ⤵
আমার জন্ম ঢাকায়। সার্টিফিকেটে বয়স ২৮/১০/১৯৮৮ ইং কিন্তু মায়ের মুখে শুনেছি ৮৮ বন্যার সময় আমার বয়স ৭-৯ মাস। আমার শ্রদ্ধেয় বাবা তখন ঢাকায় টি & টি তে চাকরি করতেন। খুব ভালোই চলছিল আমাদের পরিবার। ১৯৯২ সাল পরিবারে বাবা-মা, আমরা ছয় ভাই, এবং এক বোন। হঠাৎ একটা কালবৈশাখী ঝড় আসে আমাদের পরিবারে। উক্ত ঝড়ে আমার "মা" বেশিদিন টিকে না থাকার কারণে আমাদের তিন ভাই এবং ছোট বোনকে নিয়ে চলে যায় গ্রামের বাড়িতে।
☘️☘️১৯৯৪ সালে গ্রামে ভর্তি শুরু হবে। আমার সমবয়সী এলাকার ৫ জন ছেলে তখন ক্লাস টু তে উঠেবে। আমার সেজু ভাই (মোঃ রফিকুল ইসলাম) আমার সাথে পরামর্শ করে সেই সাথে মোটিভেশন দেয় এই বলে যে, তুই যদি ক্লাস ওয়ানে ভর্তি হউ তাহলে এলাকায় যাদের সাথে খেলাধুলা করবি তারা ক্লাস টুতে পড়বে সিস্টেমে ওরা তোর বড় ভাই হবে চলাফেরা করে মজা পাবিনা। তাই উনার ইচ্ছে আমি ক্লাস টু তে ভর্তি হই।
🌹যদি আমি ঢাকায় থাকতে প্রতিবেশী বড় ভাই শওকত ভাইয়ের কাছে শিখেছিলাম স্বরবর্ণ, ব্যঞ্জনবর্ণ এবং ইংরেজি বড় হাতের বর্ণ গুলো। সেই আমি নাকি ক্লাস টু তে ভর্তি হব। তখনকার সময়ে শিক্ষাব্যবস্থা প্লে, কেজি কোন ধারনাই ছিল না গ্রামে।
✅যাই হোক সেজু ভাইয়ের যেই কথা সেই কাজ। ১৯৯৩ সালের ডিসেম্বর মাসে আমাকে নিয়ে গেল স্কুলের হেডমাস্টার এর নিকট। আমাকে আগে শিখিয়ে দিয়েছিল যে তুই শুধু বলবি যে, আমি পারবো স্যার, আমার দ্বারা হবে।
♦️সেজু ভাই হেডমাস্টার কে বুঝিয়ে বলল যে, আগামী জানুয়ারি মাসে আমার ভাই ক্লাস টু তে ভর্তি হবে। স্যার তখন আমার আকার দেখে কিছুটা হতাশ কিন্তু সেজো ভাই স্যারকে বিভিন্ন দিকে মোটিভেট করল সেই সাথে স্যারকে বললো যে স্যার আপনি আমার ভাইকে ক্লাস ওয়ানের বই গুলো দিয়ে দেন সে জানুয়ারিতে আপনার কাছে এসে ওয়ানের বই গুলোর উপর মৌখিক পরীক্ষা দিয়েই ক্লাস টু তে ভর্তি হবে স্যার তখন সহমত প্রকাশ করলেন।
⚡আমি এক মাসেরও কম সময় পেয়েছিলাম। চোখ বন্ধ করলে আজও চোখের সামনে ভেসে উঠে সেই দিনগুলো। ঐ এক মাস আমি এত পড়াশোনা করেছিলাম। প্রেমে পড়ে গিয়েছিলাম বইয়ের সাথে। ভুলে গিয়েছিলেন খেলাধুলা। মহান আল্লাহতালার কাছে অনেক শুকরিয়া যে আমি সফলতার সাথে স্যারের কাছে মৌখিক পরীক্ষা পাশ করে ক্লাস টু তে ভর্তি হয়ে গেলাম।
🎈এই সফলতার পেছনে কে কিভাবে কাজ করেছিলঃ⤵
০১/ অনুপ্রেরণা এবং মোটিভেশন (সেজু ভাই)
০২/ আমার স্বপ্ন এবং বইয়ের সাথে প্রেম।
০৩/ আমার চ্যালেঞ্জ (বন্ধুদের সাথে)
০৪/ আমার পরিশ্রম এবং
০৫/ সর্বোপরি আমার মায়ের দোয়া। সেই সাথে সেজু ভাই এর কড়া গাইডলাইন।
✅✅যদিও ছোট একটি ভুল থেকেই গেল সেই দিন যদি আমাকে মৌখিক পরীক্ষার কথা না বলে লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে বলা হতো তাহলে হয়তো শিক্ষা জীবনে আরও উন্নতি হতো আমার জীবনে।
যাইহোক আমার সেই পাঁচ বন্ধুঃ আলআমিন, মনির, সেন্টু বক্কর এবং জয়নাল ওরা কেউ এসএসসি ধাপ অতিক্রম করতে পারেনি। যদিও ওরা অর্থনৈতিকভাবে প্রায় সফল। মহান আল্লাহতালার কাছে আমি কৃতজ্ঞ এইজন্য যে ২০১৫ সালের মাস্টার্স শেষ করেছি। অর্থনৈতিকভাবে আমি সম্পূর্ণ ব্যর্থ। তারপরেও স্বপ্ন দেখছি উদ্যোক্তা হয়ে সমাজ, দেশ, জাতি, নিজ পরিবার সবার জন্য কিছু একটা করবই ইনশাআল্লাহ।
যদিও উত্থান-পতন একাধিক ব্যর্থতা নিয়েই চলছে আমার জীবন।
🇧🇩ঠিক সেই মুহূর্তেই ২০২০ সালের ৯ই জানুয়ারি প্রিয় শাহাদাত হোসেন নোবেল ভাই এর মাধ্যমে পরিচয় হই "জীবনে বলার মত একটি গল্প গ্রুপ" এর সাথে রেজিস্ট্রেশন করি নবম ব্যাচে।
🙏🙏কৃতজ্ঞতা জানাই জনাব Iqbal Bahar Zahid স্যারের প্রতি। প্রতিষ্ঠাতাঃ #নিজের_বলার_মত_একটা_গল্প_ফাউন্ডেশন
♥️এক কথায় বলতে গেলে একজন মানুষ সফল হতে হলে তার জীবনে যতগুলো ধাপ প্রয়োজন প্রত্যেকটি ধাপই #নিজের_বলার_মতো_একটা_গল্প_ফাউন্ডেশন এর মধ্যে আছে।
➡ স্যারের প্রতিদিনের সেশন ফলো করছি প্রতিনিয়ত সেই সাথে এগিয়ে যাচ্ছে কোন একটা উদ্যোগ নিয়ে শুরু করার জন্য। যেন গ্রুপে সবার মাঝে আলো ছড়াতে পারি পূরণ করতে পারি সামাজিক দায়বদ্ধতা, আমার দায়িত্ববোধ, পূরণ করতে পারি বাবা মায়ের স্বপ্ন, দিতে পারি দেশ ও জাতিকে কিছু উপহার। সেই সাথে আত্মপ্রকাশ করেছি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা Women's Bd হিসেবে। ব্যবসা করছি গার্মেন্টস আইটেম নিয়ে। আলহামদুলিল্লাহ ভালো সেল পাচ্ছি প্রয় ফাউন্ডেশন থেকে।
🚩প্রিয় স্যারের প্রতিটি ক্লাস এবং আপনাদের ভালোবাসাই আমার আমার এগিয়ে চলার অন্যতম উৎস।
🌹গ্রুপের সকলের কাছে দোয়া ও শুভকামনা রইল। পোস্টটি কষ্ট করে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। দেশ বিদেশে থাকা আমার প্রাণপ্রিয় ফাউন্ডেশনের সকল ভাই-বোনদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বিদায় নিচ্ছি আল্লাহ হাফেজ।
স্টাটাস অফ দি ডেঃ৭২৪
তারিখঃ১৬-১-২০২২
মোঃ মাহবুবুর রহমান ভূইয়া৷
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছেলে।
ব্যাচঃ নবম, রেজিঃ ৯৬১৩
বর্তমানঃ ওয়ারী জোন/ গাজীপুর।
কমিউনিটি ভলান্টিয়ার।
হাট মনিটরিং টিম মেম্বার।
টপ-২০ ক্লাব মেম্বার।
অ্যাম্বাসেডর কদমতলী থানা, ওয়ারী জোন, ঢাকা।
👔পেশাঃ উদ্যোক্তা ব্যবসায়ী।
💼প্রতিষ্ঠাতাঃ Women's Bd
https://www.facebook.com/womensbdfashion/