জীবনে বাঁচতে হলে বাঁচার মতন মাথা উঁচু করে বাঁচতে হবে
বিসমিল্লাহির রহমানুর রহিম
শুরু করছি পরম করুনাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে যিনি অতি দয়ালু
আসসালামু আলাইকুমওয়া রাহমাতুল্লাহ
প্রিয় প্ল্যাটফর্মের ভাইবোনের আশা করি সকলেই ভাল আছেন।
আলহামদুলিল্লাহ আমিও আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি
# আজ আমি আমার জীবনের গল্পগুলো শেয়ার করবো আপনাদের সাথে
কী শুনবেন না? একটু ধৈর্য ধরে শুনুন
প্রতিটা মানুষেরই জীবনে গল্পথাকে কারোটা বড় কারোটা আবার ছোট।
প্রতিটা মানুষের জীবনে কিছু না কিছু গল্প থাকে।
।
গল্প নিয়েই মানুষের জীবন সেই গল্প গুলো কারো সাথে শেয়ার করলে কেউ শোনে। আর না শেয়ার করলে কেউ শুনে না। এটাই স্বাভাবিক।
আমি হচ্ছি গরিব পরিবারের সন্তান
আমাদের ভাই-বোনের
সংখ্যা ছিল ৬ জন বাবা মা দুইজন
জন্মের পর থেকেই দেখে আসছি কষ্ট
এখনো কষ্ট করছি।
তবে আমি চাই আর কষ্ট নয় এবার ঘুরে দাঁড়াতে হবে। Iqbal Zahid sir
প্রতিটা কথায় আমি অনুপ্রাণিত হই
তাই নিজেকে নিয়ে যুদ্ধ করতে শিখেছি
তবে আমার বিশ্বাস আমি পারবো।
হ্যাঁ আমি পারবো।
আমার জন্মের আগের কথা বলতেছি মার মুখ থেকে শুনেছিলাম।
আমি যখন জন্ম হই নাই। তখন ছিল আমার বড় দুই বোন।আমি যখন জন্ম হই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছি আমাকের বংশে
সবার তখন নাকি মন খারাপ
আমার বাবা, ফুফু, কাকারা, এবং দাদা-দাদী সহকারে সবাইরি মন খারাপ একে একে তিনটা মাইয়া।
পোলা নাই একটাও।
তখন থেকে আমার মা র সাথে সবাই খারাপ ব্যবহার করা শুরু করুকরেদিলো। তিনটে মাইয়া জন্ম দিছে কে। পোলা হলোনা কেন।
আমার জন্মের পর আমাকে কেউ কোলেও নেয় নাই কেউ
আমাকে মাটিতে নিচে শুয়ায়ে শুয়ায়ে আমার মা সংসারের কাজ করতো।
আমি নাকি কান্না করতাম । কেউ আমারে একটু কোলে নিত না।
সারাদিন নাকি শুয়াইয়া রাইখা শুয়ে রেখে কাজ করতো। তখন আমি কিছুখন পর পর চিৎকার পায়রা পায়রা কানতাম। যেমন, তখন তোমাদের
গৃহস্থলী করত। ধন, তিল,কাউন,মুশুরিডাল, ইত্যাদি ইত্যাদি
তখন আমাদের যৌথ ফ্যামিলি ছিল।
দাদা-দাদী ঘরের মেইন কর্তা ছিলো। আমার মা র উপরে খুব জুলুম অত্যাচার করত।
আমরা তিনবোন জন্ম হয়েছি কেন ভাই হলো না কে।
আমার বড় দুই বোন তারা আমার চেয়েও বেশি কষ্ট দেখেছে আমার পরিবারে।
তারা দুজনেই খুব ভালোই স্টুডেন্ট ছিল টাকার অভাবে আব্বা তাদের পড়াতে পারে নাই।
দিনগুলো ঠিকই চলে গেছে কিন্তু কথাগুলো ঠিকই স্মৃতি হিসেবে মনে মনের ভিতর গাথা আছে।
আমার স্পষ্ট মনে আছে। এত অভাব দেইখা ভাত পর্যন্ত খাইতে পারি নাই।
আমি তো ছোট কিন্তু আমার কিছু কথা এখনো মনে পড়ে আমি তখন কিছুটা বুঝি ভাত খামু ভাত খামু কইয়া খালি কানতাম।
যারে দেখতাম তারেই কইতাম দুইটা টাকা দেন দুইটা টাকা দেন কিছু খামু।
আমার আব্বার লগে কাজ করে যারা পরিচিত আছে তার আমগো বাসায় মাঝে মাঝে আইতো
একদিন এক লোক আমগো বাসায় আইসে।
তার পাঁয়ে আমি দরে কানতে কানতে কইলাম কাকা ২০টাকা দেনা এক কেজি আটা ১৬টাকা দিয়া আনমু দেন না কাকা।
আমার আব্বায় দূরে কই জানি গেছে ব্যাবসার কাজে আব্বাই আইলে দিয়া দিমু ।
আমগো তখন এত কষ্ট ভাত যে খাবো সেই ব্যবস্থাটাও করতে পারত না আমার আব্বা।
পাশের বাড়ি থেকে ভাতের মাড় বা /আমরা অনেকেই ফ্যান বলে থাকি।
এগুলো গ্লাস ভরে আইনা লবণ দিয়ে আমাকে খাওয়াইছে। কারণ আমি ভাত খামু ভাতখামু কইয়া কইয়া কান্দি।
এত একষ্ট কষ্টের তাড়নায় বড় বোনটাকেও বিয়া দিয়া দেয়। মেজ বইটা তখন লেখাপড়া করতাছে ।
হঠাৎ করে সিদ্ধান্ত নিল মেজ বোন টাও পড়ালেখা বন্ধ করেদিবে।
আমার মেজ বোনটা পড়েলেখায় খুব ভালো ছিলো।
সেই স্কাউটে ও চান্স পেয়েছিল।
তার কোন বই ছিল না মানুষের কাছ থেকে বই এনে এনে পড়তো পড়ায় খুব মনোযোগী ছিল।
স্কুলের স্যারেরা ওর সবকিছু ফ্রি কইরা দিছে। তবুও যাতে ওকে স্কুলে পড়ায় আমার পরিবার।
আমাদের অভাব দেইখা কষ্ট দেইখা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বোনটার আমার আর পড়াশোনা করতে পারলো না।
স্কুলের স্যারে রা ও খুব রিকোয়েস্ট করছে আমার বাবা মাকে আমার বোনটাকে পড়ানোর জন্য। আমার বাবা-মার একটাই কথা ও যদি পড়াশোনা করে তাহলে আমরা সবাই না খাইয়া ভাতের অভাবে মইরা যামু।
এই বলে ওর স্কুল থেকে নিয়ে এইসা পড়ছে।
গার্মেন্টসে চাকরি করাইবো বলে।
আমার মেজ বোনের বয়স১৮ বছর হয় নাই। বড়বোনের নাকের ফুল মেজ
বোনকে পরিয়ে দেন।
বয়েস বেশি মনে হবে বলে গার্মেন্টসে চাকরিতে নিবে। নাকফুল পরতে গিয়ে যে পরিমান রক্ত পড়ছিলো।
অবশেষে অনেক চেষ্টার পরে চাকরি হলো।
আমি তখন পড়াশুনা করি।
তখন ভালোই চলছিলো সংসারাটা।
ভাই ভাই করতে করতে আমার ছোট একটা ভাই হলো । সবাই কি খুশি আমাদের তিন বোনের পড়ে অবশেষে একটা ভাই হলো
এখন আমরা তিন বোন এক ভাই
ভালোই ভালোই চলছিলো আমাদের সংসার।
হঠাৎ করে একদিন দেখতে এসে মেজ বোনটার বিয়ে হয়ে গেল।
তখন থেকে আমার উপর সংসারের দায়িত্ব একটু একটু করে আমার দিকে আগাচ্ছিলো।
তখন আমার পড়ালেখার প্রভাব পড়তে শুরু করে।
একটা ভাইয়ের পরপর আবারো দুই দুইটা ভাই জন্ম হলো তার মানে তিন বোন আর তিন ভাই হলো
একটা সময় আমার পড়াশোনার সম্ভব হলো না।
শেষ পর্যন্ত ধরতে হলো আমাকে সংসারের হাল।
এখনো পর্যন্ত সংসারে হালই দরে আছি ।
একটুও ইস্থির নাই । যানি না কতোদিন পর্যন্ত এই হাল দরা শেষ হবে।
কারন এখন আমার আব্বু অসুস্থ।দুইবার ব্রেইন স্ট্রোক করেছে।
আমি পড়াশুনা বন্ধ করে এক টা না অনেক বছর গার্মেন্টসে চাকরি করেছি।
আর চাকরি করতে ইচ্ছে করে না।
নিজে কিছু করি এমনটাই মাথায় ঘুরপাক খায়। ছোটকালথেকেই আমার ব্যাবাসাপ্রতি আমার আগ্রহ। কারন আমার বাবা ব্যাবসা করে আমি এখনো মাঝে মাঝে রাস্তা দাঁড়িয়ে হক কারি করি। আমি আমার আব্বাকে কাজে সাহায্য করি। কিন্তু আমি নিজে কিছু করতে চাই।
তাই।@ Iqbal Bahar Zahid sir কথা স্মরণ করে চাকরিকরবো না চাকরি দেবো এইকথা টা বুকে দারণ করে আমি আমার আগামী পথ চলা একাই চলতে চাই।
ভাই গুলোও ছোট। তিনটা ভাই। আর আমরা বোনেরা তিন জন বড় আগে তার পরে আমার ছোট তিনটা ভাই
তাই Iqbal Bahar Zahid sir কথা স্মরণ করে একটু একটু করে এগিয়ে যেতে চাই যেমন
স্যার বলেছিলেন নয়টা পাঁচটা ভুলে যাও ।
বৃষ্টি সবার জন্য পড়ে ভিজে কেউ কেউ
আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের সাথে নিজে কথা বল
বিশ্বাস সাফল্যের চাবিকাঠি
জীবনে যাই কিছু করো না কেন ধৈর্য ধরে লেগে থাকো দেখবে একদিন না একদিন সফলতা আসবেই
চাকরি করব না চাকরি দেব
স্বপ্ন দেখো
সাহস করো
শুরুকরো
এবং লেগে থাকো
জীবনে বড় হতে হবে কিন্তু কাউকে ক্ষতি করে নয়
বাবা মা র সেবা এবং যত্ন নিতে হবে
জীবনে বাঁচতে হলে বুক ফুলিয়ে বাঁচা।
মাথা উঁচুকরে বাঁচতে শেখো
নিজের জীবনের বৈঠা নিজেকেই বাইতে হবে তবে শুধু বৈঠা বাইলেই হবে না সাঁতার শিখতে হবে।
তাই আমি জীবনে বাঁচতে হলে বাঁচার মতন মাথা উঁচু করে
বাঁচতে হবে সমাজে কারন আমি আজ না খেয়ে থাকলে কেউ
আমাকে এক প্লেট ভাত দিতে আসবে না নিজেকে শ্রম দিয়ে পারিশ্রমিক অর্জন করতে হবে
তাই তার জন্য প্রচুর পরিমাণে ধৈর্যধারণ করতে। প্লেয়ার
খেলতে মাঠে নামে কিন্তু সবাই
কিন্তু গোল দেয় একজনেই
তাই নিজের বলার মত গল্প প্লাটফর্মে ভালোবেসে আছি থাকব ইনশাআল্লাহ। যদি আপনারা আমার পাশে থেকে আমাকে সহযোগিতা এবং সাহায্যে করেন?
ইনশাল্লাহ আমিও আট-দশটা নারীর মতন সামনে আগাতে পারবো মাথা উঁচু করে। আমি কাজ প্রেমি মেয়ে আমি
কাজকে ভালোবাসি সব সময় চিন্তা করে আমাকে পারতেই হবে। কারণ কাজ করে খাওয়া দোষের কিছু না। যে যাই বলুক না কেন আমি আমার লক্ষ্যে অটল
তাই আমি দেখতে চাই আমার জীবনের শেষ টুকু কোথায় আছে নিজেকে উদ্যোক্তা পরিচয় দিয়ে স্বীকৃতি দিয়েছে।
আসলে আমি পরিপূর্ণভাবে একজন নারী উদ্যোক্তা হতে চাই স্বাবলম্বী হতে চাই। নিজের বলার মত গল্প ফাউন্ডেশন এর সকল ভাইবোনরা যদি আমাকে একটু সাহায্য করে এই নিজের বলার মত গল্প প্ল্যাটফর্ম এখানে আমাকে অনেকে চিনে অনেকে চিনে না।
নিকু আক্তার
কমিউনিটি ভলান্টিয়ার
ব্যাচ ১৪
রেজিস্ট্রেশন ৬৬০৯০
জেলা নারায়ণগঞ্জ ( বর্তমান থাকি ঢাকা ডেমরা)