Sod পোস্ট আজ আমি আপনাদের আমার জীবনের গল্প বলবো।
আসসালামু আলাইকুম
প্রিয় সহপাঠী ভাই ও বোনেরা আপনারা সবাই কেমন আছেন?
আজ আমি আপনাদের আমার জীবনের গল্প বলবো।
📌"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৭২১
Date:- ১২/০১/২০২২ইং
সালমা আক্তার
ব্যাচঃ১৫
রেজিষ্ট্রেশনঃ৭৩৪৭৪
কেরানিগঞ্জ জোন
আমার প্রতিষ্ঠানের নামঃIRA'S Collection
প্রতিষ্ঠানের লিকঃhttps://www.facebook.com/IRAS-Collection-100555345189436/
আমি সবার প্রথমেই কৃতজ্ঞতা জানাই আমার প্রিয় শিক্ষক জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারকে যিনি আমাদেরকে এতো সুন্দর একটি প্লাটফর্ম উপহার দিয়েছেন। আজ তার জন্য বাংলাদেশের অসংখ্য তরুণ তরুণী নিজের বলার মতো একটা গল্প গড়তে পেরেছে।
👉আমি সালমা আক্তার। পরিবারের বড় মেয়ে।আমার জন্মস্থান জিনজিরা। জন্মের এক বছর পর আব্বুর কাজের সুবাদে পুরান ঢাকার জিন্দাবাহারে চলে আসি মা বাবা আর আমি।১৯৯৫ সালে আবার জিনজিরা ফিরে যাই।সেই থেকে জিনজিরা বাসী।
👉আমার ছেলেবেলাঃ
আমার ছোট বেলা ও সুন্দর ছিলো🙂
মামারা ও জিনজিরাতে থাকতো। আমাদের বাসার কাছাকাছি। তাই যখন ইচ্ছা হলো দৌড় দিয়ে চলে যেতাম মামার বাড়ি। দাদা,দাদী, নানাকেও দেখিনি।শুধু নানিকেই দেখেছি।বাবার পৈতৃক বাড়ি বরিশাল মুলাদী থানার অন্তর্ভুক্ত সফিপুর ইউনিয়ন এ।প্রতি বছর বার্ষিক পরীক্ষার পর ডিসেম্বর মাসে চলে যেতাম দাদার বাড়িতে,পুকুরে সাতার কাটা,মাঠে দৌড়াদৌড়ি করা।কত বার যে ভেদর(কাদামাটি) এ আছার খেয়েছি হিসাব নেই। নিজেদের নারিকেল গাছ থেকে নারিকেল খাওয়া পরিবারের সবাইকে নিয়ে।পুকুরের মাছ ধরা,কাকীদের ধান সেদ্ধ করে উঠানে শুকাতে দেয়া,খেজুরের রস দিয়ে গুড় বানাতো দেখা,ঢেকিতে চাল ছাঁটা। চাচাতো ভাই বোন দের সাথে সময় কাটানো।খুব ভালো সময় কাটাতাম।গ্রামে ৭/১০ দিন থেকে ঢাকায় চলে আসতাম।তাই বলা চলে শৈশব খুব আনন্দ ময় ছিলো।
👉আমার শিক্ষাজীবনঃ
ছোট বেলা থেকে শান্ত স্বভাবের ছিলাম। আব্বু ছিলো রক্ষণশীল ব্যাক্তি।সব কিছুতে ই না ছিলো তার।কিন্তু পড়ালেখার জন্য সব সুযোগ সুবিধা পেয়েছি। ।আব্বু কে খুব ভয় পেতাম।আব্বুর চোখ দেখতে সব না হ হ হয়ে যেতো।আব্বু আমাদের অনেক ভালোবাসতেন।আলহামদুলিল্লাহ।কোনো কিছু কমতি রাখেন নি।জিন্দাবাহার থাকার সুবাদে আহম্মেদ বাওয়ানী একাডেমি স্কুল এ শিশু শ্রেনীতে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে চান্স পেয়ে ভর্তি হই।১ বছর পর জিনজিরা চলে আসি।জিনজিরা থেকে যাতায়াত করতাম।সেখান থেকে ২০০৫ এ এস,এ,সি পাশ করি।পরে পর্যায় ক্রমে বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ থেকে এইচ,এস,সি (২০০৭)পাশ করি।মার্ক কম থাকায় ভালো কোনো ভার্সিটি তে চান্স পাই নি।অবশেষে ইডেন মহিলা এ বোটানি সাবজেক্ট এ ভর্তি হই। অনার্স, মাষ্টারস এ First class পেয়ে ২০১৫ সালে পড়ালেখা শেষ করি।
👉দাম্পত্য জীবনঃ
পছন্দের মানুষের সাথে বিয়ে হয় আমার।তাদের সাথে পূর্ব পরিচিত ছিলো আামাদের।ভেবেছিলাম আব্বু বিয়েতে রাজি হবে না। বিয়ের কথা আব্বুকে জানানোর পর আব্বু রাজি হলো। দুই পরিবারের সম্মতিতে ২০১৪ সালে ডিসেম্বর মাসে বিয়ে সম্পন্ন হয়।৩ মাস যাওয়ার পর সব আসতে আসতে পালটাতে লাগলো।তখন আমার মাষ্টার রানিং, ক্লাস করতে হতো।সে সরকারি জব করতো তাই পরিবাবের সাথে থাকতো না।আমি তার পরিবারের সাথে থাকতাম।ছুটিতে বাসায় আসতো।আমার সাথে খারাপ বিহেভ করা শুরু করলো।চেনা মুখ অচেনা হতে শুরু করলো।তখন ভাবতাম আমি এমন কি করলাম যে আমার সাথে খারাপ বিহেভ করা শুরু করলো। তার চাকরীর সুবাদে ২০১৫ সালের মাঝামাঝি লালমনির হাট যাই।আসতে আসতে বুঝতে পারি সে মাদকাসক্ত। তার বিহেভ আস্তে আস্তে এতো খারাপ হয় বাধ্য হয়ে ২০১৭ সালের প্রথম দিকে বাবার বাড়ি চলে আসি।একটা প্রাইভেট স্কুল এ জব করি ভালো ই কাটছিলো জীবন।হঠাৎ তার আগমন হয়, সে ভালো হয়ে গিয়েছে, নামায পড়ে, আমার সাথে আর কোনো ঝামেলা করবে না।সুন্দর মতো সংসার করবে।বাসায় জানাই আব্বুতো রাজি ই না।তার কথা শুনি নি।পরিবার, সমাজ থেকে শেখা মেয়েদের স্বামী সংসার ছাড়া মূল্য নেই।সে নিতে চাচ্ছে তাই চলে গেলাম।সাল ২০১৮ এর শেষ দিকে ।৩/৪ মাস ভালো ই ছিলাম।এর কিছুদিন পর আগের রুপ এ চলে এলো। ব্যাড হ্যাবিড গুলো ছাড়তে পারে নি।প্রতিবাদ করতে গেলে বলতো আমার ক্যারেটটার খারাপ তাই নেশা করে।বাসায় জানালাম, তার পরিবারকে জানালাম।সবার উওর হলো কেনো আমি আমার আসলাম সংসার করতে।বাসা থেকে টাকা নিয়ার জন্য মেন্টেল টরচার শুরু করলো। টাকা ম্যানেজ করে না দিলে ভয় দেখাতো চাকরী ছেড়ে দিবো।তখন মনে ভয় ছিলো সেকেন্ড টাইম এসে আবার ফেরত যাবো।সংসার টিকিয়ে রাখার জন্য মা,বোন, কাজিন সবার থেকে ধার করা শুরু করলাম।টাকা তাকে দিলাম এক রাতে টাকা শেষ।প্রতি মাসে এ রকম চলতে লাগলো।তার বেতনের টাকা কি করে জানতে চাইলে ডিক্টেক বলতো আমার টাকা যা ইচ্ছা তাই করি তো কি।২০২০ এর ২৫ শে মার্চ টাকার জন্য বাসায় খুব ঝগড়া হলো।আব্বু ও জানলো বললো বাসায় চলে আয়।সেদিন এর আসি নি।এরপর দিন থেকে লক ডাউন শুরু হলো।আর ফিরা হয় নি।মানুষিক টর্চার, গালাগালি, সন্দেহের মাত্রা বেড়ে চললো।ঠিক মতো সংসারের খরচ দিতো না।মাসের ৫ তারিখ এ বেতন এর টাকা শেষ।কিছু বললে ই বলতো ম্যানেজ করো।আমি কোন কাজ করতে চাইলে সেটা ও করতে দিবে না।প্রাইমারীর রিটেন এ পাশ করলাম।বললাম ভাইভা দিতে যাবো।বললো জব করতে দিবেনা।২০১৯ এর ঘটনা।আর ভাইবা দিতে যাওয়া হয় নি।অবশেষে ২০২১ সালে তার বাসায় জানালাম কি করবো আমি???? তারা বললো আমরা কি জানি তুমি কি করবে???? তোমার যা ইচৃছা করো।আমরা কিছু জানি না। আমার মা কে জানালাম মা বললো তুমি যেটা ভালো মনে করো।গালি গালাজ,সন্দেহ, টাকা ম্যানেজ করে দেয়া নিত্য দিনের ঘটনা হয়ে গেলো।যে আমি কখনও কেউ কাছেনিজের জন্য টাকা ধার চাইনি।এখন আমাকে টাকা ধার নিতে হতো তার নেশা করার জন্য।মানুষিক ভাবে অসুস্হ হলে শুরু করলাম।নিজেকে বুঝাতে শুরু করলাম আর কত দিন এভাবে চলবো।একদিন সাহস করে সব ছেড়ে এক চাচাতো বোন এর বাসায় চলে গেলাম। কিছুদিন পর বাবার বাসায় চলে এলাম। ইতি টানলাম সংসার জীবনের।
👉নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশনে যুক্তঃ
আমি যখন প্রাইভেট স্কুল এ জব করতাম সেখানে কিছু ভালো মানুষের সাথে পরিচয় হয়।তারা আমার এক সময় এর কলিগ ছিলো।মৌসুমি আক্তার বর্ষা আপু তাদের এক জন।সে আমাকে গ্রুপ ইনভাইট করে।আমি একসেপ্ট করি।গ্রুপ এর তখন কিছু ই বুঝতাম না।একদিন একটা পোস্ট দেখলাম কিসের জানি রেজিস্ট্রেশন চলছিলো।না জেনে বুঝে জানতে চাইলাম কি ভাবে করবো রেজিষ্ট্রেশন। কোনো এক ভাইয়া ইনবক্সে নক দিলো আমার তথ্য দিলাম। এরপর আমার রেজিষ্ট্রেশন ১৫ তম ব্যাচ এ হয়ে গেলো।কেরানীগঞ্জ জোন মেসেঞ্জার এ এড হলাম।একদিন অফ লাইন মিট হবে শুনে দেখতে গেলাম। পরিচিত হলাম অনেক এর সাথে। পরে জানতে পারলাম আমাকে যে রেজিষ্ট্রেশন করে দিয়েছেন সে আমাদের কেরানীগঞ্জ মডেল উপজেলা এম্বাসেডর মোঃ সোহেল হোসেন ভাই, আস্তে আস্তে গ্রুপ সম্পর্কে জানলাম।আজকের গল্পটা আমার জীবনের। কিন্তু লিখার জন্য সাহস ও উৎস দিয়েছেন আমাদের কেরানীগঞ্জ উপজেলা এম্বাসাডর মোঃ আবির আহম্মেদ ভাই।
👉আমার উদ্যোক্তা জীবনঃ
আমার সব সময় কিছু না কিছু করার ইচ্ছা ছিলো।যখন নতুন কিছু দেখতাম বেসিক শিখে নেয়ার চেষ্টা করতাম।পরে আর কাজে লাগানো হতো না।আমার প্রতিবেশি এক চাচীর দুই মেয়ে ছিলো। তখন আমরা ও দুই বোন।চাচী তার মেয়েদের কুশির নেক দিয়ে জামা রেডি করে পড়াতো।ভালো লাগতো।অন্য এক চাচী কুশির শেখার জন্য আসতো তার আর শেখা হয় নি।আমি বেসিক টা শিখে নিলাম।খুব ধৈর্যের কাজ বলে কখনও আর করা হয় নি।করোনা কালে বাসায় থেকে ফেসবুক এর বিভিন্ন গ্রুপ এ ঘুরতে ঘুরতে কুশির কাজ এর কিছু গ্রুপ পেলাম।সেখান থেকে আমার শেখা বেসিক কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন জিনিস বানানো শুরু করলাম।টুকটাক জিনিস বানিয়ে তাদের গিফট করলাম।পরে তাদের থেকে অর্ডার পাওয়া শুরু করলাম।আস্তে আস্তে সেল করা শুরু করলাম।হয়ে গেলাম নিজের হাতের তৈরী পন্যের উদ্যোগক্তা।
👉আসুন আমাদেকে আমার আইকন, আমার প্রিয় স্যারের পরিচয় যানি।
❤️❤️❤️❤️❤️Be My Leader ❤️❤️❤️❤️❤️
স্যারের সুন্দর একটা উক্তি "। তিনি প্রতিটি প্রোগ্রামে বক্তব্যের শেষে সুন্দর একটি কথা দিয়ে বক্তব্য শেষ করেন ৷ স্যারের গুরুত্বপূর্ণ এই কথাটি সবার মনকে নাড়া দেয় ৷ সবাইকে আরেকবার জেগে উঠার অনুপ্রেরণা যোগায় ৷ স্যারের সবচেয়ে সুন্দর কথাটি হল
❤️স্বপ্ন দেখুন,
❤️সাহস করুন,
❤️শুরু করুন,
❤️লেগে থাকুন,
❤️ সাফলতা আসবেই
হ্যা ঠিকই ধরেছেন,আমি আমাদের প্রানপ্রিয় ভালবাসা ও শ্রদ্ধার অধিকারী "❤️ ইকবাল বাহার জাহিদ❤️" স্যারের কথাই বলছি।ইকবাল বাহার জাহিদ বাংলাদেশের তারুণ প্রজন্মের কাছে এক পরিচিত নাম ৷ সবার কাছে তিনি "ইকবাল বাহার" নামে পরিচিত ৷ তিনি বাংলাদেশের ৬৪ জেলা সহ বিশ্বের প্রায় ৫০ টির বেশি দেশের শিক্ষিত তরুণ প্রজ্ন্মকে স্বপ্ন দেখান নিজে কিছু একটা করার ৷ স্বপ্ন দেখান উদ্যোক্তা হওয়ার ৷
এই মানুষটি একাধারে একজন উদ্যোক্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, মেন্টর, ইন্সপিরেশানাল স্পিকার, নিউজ প্রেজেন্টার ও বিজনেস প্রোগ্রাম অ্যাংকর।আর সবচেয়ে বড় যেটা হলো,তিনি একজন সফল মানুষ।
❤️❤️❤️❤️প্রিয় স্যারের কর্মক্ষেত্র❤️❤️❤
💠💠💠ইকবাল বাহার কর্মজীবন শুরু করেন গ্রামীণ সাইবার নেট লিমিটেডে। সেখানে অ্যাকাউন্টস ম্যানেজার এবং কোম্পানি সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এই চাকরির ফলে ইন্টারনেট এবং আইসিটি তথা ইনফরমেশন অ্যান্ড টেকনোলজি বিষয়ের জ্ঞানটা ভালো করে রপ্ত করেন।
💠💠💠অ্যাসিস্টেন্ট জেনারেল ম্যানেজার হিসাবে কাজ করেছেন গ্রামীণ শক্তিতেও। গ্রামীণ শক্তির উদ্যোক্তাকে উৎসাহিত করেছেন তিনি।
💠💠💠মার্কেটিং এ ও যুক্ত ছিলেন আমাদের প্রিয় স্যার।
💠💠💠পরে তিনি তথ্য-প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান অপটিমাক্স কমিউনিকেশন লিমিটেড প্রতিষ্ঠা করেন। অপ্টিম্যাক্স কমিউনিকেশন লিমিটেডের ডিরেক্টর এবং সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বর্তমানে তিনি।
💠💠💠প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি সংবাদ উপস্থাপনায়ও নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন।
💠💠💠বর্তমানে তিনি আলাদিন ডটকমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর।
💠💠💠প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি সংবাদ উপস্থাপনায়ও নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন।
💠💠💠সংবাদ পাঠক এবং উদ্যোক্তাবিষয়ক অনুষ্ঠানের উপস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন বৈশাখী টেলিভিশন এবং এশিয়ান টেলিভিশনে।
💠💠💠তিনি সিঙ্গার বাংলাদেশের মহাব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন ও করেছিলেন।
💠💠💠এখানেই থেমে থাকেননি ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার, নেমেছেন বাংলাদেশের ৬৪ জেলার হাজার হাজার তরুণ-তরুণীকে চাকরি না খুঁজে উদ্যোক্তা হবার স্বপ্ন দেখাতে। শুধু স্বপ্নই নয়, সেই স্বপ্ন কীভাবে বাস্তবায়ন করতে হয় তার লক্ষ্যে শুরু করেছেন এক বিশাল কর্মযজ্ঞ উদ্যোক্তা তৈরির অনলাইনে কর্মশালা এবং তা বিনা মূল্যে । যাতে সবাই একজন ভালো মানুষ হয়ে নিজের বলার মতো একটা গল্প’ তৈরি করতে পারে।
❤️❤️❤️❤️❤️প্রিয় স্যারের অর্জন❤️❤️❤️❤️❤️
💠💠💠বাংলাদেশ থেকে পেয়েছে প্রতিষ্ঠান হিসেবে অ্যাকশান এইড বাংলাদেশ।
💠💠💠আরো পেয়েছেন Most Admired Entrepreneur of The Year Award. পুরস্কার।
💠💠💠দশম সিএমও এশিয়া পুরস্কারে বছরের শেরা প্রসংশনীয় উদ্যোক্তা হিসাবে পুরস্কার পেয়েছেন ইকবাল বাহার জাহিদ।
💠💠💠আর সবচেয়ে দামী যা পেয়েছেন তা হলো এতগুলো লোকের ভালবাসা, সম্মান ও আশির্বাদ যা সকল পুরস্কারের উর্ধ্বে।
'' চাকরি করবো না চাকরি দেব’' এই দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে মাল্টিনেশানাল কোম্পানির লোভনীয় চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়ে কাজ শুরু করেন নিজের কোম্পানিতে। উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখেন চাকরি জীবনের শুরুতেই। উদ্যোক্তা হয়ে উঠার গল্পটা এত সহজ ছিল না। ছিল ব্যাপক বাধা, অনিশ্চয়তা ও হেরে যাবার সম্ভাবনা। কিন্তু তিনি ছিলেন দৃঢ়চেতা ও ব্যাপক লেগে থাকা একজন স্বপ্নবাজ মানুষ।
❤️❤️❤️❤️❤️নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন তৈরী❤️❤️❤️❤️❤️
কোন কাজেই শুরুর দিকে সফলতা পাওয়া যায়না।আর নতুন ও ইউনিক কিছু সৃষ্টির পথে হাজারটা বাধা আসে।প্রিয় স্যার সেই সমস্ত বাধা অতিক্রম করে একটু একটু করে সময় নিয়ে তৈরী করেছেন এই প্লাটফর্ম। যা এখন হাজার মানুষের কর্মসংস্থান।
হাজার হাজার মানুষ এই প্লাটফর্ম থেকে স্যারের শিক্ষা কাজে লাগিয়ে সাফল্য অর্জন করছেন।আর এতকিছুর বিনিময়ে তিনি কোনকিছুরই চাননি।তার উদ্দেশ্য ছিলো নেক ও স্বচ্ছ। তিনি দেশের মানুষের জন্য কিছু করতে চেয়েছিলেন, যা তিনি করে দেখিয়েছেন। আজ তিনি চিরসম্মানীয় স্থানে অধিষ্ঠিত হয়েছেন নিজের এই উওম কর্মফলের দ্বারাই।
এই প্লাটফর্মটা স্যারের জীবনের একটা অংশই প্রায়।অপটিম্যাক্স যেমন স্যারের জীবনের সেরা অর্জন,তেমনি এই প্লাটফর্মটাও।তাইতো শত ব্যস্ততার পরও প্রতিদিন নিয়মমাফিক এই প্লাটফর্মে সময় দিয়ে যাচ্ছেন।কোন ছুটি নেই,অবসর নেই,নেই কোন অজুহাত। নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন এই প্লাটফর্মে,যার দরুন এই প্লাটফর্ম আজ এতটা সাফল্যমন্ডিত।
❤️❤️❤️আমাদের জন্য স্যারের ম্যাসেজ❤️❤️❤️
স্যারের সেই চিরাচরিত কথাটাই আমাদের জন্য সর্বত্তম ম্যাসেজ।
স্বপ্ন দেখুন
সাহস করুন
শুরু করুন
লেগে থাকুন
সফলতা আসবেই
অনেক ব্যর্থতার গ্লানি নিয়েই আজকের এই সফলতা স্যারের।তাই ব্যর্থতাকে সাদরে গ্রহন করেই এগিয়ে চলতে হবে।
একজন ভাল মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে
এবং নিজের সাথে সাথে আরো কয়েকজনকে উৎসাহিত ও সহযোগিতা করতে হবে একজন ভালমানুষ হওয়ায়,সফল হওয়ায়।তবেই স্যারের জীবনের স্বার্থকতা।
সত্যি বলতে কি,❤️ইকবাল বাহার জাহিদ❤️ স্যার এমন একজন মানুষ যার বিষয়ে লিখে শেষ করা আমার পক্ষে সম্ভবই নয়।তবুও লিখার ক্ষুদ্র প্রয়াস করলাম মাত্র।স্যারের বিষয়ে জানার কৌতুহল সবসময়ই থাকে।প্লাটফর্ম ও গুগলে প্রায়ই সার্চ দিয়ে জানি অনেক তথ্য,তারই সামান্য কিছুটা উপস্থাপন করা আমার এই ছোট্ট লিখাটার মধ্যে।এর থেকে আরো বড় করে লিখতে গেলে নির্ঘাত প্লাটফর্মের আমজনতার ধোলাই খেতে হবে😁 কিংবা কেউ হয়তো পরবেই না।
অন্যসময় আবার লিখবো স্যারকে নিয়ে ইনশাআল্লাহ। আজ এটুকুতেই ইতি টানছি।