Sod পোস্ট আজ লিখবো আমার সফল উদ্যেগক্তা হয়ে উঠার গল্প
আজ লিখবো আমার সফল উদ্যেগক্তা হয়ে উঠার গল্প। ছোট বেলা থেকে স্বপ্ন দেখতাম নিজের পায়ে দাঁড়ানোর। ষোল বছর বয়সে বিয়ে হয়ে যায়। তখন স্বপ্ন দেখা ভুলে গিয়েছি কারণ আমি যে আর লেখা পড়া করতে পারবোনা। হাসবেন্ডের
এত টাকা পয়সা ছিলো না। পাঁচ হাজার বেতনের চাকুরী করতো হাসবেন্ড। এই টাকা দিয়ে কি সংসারের ঔষধ পএ খাওয়া দাওয়া বাসা ভাড়া দিবে নাকি আমার পড়ার খরচ দেবে? তাই হাল ছেড়ে দিয়েছিলাম। দুইশত টাকা দিয়ে একটা শাড়ি বা ড্রেস পড়ার স্বপ্ন দেখতে পারিনি। তাই বছরের এ মাথায় একটা শাড়ি আর ও মাথায় একটা ড্রেস এভাবে কাটতো আমার কষ্টের জীবন। নিজের প্রতি অনেক রাগ হতো নিজের ভাগ্যের প্রতি। দিন যত বেশি যেতে লাগলো আমার ভিতর চিন্তা ততই বেড়ে যাচ্ছিলো কি করবো না করবো। আস্তে আস্তে আবার নিজের ভিতরের মানুষ টাকে জাগ্রত করার চেষ্টা করলাম। প্রতিদিন বিকেল হলে বসে বসে দিদি নাম্বার ইন্ডিয়ান সিরিয়াল টা দেখতাম তখনও আমি এই নিজের বলার মত গল্প গ্রুপটা খুঁজে পাইনি। দিদি নাম্বার ওয়ান দেখে শুরু করলাম লেডিস আইটেম নিয়ে কাজ করা। আমি একবার ধরি আরেকবার ছাড়ি ভাবলাম না আমাকে দিয়ে হবেনা। এমন করতে করতে দুই বছর পাড়ি দিলাম সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলাম যে শেষ আর পারবোনা। তখন আমার বাসায় একজন টিউশন স্যার রাখি বাচ্চা কে পড়ানোর জন্য। ওনার নাম Jakaria Ahmed ওনিও এই গ্রুপে মেই বি দ্বিতীয় ব্যাচ থেকে যুক্ত আছেন। প্রথম দিন পড়াতে আসলে পরিচয় হয়। কথায় কথায় কথা উঠে যে ওনারা শেযারে ব্যবসা করেন পাঁচজন মিলে, তখন বললাম যে আমারও একটা বিজনেস আছে কিন্তু কি করবো বুঝতে পারছিনা। তখন ওনি আমার পোডাক্ট গুলো দেখেন। দেখে বলেন যে আপনার কাছে তো ভালো কোয়ালিটির পোডাক্ট আপনি চাইলে আমাদের সাথে কাজ করতে পারেন। তখন আমার ভিতর কাজের উদ্দাম টা আরও বেড়ে যায়। তখন আমার পোডাক্টের গল্প Jakaria Ahmed গিয়ে বলেন, Aminul Islam কে তখন ওনিও আমার বাসায় আসেন, এসে বলেন যে আমাকে নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশনে যুক্ত করানোর জন্য। যেই কথা সেই কাজ। তখন রেজিষ্ট্রেশন করা যাবেনা আরও পনেরো দিন অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু নিয়মিত ফলোয়ার হিসেবে দেখে যাচ্ছি স্যারের সেশন গুলো যত দেখি ততোই যেন আমি বদলে যাচ্ছি একটু একটু করে। তারপর রেজিষ্ট্রেশন করে ফেললাম। পাঁচ দিনের মাথায় ওনারা আমাকে বলেন যে মৌলভীবাজারে একটা বড় মিট আপ হবে সেখানে যাওয়ার জন্য। উপস্থিত হই সেই মিট আপে গিয়ে। এত মানুষ দেখে বড্ড বেশি ভয় লাগছিলো যে, সবাই কে একেক করে পরিচয় দিতে হবে। আমি কোন দিন এত মানুষের সামনে কথা বলিনি। বার বার Aminul Islam কে বলছিলাম যে আমার ভয় লাগে আমি কি কথা বলতে পারবো? ওনি আমাকে বার বার সাহস দিচ্ছিলেন যে হ্যা আপু আপনি পারবেন। তখন সিলেটের বর্তমান কোরবলেন্ডিয়ার মোভেজ ভাইয়া আমাকে দাড়িয়ে কথা বলার জন্য পরিচয় দেবার জন্য বলছিলেন। সেদিন আমার কথা শুনে ওনি বাহবা দিচ্ছিলেন তখন থেকে বুঝতে পারলাম যে আসলে আমার ভিতরেও প্রতিভা আছে। তারপর থেকে কোন অফলাইন মিট আপ আমি আজ পর্যন্ত শ্রীমঙ্গ উপস্থিত থাকা পর্যন্ত বাদ দেইনি আলহামদুলিল্লাহ। আমার এই প্রতিভা আমাকে আজ একজন সফল উদ্যেক্তা হতে সাহায্য করেছে। স্যারের প্রতিটা সেশন আমি মনোযোগ দিয়ে পড়তাম আর নিজের ভিতরের মানুষ টাকে জাগিয়ে তুলতাম। তাই আমার যোগ্যতা আমাকে স্যারের Utv live নিয়ে গেলো। আলহামদুলিল্লাহ। আজ আমি দুইশত টাকার ড্রেস কেন দশ হাজার টাকার ড্রেস পড়তেও দ্বিধাবোধ নেই আলহামদুলিল্লাহ। আজ লক্ষ লক্ষ টাকার ড্রেসের এবং শাড়ির মালিক। আল্লাহ চাইলে আর নিজের চেষ্টা থাকলে সব কিছু সম্ভব।
স্বপ্ন দেখুন
শুরু করুন
সাহস করুন
লেগে থাকুন
সফলতা আসবেই
ইনশাআল্লাহ।
স্যারের এই একটা লিখা আজ আমাকে এতদূর পর্যন্ত নিয়ে এসেছে আলহামদুলিল্লাহ।
স্যারকে অসংখ্য ধন্যবাদ এবং অনেক অনেক ভালোবাসা আর দোয়া স্যার আমাদের জন্য এত সুন্দর প্লাটফর্ম তৈরী করে দিয়েছেন।
আমি কাজ করছি দেশী-বিদেশী লেডিস আইটেম নিয়ে। আমার দুইটা পেইজ আছে।
পেইজ নামঃ @Milamte
"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৭২২
Date:- ১৩ & ১৪/০১/২০২২ইং
নামঃ নাজমা আক্তার (মিলা)
উপজেলা এম্বাসাডর
ব্যাচ নং অষ্টম
রেজিষ্ট্রেশন নং ৪২০০
শ্রীমঙ্গল মৌলভীবাজার।